ব্রিকফিল্ড ঘিরে রেখেছে উত্তর আধুনিক এই শহর। চারদিকে তাপ দিচ্ছে দুষিত করছে ,ধুলা কিম্বা ময়লায়।
সব কিছু যেন অন্ধকারে গুমট হয়ে আসছে। বাতাসে বৈরি পরিবেশ- কুয়াশায় লাবণ্যতা হারাচ্ছে বিস্তৃত সব অপরূপ প্রকৃতি- যেন ধেয়ে আসছে কোনো এক ভয়াবহতা যেখানে শিকার হবে তাবৎ শক্তিমান যত রুপসী শহর, গ্রাম-অথবা সৌন্দর্য মণ্ডিত দেশ।
আমাদের শরীরে বইছে অনাদিকালের সব নোংরা অসভ্যতা আমরা নীরবে জ্বলে যাই পুরে যাই – তার সাথে হত্যা করি আমাদের যত প্রদত্ত জ্ঞান- ৩০।১২।২০১১ইং/রাত্রি:১০:১৫মি:
অনেক দিন ধরে আমি ব্লগে আসি না। আবার আসলেও আমি অফলাইনে থেকে কিছু লিখা পড়ি।আসব আসব করে আর আসা হয়ে উঠেনা।অবশেষে এসেই পরলাম……..
” একটু কাঁদব বলে “
অনেকদিন কান্নার স্বাদ পাইনি দু-ফোঁটা অশ্রু নিয়ে বসে ছিলাম একটু কাঁদব বলে।
ভেবেছিলাম তুমি আসবে;আর তুমি এলেই তোমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদব।
কেন কাঁদতাম জানি না,হয়ত তোমাকে ছাড়া এতগুলো দিন আর রাত আমি কি করে পার
করেছি! তা ভেবেই কান্না পেত। নয়ত তোমাকে কাছে পাবার আনন্দেই কাঁদতাম।
কিন্তু তুমিতো এলেই না; কি করে কাঁদব আমি?
তোমার আসা আর কোন দিনই হবেনা সেটা জানি,কিন্তু কান্না পায়না কেন বলতো? হাসতেও তো পারিনা এখন।
তোমার না আসা কি আমায় কষ্ট দেয়নি? নাকি আর একটু বেশী কষ্ট পেলে কাঁদতাম আমি? মানুষ কতটুকু কষ্ট পেলে কাঁদে সেটা যদি জানা যেত; তবে আমি ঠিক ততটুকু কষ্টই পেতাম।
কারন আমিতো একটু কাঁদতেই চেয়েছিলাম; নাকি আমার ভেতরটা নীরবে কাঁদে! আমি টের পাইনা,শুধু বাহির নিয়েই পরে থাকি আমি।
তবু কথা থাকে বলেছেন একজন। সন্ধ্যের পরেও কথা থাকে; রক্ষিতার মত সঙ্গোপনে রাতের নির্জন কথা দুপুরের শেষ মৃত্যুর পরেও থেকে যায় অপরাহ্নের সংলাপ।
কোন এক গোপন ঈঙ্গিতে চারটি চোখের রঙ বদলে- যাওয়ার মত আবেশে স্পন্দিত, বৃষ্টির পরেও মেঘ-মেঘ আকাশে ভাসে শুভ্র কথার কাফন।
আমি ঘুমহীন চেয়ে চেয়ে দেখি দু’চোখের দরিদ্র পারদ ঝরে ঝরে পড়ে শতাব্দীর নোংরা কোলে। কথা বলি না, কেননা কথা না- বলার করেছি সংরক্ত পণ একান্তে, নিঃশব্দে, জানে না ঘনিষ্ঠতমা।
ঘোর তমসার নীল জলশয্যাতে তখন অনন্ত বীটোফেনের সিম্ফনি অবাক তৃষ্ণার্ত রঙের ধরায় অবিরল বয়ে গেলে তুমি এসে কেন ডাকো হে নারী, হে কবিতার প্রসূতি, হে বিষণ্ণ প্রকৃতি !!!