[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১

ভোরের আকাশে প্রথম সূর্য

ভোরের আকাশে প্রথম সূর্য
ডিসেম্বর ১৬, ২০১১


কালো রাত্রির আঁধারে
 যারা রক্তাক্ত হয়েছে
 তাদের রক্তে আঁকা হয়েছে
 আমাদের এই বিজয় ।
 আমাদের এই মানচিত্রটা-
 আমাদের স্মৃতিস্তম্ভগুলো
 পৃথিবীর ইতিহাসে
 নিদারুণ স্বাক্ষী হয়ে আছে
 আমাদের বধ্যভূমিগুলো
 হয়ে আছে সেই ইতিহাসের
 জ্বলন্ত দলিল।


১৬ই ডিসেম্বর-২০১১ইং রাত্রি:১১:৫০/১২:০০মিঃ

প্রেম বোঝে না

প্রেম বোঝে না
অক্টোবর ০৭, ২০০৯

 প্রেম বোঝে না
 মানুষ মাত্রই প্রেম বোঝে না,
 প্রেম বোঝে না, প্রেম বোঝে না।
 প্রেমের নামে জলপাই বন অন্ধকারে শরীর বোঝে।
 উষ্ণ কোন গিরিপথের সন্ধান খোঁজে।
 কোমল কিংবা উষ্ণ বুকে,
 হাত বাড়ায়ে কামনা খোঁজে ।
 মানুষ মাত্রই,
 উষ্ণতায় মগ্ন ধ্যানে কামনার সিড়ি ভাঙেঁ।
 প্রেম বোঝে তো, ভাষা বোঝে না,
 ভাষা বোঝে তো, হরেক রকম মিথ্যে কথার,
 নীল কাগজে রক্ত দিয়ে পত্র লেখে।
 মানুষ মাত্রই প্রেম বোঝে না।
 প্রেম মানে তো,
 ইচ্ছে গুলো মাতাল করে ভাসিয়ে দেওয়া মেঘের ভেলায়।
 প্রেম মানে তো,
 কবোষ্ণ তাপে সুখে দুখের গল্প সল্প জমিয়ে রাখা,
 আধ পোড়ানো কয়লা কাঠে আগুন নিয়ে খেলা করা।
 প্রেম মানে তো,
 বিষাদ ভরা দুপুর গুলোর স্পর্শ নিয়ে স্বপ্ন বোনা।
 ব্যাকুল বুকে,ত্রস্ত চোখে এক আকুল চাওয়া।

 প্রেম মানে তো,
 দ্বীপে মধ্যে সবুজ ঘরের ছবি আঁকা,
 প্রেম মানে তো, দুরন্ত এক কিশোর বেলা ।
 প্রেম মানে তো,
 তুহিন মনে,নিবন্ত এক আগ্নেয়গিরির অগ্নি বুকে,
 ঝলসে যাওয়ার অপেক্ষাতে বসে থাকা।

মন শুন্য হ্নদয়

মন শুন্য হ্নদয়
নভেম্বর ১৮, ২০১0

 হ্নদয়,হেমন্তের ধান কাটা মাঠ,
 দিগন্তের ওপারে সন্ধ্যার মেঘমালা,
 ছড়িয়ে স্বপ্ন অঞ্জন,চলে যাচ্ছে দিনমনি।
 তুমি চলে যাচ্ছো,
 দীর্ঘ ছায়া ফেলে ধান কাটা মাঠে,
 পথের ঝরা পাতা মর মর করে মাড়িয়ে,
 নকসী আঁকা কোমল চরণ তলে ফেলে।
 দয়া করে তাকাও যদি ফিরে,দেখবে,
 পাতা নয়, ভাঁঙচ্ছো আমার বুকের পাজর।
 তুমি চলে যাচ্ছো,
 এ আমার বেদন নয়, কিছুতেই নয়।
 বিকেলের চিনেবাদামের খোসার মত,
 টুক-টাক,টুস টাস ভাঙচ্ছো, বসে,
 আমার স্বপ্নের আঙিনায় বাঁধা ময়ূর পালঙ্ক ঘর।
 একি তোমার বারমাসি মন, না কি?
 কামনায় আর জমে না মহুয়া মৌ।
 সায়েহ্ন জমে বেদনার জল,
 মরা মাছের চোখের মত জাগে চাঁদ
 ঘরে বিরহের হিমে পরে আছে স্মৃতির খাট,
 নিশি জেগে হাটে মন শুন্য হ্নদয়
 হেমন্তের ধান কাটা মাঠের মত
 সুনসান নিরবতার আঁচল বিছায়ে।
 তোমার কোমল চরণ তলে বেদনার শব্দ রেখে,
 তুমি চলে যাচ্ছো,
 হ্নদয়ে বসন্তের উদ্ভাস নিয়ে।

আমার মা বলেন

আমার মা বলেন ডিসেম্বর ১৬, ২০১১

 তোমরা যে বল, বিজয়, বিজয়, মহান বিজয়।
 মুক্তির বিজয়, স্বাধীনতার বিজয়,মানুষের বিজয়।
 বিজয়ের মাস এলে,
 শ্লোগানে শ্লোগানে মুখুর করো রাজপথ,
 সেমিনারে, বক্তৃতায় মঞ্চ রাখো গরম।
 বলতে পার কি?
 বিজয় কোথায় ? কিসের বিজয়, কাদের বিজয়?
 আমি কোন বিজয় দেখি না,
 বিজয় দেখি না। কোথাও পাই না তাহাকে।
 এ বিজয় কেবল তাদের, কেবল তাদেরই জন্য,
 যারা রাজনীতিবিদ দানবের মত।
 যারা স্বার্থপর মানুষের মত।
 যারা স্বাধীনতা বিরোধি শক্তির মত।
 যারা রাজাকার । এবং
 কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাদের।
 যারা নিহত হলে,মূত্যু হলে, হয়ে যান শহীদ।
 কবর হয়ে উঠে আত্ত্বতুষ্টির বেদী।
 এ বিজয় কেবল তাদেরই জন্য, কেবল তাহাদেরই জন্য।
 আর যারা মাটিতে পিঠ রেখে,
 জারুলের উজ্জ্বল বেগুনি ফুল মঞ্জুরিত শাখার দিকে তাকিয়ে,
 মৃর্ত্তিকায় বিনা বেদনায় বিছায়েছে অমূল্য প্রাণ,
 যেখানে বিরাঙ্গনা এখনো কেবলই বিরাঙ্গনা,
 সমাজ তাকে করে রাখে এক ঘরে,
 জোটে না কাফন,জোটে নামাজ দাফন।
 দু বেলা দু মুঠো খাবারে জন্য হয়ে যান পতিতা।
 তাকে আমি বিজয় বলি না, কখনো বলবো না।
 কেমন করে বলি,
 সাভারের ঐ স্মৃতির মিনার দেখে,
 সংবাদ পত্রের ছাপানো কালো কালির অক্ষরে,
 টিভি’র পর্দার আলোচনার তুমুল ঝড়ে,
 জাতীয় সংসদের গোল টেবিল বৈঠকে,
 মাঠে ময়দানে পাড়ার মোড়ে উঠতি নেতাদের গলাবাজিতে।
 নীতি বর্জিত নেতাদের বুলসিট বক্তৃতায়।
 তোমর বিজয় উত্তসব দেখছ, আরোও দেখবে আগামীর পথে।
 বিজয় মাঠের প্রস্তুতি পর্বের দিনগুলি দেখন

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১

বেদনার বালুচরে

বেদনার বালুচরে

হৃদয়ের জানাল খুলে বসে আছি তোমার প্রতীক্ষায়
কবে তুমি আসবে আবার, এ মন তোমায় ফিরে পেতে চায়
তুমি ছাড়া নীথর এ জীবনের চাকা আর চলে না
স্মৃতির জানালায় দাঁড়িয়ে কেন, ধরা দাও না?

র্নিঘুম রাতে তোমাকে খুব বেশী মনে পড়ে
আহত পাখির মত উড়ে পড়ি বেদনার বালুচরে
তুমি ছাড়া এ ভূবন আমার ধূ ধূ মরুভূমি
তোমার স্মৃতি বারে বারে হৃদয় আমার যায় চুমি ।

কত বসন্ত আসে যায় তুমি ফিরে এলে না
মনের মাঝে যে দ্বীপ জ্বেলেছিলে, সে তো আর জ্বলে না
কত কথার মালা শুকিয়ে গেছে তোমায় পরানো গেল না
বেদনার বালুচরে বসে একা, এ জীবনে বুঝি তোমায় পাওয়া হলো না ।

গোলাপ কাঁটা

গোলাপ কাঁটা

হে গোলাপ-প্রেমী, গোলাপের সৌন্দর্য্যে বিমুহিত হয়ে
ভাবছ কী বসে একা? তোমার রঙ্গিন চশমা পরা চোখে
শত স্বপ্নের মেঘ পাল তুলে বেড়াচ্ছে ।তুমি নেই তোমাতে ।
কিন্তু জান কী- গোলাপের সৌন্দর্য্য আর সুবাস যতটা মধুর
কাটার আঘাত ততটাই বেদনাবিধুর ।নয়নভরে সৌন্দর্য্য
পান কর, তবে ছিঁড়তে যেওনা তাকে । কাটার আঘাত
সইতে পারবে না তুমি । এ বড়ই র্নিমম!

কাটার আঘাত না সহে কে গোলাপের সৌন্দর্য্য করেছে
উপভোগ? কষ্ট না সহে সুখ পেয়েছে কে কবে?
প্রদীপের আলোর নীচে আঁধার থাকে বলে কী প্রদীপ
কেউ জ্বালবে না? ভালবাসার পশ্চাতে বিরহ মুচকী
হাসে, তাই বলে কী হৃদয় ভালবাসবে না?
মেঘের আড়ালে চাঁদ হাসে, শীতের পর বসন্ত আসে
কাটার আঘাত সইলেই তবে গোলাপ তোলা যায়
বেদনার নীলকন্ঠ পিয়েই ভালবাসার স্বাদ নেওয়া হয় ।