[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১

মন শুন্য হ্নদয়

মন শুন্য হ্নদয়
নভেম্বর ১৮, ২০১0

 হ্নদয়,হেমন্তের ধান কাটা মাঠ,
 দিগন্তের ওপারে সন্ধ্যার মেঘমালা,
 ছড়িয়ে স্বপ্ন অঞ্জন,চলে যাচ্ছে দিনমনি।
 তুমি চলে যাচ্ছো,
 দীর্ঘ ছায়া ফেলে ধান কাটা মাঠে,
 পথের ঝরা পাতা মর মর করে মাড়িয়ে,
 নকসী আঁকা কোমল চরণ তলে ফেলে।
 দয়া করে তাকাও যদি ফিরে,দেখবে,
 পাতা নয়, ভাঁঙচ্ছো আমার বুকের পাজর।
 তুমি চলে যাচ্ছো,
 এ আমার বেদন নয়, কিছুতেই নয়।
 বিকেলের চিনেবাদামের খোসার মত,
 টুক-টাক,টুস টাস ভাঙচ্ছো, বসে,
 আমার স্বপ্নের আঙিনায় বাঁধা ময়ূর পালঙ্ক ঘর।
 একি তোমার বারমাসি মন, না কি?
 কামনায় আর জমে না মহুয়া মৌ।
 সায়েহ্ন জমে বেদনার জল,
 মরা মাছের চোখের মত জাগে চাঁদ
 ঘরে বিরহের হিমে পরে আছে স্মৃতির খাট,
 নিশি জেগে হাটে মন শুন্য হ্নদয়
 হেমন্তের ধান কাটা মাঠের মত
 সুনসান নিরবতার আঁচল বিছায়ে।
 তোমার কোমল চরণ তলে বেদনার শব্দ রেখে,
 তুমি চলে যাচ্ছো,
 হ্নদয়ে বসন্তের উদ্ভাস নিয়ে।

আমার মা বলেন

আমার মা বলেন ডিসেম্বর ১৬, ২০১১

 তোমরা যে বল, বিজয়, বিজয়, মহান বিজয়।
 মুক্তির বিজয়, স্বাধীনতার বিজয়,মানুষের বিজয়।
 বিজয়ের মাস এলে,
 শ্লোগানে শ্লোগানে মুখুর করো রাজপথ,
 সেমিনারে, বক্তৃতায় মঞ্চ রাখো গরম।
 বলতে পার কি?
 বিজয় কোথায় ? কিসের বিজয়, কাদের বিজয়?
 আমি কোন বিজয় দেখি না,
 বিজয় দেখি না। কোথাও পাই না তাহাকে।
 এ বিজয় কেবল তাদের, কেবল তাদেরই জন্য,
 যারা রাজনীতিবিদ দানবের মত।
 যারা স্বার্থপর মানুষের মত।
 যারা স্বাধীনতা বিরোধি শক্তির মত।
 যারা রাজাকার । এবং
 কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাদের।
 যারা নিহত হলে,মূত্যু হলে, হয়ে যান শহীদ।
 কবর হয়ে উঠে আত্ত্বতুষ্টির বেদী।
 এ বিজয় কেবল তাদেরই জন্য, কেবল তাহাদেরই জন্য।
 আর যারা মাটিতে পিঠ রেখে,
 জারুলের উজ্জ্বল বেগুনি ফুল মঞ্জুরিত শাখার দিকে তাকিয়ে,
 মৃর্ত্তিকায় বিনা বেদনায় বিছায়েছে অমূল্য প্রাণ,
 যেখানে বিরাঙ্গনা এখনো কেবলই বিরাঙ্গনা,
 সমাজ তাকে করে রাখে এক ঘরে,
 জোটে না কাফন,জোটে নামাজ দাফন।
 দু বেলা দু মুঠো খাবারে জন্য হয়ে যান পতিতা।
 তাকে আমি বিজয় বলি না, কখনো বলবো না।
 কেমন করে বলি,
 সাভারের ঐ স্মৃতির মিনার দেখে,
 সংবাদ পত্রের ছাপানো কালো কালির অক্ষরে,
 টিভি’র পর্দার আলোচনার তুমুল ঝড়ে,
 জাতীয় সংসদের গোল টেবিল বৈঠকে,
 মাঠে ময়দানে পাড়ার মোড়ে উঠতি নেতাদের গলাবাজিতে।
 নীতি বর্জিত নেতাদের বুলসিট বক্তৃতায়।
 তোমর বিজয় উত্তসব দেখছ, আরোও দেখবে আগামীর পথে।
 বিজয় মাঠের প্রস্তুতি পর্বের দিনগুলি দেখন

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১

বেদনার বালুচরে

বেদনার বালুচরে

হৃদয়ের জানাল খুলে বসে আছি তোমার প্রতীক্ষায়
কবে তুমি আসবে আবার, এ মন তোমায় ফিরে পেতে চায়
তুমি ছাড়া নীথর এ জীবনের চাকা আর চলে না
স্মৃতির জানালায় দাঁড়িয়ে কেন, ধরা দাও না?

র্নিঘুম রাতে তোমাকে খুব বেশী মনে পড়ে
আহত পাখির মত উড়ে পড়ি বেদনার বালুচরে
তুমি ছাড়া এ ভূবন আমার ধূ ধূ মরুভূমি
তোমার স্মৃতি বারে বারে হৃদয় আমার যায় চুমি ।

কত বসন্ত আসে যায় তুমি ফিরে এলে না
মনের মাঝে যে দ্বীপ জ্বেলেছিলে, সে তো আর জ্বলে না
কত কথার মালা শুকিয়ে গেছে তোমায় পরানো গেল না
বেদনার বালুচরে বসে একা, এ জীবনে বুঝি তোমায় পাওয়া হলো না ।

গোলাপ কাঁটা

গোলাপ কাঁটা

হে গোলাপ-প্রেমী, গোলাপের সৌন্দর্য্যে বিমুহিত হয়ে
ভাবছ কী বসে একা? তোমার রঙ্গিন চশমা পরা চোখে
শত স্বপ্নের মেঘ পাল তুলে বেড়াচ্ছে ।তুমি নেই তোমাতে ।
কিন্তু জান কী- গোলাপের সৌন্দর্য্য আর সুবাস যতটা মধুর
কাটার আঘাত ততটাই বেদনাবিধুর ।নয়নভরে সৌন্দর্য্য
পান কর, তবে ছিঁড়তে যেওনা তাকে । কাটার আঘাত
সইতে পারবে না তুমি । এ বড়ই র্নিমম!

কাটার আঘাত না সহে কে গোলাপের সৌন্দর্য্য করেছে
উপভোগ? কষ্ট না সহে সুখ পেয়েছে কে কবে?
প্রদীপের আলোর নীচে আঁধার থাকে বলে কী প্রদীপ
কেউ জ্বালবে না? ভালবাসার পশ্চাতে বিরহ মুচকী
হাসে, তাই বলে কী হৃদয় ভালবাসবে না?
মেঘের আড়ালে চাঁদ হাসে, শীতের পর বসন্ত আসে
কাটার আঘাত সইলেই তবে গোলাপ তোলা যায়
বেদনার নীলকন্ঠ পিয়েই ভালবাসার স্বাদ নেওয়া হয় ।

নীল খামে নীল চিঠি...

নীল খামে নীল চিঠি

ভালবাসার চিঠি এল নীল খামে
যৌবনের শিশির ভেজা প্রত্যূষে
নীল চিঠি জানায় প্রেম নিবেদন আর
স্বপ্নের হাতছানিতে ডাকে ভালবাসার নীড়-
“দু’হাত আজ বাড়িয়ে দিলাম তোমার পানে

ধরো হাত, চলো গড়ি ভালবাসার নীড়
হৃদয়ের মধ্যখানে যে নিঝুম গহীন অরণ্য
কোন নারী আজও নূপুর পায়ে সেখানে
আসেনি, ফেলেনি কোন পদ-চিহ্ন
সেখানে ছোট্ট কুটিরে বাঁধব সুখের বাসা
আলো-বাতাস যেমন জীবনের প্রধান সহায়ক
তোমার-আমার প্রেম আর ভালবাসা
তেমনি যোগাবে দু’টি প্রাণের খোরাক ।”

প্রেম কেীতূহলী প্রেমিকা চিঠি পড়ে
বসন্তের মাতাল সমীরণে উড়িয়ে দেয় তা’
হৃদয় তার নেচে উঠে, বলে কথা-
“হাতে রেখে হাত চরণ ফেলব তোমার হৃদয়ারণ্যে
প্রেমের উষ্ণ-আলোয়ানে জড়িয়ে নিও আমাকে
তোমার ভালবাসার ঘরে লাল শাড়ী পরে
যাব আলতা রাঙা পায়ে নূপুর নিক্কণ করে ।

তাজমহলে ঘুমিয়ে আছে মমতাজ প্রাণহীন দেহে
আমরা গড়ব মহাবিশ্ময়, এক মহার্নিদশণ ।
দু’টি প্রাণের ভালবাসায় আমাদের ছোট নীড়
হবে বিশ্বের সপ্তার্চাাসযের এক নম্বর আর্শ্চায।
যৌবনের ঊষা লগ্নে তুমি দেখালে আমায়
রোদেলা এক দিনের স্বপ্ন ।দু’টি দেহে
একটি প্রাণ-রবি উঠেছে যেমন পূবাকাশে
দিনের শেষে পশ্চিমাকাশে অস্ত যায় যেন এক সাথে ।”
এই ভাবে কত স্বপ্নের বীজ বুনতে থাকে প্রেয়সী তার
হৃদয়-কাননে, কত রঙিন ফুলে ফুলে সাজায় অবুঝ মন্তর
কত স্বপ্ন দোলায় দোলে সবুজ বনানী
কত স্বপ্নের রোদ উঠে হৃদয়াকাশে, কত রঙের
পাল তুলে মেঘ ভেসে বেড়ায়, কখনও প্রেমিকের
প্রতীক্ষায় দু’চোখ হতে বৃষ্টি ঝরে পড়ে । এক একটি
চিঠি কত শত প্রেমের মালিকায় গাঁথামালা, কত স্বপ্ন
আর প্রতিশ্রুতির সাক্ষর হয়ে করে হৃদয়ের লেন-দেন ।
কবে ফাগুন আসবে, সাজবে ধরা নতুন সাজে
মেহেদী রাঙা হাতে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে
আলতা-চরণ ফেলবে ভালবাসা ঘেরা বাসর ঘরে ।

ফাগুন আসে, বনে বনে বসন্তের সাজে বৃক্ষরাজি;
কিন্তু তার প্রিয়ের দেখা নাই, প্রাণ আনচান করে
প্রতীক্ষার র্দীঘপথ হামাগড়ি দিয়ে পাড়ি দেয় এক একটি দিন ।

ফাগুনের কোন এক দুপুরে রানার আসে শত কথার
ঝুলি কাঁধে নিয়ে । নীল খাম ছিঁড়ে বের করে নীল চিঠি
আনন্দে নেচে উঠে সাথী, বুকে চেপে ধরে আর সবুজের দেওয়া
প্রথম চিঠির কথা মনে করে হারিয়ে যায় কল্পলোকে ।
সম্বিত ফিরে তাকায় চিঠির দিকে । না, এতো
চিঠি নয়! একটা র্কাড! বিয়ের নিম্নত্রণ-পত্র!
চোখ বেয়ে অশ্রু নামে, গড়ে নদী
বুকে উত্তাল ঢেউ । ঘৃণা আর কষ্টে
উচ্চারিত হয় একটা শব্দ-‘বিশ্বাসঘাতক!’

মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১১

তবু স্বপ্ন বুনি

তবু স্বপ্ন বুনি সেপ্টেম্বর ১১, ২০১0

অমাবস্যার রাতে চাঁদকে
 খোঁজা বোকামী ছাড়া কিছু নয়
 যে কষ্ট দিয়ে চলে যায়
 তাকে মনে রাখার মতোই।
স্বপ্ন হারিয়ে যায়,
 তবু আমরা বুনি নতুন স্বপ্নের বীজ
 সেই স্বপ্ন হয়ত একদিন ভেঙ্গে যাবে
 আর আমরা নির্বোধেরা
 আবার স্বপ্নের বীজ বপন করি
 স্বপ্নের মাঝে বাঁচতে চাই বলে।
মরণ তো জীবনে একবারই হয়
 বিশ্বাসঘাতকতার আঘাতে বার বার
 আমরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করি,
 তার পরেও আমরা বেঁচে থাকি
 নতুন বিশ্বাসের ভরসায়,
 নতুন জনমের আশায়।
একটা হৃদয়কে কতোবার আর খন্ডিত করা যায়
 যতোবারই খন্ডিত হোক না কেন
 এই হৃদয় একটাই থাকে,
 ভালবাসা হয়ত বহুবার সেই হৃদয়ে কড়া নাড়ে
 শুধু সময়ের কাছে হেরে যায় ভালবাসার সত্যিকার অর্থ।