[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১১

আমি-ই আমার কবিতা

আমি-ই আমার কবিতা
আমি-ই আমার কবিতা
কবিতার ভিতরই আমার অস্থিত্ব
এই অস্থিত্বের ভিতরই এঁকে যাই,
আমার খন্ড খন্ড কথামালার ছন্দপল্লবে
ভোরের শিশিরের মতো ঝকঝকে বিন্দুকণা
শিশিরের অবগাহনে যখন ফুলের স্নানের উৎফুল্লতা
এথানেই আমাকে নিয়ে বিচার করি
আমি আমার কবিতা আর কোন সংশয় নেই।

যদি

যদি

কে তুমি

কে তুমি

কে তুমি?
কে তুমি বলো তো?
একটু খানি পরিচয়টা দাও তো
তোমার পরিচয়টা জানার জন্যে
হৃদয়টা যে আমার ব্যাকুল হয়ে উঠে।


কে তুমি?
কেন তুমি তোমার পরিচয়টা দাও না;
একটুখানি কথা খুলে বলো না
তুমি কি বোবা!
না ইচ্ছে করেই বলছো না?


কে তুমি?
আমার দিকে একটু চোখটা দিয়ে দেখ না,
কেনই বা তুমি চোখের চশমাটা খুলো না;
না তুমি অন্ধ!
তাই আমার দিকে ফিরেও তাকাও না।


কে তুমি?
ওঁ তুমি তো আবার বোরখা পড়া
চোখে আবার কালো চশমাটা লাগা;
কেমনে তোমায় চিনব আমি?
তবুও তো পরিচয়টা দিচ্ছ না তুমি?


কে তুমি
তাহলে কি ভাববো তোমায়?
ভূত,পরী না মানুষ!
যদি ভূত-পরী হও তাহলে দূর হও
আর যদি মানুষই হও তাহলে কথা কও।


কে তুমি?
কথাও বললে না পরিচয়টাও দিলেনা;
তাহলে কেনই বা দাঁড়িয়ে আছ তুমি
তোমার কি হাজব্যান্ড রয়েছে পিছনে,
তার জন্য অপেক্ষা করছ এত দীর্ঘ সময় ধরে?


কে তুমি?
কেনই বা দাঁড়িয়ে আছ তুমি
তোমার দাঁড়িয়ে থাকার রহস্যটা কি!
যদি হাজব্যান্ড না থাকে তোমার
তাহলে তুমি ভালবেসে ফেল আমায়!!


কে তুমি?
যদি পরিচয় নাই দাও তুমি
তাহলে এখান থেকে চলে গেলাম আমি
পিছন থেকে কেন টেনে ধরলে তুমি?
আসলে বলো তো কে তুমি?

বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১১

আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়..

 আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়
 ডিসেম্বর ২০, ২০১১

আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়
 এই তো সেদিন
 তোমাকে দেখতে দেখতে, অবেলায় দিনটা শেষ হল
 সনাতন নিয়মে দুপুর গরিয়ে সাঁঝ হল।


তোমাকে দেখবে বলে
 হ্যামিলনের বাঁ‍শিওয়ালা মত পিছনে ছুটতে লাগলো
 রাতের হরেক রকম পোকামাকড়;
 আর ঝাঁক ঝাঁক জোনাক বাতি জ্বেলে,তোমাকে ‍ঘিরে রাখল,
 নিয়ন আলোর মত করে!
 সখীরা মিলে নওবত সানাই বাজায় ঝিঁঝির;
 

এদিকে জ্যোত্স্না তার,
 যৌ‍বন উন্মাদনা বিভাস পাতার ফাঁ‍ক দিয়ে
 তোমার উচ্ছ্বল চোখ মুখে ঝিলিক পরছিল; যেন উন্মুখ রাজহংসী
 কপোত বিরহে উদাস।


কঙ্কাল রাত পাহারায়
 ঘুম নাই আঁধার চোখে, যত সামান্য আলো তাও পারলে
 চুঁইয়ে পরা শিশির ফোটার মত চুমুকে নিঃশেষ করে।
 

এই রাত ছিল তোমার,
 বিরহের কঙ্কাল খতিয়ান! জড়পদা‍র্থের স্পর্শ চুম্বন
 আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়।


 ১৪১৮@৬ পৌষ,শীতকাল

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১

উচ্ছাস ভরে ফুটে পূর্ণ্যিমার চাঁদ

উচ্ছাস ভরে ফুটে পূর্ণ্যিমার চাঁদ
 নভেম্বর ২৭, ২০১১


চিত্তের গভীরে যে বাসা বাধে আপন ভূমিকায়,
 সে যে কারো অজানার নয়।
 ভুবন বিলাসী যত বিনোদন আছে
 ছুয়ে যায় শুধু ছুয়ে যায়, কখনো যে হারাবার নয়।
প্রেমের অমর সুধা করেছে যে পান
 এই জগৎ সংসারে, তার ভীরে নগন্য একজন
 আপন নগরে তা ফুলে ফেপে ফুটাইয়াছে প্রাণ
 যেথা কোনো ব্যবধান নয়।
দীপের আড়ালে জমা পড়ে যেই অন্ধকার
 যার তরে গেথে থাকে চাপা নীরবতা
 যখনি নিভিবে দীপ সমীক্ষার ও প্রহর অন্তরালে
 কিছু যেন লুটাইবার রয়।
সকল জয়ের স্বাদ ভূলোকের সমারোহে
 প্রেম মিত্রে কি যে দারুন অমরতা পায়
 মন্থর গতিতে তাও মুছিবার শ্রয়
 কখনো যা ভুলিবার নয়।


২৭শে-নভেম্বর-২০১১ই/ রাত্রি:১০:৩৫মিঃ