[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

চাঁদের খুকী

চাঁদের খুকী [হিমুর জন্য]

-চাঁদের খুকী-
ওগো ফুলের মেয়ে !
ছোট্ট তোমার তনুখানি কি দিয়ে গো গড়া !
ভোরের নরম রৌদ্র দিয়ে ?
মেঘের ভেঁজা বাষ্প দিয়ে ?
কাঁশের পেলব পুষ্প দিয়ে ?
রামধনুকের বাহার দিয়ে ?
শরৎ-প্রাতের শিউলী দিয়ে ?
কার গুণে গো তুমি হলে এমন আদর-ভরা !

ওগো লক্ষ্মীসোনা !
মানিক-ঝরা এমন হাসি কোথায় পেলে তুমি !
পারিজাতের রূপ নিয়ে কি ?
ডালিম ফলের বীজ থেকে কি ?
রাতের বেলার ওই জোনাকী ?
ঝলকে ওঠা হিম কণা কি ?
অযুত তারার দীপ্তি নাকি ?
কিসে গড়া ওই হাসিটুক্ ভেবেই না পাই আমি !

ওগো ছোট্ট পরী !
কিসে এত স্নিগ্ধ হলো তোমার চোখের তারা !
স্বর্গ থেকে রশ্মি নিলো ?
শুভ্র চাঁদের জোসনা নিলো ?
পরীর দেশের স্বপ্ন নিলো ?
সোনা-বালির ঝিলিক নিলো ?
কোন জাদুকর মন্ত্র দিলো ?
কোথায় পেলে এমন মায়া ভেবেই হলাম সারা !

প্রজাপতি মেয়ে !
এমন কোমল ! কি আছে গো তোমার রেশম চুলে !
শ্বেত-কপোতীর পালক আছে ?
সাগর জলের শ্যাওলা আছে ?
শিশির ভেঁজা দুর্বা আছে ?
জারুল ফুলের কেশর আছে ?
শিমুল তুলোর সোহাগ আছে ?
কোন সে কারণ লুকিয়ে এই কোমলতার মূলে !

এতো কথার পরে ...
এতক্ষণে চাঁদের খুকী মুখটি তুলে বলে .....
মায়ের হাসি-মুখ দেখেছো ?
তার আঁচলে মুখ ঢেকেছো ?
মায়ের গায়ের ঘ্রাণ শুকেছো ?
মায়ের মুখের চুম খেয়েছো ?
মায়ের বুকে ঘুম গিয়েছো ?
তুমিও ঠিক এমনি হবে মায়ের আদর পেলে !!


[উৎসর্গঃ হিমু কে ]

তুহিন(সায়েমা আক্তার তুহিন) আপুর মেয়ে হিমু। ওকে স্বচক্ষে দেখি নি কোনদিন।
তবুও না দেখেই তো অনেক ভালোবেসে ফেলেছি! গতকাল এক নারীর কোলে
এক ছোট্ট শিশুকে দেখলাম ছবিতে। তাও সেই নারীর পিঠের দিক আর শিশু-র
শুধুই মুখটুকু। কি এক মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়ে গেছি, সেই কঁচি মুখের মায়া !

ছবিটা ছিলো আপু আর তার মেয়ে হিমুর।

হিমুর জন্য অনেক অনেক আদর, স্নেহ আর ভালোবাসা।

বৃষ্টি ভেঁজা দিনে

২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৯

Add caption

আজ বৃষ্টি ভেঁজা দিনে তার কথা মনে পড়ে
যার সাথে আর ভেঁজা হয় না
হবেনা হয়তো আর কোন দিন!

খুব বেশি কিছু না

বৃষ্টি হতেই তুমি চলে আসতে ঐ ছাঁদে
আর আমি এই ছাঁদে
মাঝ খানে হয়তো অবুঝ একটু হাসি
ঠিক হাসি নয় কি যেন
এত টুকুই
তবু কেন যেন মনে হত
আছি আমরা ঐক্যতানে
হাতে হাত রেখে তুমি আকন্ঠ ভিজছ বৃষ্টিতে
আর আমি তোমাতে।

বেশি দূর আর যাওয়া হল না আমাদের

তুমি ছিলে অন্নন্যা রায়
আর আমি রুদ্র হাসান
সংকীর্ণতার কাঁটা বিধল আমার পায়
আমি কিছুতেই আর এগুতে পারলাম না
তুমি বলতে চল পালাই
এই সমাজ সংসার ছেড়ে
দূরে কোথাও
যেখানে সাদা কাল আর নীল মেঘ
ভেসে চলে চুম্বনে
আমি বলতাম পাপ হবে

অচিরেই তোমার সিঁথিতে উঠল সিঁদুর

আর আমার পায়ের কাঁটাটা ফুটল এবার বুকে
বৃষ্টি হলেই তা টের পাই।

মেঘের ডাকে আজ বৃষ্টি কেঁদেছে

মেঘের ডাকে আজ বৃষ্টি কেঁদেছে

কাল রাত থেকে শুরু হওয়া
মেঘের কান্না, থামেনি আজও।
এই ক্ষণেও তা চলছে অবিরাম-
কখনও ঝড়ো,
আবার মৃদু কখনও।
বারান্দার কোণে বসা দাঁড়কাকটা
ভেঁজা শরীর ঝাপটা দিয়ে জানান দিচ্ছে
বর্ষার, বারবার।
মেঘের ডাকে আজ বৃষ্টি কেঁদেছে।
রাস্তার পাশে কাঁদা-জলে মাখামাখি
এক দঙ্গল বালক-
এলোমেলো পায়ে খেলছে ফুটবল,
দারুণ চিৎকারে তারাও জানান দেয়
অবিরাম বর্ষার।
কিংবা দূরের রাস্তার রিক্সাওয়ালা,
যখন অর্ধ-ভেঁজা তরুণীর সাথে করছে দরদাম
কাকরাইল থেকে পল্টন -
তাদের অবয়বেও বর্ষা পরিষ্কার।
মেঘের ডাকে আজ আবারও বৃষ্টি কেঁদেছে;
তাতে সব কিছু ভেঁজা,
ঈষৎ আর্দ্র সবার উপস্থিতি।
শুধু মনটা ভিঁজতে বাকি,
বর্ষা আসবে সেখানেও।
কেননা এমনি এক অফুরান বর্ষায়, তুমি
বন্ধু বলেছিলে আমায়!
এখনও কি বন্ধু ভাবো, যতটুকু
আমি তোমার হতে চাই।
মেঘের ডাকে আজ তাই আবারও বৃষ্টি কেঁদেছে।



শব্দের নিঃশ্বাসে রক্তের দাগ...........

শব্দের নিঃশ্বাসে রক্তের দাগ...........

১৩ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:২২


হয়তো তুমি সুখে আছো
সুখী আলোর নিচে,
সুখের আকাশ পাইনি আজও
সে আশাও মিছে।

নতুন ভ্রমর হয়তো তোমায়
গান শুনিয়ে যায়,
ইচ্ছে আমার দূর নীলিমায়
পালাতে আজ চায়।

প্রেমের ফাগুন হয়তো তোমায়
তেমনি করে হাসায়,
নানা বর্ণের কান্নারও ঝড়
আমায় শুধু ভাসায়।

হয়তো তোমার বাগানে সেই
হাসনাহেনা ফোঁটে ?
এখনতো সেই ফুলের তোড়া
অন্য কারও জোটে।

তোমার মুখের হাসি হয়তো
এখনও তেমনি ঝরে,
হাসতে আমি ভুলে গেছি
নিজের ভেতরে মরে।

বুকটা আমার শুধু কাঁদে
কষ্ট ভেঁজা জলে,
দুঃখের সব সুখেরা এখন
কান্নায় টলমলে।

রাতের নিয়ন বাতিগুলো
তেমনি করে জ্বলে,
আঁধার শুধু আমায় খোঁজে
স্মৃতি ছায়ার তলে....

ভেঁজা চোখ।

Add caption
ভেঁজা চোখ।

মেঘের ডানায় ভেসে ভেসে
গিয়েছি অনেক দুর
সঙ্গে ছিলো সুখ-স্বপ্ন
আর
নতুন দিনের সুর।

মেয়ে তুমি হতে দিলেনা
আমার স্বপ্নের ভোর
মেঘের ডানা পাহাড়ে পড়ে
ভেঙে ভেঙে হলো চুড়।

মেয়ে তুমি ভেঙে দিলে
আমার মেঘের ডানা
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখা
সে..ও যে আমার মানা।

উড়তে পারিনা এখন আমি
যাচ্ছি জলে ভেসে
যদি পারো দেখে যে..ও
একবার কাছে এসে।

আমি আজ এক আকাশ জল চাই

আমি আজ এক আকাশ জল চাই
******* হাসনাত *******
আজ আমার কেন যেন
আকাশটাকে ছুঁতে ভীষন সাধ হয়।
মনে হয় যেন আকাশের নীল পর্দা
ছিঁড়েখুড়ে ছুটে যাই সকল
মাধ্যাকর্ষন শক্তিকে কাঁচকলা দেখিয়ে।
মিশে যাই মহাকাশে।

আজ কেন যেন খুব ইচ্ছে হচ্ছে
শত রবি হয়ে সব নদী সাগর মহাসাগরের জল
নিমেষে বাষ্প করে ফেলি।
সেই বাষ্প গিয়ে জমুক আকাশ কোনে
ঘন মেঘের রুপ নিয়ে।
সমস্ত পৃথিবীটাকে ছেয়ে ফেলুক
কালো মেঘের অন্ধকার পর্দায়।
হ্যাঁ, সমস্ত পৃথিবীটাকেই।

তারপর.....

হোক বর্ষন এক মহা বৃষ্টি।
আবার ভরে উঠুক দুনিয়ার সব
নদী নালা খাল বিল, সাগর মহাসাগর।
একসাথে, একবারে।
সমতা ফিরে আসুক সকল জলাধারের মাঝে।

ঘটুক চিরতরে এ ঘটনা বারংবার।
অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ুক দুনিয়ার
তামাম অসার পানি বন্টন চুক্তি।

বাতাসের মতোই জল হোক অবাধ, অবারিত।

আজ আমার কেন যেন
আকাশটাকে ছুঁতে ভীষন সাধ হয়।
মনে হয় যেন আকাশের নীল পর্দা
ছিঁড়েখুড়ে ছুটে যাই সকল
মাধ্যাকর্ষন শক্তিকে কাঁচকলা দেখিয়ে।
মিশে যাই মহাকাশে।

আজ কেন যেন খুব ইচ্ছে হচ্ছে
শত রবি হয়ে সব নদী সাগর মহাসাগরের জল
নিমেষে বাষ্প করে ফেলি।
সেই বাষ্প গিয়ে জমুক আকাশ কোনে
ঘন মেঘের রুপ নিয়ে।
সমস্ত পৃথিবীটাকে ছেয়ে ফেলুক
কালো মেঘের অন্ধকার পর্দায়।
হ্যাঁ, সমস্ত পৃথিবীটাকেই।

তারপর.....

হোক বর্ষন এক মহা বৃষ্টি।
আবার ভরে উঠুক দুনিয়ার সব
নদী নালা খাল বিল, সাগর মহাসাগর।
একসাথে, একবারে।
সমতা ফিরে আসুক সকল জলাধারের মাঝে।

ঘটুক চিরতরে এ ঘটনা বারংবার।
অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ুক দুনিয়ার
তামাম অসার পানি বন্টন চুক্তি।

বাতাসের মতোই জল হোক অবাধ, অবারিত।