[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০১১

অনিন্দিতা কে লিখা চিঠি ...........

অনিন্দিতা,
তোমার কপালে সেদিন কোন টিপ ছিলনা। কালো টিপ আমার ভীষণ পছন্দ ছিল। অথচ তুমি কখনো কালো টিপ পড়তে না। কলঙ্কের দাগ নাকি কালো হয়, তাই তুমি সবসময় গাঢ় লাল টিপ পড়তে। কপালে লাল টিপ পড়লে সেটা আরো বেশী জ্বলজ্বল করতো। তোমাকে ভীষণ মানিয়ে যেত। মাঝে মাঝে আমাকে বলতে তোমার নাকি সিঁদুরের টিপ পড়তে খুব শখ হয়। আমি শুনে তোমাকে একটা ছোট্ট রূপোর কৌটো উপহার দিয়েছিলাম, সিঁদুর রাখবে বলে। সেটা টাঙ্গাইলের কোন এক জমিদার বাড়ীর পুরোনো স্মৃতি। নওরোজ আমাকে দিয়েছিল। নওরোজকে তুমি চিনতে। একসময় আমার অফিসেই চাকরী করতো। মগবাজারের বাসায় প্রায়ই আসতো। পরে অন্য অফিসে চাকরী নেয়। জমিদার পরিবারের কেউ একজন সম্পর্কে ওর নানী হতো। সেই নানীই ওকে রূপোর কৌটটা দিয়েছিল। কেন জানিনা একদিন সেটা আমার হাতে দিয়ে বললো, “স্যার এটা আপনাকে দিলাম। আমার নানীর স্মৃতি। যেখানে যে অবস্থায় আছি এটা হারিয়ে যেতে পারে। তাই আপনাকেই দিয়ে দিলাম”। নওরোজ প্রসঙ্গ এখন থাক। টিপের কথাই বলি।
যা বলছিলাম- সিঁদুরের টিপ পড়ার ব্যাপারে তোমার মায়ের কড়া নিষেধ ছিল। কুমারী মেয়েদের নাকি কপালে সিঁদুরের টিপ পড়তে নেই, তাতে অমঙ্গল হয়। তোমার মায়ের এক কথা, মুসলমান মেয়েদের কখনো সিঁদুর পড়তে নেই। পুরাণকালে অজন্তা, ইলোরা, শকুন্তলা, মেনকা, দ্রৌপদী ওরা পুরুষদের মন ভোলাতে এমন সব বসন-ভূষণ পড়তো, কপালে টিপ দিত। আমাদের রক্ষণশীল সমাজে ওসব চলেনা। লোকে আড়ালে নানা কথা বলে, আড় চোখে তাকায়। তোমার মধ্যে এসব অবশ্য কুসংস্কারের বালাই ছিলনা। তুমি যথেষ্ট উদারমনা ছিলে। তুমি কখনো শাড়ী পড়লেই কপালে একটা টিপ পড়তে। লাল টিপ ছাড়া অন্য কোন টিপ খুব একটা চোখে পড়েনি। অন্য টিপ পড়ার ব্যাপারে তোমার মায়ের তেমন আপত্তি ছিলনা শুধু সিঁদুরের টিপ পড়ার ব্যাপারেই যত অমত। তাই রূপোর কৌটাটা কখনো কোন কাজে লাগেনি।
অনিন্দিতা, মনে আছে- একদিন বান্ধবীর বাসায় যাবার কথা বলে আমাদের বাসায় এসেছিলে। বেশ সুন্দর একটা শাড়ী পড়েছিলে। বাদামী জমিনের উপর সাদা সাদা বল প্রিন্ট। সাধারণ সূতী শাড়ী। সোজা আমার ঘরে এসে বললে, “দ্যাখোতো এই শাড়ীতে আমায় কেমন লাগছে? আমি বললাম, “অনিন্দ্য সুন্দরী”। মা তখন রান্না ঘরে। লক্ষ্য করলাম তোমার কপালে কোন টিপ নেই। শাড়ী পড়েছো অথচ কপালে টিপ পড়োনি দেখে অবাক হলাম। তোমার কাছে এগিয়ে গেলাম। আশে পাশে কেউ ছিলনা। সেই সুযোগে তোমার কপালে একটা চুমু এঁকে দিলাম। চুমু দিতেই তুমি একটু রাগত ভঙ্গিতে বললে- ছিঃ ছিঃ একি করলে তুমি! আমার কপালে যে কলঙ্ক লেপে দিলে! আমি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম! বললাম- “স্যরি, তোমাকে এতোটাই ভাল লাগছিল যে লোভ সামলাতে পারলাম না। তোমার কপালে টিপ নেই দেখে ভাবলাম শূন্যস্থানটা পূরণ করে দিই। তোমার কপালের লাল টিপটা বরাবরই সিগন্যালের লালবাতি হয়ে আমাকে থামিয়ে দেয়। আজ আর কোন বাঁধা ছিলনা। নাহ্, কোন কলঙ্ক নয়- আমার শুভেচ্ছা ও ভালবাসা তোমার কপালে এঁকে দিলাম। দেখে নিও তুমি সৌভাগ্যবতী হবে”।
অনিন্দিতা, কতকাল পর সেদিন তোমার সাথে দেখা। তোমার অনেক গল্প আমি লোকের মুখে শুনেছি। আজ তোমার গাড়ী, বাড়ী, ঐশ্বর্য সবই আছে- আমারতো তেমন কিছু নেই। তোমার কপালে আজো সেই লাল টিপটা জ্বলজ্বল করছে। তোমার গালে কোন তিল ছিলনা, তবে নাকের ডগায় ছোট্ট একটা তিল ছিল। আমি অবাক হয়ে তোমাকে দেখতাম। বলতাম, তুমি স্বামী সোহাগী হবে। কী দারুন ভাগ্য তোমার! তুমি বলতে আমি হিংসুটে, ঈর্ষাপরায়ণ। সত্যিই কী তাই? একদিন তোমার ঐ কপালে ছোট্ট একটা চুমু এঁকে বলেছিলাম, “তুমি সৌভাগ্যবতী হও”। আজ তুমি সত্যিই ভাগ্যবতী। স্বামীর সংসারে রাজনন্দিনী হয়ে আছো। তোমার বিয়েতে যেতে পারিনি। কিছু দিতেও পারিনি। আমার সেই রূপোর কৌটাটা কী আছে? তাতে এক চিলতে সিঁদুর রেখে দিও- মনে করো সেটাই আমার আর্শীবাদ, আমার নির্মল ভালবাসা। তোমার জীবনের সকল অমঙ্গল ঐ রুপোর কৌটতে বন্দী থাক। ভাল থেকো তুমি। ইতি-
আনন্দ

আঁধার প্রেমী


আঁধার প্রেমী

আঁধার প্রেমী
হে অসহিষ্ণু আলো, তুমি আমার প্রিয়তম আঁধারকে এভাবে গ্রাস করোনা। আমার জীবনের ব্যর্থতা লুকাতে কিছুটা আঁধার থাকতেই হয়- তুমি সেই আঁধারটুকু কেড়ে নিওনা। রাত জেগে জেগে যখন আমি নিজের বিষণ্ন মুহূর্তগুলোকে একাকিত্বের সূতোয় বুনতে থাকি তখন মিত্রতা লাভের আশায় জোনাকীরা আলো জ্বেলে আমাকে খুঁজতে আসে। অথচ ওরা জানেনা আমি তখন স্বপনপুরে পক্ষ্মীরাজে চড়ে আমার হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলো খুঁজছি। এদিকে রাতভর উঠোনে জমা হতে থাকে ঝরা বকুলের স্তূপ। নিজের বলতে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একখানা টিনের চালা আর ছায়াসঙ্গী বলতে উঠোন জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা বকুল গাছটা। আমার দাদীর হাতে লাগানো বকুলের চারাগাছটা আজ পরিণত বৃক্ষ। ফুল মৌসুমে গাছটি ফুলে ফুলে সাদা হয়ে থাকে। মনে মনে হয়তো সে’ও বৈধব্যের বেশে সাজতে চায়। ঝরা বকুলের কোন দাবীদার নেই। ভোর হতে না হতেই পাড়ার ছোট ছোট মেয়েরা বকুলগুলো কুড়িয়ে নিয়ে যায়। আমি বিছানায় শুয়ে শুয়ে সেই দৃশ্যটা উপভোগ করি। একটা ছোট্ট মেয়ে আমাকে প্রায়ই বকুলের মালা দিয়ে যায়। ওর দিদি নাকি সুন্দর মালা গাঁথতে জানে। ওর কথা শুনে আমি হাসি। সামান্য ফুলও মানুষের মাঝে নিবিড় বন্ধন রচনা করতে পারে।
বকুলের মালা আমার তেমন পছন্দ নয়। এর কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। যে মালা গাঁথে সেতো আমার দুয়ারে এসে কখনো দাঁড়ায়নি। দাদী নাকি দাদার জন্য বকুলের মালা গাঁথতো। পাশের বাড়ির হরিচরণ কাকা মারা যাবার পর দেয়ালে টাঙ্গানো তাঁর ছবিতে দীর্ঘকাল শুকিয়ে যাওয়া বকুলের মালা ঝুলতে দেখেছি। অথচ দাদার হাতে কখনো বকুলের মালা চোখে পড়েনি। দাদার বকুলপ্রীতির রহস্য আজো অজানা। হয়তো দাদীর প্রতি তার ভালবাসার প্রকাশটাই ছিল ওরকম। দিনের আলোয় তা নিতান্তই অস্পষ্ট।
আমার জোছনা ধোয়া রাতগুলোতে কেউ কখনো কামিনী বা হাসনাহেনার সুবাস ছড়ায়নি, আমার শ্রাবণ রাতের অবিরাম বর্ষণে কেউ কোথাও কদমফুল ফুটতে দেখেনি। আমার বসন্ত দিনগুলোতে কেউ ফুল খোঁপাতে সাজবে বলে বায়না ধরেনি। একবার বর্ষাকালে বাবা আমাকে পেখম তোলা ময়ুরের নাচ দেখাবে বলে চিড়িয়াখানায় বেড়াতে নিয়ে গেছিল। আমি বাবার হাত ধরে সেই প্রথম ময়ুরের নাচ দেখেছিলাম। মানুষের মন খুশীতে নাকি অমন করেই নাচে। আমার মন আজো ময়ুরী নাচের তৃষ্ণায় কাতর।
একে একে অনেক বসন্ত কেটে গেল। কেটে গেল শীত, গ্রীষ্ম বর্ষাও। শূন্য ভিটে আমি আজো আগলে বসে আছি। দিনের আলোয় আমি ভিটের আশেপাশে হারানো স্বজনের অস্তিত্ব খুঁজে পাই। আমার স্মৃতিপটে সবকিছুই পরিস্কার হয়ে আসে। এই ভিটে, এই টিনের চালা, এই বকুলগাছ- সবই যেন জ্বলজ্বলে স্মৃতির এক একটি অটল পাহাড়; আমার সামনে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একসময় সকাল গড়িয় দুপুর, তারপর সন্ধ্যা। অবশেষে আঁধার নামলেই সব অদৃশ্যমান। আমি তখন নিজের অজান্তেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলি। আঁধারকে আপন ভেবে সবকিছু ভুলে থাকার চেষ্টা করি। অথচ সেই আঁধার কখনোই দীর্ঘস্থায়ী নয়। রাতের জানালা ধরে বেহায়া জোছনাটা কখনো উঁকি দেবার চেষ্টা করলে আমি এক ঝটকায় আবেগের পর্দাটা টেনে ধরি। ভাবনার বেড়াজাল টপকে অনুভূতির শিরশিরে বাতাস যখন হৃদপিন্ডের সবুজ প্রান্তর ছুঁয়ে যেতে চায় আমি তখন বেদনার দিগন্তে একরাশ দীর্ঘশ্বাস জমা করি। আমার চেতনার প্রাঙ্গন প্রায়শই নির্বোধ হাহাকারে গুমরে কাঁদে। আমি নিজের অস্তিত্বকে মিশিয়ে দিই গাঢ় অন্ধকারে। নিজেকে গুটিয়ে রাখি প্রদীপের ছায়ায়। প্রেয়সী রাত আমার নিঃসঙ্গতার দোসর হয়ে আমাকে বাঁচার স্বপ্ন দেখায়। আর ঠিক তখনি দূরে অস্থির পাখীরা ডানা ঝাপটায়, উঠোনজুড়ে বিরহকাতর বকুলেরা আত্মাহুতি দেয়, সঙ্গপ্রিয় সবুজ ঘাস নিবিড় আলিঙ্গনে শিশিরসিক্ত হয়, নিশাচর প্রাণীরা নিজেদের আস্তানা খুঁজে নেয়- দিগন্তবলয় ভেদ করে সূর্যদেবের উপস্থিতি। রাতের সকল নিস্তব্ধতা থেমে যায়। অসহিষ্ণু আলো এসে এভাবেই আমার অনন্তসঙ্গী রাত্রিকে প্রতিনিয়ত গ্রাস করে।

কি লিখি তোমায় ................


কি লিখি তোমায়

মেঘবতী,
তোমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কিংবা অনুযোগ করবো এমন দুঃসাহস আমার নেই। কারণ অভিমানীদের কখনোই অভিমান করার সুযোগ দিতে নেই। আর সত্যি বলতে কি তোমার অত সুন্দর চিঠির তেমন কোন যুৎসই জবাব খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ক’দিন ধরেই ভাবছিলাম- “কি লিখি তোমায়”! জবাব দিতে কিছুটা বিলম্ব হলেও ভেবে নিওনা এতে আমার কোন অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা ছিল। বরং ভেবে নিতে পারো এতোটা প্রজ্ঞা আমার নেই যা দিয়ে তোমার মূল্যায়ন করি। আমার মন-মোহনা জুড়ে প্রশান্তির যে ব-দ্বীপ তার কোল জুড়ে দারুচিনির ছায়া না থাকলেও রয়েছে পলি মাটির সোঁদা গন্ধ আর রয়েছে সবুজ ঘাসের গালিচা। যদি কখনো সেখানে এসে বসো তবে টের পাবে দখিনা বাতাসের হিন্দোল যা স্নিগ্ধ, শীতল পরশ বুলিয়ে দিয়ে যাবে আনমনে, অগোচরে। যাব্বাবা! আমি কি কাব্য করছি নাকি? আমি মোটেও কাব্য করছিনা। আমি কবি নই। আমি কবিতা বুঝিনা। তোমার ধারণাই ঠিক। তোমার চিঠি পড়ে আমার মনে যে ভাবনার সঞ্চার হলো তাই শুধু ব্যক্ত করছি।
তুমি আমার চিঠিতে কেনি জি’র ব্রেদলেস বেজে উঠতে দেখেছো- তুমি কী জানো সেই সুরের উৎস কোথায়? প্রিয়তমেষুর হৃদয়ে যে সুরের অনুরণন তা যে মেঘবতী’র কোমল হাতের ছোঁয়ায় সৃষ্ট এক একটি অক্ষর আর শব্দের মূচ্ছর্ণা। যা চিঠির পাতা থেকে কখন যেন গানের স্বরলিপি হয়ে নীরবেই বাজতে থাকে। আর সেটাই তোমার “সাউন্ড অব মিউজিক” এর “মাই ফ্যভোরিট থিংস” হয়ে মনে গুঞ্জরন সৃষ্টি করে। আমিও যে বহুবার সেই “সাউন্ড অব মিউজিক” দেখে তারুণ্যের উচ্ছাসে ভেসে গেছি। মেঘের ছায়ার সাথে বিস্তৃত সবুজ প্রান্তরে দৌড়ে গেছি। সেই মেঘগুলো দিগন্তে হারিয়ে গেলেও আমার মন-পাহাড়ে জমে থাকা ভালবাসার মেঘগুলোকে আমি ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখেছি। হয়তো মনে মনে কোন মেঘবতীকেই খুঁজেছি। বিদ্যুতের ঝলকানি কিংবা মেঘের গর্জনে ভীত হইনি বরং বৃষ্টিকে বরণ করেছি। ভেবেছি কোন এক মেঘবতী আকাশপাড়ে বন্দীনি, অঝোরে একা একা কাঁদছে।
যাহ্! কি আবোল তাবোল ভাবছি! মেঘবতী কাঁদবে কেন? সেতো শুধু হাসবে। মেঘে মেঘে সে রামধনুর মতো হাসির রঙ ছড়াবে। আর সেই রঙে আমি প্রকৃতির সবকিছু রঙিন দেখবো। আর সেই রঙ এখন সাদা- শুধুই সাদা। তুমিতো জানো সব রঙের মিশ্রণ হলো সাদা। সেই যে ছোটবেলায় পড়েছি “বেনীআসহকলা”। আমার চারিদিকে এখন সেই সাদার সমারোহ। চারিদিকে শুধু বরফ আর বরফ। সবকিছু এখন বরফে ঢেকে আছে। এখানে এখন শীতকাল। আমি জানি মেঘবতীর হয়তো শীতকাল তেমন পছন্দের নয়। আমারো নয়। কারণ আমি মেঘ হয়তো সামলাতে পারি- কিন্তু বরফ সামলাবো কি করে? বরফের দেশে মানুষ কাঁদতে জানেনা। তাদের চোখে কখনো অশ্রু ঝরেনা। তার কারণ কি জানো? মানুষের চোখের জল বের হবার আগেই তা জমে যায়। তাই এরা কাঁদতে জানেনা।
তুমি যদি কখনো আমাকে “বরফ হৃদয় পুরুষ” বলে সম্বোধন করো আমি অবাক হবো না। তবে এই বরফ মানবেরা কান্না চোখে না ধরলেও তা হৃদয়ে জমিয়ে রাখে। তাই সহজে কারো চোখে পড়েনা। তবে কারো হৃদয়ের উষ্ণতা পেলে সেই বরফ হৃদয় যে গলবেনা তার নিশ্চয়তা কে দেবে? কোন এক শ্রাবণসন্ধ্যায় যদি মেঘবতীর চোখে জল আসে তবে সেটাকে বৃষ্টির জল বলে ভ্রম হলেও তা যে হৃদয়ের কান্না তা কে বলে দেবে? বসন্তের দিন এলে যেমন মেঘবতী শ্রাবণসন্ধ্যার অঝোর বৃষ্টিকে ভুলে যায় তেমনি প্রিয়তমেষু এক সোনালী গ্রীষ্মের প্রতীক্ষায় আছে যেদিন তার চারিদিকের সব বরফ গলে যাবে। কারো অশ্রুসজল চোখের দিকে তাকিয়ে তার চোখ দিয়েও জল গড়াবে। সেদিন বরফের সব দেয়াল ভেঙ্গে যাবে। বৃষ্টির জলের সাথে বরফ গলা জল মিশে একাকার হয়ে যাবে। আর সেই মিলিত শীতল জলস্রোতে ভাসিয়ে দেবো ভালবাসার নৌকা- হয়তোবা চিঠির কাগজে তৈরী নৌকা। যে নৌকা ভাসাতে গভীর জলের কোন প্রয়োজন নেই- কোন মাঝি-মাল্লার প্রয়োজন নেই, কোন নির্দ্দিষ্ট বন্দরের ঠিকানা জানারও প্রয়োজন নেই। যা প্রয়োজন- তা হলো দুটি মন, একটু ভালবাসা, একটু বিশ্বাস আর হৃদয়ের একটু গভীরতা।
অভিমানী মেঘবতীর জন্য আজ এটুকুই রইলো। আর রইলো তোমার চিঠির জন্য আমার একরাশ প্রতীক্ষা। ভাল থাকার প্রার্থনা রইলো। ইতি-

ভালবাসার পাঁপড় ....


ভালবাসার পাঁপড়

ভালবাসার পাঁপড়
ভালবাসার পাঁপড় তুমি
প্রেমের তেলে সদ্য ভাজা,
মন বয়ামে আটকে রাখি
সদাই তুমি টাটকা তাজা।

মচমচে ভাব হয়না বিস্বাদ
বিট লবণে মাখানো হাসি,
গোলাপ ঠোঁটে একটু ঝাল
তাইতো এতো ভালবাসি।

ফুচকা গালে চটপটি ভাব
আবেগমাখা তেঁতুল জলে,
কি স্বাদে যে ডুবলো এ মন
তোমার কথাই শুধু বলে।

পপকর্ণ এই হৃদয় আমার
তোমার প্রেমের উষ্ণ আঁচে,
ফুটছে ফুটুক নিজের মতো
তোমায় পেয়েই যদি বাঁচে।

আজকের বৃষ্টি...


আজকের বৃষ্টি...









মন খারাপ করা বিকেল মানেই...

মন খারাপ করা গান………..আমার কাছে ভাল লেগেছে
অন্যভাবে উপস্থাপন করলাম । আশাকরি ভাল লাগবে সবার
====================================================
মন খারাপ করা বিকেল মানেই
মেঘ করেছে
দূরে কোথাও দু-এক পশলা
বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘর আবছায়া আর ভিজে ভিজে
হাওয়ায় মাখা
মাথার ওপর মিছিমিছি
ঘুরছে পাখা।
সরগরম কিন্তু বাইরে রাস্তা
পানের দোকান
http://i.imgur.com/I6vyM.jpg
রেডিওতে হঠাৎ একটা
পুরনো গান।
শান্ত নদীটি পটে আঁকা
তার সুরটা চেনাচেনা বলেই
ছোঁয়াচ লাগে
কলকাতাতে সন্ধে হবার
একটু আগে।
মন খারাপ করা বিকেল মানেই
মেঘ করেছে
দূরে কোথাও দু-এক পশলা
বৃষ্টি হচ্ছে।