ব্রিকফিল্ড ঘিরে রেখেছে উত্তর আধুনিক এই শহর। চারদিকে তাপ দিচ্ছে দুষিত করছে ,ধুলা কিম্বা ময়লায়।
সব কিছু যেন অন্ধকারে গুমট হয়ে আসছে। বাতাসে বৈরি পরিবেশ- কুয়াশায় লাবণ্যতা হারাচ্ছে বিস্তৃত সব অপরূপ প্রকৃতি- যেন ধেয়ে আসছে কোনো এক ভয়াবহতা যেখানে শিকার হবে তাবৎ শক্তিমান যত রুপসী শহর, গ্রাম-অথবা সৌন্দর্য মণ্ডিত দেশ।
আমাদের শরীরে বইছে অনাদিকালের সব নোংরা অসভ্যতা আমরা নীরবে জ্বলে যাই পুরে যাই – তার সাথে হত্যা করি আমাদের যত প্রদত্ত জ্ঞান- ৩০।১২।২০১১ইং/রাত্রি:১০:১৫মি:
অনেক দিন ধরে আমি ব্লগে আসি না। আবার আসলেও আমি অফলাইনে থেকে কিছু লিখা পড়ি।আসব আসব করে আর আসা হয়ে উঠেনা।অবশেষে এসেই পরলাম……..
” একটু কাঁদব বলে “
অনেকদিন কান্নার স্বাদ পাইনি দু-ফোঁটা অশ্রু নিয়ে বসে ছিলাম একটু কাঁদব বলে।
ভেবেছিলাম তুমি আসবে;আর তুমি এলেই তোমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদব।
কেন কাঁদতাম জানি না,হয়ত তোমাকে ছাড়া এতগুলো দিন আর রাত আমি কি করে পার
করেছি! তা ভেবেই কান্না পেত। নয়ত তোমাকে কাছে পাবার আনন্দেই কাঁদতাম।
কিন্তু তুমিতো এলেই না; কি করে কাঁদব আমি?
তোমার আসা আর কোন দিনই হবেনা সেটা জানি,কিন্তু কান্না পায়না কেন বলতো? হাসতেও তো পারিনা এখন।
তোমার না আসা কি আমায় কষ্ট দেয়নি? নাকি আর একটু বেশী কষ্ট পেলে কাঁদতাম আমি? মানুষ কতটুকু কষ্ট পেলে কাঁদে সেটা যদি জানা যেত; তবে আমি ঠিক ততটুকু কষ্টই পেতাম।
কারন আমিতো একটু কাঁদতেই চেয়েছিলাম; নাকি আমার ভেতরটা নীরবে কাঁদে! আমি টের পাইনা,শুধু বাহির নিয়েই পরে থাকি আমি।
তবু কথা থাকে বলেছেন একজন। সন্ধ্যের পরেও কথা থাকে; রক্ষিতার মত সঙ্গোপনে রাতের নির্জন কথা দুপুরের শেষ মৃত্যুর পরেও থেকে যায় অপরাহ্নের সংলাপ।
কোন এক গোপন ঈঙ্গিতে চারটি চোখের রঙ বদলে- যাওয়ার মত আবেশে স্পন্দিত, বৃষ্টির পরেও মেঘ-মেঘ আকাশে ভাসে শুভ্র কথার কাফন।
আমি ঘুমহীন চেয়ে চেয়ে দেখি দু’চোখের দরিদ্র পারদ ঝরে ঝরে পড়ে শতাব্দীর নোংরা কোলে। কথা বলি না, কেননা কথা না- বলার করেছি সংরক্ত পণ একান্তে, নিঃশব্দে, জানে না ঘনিষ্ঠতমা।
ঘোর তমসার নীল জলশয্যাতে তখন অনন্ত বীটোফেনের সিম্ফনি অবাক তৃষ্ণার্ত রঙের ধরায় অবিরল বয়ে গেলে তুমি এসে কেন ডাকো হে নারী, হে কবিতার প্রসূতি, হে বিষণ্ণ প্রকৃতি !!!
আমি-ই আমার কবিতা কবিতার ভিতরই আমার অস্থিত্ব এই অস্থিত্বের ভিতরই এঁকে যাই, আমার খন্ড খন্ড কথামালার ছন্দপল্লবে ভোরের শিশিরের মতো ঝকঝকে বিন্দুকণা শিশিরের অবগাহনে যখন ফুলের স্নানের উৎফুল্লতা এথানেই আমাকে নিয়ে বিচার করি আমি আমার কবিতা আর কোন সংশয় নেই।
যদি কিছু না লিখি কিছুই লেখা হবে না। যদি কাজ না করি ফল কিছুই পাব না। যদি ভুল না করি কিছুই শিখব না । যদি না শিখি কিছুই জানব না । যদি না জানি যদি নিজেকেও জানব না। যদি নিজেকে না জানি স্রষ্টাকেও জানব না।
চিত্তের গভীরে যে বাসা বাধে আপন ভূমিকায়, সে যে কারো অজানার নয়। ভুবন বিলাসী যত বিনোদন আছে ছুয়ে যায় শুধু ছুয়ে যায়, কখনো যে হারাবার নয়।
প্রেমের অমর সুধা করেছে যে পান এই জগৎ সংসারে, তার ভীরে নগন্য একজন আপন নগরে তা ফুলে ফেপে ফুটাইয়াছে প্রাণ যেথা কোনো ব্যবধান নয়।
দীপের আড়ালে জমা পড়ে যেই অন্ধকার যার তরে গেথে থাকে চাপা নীরবতা যখনি নিভিবে দীপ সমীক্ষার ও প্রহর অন্তরালে কিছু যেন লুটাইবার রয়।
সকল জয়ের স্বাদ ভূলোকের সমারোহে প্রেম মিত্রে কি যে দারুন অমরতা পায় মন্থর গতিতে তাও মুছিবার শ্রয় কখনো যা ভুলিবার নয়।
কালো রাত্রির আঁধারে যারা রক্তাক্ত হয়েছে তাদের রক্তে আঁকা হয়েছে আমাদের এই বিজয় । আমাদের এই মানচিত্রটা- আমাদের স্মৃতিস্তম্ভগুলো পৃথিবীর ইতিহাসে নিদারুণ স্বাক্ষী হয়ে আছে আমাদের বধ্যভূমিগুলো হয়ে আছে সেই ইতিহাসের জ্বলন্ত দলিল।
তোমরা যে বল, বিজয়, বিজয়, মহান বিজয়। মুক্তির বিজয়, স্বাধীনতার বিজয়,মানুষের বিজয়। বিজয়ের মাস এলে, শ্লোগানে শ্লোগানে মুখুর করো রাজপথ, সেমিনারে, বক্তৃতায় মঞ্চ রাখো গরম। বলতে পার কি? বিজয় কোথায় ? কিসের বিজয়, কাদের বিজয়? আমি কোন বিজয় দেখি না, বিজয় দেখি না। কোথাও পাই না তাহাকে। এ বিজয় কেবল তাদের, কেবল তাদেরই জন্য, যারা রাজনীতিবিদ দানবের মত। যারা স্বার্থপর মানুষের মত। যারা স্বাধীনতা বিরোধি শক্তির মত। যারা রাজাকার । এবং কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাদের। যারা নিহত হলে,মূত্যু হলে, হয়ে যান শহীদ। কবর হয়ে উঠে আত্ত্বতুষ্টির বেদী। এ বিজয় কেবল তাদেরই জন্য, কেবল তাহাদেরই জন্য। আর যারা মাটিতে পিঠ রেখে, জারুলের উজ্জ্বল বেগুনি ফুল মঞ্জুরিত শাখার দিকে তাকিয়ে, মৃর্ত্তিকায় বিনা বেদনায় বিছায়েছে অমূল্য প্রাণ, যেখানে বিরাঙ্গনা এখনো কেবলই বিরাঙ্গনা,
সমাজ তাকে করে রাখে এক ঘরে, জোটে না কাফন,জোটে নামাজ দাফন। দু বেলা দু মুঠো খাবারে জন্য হয়ে যান পতিতা। তাকে আমি বিজয় বলি না, কখনো বলবো না। কেমন করে বলি, সাভারের ঐ স্মৃতির মিনার দেখে, সংবাদ পত্রের ছাপানো কালো কালির অক্ষরে, টিভি’র পর্দার আলোচনার তুমুল ঝড়ে, জাতীয় সংসদের গোল টেবিল বৈঠকে, মাঠে ময়দানে পাড়ার মোড়ে উঠতি নেতাদের গলাবাজিতে। নীতি বর্জিত নেতাদের বুলসিট বক্তৃতায়। তোমর বিজয় উত্তসব দেখছ, আরোও দেখবে আগামীর পথে। বিজয় মাঠের প্রস্তুতি পর্বের দিনগুলি দেখন
হৃদয়ের জানাল খুলে বসে আছি তোমার প্রতীক্ষায় কবে তুমি আসবে আবার, এ মন তোমায় ফিরে পেতে চায় তুমি ছাড়া নীথর এ জীবনের চাকা আর চলে না স্মৃতির জানালায় দাঁড়িয়ে কেন, ধরা দাও না?
র্নিঘুম রাতে তোমাকে খুব বেশী মনে পড়ে আহত পাখির মত উড়ে পড়ি বেদনার বালুচরে তুমি ছাড়া এ ভূবন আমার ধূ ধূ মরুভূমি তোমার স্মৃতি বারে বারে হৃদয় আমার যায় চুমি ।
কত বসন্ত আসে যায় তুমি ফিরে এলে না মনের মাঝে যে দ্বীপ জ্বেলেছিলে, সে তো আর জ্বলে না কত কথার মালা শুকিয়ে গেছে তোমায় পরানো গেল না বেদনার বালুচরে বসে একা, এ জীবনে বুঝি তোমায় পাওয়া হলো না ।
হে গোলাপ-প্রেমী, গোলাপের সৌন্দর্য্যে বিমুহিত হয়ে ভাবছ কী বসে একা? তোমার রঙ্গিন চশমা পরা চোখে শত স্বপ্নের মেঘ পাল তুলে বেড়াচ্ছে ।তুমি নেই তোমাতে । কিন্তু জান কী- গোলাপের সৌন্দর্য্য আর সুবাস যতটা মধুর কাটার আঘাত ততটাই বেদনাবিধুর ।নয়নভরে সৌন্দর্য্য পান কর, তবে ছিঁড়তে যেওনা তাকে । কাটার আঘাত সইতে পারবে না তুমি । এ বড়ই র্নিমম!
কাটার আঘাত না সহে কে গোলাপের সৌন্দর্য্য করেছে উপভোগ? কষ্ট না সহে সুখ পেয়েছে কে কবে? প্রদীপের আলোর নীচে আঁধার থাকে বলে কী প্রদীপ কেউ জ্বালবে না? ভালবাসার পশ্চাতে বিরহ মুচকী হাসে, তাই বলে কী হৃদয় ভালবাসবে না? মেঘের আড়ালে চাঁদ হাসে, শীতের পর বসন্ত আসে কাটার আঘাত সইলেই তবে গোলাপ তোলা যায় বেদনার নীলকন্ঠ পিয়েই ভালবাসার স্বাদ নেওয়া হয় ।
ধরো হাত, চলো গড়ি ভালবাসার নীড় হৃদয়ের মধ্যখানে যে নিঝুম গহীন অরণ্য কোন নারী আজও নূপুর পায়ে সেখানে আসেনি, ফেলেনি কোন পদ-চিহ্ন সেখানে ছোট্ট কুটিরে বাঁধব সুখের বাসা আলো-বাতাস যেমন জীবনের প্রধান সহায়ক তোমার-আমার প্রেম আর ভালবাসা তেমনি যোগাবে দু’টি প্রাণের খোরাক ।”
প্রেম কেীতূহলী প্রেমিকা চিঠি পড়ে বসন্তের মাতাল সমীরণে উড়িয়ে দেয় তা’ হৃদয় তার নেচে উঠে, বলে কথা- “হাতে রেখে হাত চরণ ফেলব তোমার হৃদয়ারণ্যে প্রেমের উষ্ণ-আলোয়ানে জড়িয়ে নিও আমাকে তোমার ভালবাসার ঘরে লাল শাড়ী পরে যাব আলতা রাঙা পায়ে নূপুর নিক্কণ করে ।
তাজমহলে ঘুমিয়ে আছে মমতাজ প্রাণহীন দেহে আমরা গড়ব মহাবিশ্ময়, এক মহার্নিদশণ । দু’টি প্রাণের ভালবাসায় আমাদের ছোট নীড় হবে বিশ্বের সপ্তার্চাাসযের এক নম্বর আর্শ্চায। যৌবনের ঊষা লগ্নে তুমি দেখালে আমায় রোদেলা এক দিনের স্বপ্ন ।দু’টি দেহে একটি প্রাণ-রবি উঠেছে যেমন পূবাকাশে দিনের শেষে পশ্চিমাকাশে অস্ত যায় যেন এক সাথে ।” এই ভাবে কত স্বপ্নের বীজ বুনতে থাকে প্রেয়সী তার হৃদয়-কাননে, কত রঙিন ফুলে ফুলে সাজায় অবুঝ মন্তর কত স্বপ্ন দোলায় দোলে সবুজ বনানী কত স্বপ্নের রোদ উঠে হৃদয়াকাশে, কত রঙের পাল তুলে মেঘ ভেসে বেড়ায়, কখনও প্রেমিকের প্রতীক্ষায় দু’চোখ হতে বৃষ্টি ঝরে পড়ে । এক একটি চিঠি কত শত প্রেমের মালিকায় গাঁথামালা, কত স্বপ্ন আর প্রতিশ্রুতির সাক্ষর হয়ে করে হৃদয়ের লেন-দেন । কবে ফাগুন আসবে, সাজবে ধরা নতুন সাজে মেহেদী রাঙা হাতে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে আলতা-চরণ ফেলবে ভালবাসা ঘেরা বাসর ঘরে ।
ফাগুন আসে, বনে বনে বসন্তের সাজে বৃক্ষরাজি; কিন্তু তার প্রিয়ের দেখা নাই, প্রাণ আনচান করে প্রতীক্ষার র্দীঘপথ হামাগড়ি দিয়ে পাড়ি দেয় এক একটি দিন ।
ফাগুনের কোন এক দুপুরে রানার আসে শত কথার ঝুলি কাঁধে নিয়ে । নীল খাম ছিঁড়ে বের করে নীল চিঠি আনন্দে নেচে উঠে সাথী, বুকে চেপে ধরে আর সবুজের দেওয়া প্রথম চিঠির কথা মনে করে হারিয়ে যায় কল্পলোকে । সম্বিত ফিরে তাকায় চিঠির দিকে । না, এতো চিঠি নয়! একটা র্কাড! বিয়ের নিম্নত্রণ-পত্র! চোখ বেয়ে অশ্রু নামে, গড়ে নদী বুকে উত্তাল ঢেউ । ঘৃণা আর কষ্টে উচ্চারিত হয় একটা শব্দ-‘বিশ্বাসঘাতক!’
অমাবস্যার রাতে চাঁদকে
খোঁজা বোকামী ছাড়া কিছু নয়
যে কষ্ট দিয়ে চলে যায়
তাকে মনে রাখার মতোই।
স্বপ্ন হারিয়ে যায়,
তবু আমরা বুনি নতুন স্বপ্নের বীজ
সেই স্বপ্ন হয়ত একদিন ভেঙ্গে যাবে
আর আমরা নির্বোধেরা
আবার স্বপ্নের বীজ বপন করি
স্বপ্নের মাঝে বাঁচতে চাই বলে।
মরণ তো জীবনে একবারই হয়
বিশ্বাসঘাতকতার আঘাতে বার বার
আমরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করি,
তার পরেও আমরা বেঁচে থাকি
নতুন বিশ্বাসের ভরসায়,
নতুন জনমের আশায়।
একটা হৃদয়কে কতোবার আর খন্ডিত করা যায়
যতোবারই খন্ডিত হোক না কেন
এই হৃদয় একটাই থাকে,
ভালবাসা হয়ত বহুবার সেই হৃদয়ে কড়া নাড়ে
শুধু সময়ের কাছে হেরে যায় ভালবাসার সত্যিকার অর্থ।
হিমহিম শীতের সকালে তোমায় খুজি একটু উষ্ণতা পাওয়ার জন্যে, তুমি চাদর হয়ে জড়িয়ে রবে আমার অঙ্গ জুড়ে।
খালি পায়ে শিশির ছুঁয়ে তোমায় খুজি, শিহরন বয়ে যায় আমার স্বত্তায়, শিশিরের বিন্দু কণায় তোমাকে দেখতে চাই ঠান্ডা একটু পরশ যদি তুমি দিয়ে যাও আমায়।
ঝরে পড়া শিউলি ফুলের মাঝে তোমায় খুজি গেথে মালা পথ চেয়ে রই, তুমি আসবে কাছে পড়বে মালা কাছে টেনে নিবে আমায়।
যতোই তুষার ঝরে পড়ুক ঢেকে যাক সব কিছু শুভ্রতায়, শিউলি শুকিয়ে পড়ে থাক ধূলিতে, শিশির বিন্দুগুলো গলে মিশে যাক মাটিতে, তবু, তোমাকে আমি খুজি ফিরি তাদের মাঝে শুধু পেতে স্বগীর্য় ভালোবাসা তোমার কাছে জানিনা, সেই তুমি আজ হারালে কোথায়।
প্রতিটি ভোরের আলোর সাথে, আঁধার মনের লড়াই বাধে। প্রতিটি সাঝের আঁধার ঘিরে, আশাবাদী মন সাধনা সাধে।
প্রতিটি শিশির ফোটার সাথে, পাপী মনের পাপ ক্ষুয়ে যায়।
প্রতিটি ফুলের কলির সাথে, ভ্রমর মনের প্রেম ছুয়ে যায়।
প্রতিটি মেঘের দলের সাথে, উদাসী এ মন যায় উড়ে যায়। প্রতিটি স্রোতের তালে তালে, উতলা এ মন যায় ভেসে যায়।
প্রতিটি জলের কণার সাথে, বিরহী মনের দুঃখ ঝরে। প্রতিটি পাথর নুড়ির সাথে, শোকাহত মন সখ্য গড়ে। প্রতিটি দিনের সাথে সাথে, নতুন কিছু স্বপ্ন জাগে। প্রতিটি রাতের সাথে সাথে, স্বপ্নগুলো অচিন লাগে। তবুও প্রতিটি প্রহর জুড়ে, বিচিত্র এ মন স্বপ্ন দেখে। মনের এহেন চিত্র নিয়ে, ভাবুক এ মন পদ্য লেখে।
মাধবী লতার এখন ব্যস্ত সময়, সস্তা মেকাপ আর আটোঁ পোশাকে রুপান্তরের পালা। সন্ধ্যাক্ষনটা যে কেনো এতো ছোট হয়… ঈশ্বরের প্রতি মাধবীর বিড়বিড়ে অসন্তোষ। সূর্যাস্ত মুহুর্তের আজান বা উলুঁ ধ্বনি, কোনোটাই তার মাঝে আবেদন আনতে পারেনা। একটু পরই পথে নামবে মাধবী লতা। আরো অনেকেই নামবে,নামে বা বেনামে। আপাত ভদ্র নগরীর একটি অভিজাত কোন, তখন থেকে সারারাত তার আভিজাত্য হারাতে থাকবে। ঈশ্বর সৃষ্ট আদিম জৈব তাড়না, তাঁরই বিরুদ্ধ পাপের ভাগাড় পূর্ণ করবে। মাধবী লতারা শুধূ পাথেয় হবে তাতে। প্রশাসক,প্রকাশক আর প্রশিক্ষক থেকে শুরু করে, ছাত্র হুজুর বা নেহায়েত দিন মজুর, কেউ বাদ যাবেনা এই রিপু নাস্তি যাত্রা হতে। পাপের অভিযাত্রায় ধর্ম-বর্ণের অভূত সাম্য, আগামীর মহাত্মাদের পাপী হতে উৎসাহ জোগাবে। মাধবী লতার অকাল পতিত যৌবন কিংবা, সস্তা সাজে সিনড্রেলা হবার ব্যর্থ প্রয়াস, কোনোটাই লোলুপ দৃষ্টিগুলোকে কাছে টানার যোগ্য নয়। তবু তারা আসে,তাদের আসতেই হয়। ঘরে সুন্দরী বউ রেখে, মাধবী লতার বয়সী কন্যা বোন বা, কেউ কেউ নাতনীর সাথে দু’দন্ড কথা বলে আসে। শুরু হয় দর কষাকষি। মাছ বাজারের মতই ভীড় জমতে শুরু করে। শুধূ থাকে না হল্লা আর মাছির ভন ভন। অঙ্গ সৌষ্ঠব,কন্ঠের তারল্য ও- দালালের ধূর্ততা আর অপ্রাসঙ্গিক তাড়ায়, অপাত্রে উত্তাপ দমনে পাগল হয়ে উঠে পঙ্গপালের দল। মাধবী লতারা যেনো এক একটি অগ্নি গোলক। নির্বিকার চিত্তে মোহিত কীট গুলোকে পুড়িয়ে মারে। নৃত্য ক্লান্ত নর্তকের অবসাদ শুরু হবার আগেই, নর্তকী তার প্রসাদ আদায় করে নেয়। খুলে ফেলা মুখোশটা ঠিক ঠাক করে নিয়ে, ঠিকানা মুখী হয় বানচোঁত বীর্যহারার দল। মাধবী লতারা শুধূ দু’ দন্ড জিরিয়ে নেয়। এক খন্ড নেকড়া আর দু’ মিনিট সময়, সদ্য সিক্ত স্মৃতি মুছে ফেলতে তার এই যথেষ্ট। কারন,তাকে আরো খদ্দের ধরতে হবে। রাত পোহাবার আগেই আগামীকালের স্বপ্ন বাচাঁতে হবে। রুটি রুজি আর মাথা গোজার ঠাঁইয়ের জন্য, আরো বেশ ক’বার পতিত হবে তার দেহের ভারটুকু। বহুগামীদের গমনে গমনে ক্রমে, আগামীকাল নিশ্চিত হবে মাধবী লতার।
প্রয়োজন্ -৩ ডিসেম্বর ০১, ২০১১ সময় থমকে গেছে,কিংবা যাচ্ছে বা যাবে। আমরাও ইতিমধ্যে নিজেদের বিকলাঙ্গ ভাবতে শুরু করেছি, অথবা অচিরেই ভাবতে পছন্দ করব। আমাদের বৃদ্ধরা আটকে গেছে, নিদারুন হতাশার নীল জালে। বৃদ্ধারা অতীত রোমন্থন আর অন্ধ আনুগত্যে। পুরুষেরা বন্দি হয়ে আছে, লোভ্,লিপ্সা,রিপু,আর তাড়নার নোংরা খাঁচায়্। নারীরা শয্যাদান্,গৃহ সজ্জা আর কুৎসায়্। যুবকেরা বিদ্যা,প্রেম্,নেশা আর উত্তর আধুনিকতার বেড়াজালে। যুবতীরা ভ্রমর বিলাস আর মুঠোফোন বৃত্তে। কিশোরেরা গাছাড়া মিথ্যে অহমিকায়্ ডুবে। কিশোরীরা ছান্দসিক নিতম্ব আর উন্নত বক্ষ ভাবনায়্। বালকেরা কল্পনার স্পাইডার ম্যান বন্দনায়্। বালিকারা বিদেশী সুর আর নৃত্য ধারায়্। শিশুরা পড়ে আছে অবাক বিড়ম্বনায়্।
শুধু বেঁচে ও জেগে আছে, কবি নামীয় কিছু অশুদ্ধ প্রাণ্। যারা কিনা বিকলাঙ্গ সত্বাটাকে, খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ত্যাক্ত করে। অযথাই জাগিয়ে তোলার ব্যার্থ চেষ্টা করে। কাগজ্,কলম আর বেকার সময় ক্ষেপনের সমন্বয়ে, নিজেদের অশুদ্ধ সত্বাটা তুলে ধরে।
তাই বলি সময় থমকে গেছে এখন এখানে। যেমন থমকে আছে নষ্ট ঘড়ির কাটা। তারো আগে থমকে গেছি আমি-আমরা বা তুমি-তোমরা। অথবা থমকে গেছে ষোলো কোটি বিবেক্। একাত্তর থেকে এগারো,চল্লিশ বছরে, বেড়েছে কেবল আমাদের হাত্,পা বয়স আর প্রজনন ক্ষমতা। বাদ বাকী থমকে আছে আত্বা বা বিবেক্।
অশুদ্ধজন কবিদের মতে তাই, আরো একটি যুদ্ধ বা সংগ্রাম প্রয়োজন্। প্রয়োজন আরো একটি সাতচল্লিশ্,বায়ান্ন বা একাত্তর্। প্রয়োজন একটি একুশ্,ছাব্বিশ বা ষোলো।
সেই সাথে প্রয়োজন আরো একটি বিপ্লব বা জাগরন্। কিংবা সহজ ভাষায় একটি বিস্ফোরন।
থমকে থাকা সময় বা বিকলাঙ্গ সত্বা। বাধার দ্বি-মুখী বিন্ধ্যাচল ভাঙতে, আরো কিছু বাধ ভাঙা কবিতার প্রয়োজন্।
একটি রক্তজবা হাতে নিয়ে মা বললেন, আজ বৃষ্টি হবে। ভিজে যাবে সবটুকু সবুজ জমিন। ঘেরুয়া নদীর জল থেকে রক্তবাষ্প উড়ে দেবে জানান, এই মাটিতে আততায়ী রাত নেমেছিল। হায়েনা পিশাচদের উল্লাস কাঁপিয়েছিল এই আকাশ। সূর্যের পরিণত ঘর। মানুষের বিত্ত বিবর। আর লুকিয়ে থাকার সাঁকো খুঁজে শরণার্থী তরুণ-তরুণী গিয়েছিল উত্তরের বাঁকে। অগ্রজ পূর্বসূরীর হাতের লাঠি গর্জে উঠেছিল ‘থামো ঝড়, থামো বজ্র’ এমন আওয়াজে।
সেই প্রভাতে আমি ছিলাম মায়ের বাম হাত ধরা অবুঝ বালক। বালিকা বোনটি কেঁদেছিল,’বাবা ,বাবা ‘-বলে।
বাবা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। একটি গ্রেনেড চার্জ করতে গিয়ে উড়ে গিয়েছিল তার ডান হাত। তাই নিজ ডানহাতটিকে ভয়ে লুকিয়ে রাখতেন আমার মা। আর বলতেন, দেখিস- আমার হাতটা যেন কেউ না দেখে।
তার ভয় ছিল খুব। বাবার হারানো ডানহাতটিকে তিনি মনে করতেন নিজের হাত। বাবার চোখগুলোকে মনে করতেন নিজের চোখ।
সেই প্রভাতে আমার মায়ের নিজস্ব কোনো দৃষ্টি ছিল না। বৃষ্টি আসবে বলে সকল মুক্তিযোদ্ধার দৃষ্টি দিয়ে তিনি তাকিয়েছিলেন আকাশের দিকে।
আর বলেছিলেন, বৃষ্টি আসুক। তবু মুছে যাবে না এই বাংলা থেকে থোকা থোকা রক্তগোলাপের দাগ।
মনের আবেগ গুলো কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে সব, ঠিক যেন শীতের সকালে ধোয়া ধোয়া কুয়াশা ভেজা স্মৃতির মতো । আগের মতো লিখতে পারিনা কবিতা, না লিখতে পারি গান, খাতাটি নিয়া বসলেই এক দুর্বোধ্য চাপা যন্ত্রণায় হারিয়ে যাই। অনুভূতিগুলো অবাধ্য হয়ে ছুটাছুটি করে চারিপাশ। সংমিশ্রণের ব্যর্থতা আর এগিয়ে যাওয়ার জড়তা এ দুটো মিলে আমাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। বুঝিনা কেন এমন হয়। বিবেক এর কাছে প্রশ্ন রাখি, উত্তর মেলে না। মেলে চাপা গোঙানি, গুমরে গুমরে কান্নার প্রচণ্ড শব্দ। ও ফ !! এ যন্ত্রণার অবসান হবে কবে?? অতিষ্ঠ মন সব ভেঙ্গেচুরে একাকার করে দিতে চায়, ধ্বংসের এক প্রবল নেশা চেপে বসে মাথার ভেতর যেন ক্ষুধার্ত হাঙ্গর পেয়েছে রক্তের গন্ধ । কি লিখতে বসলাম আর কি লিখলাম ঠিক যেন বৃষ্টি হব হব করে বৃষ্টি না হওয়া এক রোদ্রউজ্জল আকাশ ।। ************************************ এই কবিতাটি সৃজন নামক ই-বুক এ দেয়া হয়েছিল।
কখনো রোদ নামে আমার উঠোনে , আমি হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেখিনি রোদের
আদর , চোখ মুদে রোদের মমতা হৃদয়ে পুরে নিই , তোমরা যখন আরাম কেদারায় বসে
পা ঝুলিয়ে দাও আয়েশি বাতাসে একটা নীল মৌমাছি আমার চোখের পাতায় চুম দেয় ,
তোমাদের আয়েশি জীবন দেখিয়ে বলে ‘ ও টা তোর জন্যে নয় , আমি তোকে ঘুম দেব
, বুকের ভেতর পুষে রাখা নরম ওম দেব ‘
তোমরা কি বলতে পার ! কেন রোদ কখনো হলুদ কান্না ছড়ায় ? আয়েশি বাতাস
জীবনকে এ কেমন প্রলোভন দেয় ? নীল মৌমাছি প্রেম নিয়ে তবু কেন অবিরত
প্রেমহীনের দ্বারে ?
সমাজ সভ্যতা অসভ্যতা এই সবইতো তোমাদের সৃষ্টি ! মুখোশ এঁটে ক্লান্ত মানুষের দল কি অবলীলায় অভিনয় করছে জীবনের সাথে
বলতো ! যখন রাতের নিস্তব্ধতায় শ্মশানের নীরবতা নামে তোদের বুক চীরে কি একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয় না ! অস্ফুটে কি বলে ওঠো
না আহ্ জীবন ! এত ক্লান্তি তবু ঘুম আসে না – হলুদ ব্যাধিতে আক্রান্ত তোমার
সবুজ বিছানাটি জেনেছ কি ; কেন এমন প্রহসন আমাদের ? বেঁচে উঠবার নামই যদি
জীবন হয় তবে নিয়তই কেন গুপ্ত হত্যাকারী আমি-তুমি-আমরা ??
কেন লিখতে মন চায় !! উত্তর জানা নেই। যখন পথ পাই না খুঁজে, নির্বাণ
খুঁজি লিখায়। কবিতা আমার অলিন্দ ও নিলয়। হয়কি- হয়না- খুঁজতে থাকে অনেকেই।
আমি কথা বলি আমার চেতনায়, আমার ভাষায়, আমার কবিতায়। যদি কেউ শুনতে পায় সেই
কথা, তবে- তারাই পড়বে আমার লিখা। সে যদি একজনও হয়।
আমি যেমন ছেড়েছি সব। … ছেড়েছি সব কিছু। তেমনি তুমিও ছেড়ে যাবে একদিন।
যেতেই হবে তোমাকে। তারপর …। অনেকটা পথ অতিক্রান্ত হবে যখন, কোলাহল কিছু
থামবে, বিশ্বাসের ভ্রান্তিবিলাস খসে পড়বে একে একে। শ্রাবণে কি, হাড়-হিম
শীতে। একাকী শূন্যতার দিকে চেয়ে ধোঁয়াশার বুকে ভেসে উঠবে তোমার চোখে আমার
মুখ।
তোমাকে যেতে হবেই। আরো অনেকটা পথ এগুতে হবে। যেমন আমাদের পূর্ব পুরুষদের
চেয়ে অগ্রগামী এই আমি। অংশত এবং কিছুতো সত্য। প্রেমিক সজ্জন, বান্ধব-
বান্ধবী। অভাব হবেনা নিত্য নতুন সহযোগীর। ঘিরে থাকবে ভরে থাকবে কদম্ব
কামিনী। সেই সাথে Cristian Dior, Richi ও Gucci আরো কত কি।
ভালোবাসার কথা শোনাবে অনেকে, ভালোবাসবে না। মাথায় উঠাবে, পুজার ভান করবে,
আছড়ে দেবে নানান প্রকার। ভালোবাসবে না। অন্নদা দিদি খুঁজবে বার বার।
তবু একজন মানুষ খুঁজি। সব সময় খুঁজি। খুঁজে খুঁজে মরি। আসরে, উৎসবে,
আয়োজনে, সমাবেশে। এমনকি সান্ধ্যভ্রমণ ও প্রাতঃভ্রমণেও। খুঁজি শুধু একজন
মানুষ। যার সংস্পর্শে নষ্ট হয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ‘অরণ্যের’ মতো ফিরে পেতে
পারি। মানুষের যা কিছু মর্যাদার যা কিছু অর্জন- পথ খুলে দিতে পারে যে
নির্যাস। সেই সেই মানুষকে খুঁজি। কে দেবেই আশ্বাস !! খুঁজে অহরহ। মুছে দিক
সেই… এই ঘৃণা- অবিশ্বাস- সন্দেহ। পারস্পরিক ভেদ বিদ্বেষ। খোল- নলচে বদলে
দেয় এমন মানুষ।
মৃত্যুই কেবল মৃত্যুই ধ্রুবসখা
যাতনা কেবল যাতনা সুচির সাথী।
অতএব কারো পথ চেয়ে লাভ নেই
বিরূপ বিশ্বে মানুষ নিয়ত একাকী।
রাত্রির বিষণ্ণ নীরবতা ভেঙ্গে যখন স্বপ্নীল চৈতন্য
নিয়ে ফোটে রোদের মঞ্জরী-
জীবনের মাঠে; রূপোলি বীজের ঘ্রাণ ভেসে আসে দূর
বনভূমি থেকে; বিরামহীন দ্রুতলয়ে ফুটতে থাকে ভোর- আলোকমন্ডিত পৃথিবী থেকে দ্রুত অন্ধকার সরে যায়,
জাগতিক বৃক্ষের বুক থেকে বিদায় নেয় রাত্রি, তখন আমি সৃষ্টির
দর্পণে রাখি হাত; পরিবর্তনশীল বিশাল ব্রহ্মাণ্ড তাতে দেখতে পাই আমি-
কেউ যেন নিঃশব্দে আর্তনাদ করে ওঠে, যেন তাকে নির্মমভাবে
শুষে নিয়ে আমসত্ত্ব বানাচ্ছে কোন প্রিটোরিয়া সরকার, তুমি শোননি? তবে ভয় পাচ্ছো কেন মিছে? সে শোষিতকে তুমি চেনো, চেনো তার
মিহিদানা কণ্ঠস্বর; তার ভাঙাচোরা তোবড়ানো শরীরের ইতিহাস তোমার
জানা। তিল ফুলের মতো ছোট্ট স্বপ্নের কথা।
সে তোমাকে বলেছিলো। চেয়েছিল।
জামরুল ফলের মতো সবুজ স্বাধীনতার চারাগাছ, আর
নাগরিক অধিকার বন-বাদাড়ে ঘুরবার। অথচ সেই অমিয় স্বপ্ন যার
লুণ্ঠিত হয়েছে বিষাক্ত- বিভায়, সে আর কেউ নয়, মজদুর সে তোমার- আমার, আমাদের আত্মজ, কেন করো তবে
বাহুল্য লৌকিকতা? কেন এ বিবমিষা তোমার? বিপ্লবে বিশ্বাস আনো,
বুনি দু’হাতে বিপ্লবের বীজ কঠিন মাটিতে, বিশ্ব সংসারে সুখদিন আনি।
আজ আমি আমার মাঝে নেই
থাকতেও যে চায় না আর,
তোমাদের সবার মাঝে বেচে থাকত
যেখানে পশুরা প্রতিনিয়ত তাড়া করে।
এক জ্যান্ত সুস্থ মাংস পিন্ড
বেচে থেকেও যা মৃত লাশ
অতীত আমার মনকে কুকড়ে দেয়,
তখন শুধু যে মনে হয়
আমি যে আমার মাঝে নেই। শিরা উপশিরায় জেগে উঠা ক্রোধ
বের হয়ে আসে শত যুগের দীর্ঘশ্বাস এর মতই;
মুখ দিয়ে কোন কথা বের হয় না
কারণ আমি যে আর আমার মাঝে নেই। স্বতস্ফুর্ততার লেশ মাত্র নেই এখানে
আছে শুধু আগুনের জলন্ত শীখা
সেই আগুনে পরে গেলে সব শেষ;
শুধু একটা কথাই বলবে অন্তরটা
আমি যে আজ আমার মাঝে নেই।
যখন
সকল কথা শেষ হয়ে যায়/ না বলা কথার ভার মূক স্তব্ধতায় কাঁপে ভীরু প্রদীপের শিখার
মতোন। দিনে যতো আনাগোনা/ কথা দিয়ে জাল বোনা থেমে যায় একদিন হঠাৎ কখন। থামে
না তো স্রোত, শুধু পড়ে যায় ঝরা দল। ... তখন হৃদয়ে নামে
ভোরের আকাশ/ পাখা মেলে বুনো বালিহাঁস, সকালের রোদ গায়/ কালো মেঘ ছেড়ে যায়/ ভুলে
গেছে বাসা তার জানে শুধু সে সাঁতার।
I
love you because you are honest and strong right here, in my arms is
where you belong you hold me ,console me and you are my best friend i
can,t live without you no need to pretend. i love you because you
light up my days fill my heart and my soul with your sweet loving
ways i love you because you never pretend and if i,m hardheaded you
allways give in you,re so easy to love so hard to forget faithfull and
true since the day that we met i could search the world over and still
never find a love like yours you are one of a kind i love you
because you are quick to forgive overlooking my faults each day that i
live so slow to anger so quick to respond to my loving wishers above
and beyond.
Daddy
come back. I want you back. Why did you have to go. It's just not the
same without you. We still get mail with your name on it. It makes me sad
every time i see the envelopes. Mommy's always crying. She's always
yelling too. She makes me cry a lot but not as much as you. I'm always
thinking about you. Your always making me teary-eyed. I love you daddy why
did you have to go. I miss you a lot but you obviously don't
know. Otherwise you wouldn't have had to go. God makes me mad because he
took you away. It's hard not to cry in church but i go anyway. Sometimes
when I'm all alone and i have time to think. I think about you and i cry and
cry and cry. Some people think "oh you should be over this" But then i
think to myself you don't know how it feels to be in this pain or to how hard
it is to make it go away. Councilors try to help me but they don't help at
all. My head hurts all the time, especially when I'm about to cry. Its
hard to type down these words as tears blur up my eyes. When i try to speak
about you i choke and then i start to cry I miss you daddy why did you have
to go.
পূবের আকাশে উদিত সূর্যের সাথে জলের সহবাস দেখে মনে হয় এতকাল তাকিয়ে ছিলাম
ভুল নজরে ভুল কোন পাত্রের জলচ্ছবিতে ক্ষণআয়ু নিয়ে জঠর ভেদ করে__ এই আলো
পেলাম, এই আবহ পেলাম।
দূর্গন্ধময় ভাগাড় থেকে ভেসে আসে উপহাসের অট্টোধ্বনি সঙ্গী খুঁজতে খুঁজতে
হৃদয়ানুভুতি বেশ হয়রান- পেরেশান
ছা-পোষা মানুষের এভাবে বাঁচা কত কাল?
চিরচেনা নদী আজ দেউলিয়া, সে যে গতিপথ হারিয়েছে মাছেদের মা মা আর্তনাদে মুখরিত
সময় জীবন প্রতিক্ষার লহমাগুলো শেষ হয়ে যায় তবুও মেলে না সেই সঙ্গী- সেই
সঙ্গীত!
বাদ্যযন্ত্রের পক্ষাঘাতি অত্যাচার থেকে কানগুলো মুক্তি কামনায় দূরে কোথাও-
ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে নিশুতি-নিরবতায়।
কুপির আলোয় মুখ দেখা যায় কুসম নামের মেয়েটি মলিন, ব্যথার ভাষা চোখে
মুখে দীর্ঘ কালো কেশের বেশে ওঁচা আঁধার খেলে চলে লোভের দ্বারে কুকুর-বিড়াল
দাঁড়িয়ে থাকে মলিন মুখের মেয়েটি দেখে… গোলাপ থেকে পাপড়ি খসে গাছ থেকে সেই
ফুল মালি বলে নিজের দোষে গোলাপ করলো ভুল কবর-বেদীর কাচা ঘাসে সূর্য কিরণ নাচে
হাসে মৃত জনের ঘুম ভেঙ্গে যায় লাশ গুলে তাই মুক্তি পায় কোন বাতাসের লাগলো
দোলা নাচে চাঁদের মুক্ত-মনি সোনার খনি কুসুম নামের মেয়েটি এমনি…
পথের ধারে বিলাপ করে ভুখা ও অনাদ্র মন বাতাস গুলো বেজায় ভারী ‘আনন্দ
সঙ্গম’ নদীর জলে কেশের স্নান রুদ্র স্বরের মেঘের স্নান কোথায় যাবে
মেয়েটি? প্রশ্ন যখন পাহাড় করে প্রশ্ন যখন সাগর করে প্রশ্ন যখন প্রশ্ন হয়ে
একলা একলা ঘোরে উওর সন্ধানে… মুখোশ নামের মানুষ গুলো লেবুর জলে ঠোঁট
লুকিয়ে হাসে! অবাক দেশে রূপ আর যৌবন একই কোষে বাঁচে! মুখোশ হাসে, মুখোশ
হাসে অবাক দেশে, অবাক দেশে
চন্দ্র গেছে সমুদ্র সৈকতে মুক্তা, ঝিনুক কড়ির মালা পেলে সাজাবে যে বাসব
ঘর, সবাই হবে পর! উল্টো স্রোতে মাঝি ও মাল্লার তরীর প্রাণ সংহার মেয়েটি কি
করবে? দুধে নিজেকে ডোবাবে নাকি বেঁচে থাকার চেয়ে ওপাড়ে চলে যাবে? প্রশ্ন
থেকেই যায়…
বাগান বিলাস ঘ্রাণহীন ছলনায় জড়িয়েছে সৌন্দর্য মন ভালো নেই পাপ থেকে অধিকতর
নিচের অবস্থার থাকবার কথাও নয়… থাকেও না চিলেকোঠার দ্বার খোলা, একটা শব্দ
শোনার প্রতিক্ষায় “ভালোবসি” ধানের চিটে ধান চ্যাপ্টা চিঁড়া ধান আঁটি ও
ভগ্নাংশ গুলো মূল্যহীন বস্তু আধারে মূল্য লুকিয়ে রয় নীরবে-দৃষ্টি গোপন
করে মেয়েটি কি তাহলে মূল্যহীন, পাপ নাকি ভ্রমে জড়ানো কুৎসিত?
সবুজের কাছে মেয়েটি রূপের পরীক্ষা দিয়েছিল পাস করে গেছে নদীর কাছে মেয়েটি
অশ্রুর পরীক্ষা দিয়েছিল পাস করে গেছে আকাশের কাছে মেয়েটি উদারতার পরীক্ষা
দিয়েছিল পাস করে গেছে বৃক্ষের কাছে ছায়ার পরীক্ষা দিয়েছিল পাস করে
গেছে সকল পরীক্ষায় মেয়েটি পাস করে গেছে তারপরও তার চলতি পথে এত বাধা কেন?
গাভীর ওলানে মুখ লুকিয়ে বাছুর কি চায়? মেয়েটির চাওয়াও এর থেকে বেশী ছিল
না বসন্ত আসবে ভেবে কোকিল কণ্ঠে মুক্ত ঝরে! মেয়েটির কণ্ঠে এর চেয়েও মধুর ছিল
শ্রোতা মুগ্ধ করবার সময় ও সুযোগের অভাবে অহেতুক শ্রম পরিণামে বাতাস দেয়
না…
জড়সড় হয়ে কসুম বিছানার এক কোণায় মুখে মগবাজারের খিলি পান ঠোঁট লালের
আস্তরণে বর্ণীল পুর মুখ মেকাপের নিচে ঢাকা পড়ে আছে যেন প্রকৃতির উপর মানব
সৃষ্ট অতি প্রকৃতি… ইচ্ছা মতন আঁকা আমার তুলিতে আপন রূপের শরীর তেল চিটচিটে
শরীরে বিরক্তি আর ক্লান্তির ছাপ প্রভু ভক্ত নয় এমন কুকুরের মুখে এভাবে কত
দিন? কত কুসুম আঁশটে হয়ে যায়… লবণ বেশী হওয়া তরকারীতে যতই পানি ঢালি মুখ,
মন, জিহ্বা কেবল লবণের স্বাদ পায় ও নেয়!
নীল আকাশ নীল বিষে ছন্ন ছাড়া খেজুর রসে মাদকতা আসে না, চাই পচা তালের
রস রসে রসালো মাদকতা, মুক্ত মনা পাখি সব করে ওঠে কলরব শুরু হবে শুরুতেই
শেষ~~ ঘাস ফড়িং নেচে চলে ডালে ডালে মনের মত আনচান করে দেবীমূর্তির লাল
চোখ যেন মুহুর্তেই স্বর্গীয় বৃক্ষ থেকে ছিড়ে পড়বে একটা আধ পাকা
আপেল! আপেলের দেহে জ্বর থাকবে আপেলের দেহে উষ্ণতা থাকবে আপেলের শরীরে এক
টুকরো দাগ লেগে থাকবে দাঁতের দাগ… নখের দাগ… সবে মাত্র ক্ষত চিহ্নের
স্পষ্ট দাগ বিষদ ছোঁয়ানো নীল দাগ জ্বালাময় ইস্পাতের শরীরে লেগে থাকা
দাগ তপ্ত বালুতে পোড়া পিঠের দাগ এত দাগ! এত এত দাগ! এত এত দাগ নিয়ে
মেয়েটি বাঁচতে পারবে তো?
পেরেকের পর পেরেক ঠুকে যাচ্ছে একের পর এক অবলা অনুভূতি নিতান্তই ভোতা
অস্ত্রের মত ঘুমিয়ে গেছে কবুতর ডাকতে ভুলে গেছে মেঘ দেখেও ময়ূর সামান্য
বিচলিত নয় দক্ষিণের বায়ুতে অতৃপ্ত হাহাকার মৃদু মন্দা মনের বাসর কোন শ্রাবণ
সন্ধ্যায়? শেফালী ফুটতেই মলিন কেন? বকুল ফুল দেবদাসের ন্যায় মাতাল হয়ে পড়ে
আছে নিচের পৃথিবীতে! পিপিলিকার মত আগাম খাদ্য সংগ্রহ করে মেয়ের লাভ
কোথায়? ঐ জীবনের কুসুম অত খাদ্য কি করবে? চাহিদার অতিরিক্ত কোন কিছু যেমনটা
ভালো তেমনটা খারাপ…
পূর্ণিমার আলোক উজ্জ্বল রাতের আকাশে নেমে আসে স্বর্গীয় হুর পরী কুসুমের
ঠিকানা কোথায়? কোন পাত্রের আকার ধারণ করে কুসুম কুসুমিত হবে? সকল ক্রিয়ার
বিপরীত একটি প্রতিক্রিয়া থাকে বিজ্ঞানের তত্ত্ব কথাকে সত্যি প্রমাণ করবে
কে? মেয়েটা আঁচলে মুখ লুকিয়ে স্বর্গের পাতিলে রাখা খানা-পিনার চিত্রকল্প চোখে
ভাসাতে পারে কিন্তু খাবার জন্য যে দম চাই যে তীব্র আকাঙ্খা থাকা চাই স্নেহ
পদার্থের দিকে ঝোঁক চাই পারস্পারিক সমঝোতা চাই মেয়েটার এসব কিছুই
নাই…! সরল-তরল দৃষ্টি ভালো লাগার শূন্য জ্ঞান বিপরীত পাত্রের দিকে অসহায়ের
মত তাকিয়ে থাকা কোন মানবীর পরিচায়ক?
রিমঝিম বর্ষায় আকাশ কাঁদে সাথে মেঘলা মেয়ের চোখ ও ব্যথিত বুক বুদ্ধিদীপ্ত
মরীচিকা ভ্রমে মেঘলা মেয়ের মন ও মানসিকতা অনেকাংশে দেয়ালের পিঠে ঠেকে
গেছে… দিন চলে যায় রাতের পর রাত এক একটি রাত যেন সাদা সূর্যে স্নান
করে নিকষ আলোয় আলেয়ার মুখে একটা তিল তিলটা আগে ছিল বুকের কাছে সরতে সরতে
এসে দাঁড়িয়েছে ওষ্ঠের ঠিক নিচে সামান্য নিচে চুম্বন ক্ষেত্রের অনেকটা
কাছাকাছি… এভাবেই সময়ের সাথে মেয়েটি বদলে গেছে লোকচক্ষুর অন্তরালে…
পোড়া মাটি ফলকে পুড়তে পুড়তে দুঃখ গুলোর রং ও রূপ পাল্টেছে রংয়ের শরীর নীল
থেকে গাড় নীল রূপের শরীর এলোপাতাড়ি ধূসর স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ যখন মুখোমুখি
বিবাদে জড়ায় তখনি বানান ভুল হয়~ একটি শুদ্ধ বানান একটি বিশুদ্ধ পাপড়ি ভুল
হলেই যেন খসে পড়ে জন্মান্ধের মত… পিপিলিকার পিঠের উপর দুঃখ হয় দুঃখের
জন্য কিভাবে কুসুমের দেহে আশ্রয় নিয়েছে? কি নির্বোধের মত মাথা
গেড়ে সর্বনাম, অব্যয় সাত পাঁচ ভুলে কিভাবে আশ্রয় নিয়েছে দুঃখ?
চিহ্নিত পথের একোন আগুনের লেলিহান শিখা? দাউ দাউ করে সর্বনাশা আগুন
জ্বলছে আগুনের সাথে সাথে পানি জ্বলছে! পানির সাথে ‘অক্সিজেন
জ্বলছে’! রূপের সাথে কামনা জ্বলছে ঘিয়ের সাথে জিহ্বা জ্বলছে জিহ্বার সাথে
ঠোঁট ঠোঁটে চুম্বন জ্বলছে… পায়ে পায়ে শৃঙ্খল পায়ে পৃথিবীর
ফাঁদ ফাঁদে বিদ্যমান আছে মৃত্যু মৃত্যুতে কচি শালিকের ডাক ডাকের মাঝে
লুকিয়ে আছে জীবন্ত কিংবদন্তি ক্ষমা করো মেয়ে, ঘুমন্ত চোখে তোমায় নারী ভবা যায়
না!
সেত সেতে নর্দমার শ্যাওলা ঘোলা পানিতে পৃথিবীর চোখ আকাশটা নেমে এসেছে দৃষ্টি
শোষণে নীড় সন্ধানী পাখি নীড় খোঁজে চৌরাস্তার মোড়ে নতুন গজানো অসুধের
দোকানে এখন নাকি “জন্ম বিরতিকরণ পিল” মেলে… কার জন্ম? কিসের
জন্ম? কোথায় জন্মাবে? কেন অহেতুক সব প্রশ্ন বান! তার চেয়ে বরং ষোল কলা
তৃপ্তির জন্য মেয়েটা এক খান পিলের পাতা চাই~~ কত সহস্র বছর আগে পৃথিবীর পায়ের
তলায় এসব অত্যাধুনিক প্রতিষেধক-প্রতিরোধক নর্দমার শ্যাওলা তাড়ানোর জন্য ছিল
না… যা ছিল তা ছিল না বলাই ভালো! সম্পর্ক ছিল… “ভালোবাসা” শব্দে পবিত্রতা
ছিল এখন যা আছে তা হয়তো আগামীতেও থাকবে! পুতুল খেলা আছে খেলা শেষে পুতুল
ছুঁড়ে ফেলার রীতি-রেওয়াজ আছে মেয়েটি কি পূর্বের জনমে ফিরে যাবে?
শুরুটা নরম কোমল জাম্বুরার ফাঁপা অংশের মত ছিল এক সাগর চিংড়ি মাছে লম্ফঝম্ফ
দেখবার মত শুকনো কাঠে চিঁড়ে ভেজে না আবার ভেজা চিঁড়ায় স্বাদ মেলে
না মেয়েটি কোন পথ বেঁচে নেবে? জীবনের অন্তিম মুহুর্তে কাক ও কোকিল
বন্ধু জীবনের অন্তিম মুহুর্তে জন্ম ও মৃত্যু বন্ধু লোভ ও প্রাপ্তি নিবিড়
মায়ায় আচ্ছন্ন বন্ধু তেজপাতার দেহে মাটি বাসা দিয়েছিল পুঞ্জিভূত স্বপ্নরা
কবিতা লিখেছিল মেয়েটির চোখে তখনো জল ছিল জলে বিষ ছিল “পান কর নর
পিশাচ” তোর নারাঙ্গ নিশ্চিত খসে যাবে বিষের
নীলে… (সংক্ষেপিত…)