[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১১

আমি জেগে ছিলাম ...


আমি জেগে ছিলাম নভেম্বর ১৯, ২০১০

রাত্রি যখন তৃতীয় প্রহর,
 হারিয়ে আলো আঁধার মেঘে।
 আলোর পিছু ছুটছে আঁধার,
 তখনো আমি ছিলাম জেগে।

তেতুঁল বনের আঁধার ছায়ায়,
 মিলিয়ে যখন শেষ নিশাচর।
 তখনো আমি জেগেই ছিলাম,
 চাঁদের যখন মুক্ত প্রহর।

জোনাক জ্বলা সন্ধ্যা যখন,
 গড়িয়ে নিঝুম রাত্রি গভীর।
 ঠিক তখনো জেগেই আমি,
 চাঁদ বিলাসীর জন্য অধীর।

চাঁদের ছায়ায় বিলের জলে,
 লাল পদ্মের রুপ রুপান্তর।
 জেগে ছিলাম বিলের ই পাড়ে,
 যুগ হতে যেনো যুগ যুগান্তর।

লালিমা ছোয়া শেষ রজনীর,
 বিষাদে যখন দিগন্ত লাল।
 তখনো আমি জেগে ই ছিলাম,
 উড়িয়ে হাওয়ায় স্বপ্ন পাল।

তোমারি মত আমিও রাতে,
 জেগে ই ছিলাম একলা ঘরে।
 যোজন দূরের জীবন পথে ও,
 রাত্রি মোদের মিলিত করে।

প্রয়োজন্ -৩

প্রয়োজন্ -৩
      ডিসেম্বর ০১, ২০১১
সময় থমকে গেছে,কিংবা যাচ্ছে বা যাবে।
 আমরাও ইতিমধ্যে নিজেদের বিকলাঙ্গ ভাবতে শুরু করেছি,
 অথবা অচিরেই ভাবতে পছন্দ করব।
 আমাদের বৃদ্ধরা আটকে গেছে,
 নিদারুন হতাশার নীল জালে।
 বৃদ্ধারা অতীত রোমন্থন আর অন্ধ আনুগত্যে।
 পুরুষেরা বন্দি হয়ে আছে,
 লোভ্,লিপ্সা,রিপু,আর তাড়নার নোংরা খাঁচায়্।
 নারীরা শয্যাদান্,গৃহ সজ্জা আর কুৎসায়্।
 যুবকেরা বিদ্যা,প্রেম্,নেশা আর উত্তর আধুনিকতার বেড়াজালে।
 যুবতীরা ভ্রমর বিলাস আর মুঠোফোন বৃত্তে।
 কিশোরেরা গাছাড়া মিথ্যে অহমিকায়্ ডুবে।
 কিশোরীরা ছান্দসিক নিতম্ব আর উন্নত বক্ষ ভাবনায়্।
 বালকেরা কল্পনার স্পাইডার ম্যান বন্দনায়্।
 বালিকারা বিদেশী সুর আর নৃত্য ধারায়্।
 শিশুরা পড়ে আছে অবাক বিড়ম্বনায়্।
 
 শুধু বেঁচে ও জেগে আছে,
 কবি নামীয় কিছু অশুদ্ধ প্রাণ্।
 যারা কিনা বিকলাঙ্গ সত্বাটাকে,
 খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ত্যাক্ত করে।
 অযথাই জাগিয়ে তোলার ব্যার্থ চেষ্টা করে।
 কাগজ্,কলম আর বেকার সময় ক্ষেপনের সমন্বয়ে,
 নিজেদের অশুদ্ধ সত্বাটা তুলে ধরে।
 
 তাই বলি সময় থমকে গেছে এখন এখানে।
 যেমন থমকে আছে নষ্ট ঘড়ির কাটা।
 তারো আগে থমকে গেছি আমি-আমরা বা তুমি-তোমরা।
 অথবা থমকে গেছে ষোলো কোটি বিবেক্।
 একাত্তর থেকে এগারো,চল্লিশ বছরে,
 বেড়েছে কেবল আমাদের হাত্,পা বয়স আর প্রজনন ক্ষমতা।
 বাদ বাকী থমকে আছে আত্বা বা বিবেক্।
 
 অশুদ্ধজন কবিদের মতে তাই,
 আরো একটি যুদ্ধ বা সংগ্রাম প্রয়োজন্।
 প্রয়োজন আরো একটি সাতচল্লিশ্,বায়ান্ন বা একাত্তর্।
 প্রয়োজন একটি একুশ্,ছাব্বিশ বা ষোলো।
 
 সেই সাথে প্রয়োজন আরো একটি বিপ্লব বা জাগরন্।
 কিংবা সহজ ভাষায় একটি বিস্ফোরন।
 
 থমকে থাকা সময় বা বিকলাঙ্গ সত্বা।
 বাধার দ্বি-মুখী বিন্ধ্যাচল ভাঙতে,
 আরো কিছু বাধ ভাঙা কবিতার প্রয়োজন্।
 
 লিখনকাল রাত ১২:১২, ০৪/০৭/২০১১

আরেকটি ডিসেম্বরের প্রথম প্রভাতে

আরেকটি ডিসেম্বরের প্রথম প্রভাতে
ডিসেম্বর ০১, ২০১১ 


একটি রক্তজবা হাতে নিয়ে মা বললেন, আজ বৃষ্টি হবে। ভিজে যাবে
সবটুকু সবুজ জমিন। ঘেরুয়া নদীর জল থেকে রক্তবাষ্প উড়ে দেবে
জানান, এই মাটিতে আততায়ী রাত নেমেছিল। হায়েনা পিশাচদের
উল্লাস কাঁপিয়েছিল এই আকাশ। সূর্যের পরিণত ঘর। মানুষের বিত্ত
বিবর। আর লুকিয়ে থাকার সাঁকো খুঁজে শরণার্থী তরুণ-তরুণী
গিয়েছিল উত্তরের বাঁকে। অগ্রজ পূর্বসূরীর হাতের লাঠি গর্জে উঠেছিল
‘থামো ঝড়, থামো বজ্র’ এমন আওয়াজে।

সেই প্রভাতে আমি ছিলাম মায়ের বাম হাত ধরা অবুঝ বালক। বালিকা
বোনটি কেঁদেছিল,’বাবা ,বাবা ‘-বলে।

বাবা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। একটি গ্রেনেড চার্জ করতে গিয়ে উড়ে গিয়েছিল
তার ডান হাত। তাই নিজ ডানহাতটিকে ভয়ে লুকিয়ে রাখতেন
আমার মা। আর বলতেন, দেখিস- আমার হাতটা যেন কেউ না দেখে।

তার ভয় ছিল খুব। বাবার হারানো ডানহাতটিকে তিনি মনে করতেন
নিজের হাত। বাবার চোখগুলোকে মনে করতেন নিজের চোখ।

সেই প্রভাতে আমার মায়ের নিজস্ব কোনো দৃষ্টি ছিল না। বৃষ্টি আসবে বলে
সকল মুক্তিযোদ্ধার দৃষ্টি দিয়ে তিনি তাকিয়েছিলেন আকাশের দিকে।

আর বলেছিলেন, বৃষ্টি আসুক। তবু মুছে যাবে না এই বাংলা থেকে
থোকা থোকা রক্তগোলাপের দাগ।

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১১

অস্পষ্ট আবেগ

অস্পষ্ট আবেগ

 নভেম্বর ২৪, ২০১১

মনের আবেগ গুলো
কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে সব,
ঠিক যেন শীতের সকালে
ধোয়া ধোয়া কুয়াশা ভেজা স্মৃতির মতো ।
আগের মতো লিখতে পারিনা কবিতা,
না লিখতে পারি গান,
খাতাটি নিয়া বসলেই
এক দুর্বোধ্য চাপা যন্ত্রণায় হারিয়ে যাই।
অনুভূতিগুলো অবাধ্য হয়ে ছুটাছুটি করে চারিপাশ।
সংমিশ্রণের ব্যর্থতা আর এগিয়ে যাওয়ার জড়তা
এ দুটো মিলে আমাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
বুঝিনা কেন এমন হয়।
বিবেক এর কাছে প্রশ্ন রাখি, উত্তর মেলে না।
মেলে চাপা গোঙানি,
গুমরে গুমরে কান্নার প্রচণ্ড শব্দ।
ও ফ !! এ যন্ত্রণার অবসান হবে কবে??
অতিষ্ঠ মন সব ভেঙ্গেচুরে একাকার করে দিতে চায়,
ধ্বংসের এক প্রবল নেশা চেপে বসে মাথার ভেতর
যেন ক্ষুধার্ত হাঙ্গর পেয়েছে রক্তের গন্ধ ।
কি লিখতে বসলাম আর কি লিখলাম
ঠিক যেন বৃষ্টি হব হব করে
বৃষ্টি না হওয়া এক রোদ্রউজ্জল আকাশ ।।
************************************
এই কবিতাটি সৃজন নামক ই-বুক এ দেয়া হয়েছিল।

তোমাকে...

তোমাকে...
নভেম্বর ২৮, ২০১১

তোমার সাথে তোমার হাতে,
কত কত স্বপ্ন ভাঙ্গে
মনকে সাজাই নতুন করে,
রংধনুর ওই সাতটি রঙে।
নতুন করে স্বপ্ন বাঁধি,
গড়তে যে ঘর তোমার সাথে।

স্বপ্ন ভাঙ্গ রোজ প্রভাতে,
ঘুমের ভেতর ঘুম ভাঙাতে
কষ্ট করে আবার ঘুমাই,
তার পরেও সুখ যে না পাই
কেন এতো হিংসে তোমার,
আমার সাথে সুর মেলাতে।

ফের যদি আর তোমায় দেখি,
রোজ সকালে ঘুম তাড়াতে
ব্যাটারি খুলে রেখে দেব,
দেখব জাগাও কোন কলাতে।

ছোট্ট ঘড়ি, মিষ্টি ঘড়ি,
আর দিয়োনা অ্যালার্ম তুমি
স্বপ্নগুলো যাচ্ছে হয়ে,
প্রানহারা এক মরুভূমি।।


****************
স্কুলে পড়ার সময় লিখেছিলাম।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১

“একটা কবিতা লিখতে চাই!”

“একটা কবিতা লিখতে চাই!”

নভেম্বর ২৪, ২০১১

একটা কবিতা লিখতে চাই,
ভালোবাসার কবিতা!


যে কবিতায় থাকবে শুধু স্বপ্ন,
বাস্তবতা ছেড়া রঙ্গিন আলো,
থাকবে না কোন অপূর্ন ভাষা,
শুধু তুমি আর আমি,
সাথে একান্ত কিছু কথা!

কবিতায় থাকবে রংধনু ভোর,
শিশিরের ফোটায় সূর্যের আলো,
কুয়াশার চাদরে তুমি আর আমি,
আর অভিমানি চোখের কোনে-
কয়েক ফোটা জলের টলোমলো!
একটা কবিতা লিখতে চাই।

শুধু তোমার জন্য,
ভালোবাসায় ঘেরা প্রতিটি শব্দ,
আর তোমার আমার -
জালবোনা কিছু স্বপ্ন!