[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

জন্ম...

জন্ম...
-হাসনাত-
একাকী হাটতে কার ভাল লাগে?
বিশেষত এমন সোনালী বিকেলে, তাইতো...
দিগন্তের ঐ হিরন্ময় সুর্য আমার দিকে চেয়ে ভেংচি কাটে,
আর নীড়ে ফেরা পাখিরা সমোস্বরে বলে ওঠে,-কি গো?
তোমার প্রিয়তমা কই?
থমকে দাড়াই অলক্ষে আমি যে একা!
নাকি আমারও কেউ আছে?
ওগো ঘাস-ফুলেরা,
বলবে সে এখন কোথায় আছে?
এ পথ দিয়ে কভু সে গ্যাছে কি?
উত্তর না পেয়ে... আমি চুপটি মেরে রই।
একটা সময় আর হাটতে মন চায় না,
ভেঙ্গে পড়ি সবুজ গালিচায়, ভাবি......
কখনও প্রেমেতো পড়ি নি,
তাহলে কেন আজ এ দুঃখ বিলাস?
ভাবনাগুলো যেন কাঁশফুলের শুভ্রতায় হারায়,
তারপর হঠাৎ আমার সামনে হাজির হয় নাম না জানা রঙ,
অনুভবের অতীত গন্ধ,
নিভৃত বেদনার ছন্দ,
সুর্যের শেষ লালিমায় নেয়ে ওরা নাচতে থাকে,
ভ্রম লাগা চোখ ওদের মাঝেই আবিস্কার করে এক মানবীকে, তৃন-লতার মত সে আমার সামনে এগোয়, মুখোমুখী বসে, বলে,- কেন চোখে অভিমান? আমার নাম ভালবাসা, প্রেম! সে তো প্রকৃতিরই দান! আমি প্রথম দর্শনেই ভালবাসার প্রেমে পড়ে যাই!

রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১

কেন কিছু বলিনি সেদিন

কেন কিছু বলিনি সেদিন
যেতে যেতে থেমেছিলে একবার
বুঝেছিলাম সে তো সংকেত ছিল ফিরবার
কিছু কথা মনে ছিল বলতে গিয়েও
বলতে পারিনি
ক্ষতি হবে জানতাম এতটা ভাবিনি,
শূণ্য হব জানতাম—–এতটা ভাবিনি।
ভেবেছিলাম আমি ভালোবাসি তোমাকে
ভালোবাসা ছেড়ে দিলেই ভুলে যাব তোমাকে
এতটা কঠিন হবে ভুলে যাওয়া তোমাকে
বুঝতে পারিনি
অনুশোচনা হবে জানতাম এতটা ভাবিনি,
শূণ্য হব জানতাম—এতটা ভাবিনি।

সাদা শাড়িতে শরতের প্রিয়া

সাদা শাড়িতে শরতের প্রিয়াঅগাষ্ট ১৭, ২০১১এই শরতে পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি?
তোমার আঁচল ভরে দোবো সাদা শেফালিতে।
আমি নিয়ে যাবো তোমায় ঐ বাকা নদীর ধারে
যেথায় সাদা সাদা কাশফুল ফোটে
নীল আকাশে ভেসে যায় সাদা মেঘ
সাদা বলাকারা থাকে এক পায়ে দাড়িয়ে।

এই শরতে পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি?
স্নিগ্ধ আলোর জোসনা রাতে
আমি নিয়ে যবো তোমায় ঐ ভরা দিঘীর পাড়ে
সেখানে হিজল বনে জোনাকিরা জ্বলে
তোমার কোমল হাতে এ হাত রেখে
কইবো কথা সারারত্রি ধরে।

পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি, এই শরতে ?

শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

কল্পনার তুমি

কল্পনার তুমি
তোমাকে নিয়ে আমি কবিতা লিখি
তোমাকে সাজাই কতো উপমাতে,
কখনো আকাশের নীল দিয়ে তোমাকে সাজাই
কখনো কৃষ্ণচূড়ার লালে রাঙাই তোমাকে
কখনো বৃষ্টির জলে তোমাকে ছুয়ে যাই
কখনো কামিনি ফুলের সুবাসে তোমাকে অনুভব করি।
তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখি,
ভেসে যাই দূর হতে বহু দূরে
নিজেকে খুজে পাই তোমার মাঝে
বিলিন হই তোমাতে বার বার।
তুমি আমার কল্পনার এমন একজন
যাকে ভালবেসে পাড়ি দিতে পারি অজানা পথ
সাগর হতে মহাসাগরের ঢেউকে নির্ভয়ে কাটিয়ে
চলে যেতে পারি দেশ থেকে মহাদেশে।

তোমাকে নিয়ে আমি যা খুশি তাই করতে পারি
বাস্তবের তোমার নেই কোন অস্থিত্ব
তবু তোমাকে ভাবি, তোমার জন্য কাদিঁ
তোমার মাঝে খুজে ফিরি হাসি আর আনন্দ
কল্পনায় ভালবাসায় সিক্ত করি দুজন দুজনাকে।

কবি হতে পারিনি এখনো

কবি হতে পারিনি এখনো


আকাশ গলিয়ে সন্ধ্যা নামে
দিনের আলো মিলে যায়;পূর্ন উদ্দামে
কালো আধার ভুলিয়ে বালিয়ে
আমাকে বানিয়ে দেয় অন্য মানুষ
সন্ধ্যা নামার পর
আমিও নিজের ধান্ধায় হন্য হয়ে উঠি
রাতের অন্ধকার আধঁরে
হাতড়াতে থাকি এক টূকুন নিরবতা
রাস্তার ধারে,চৌরাস্তার মোড়ে
সেজে গুজে থাকা ভ্রাম্যমান পতিতা
সারা দিন সেও অপেক্ষা করে সন্ধ্যা নামার
মাঝে মধ্যে মুচকি হাসি আমিও-

পতিতা আর আমার মাঝে পরাক কই?
সন্ধ্যার পর খদ্দর খুজে সে- আর আমি কবিতা
দরদাম ঠিক হলে খুলে ফেলে জড়তা
আমিও যেমন-
পংক্তির খোজে আমিও ভুলে যাই সব
সন্ধ্যার বুকে ডূব দিয়ে উদ্দার করি কবিতা।

কবিতা ধরা দেয়- ফসকেও যায় কখনো
সারা জীবন এমনই লুকোচুরি করে গেলাম
কবি হতে পারিনি এখনো।

মন ভাল নেই

মন ভাল নেই

আজ আমি কি লিখবো;আজ আমার মন ভাল নেই
আজ আমি কি আঁকবো,আজ আকাশ বড্ড মেঘলা
আজ আর কি গাইবো আজ যে বাতাসে দাবানলের ঘেই
কাজ কর্ম সবি মাটি মনের সাথে হৃদয়ের আঁটি;
মর্ম কথা ক’বোনা আজ পেটে বড় ক্ষুধা,লাজ শরম
খেয়েছে মাথা;কবিতার পায়ে শৃকল বাধা বিষন্ন কলম।
আজ আর হবেনা লিখা একটাও কবিতা।
আজ বেশ ভ্যপ্সা লাগছে
পৃথিবীও আজ হাঁকছে নিজের সমস্ত ভাষা দিয়ে
মানুষের লিপ্সা মিটছেনা কেন?
ভালবাসার তরীতো ভেসে গেছে নোঙ্গর ছিড়ে - -