[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১১

মৃত্যু হতে

ইচ্ছে করে এই দুনিয়ায়
চায় বলো ভাই মরতে কে
মৃত্যু হতে যায় কী বাঁচা,
পালিয়ে গিয়ে ঘর থেকে?
অসুখ যদি ডাক পাড়ে
খবর যে দেন ডাক্তারে
ঘনিয়ে এলে মরার সময়
পারেন বলো সরতে কে?

www.ahridwan7.webs.com

ছোঁয়া হয়নি অন্য কারো চোখ

images (1)
কোন এক কালে বিকালের রোদ্দুর
উঁকি দিয়েছিল মোর দুয়ারে
পুলকিত করেছিল খুব যতনে।
সেদিন থেকে শুরু হয়েছিল
ভালবাসার কাল গণনা-
অবশেষে শরতের
কোন এক বিকেলে-
প্রেম এসেছিল গোপনে
কাল গণনায়…
আমার প্রেমের বয়স
তখন ছিল মাত্র ছত্রিশ’শ সেকেণ্ড।
তারপর প্রেম লালন করেছি
শীত,বৃষ্টি আর তপ্ত রোদের
দহন থেকে….
কাউকে ছুঁয়েই দেখতে দেইনি।
অত:পর
অ-নে-ক বছর পর
বুঝলাম
প্রেম খেলা করেছিল
শুধু এই দু’টি চোখে
খেলাতে পারেনি প্রেম
অন্য কারো চোখে।

সাদা শাড়িতে শরতের প্রিয়া


এই শরতে পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি?
তোমার আঁচল ভরে দোবো সাদা শেফালিতে।
আমি নিয়ে যাবো তোমায় ঐ বাকা নদীর ধারে
যেথায় সাদা সাদা কাশফুল ফোটে
নীল আকাশে ভেসে যায় সাদা মেঘ
সাদা বলাকারা থাকে এক পায়ে দাড়িয়ে।

এই শরতে পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি?
স্নিগ্ধ আলোর জোসনা রাতে
আমি নিয়ে যবো তোমায় ঐ ভরা দিঘীর পাড়ে
সেখানে হিজল বনে জোনাকিরা জ্বলে
তোমার কোমল হাতে এ হাত রেখে
কইবো কথা সারারত্রি ধরে।

পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি, এই শরতে ?
আকাশ নীলের চিঠি
হাসনাত |অগাষ্ট ২৫, ২০১১

নীল আকাশে মেঘে মেঘে
হিমু আমায় চিঠি লেখে।
বৃষ্টি হবার পরে চিঠি
পাই না খুঁজে ফের,
না পাই, তাতে কী এসে যায়!
যেইটুকু পাই, ঢের।

হিমু আমার বুকের মাঝে
চাঁদটি হয়ে জেগে আছে।
যদিও চাঁদের জোসনাকে পাই –
যায় না ধরে দেখা,
তেমনি আমায় দেয় যে ফাঁকি
হিমুর চিঠির লেখা।

কারও যদি ইচ্ছে থাকে
হাজার লাখো কাজের ফাঁকে
ছোট্ট হলেও একটা চিঠি
যায় না বুঝি লেখা ?
আকাশ-নীলে চেয়ে কি মোর
মিছেই স্বপন দেখা ?

কষ্টের ক্ষত চিহ্ন

254339_229502687061359_100000048875508_1098173_6348689_n
ক্ষতি যা হবার হয়েছে
আমি তার ক্ষতি পূরন চাই না।
চাই নিজকে বাঁচিয়ে রেখে
বাকী জীবনটা পার করতে।
সেটাও আমার নিজের প্রয়োজনে নয়
সন্তানের ভবিষ্যত মজবুত করতে।
নিজকে বিলিযে দিয়েছি মানুষের মাঝে,
কোন কিছু দাবী না করে।
তারপরও প্রাপ্য সন্মানটুকু পাইনি
পেয়েছি যন্ত্রনাদায়ক কথার খোচা
যা এখনও নিজকে ব্যতিত করে।
নির্ঘুম রাত কাটে সীমাহীন কষ্টে
পূর্নিমা রাতের ভরা জোসনার চাঁদের মতোই,
জীবন ছিল পরিপূর্ন;
জীবন এখন আর রংঙ্গিন স্বপ্ন দেখে না
পাখা মেলে ভেসে যেতে চায় না দুর নীলিমায়।
জীবনের পড়ন্ত বেলায় আপন জনের
দেয়া কষ্টকে বুকে ধারন করে,
রজনী ভোর হবে ভাবিনি।
কেন এমন হয়, কেন আপন জন কষ্ট দেয় ?
মানুষ পৃথিবীর ক্ষনিকের অতিথি,
তবে কেন অন্য মানুষকে কষ্ট দিয়ে;
নিজের কষ্টের পরিমান বাড়িয়ে তুলা ?
আমরা কেউ কি ভেবেছি –
কষ্টের পরিমান কতটা ভারী হলে
একজন মানুষ নিজের আপনজনকে-
ভুলে থাকার চেষ্টা করে ?
যে কষ্ট দেয়, সে ভুলে যায়
আর যে কষ্ট পায়, সে সারা জীবন বয়ে বেড়ায়,
সে কষ্টের ক্ষত চিহ্ন।
যে ক্ষত একদিন দগদগে ঘায়ে পরিনত হয়।
অবিরাম রক্তক্ষরন, তারপর শেষ যাত্রা পরপারে।
এটাই তো জীবন।

যেন আমি দুরে নই 

শিশির ভেজা ঘাস মাড়িয়ে কুয়াশার আড়ালে হারানোর সময় একবারও কি মনে হয় না-এই জীবনের আড়ালেও একটি জীবন আছে। আছে সুখ-বেদনার স্মৃতি, যা অমলিন-গোটা জীবনেও যা মোছার নয়।
তাইতো…………………..
“আমি থাকব তোমার হৃদয়ের কাছাকাছি।
হয়তো চোখের আড়ালে দৃষ্টি সীমানা ছাড়িয়ে অনেক দুরে।
বিষন্ন সন্ধ্যায় যখন পুড়বে হৃদয় অবসরে
জানবে আমি তখন একা -
শূন্যে নিক্ষিপ্ত নয়নে ভাবছি তোমায়,
স্মৃতির বরফ গলে গলে ভিজবে হৃদয়
সাঝের বাতি উঠবে জ্বলে -
হয়তো হারাব তখন ব্যস্ত লোকালয়ে।”

রাতে প্রায়ই ঘুম আসে না। গভীর রাতে সত্তা থেকে নিদ্রা মুছে যায়। দু’চোখের উপর ভর করে এক নিভৃত ছায়া।এই নিভৃত ছায়া ঘরময় পায়চারী করে আমাকে জাগিয়ে রাখে সারা রাত। রাত শেষের প্রথম অস্ফুট আলো যখন আকাশটাকে র্স্পশ করে তখনও আমি জেগে থাকি। অনূদিত সূর্যের পানে তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে চেয়ে থেকে কেবলই মনে পড়ে দুর প্রবাসের একাকিত্ব, নিঃসঙ্গ একাকী জীবনের কথা। দুঃসহ দুর্ভাবনা আমাকে প্রতি নিয়ত তাড়া করে ফিরছে। তারপরও মনে পড়ে মাতৃভুমির প্রিয় মানুষ গুলির কথা।