→ বড় হলেও পড়ুন, নিজের বিবেকের সাথে দায়বদ্ধ থাকতে চাইলে অবশ্যই পড়ুন ←
*** প্রথম মাস *** হ্যালো আম্মু ..... ...আমি এখন লম্বায়মাত্র ৩-৪ ইঞ্চি, কিন্তু আমার হাত-পা সবই আছে। আমি তোমার কথা শুনতেপাই। তোমার কথা ভালো লাগলে আমার হাত-পা নাড়িয়ে সাড়া দেই। তোমারহার্ট-বিট আমার সবচেয়ে পছন্দের শব্দ।
*** দ্বিতীয় মাস *** আম্মু ....... আজকে আমি আমার হাতের বুড়ো আঙ্গুল চুষতে শিখেছি। তুমি যদি এখন আমাকেদেখো , তবে তুমি আমাকে অবশ্যই বেবি বলবে। আমার অবশ্য এখন বাইরে যাওয়ার সময়হয়নি, বরং এখানেই আমি উষ্ণ অনুভব করি।
*** তৃতীয় মাস *** আম্মু ........ তুমি কি জানো যে আমি একটা ছেলে! আমি মনে করি তুমি তা জানতেপারলে অনেক খুশি হবে। আমি তোমাকে সবসময় খুশি দেখতে চাই ... তুমি মাঝেমাঝে যখন কান্না করো, তখন আমার খুব খারাপ লাগে। তুমি হয়তো শুনতে পাও না ...... আমি কিন্তু সত্যিই তোমার সাথে কান্না করি।
*** চতুর্থ মাস *** আম্মু ....... আমার মাথার চুল গজানো শুরু হয়েছে .... ছোট্টছোট্ট, কিন্তু অনেক সুন্দর চুল। আমি এখন আমার আঙ্গুল বাঁকাতে পারি, মাথানাড়াতে পারি, ভালোভাবে হাত-পা নাড়াতে পারি, অনেক কিছু করতে পারি ......
*** পঞ্চম মাস *** আম্মু ........ আজকে তুমি ডক্টরের কাছেকেন গিয়েছিলে? ডক্টর তোমায় কি বলেছে? ডক্টরের কথা আমি শুনতে পাই নি। আমিতোমার কথা ছাড়া কারও কথা শুনতে পাই না। আমি ভালো আছি আম্মু, তুমি ভালো আছোতো?
*** ষষ্ঠ মাস *** আম্মু ..... আমি এখন অনেক ব্যাথাপাচ্ছি, ডক্টর এখন আমার শরীরে সুচের মতো কি যেন ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আমি অনেকব্যাথা পাচ্ছি আম্মু। প্লিজ ডক্টরকে থামাও। আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যেতেপারবো না .....
*** সপ্তম মাস *** আম্মু ..... আমি ভালোআছি, আমি এখন স্বর্গের এক এন্জেলের হাতে, এন্জেল আমাকে বললো, তোমার নাকিএবরশন করাতে হয়েছে। তুমি আমাকে কেন চাও নি, আম্মু ???
প্রতিটা Abortion মানে ........
একটা হৃদয়ের হৃদস্পন্দন থেমে যাওয়া, দুটিচোখ সারা জীবনের জন্য বন্ধ হওয়া, দুটি হাত, যা আর কোনদিন কাউকে স্পর্শ করবেনা, দুটি পা, যা আর কোনদিন দৌড়াবে না, একটা মুখ, যা আর কোনদিন কথা বলবে না ....
এই তো মনে হয় সেদিন চোখ কান লেপের নিচে গুজে তোমায় বলেছিলাম ভালবাসি ! তুমিও হয়তো শুনেছিলে তোমার নীল রংয়ের কম্বলে মুখ লুকিয়ে ! হয়তো খানিকটা লজ্জা অথবা কেউ চলে আসার ভয়ে ! কথা যেন বের হচ্ছিল না ! আবার যখন বললাম ভাসবাসি বললে পাগল একটা ! এমন পাগলামী কেন কর ! কেন বল এতোবার, ভালবাসি ! কেন ভালবাসো এতো ? আমি যে কিছুই দিতে পারবো না তোমায় ! এমন কি প্রান ভরা ভালবাসা টুকুও না ! আমি হেসে বললাম আমায় দিতে হবে না কিছু ! শুধু বলতে দিও ভালবাসি ! তুমি বললে তাই হয় ? কেবলই কি নিয়ে যাবো শুধু স্বার্থপরের মত তোমার ভালবাসা যত ! আমি বললাম তবে কেবল একটাই না হয় ভালবাসি বল ! আমার হাতটা একটা বার ধরে হেটো ঐ ইট বিছানো পথে ! যেখানে রইবে পড়ে হাজারো পলাশ ফুল ! আর একটা বার বস আমার সাথে ঐ দেবদারুর তলে ! তাকিয়ে থাকতে দিও কিছুক্ষন তোমার পানে ! তুমি বললে এটাও যে দিতে পারবো না আমি ! বলি, তাহলে না হয় মিথ্যে করেই বল একটা বার ! সেই জাদুকরি তিনটা শব্দ ! তুমি আবারও না বল ! বল সামনে বিবর্ণ ভবিষ্যৎ সব কষ্টের রঙহীন ফুল গুলো ছেয়ে যাবো আমাদের ! তুমি ঠিকই বলেছিলে ! সামনে বিবর্ণ ভবিষ্যৎ ! আমি সেই রঙহীন ফুলের জন্য প্রস্তুত ছিলাম ! প্রস্তুত ছিলাম সামনের দিন গুলো ! কিন্তু বসন্ত বড় জলদি যেন শেষ হয়ে গেল ! রঙিন ফুল গুলো যেন বড় জলদি বিবর্ণ হয়ে গেল ! তবুও কোন অভিযোগ নাই ! কষ্ট তো হবেই ! আর তোমার উপর রাগ ? এক বিন্দুও না ! কিভাবে রাগ করি বল ? তোমার জন্যই যেন বুকের বাম দিকটা আবার কাঁপতে শুরু করেছিল ! এখনও কাঁপছে ! তবুও যেন বিবর্ণ ভবিষ্যৎ টা বড় জলদি চলে এল ! বড় জলদি !!
এই শহুরে কোলাহলে তোমায় আবার মনে পড়ে গেল , জনসমুদ্রে হাজার মানুষের ভিড়ে ঠাই দাড়িয়ে আছি র্নিবাক সময়টা খুব হিংসুটে মনে হয়, সবাই ছুটে সুখের আসে হয়তো সুখে আছে.. আমাকে কেউ খেয়ালই করলনা হয়তো কেউ জানেনা..
নিভৃত স্বপ্ন গুলো জেগে উঠে আবার মনে হয় হাত বাড়ালে এইতো তুমি, হৃদয়ের খুব কাছেই তোমার বসত... আচমকা চমকে উঠি.. মনে পড়ে গেল সেই পরিচিত ভাবনা.. তুমি আমার নও ।
সকালে রোদের আলোয় আমার ঘুম ভাঙ্গে, কেমন যেন অগোছালো ভাবে বের হলাম... মনের ভিতর রোদ্র তাপে শিতলতার আমেজ, এ যেন এক অবাক অনুভুতি আমার কেউ দেখেনি, হয়তো কেউ জানেনা...
কিছু দিয়ে যাও এই ধূলিমাখা পান্থশালায়,কিছু মধু দাও আমার বুকের ফুলের মালায় কতজন গেল এ পথ দিয়েআমার বুকের সুবাস নিয়ে কিছু ধন তারা দিয়ে গেল, মর সোনার থালায়। পথ চেয়ে আমি হেথা বসে আছি তোমার আশে তুমি এলে যদি বসো প্রিয় আমার পাশে। কিছু কথা বলা আমার সনেঢেউ তুলে যাওয়া আমার মনে,এইটুকু শুধু দাও তুমি ওগো আমার ডালায় ।।