[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১২

তোকে খুঁজে পাওয়া যায় না

তোকে খুঁজে পাওয়া যায় না

kuja pai na

এখন আর তোকে কোথাও খুজেঁ পাই না
এখন শস্য ক্ষেতে সবুজের রং ধুসর হয়ে যায়;
এখনকার ঝড়ে পড়া রক্তগুলো বেশ কালো।
নাগপাশে বন্দী হয়ে স্বাধীনতার সাধ করি উপোভোগ
তবুও তোকে কোথাও খুজে পাই না, যা পাই
তা হলো তোর নামে বিকিকিনির খেলায়
তোকেই রাজ পোশাক পরিয়ে তোর নামের
একক সিদ্ধান্ত। তোকে খুঁজে পাবার পথগুলো
বড়ো সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। তুই আর আমি
মুখোমুখি থাকবো বলে, কত কত তাজা রক্ত আর চোখে
স্বপ্ন নিয়ে চলে গেল যে সকল আমাদের আত্মা, তাদের সেই
স্বপ্নময় মুখে আজ কষ্টের সৌখিন সাজ। তোকে উপহার দেবে বলে
সেই পায়ে আলতা মাখা বৌটি চোখের রক্ত ঢেলে চলে গেল
ভীন জাতের হীম ঘরে। তার সেই আলতা রাঙা পা এখন আর
চপলতা পায় না, শুধুই প্রতীকের মত কন্ঠস্বরে মেলে একটি মেডেল,
তোকে আর উপহার দেয়া হয় না।

শিশির ভেজা লেবু পাতায় তোকে দেখবে বলে যে দামাল ছেলেটা
একটুকরো চিঠি লিখে গভীর রাতে হাতে আগুন নিয়ে গোপনে
বাবা মা কে ছেরে এসেছে, সেই ছেলে বীরের বেশে ফিরে এসে
কাউকে খুজেঁ পায় না, না তার বাবা মাকে না তোকে।
তোকে আর কোথাও খুঁজি না কারন এই সব সম্ভবের দেশে
শুধু তুই অসম্ভব হয়ে থেকে গেলি।
তোকে খুঁজে পাওয়া গেল না

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১২

খেয়া....

খেয়া

আমার বুকের বা’পাঁজরে আছে একটা খেয়া
 সেই খেয়ার পালে দক্ষিণা পবনের লেগেছে ছোঁয়া
 প্রেম-ঘাটের যাত্রী যে জন
 পার করিব হলে সুজন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।

 হৃদয়-তটিনীতে এখন ভরা উচ্ছ্বাস
 অনুকূলে ধমকা বহিছে দক্ষিণা বাতাস
 উঠবে যদি উঠ তরী, বেলা দ্বিপ্রহর
 ভালবাসার পাল উড়িয়ে পাড়ি দেব তেপান্তর
 এ খেয়ঘাটে হয় শুধু হৃদয়ের লেনা-দেনা
 

ভালবাসার দামে ভালবাসা হয় কেনা
 প্রেমের খেয়ার মাঝি আমি পার করি সুজন
 মনে মনে হয় যদি গো মিলন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।

 আমার ভালবাসার হৃদয় দিলাম অগ্রিম ভাড়া স্বরূপ
 তোল আমায় তোমার খেয়ায়, পাড়ি দেব প্রেমের অন্তরীপ
 চালাও তরী বৈঠা হাতে রাখালী গানের সুরে
 সুরের আবেশে হারাব দু’জন অজানা তেপান্তরে
 প্রেমেরঘাটের যাত্রী আমি ওগো প্রণয়ভাজন
 ভরা জোয়ারে পাল তুলে দাও, বহিছে প্রভঞ্জন
 টাকা-কড়ি, সোনা-দানা কিছুই চাই না
 দিও শুধু ভালবাসা, হৃদয় ষোল আনা ।
 

আমার বুকের বা’পাঁজরে আছে একটা খেয়া
 সেই খেয়ার পালে দক্ষিণা পবনের লেগেছে ছোঁয়া
 প্রেম-ঘাটের যাত্রী যে জন
 পার করিব হলে সুজন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।


হৃদয়-তটিনীতে এখন ভরা উচ্ছ্বাস
 অনুকূলে ধমকা বহিছে দক্ষিণা বাতাস
 উঠবে যদি উঠ তরী, বেলা দ্বিপ্রহর
 ভালবাসার পাল উড়িয়ে পাড়ি দেব তেপান্তর
 এ খেয়ঘাটে হয় শুধু হৃদয়ের লেনা-দেনা
 ভালবাসার দামে ভালবাসা হয় কেনা
 প্রেমের খেয়ার মাঝি আমি পার করি সুজন
 মনে মনে হয় যদি গো মিলন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।


আমার ভালবাসার হৃদয় দিলাম অগ্রিম ভাড়া স্বরূপ
 তোল আমায় তোমার খেয়ায়, পাড়ি দেব প্রেমের অন্তরীপ
 চালাও তরী বৈঠা হাতে রাখালী গানের সুরে
 সুরের আবেশে হারাব দু’জন অজানা তেপান্তরে
 প্রেমেরঘাটের যাত্রী আমি ওগো প্রণয়ভাজন
 ভরা জোয়ারে পাল তুলে দাও, বহিছে প্রভঞ্জন
 টাকা-কড়ি, সোনা-দানা কিছুই চাই না
 দিও শুধু ভালবাসা, হৃদয় ষোল আনা ।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১২

যদি শুন্য ও হয়ে যায় তবুও ছাতিমের তলে সেই সন্ধ্যা ভালোবেসে

যদি শুন্য ও হয়ে যায় তবুও ছাতিমের তলে সেই সন্ধ্যা ভালোবেসে
কিছু স্মৃতি, কিছু গন্ধ স্থাপত্যের থেকে বেশি
শহুরে অনির্বচনীয় ব্যস্ততার মাঝেও
নিস্তব্ধ কাল জলে রাত নেমেছিলো আধখেঁচড়া পাড়ে
কখনো সবুজ ঘন ছিলো; ঘাসের মাঝে আভাস রয়ে গেছে
পুরনো মানিব্যাগে ঝলমলে বাবড়ি দোলানো স্ট্যাম্প সাইজ ফটোর মত।
অলস পায়ে বেয়ারার হাতে ধোঁয়া ওঠা তন্দুরের দিকে তাকিয়ে
তিন বন্ধু সেদিনও বলেছিলো এইবার শীতটা তেমন জাঁকিয়ে নামলোনা।

যতটা পোড়ালে আর পোড়ানো যায়না বলে কয়লারও ক্লান্তি আসে; ততটা তিতকুটে
মুরগির হাড় চিবুনো শব্দের মাঝেও নিঃশব্দ ঝরেছিলো
ছাতিমের ফুল।
গল্পের তুড়িতে হাসি আর আগত দিনেরা
ঘোলাটে টক দইয়ের মাঝে এলোপাথাড়ি শুয়ে থাকা এক দুই শশা আর পেঁয়াজের চাট।
ভুতের সাথে সারা রাত মাছ ধরা কিংবা বসত বাড়ির গম্ভীর কর্তা ভুতের গল্প
কখনো দশদিগন্তের রক্তপাত ঠেকানো অভ্রভেদী ভোরবেলা
নক্ষত্রলোকের মাঝে সবুজ বন্ধুরা হলুদ বনে; বেড়াবে বলে
পরিকল্পনার খেরো হিসাব।

সেই ক্ষনে সবার অজান্তেই গন্ধরা মেখে গিয়েছিলো স্থাপত্যের থেকে বেশি স্মৃতির রুমাল।

লেকের কালো জলের মাঝে সপ্তসিন্ধুর নীল দেখতে দেখতে কথা দিয়েছিলো ওরা
অপাপবিদ্ধ যে কবি সে লিখবে
উপমার ভারে হারিয়ে যায় যার খোঁড়া কবিতা সেও লিখবে
লিখবে স্যাটায়ার-এর ওপাশে নিজেকে যে লুকায়; নিদেন পক্ষে একটি ছড়া


শীতের রাত
ছাতিমের নীচে
তন্দুরে পোড়া চিকেনের স্বাদ
মোহনীয় ফুলের গন্ধে চোরা স্রোতে বয়ে যাওয়া
নীল বন্ধুদের সেই আড্ডা।

স্মৃতি তুমি আলেয়া

স্মৃতি তুমি আলেয়া


আমার গানের বাণী তোমার প্রাণে
একটুও পারে যদি ঢেউ জাগাতে
সেটুকু পাওয়াই হবে শেষ সম্বল
আমি চাই না কিছুইতো আর।

আমার সুরের খেয়া বেয়ে যদি যাও
জীবন সমুদ্রের অথৈ জলে
সুখী হবে এ জীবনে এই দোয়া করি
আমি চাইনা কিছুই তো আর।

অনুভবে তুমি

অনুভবে তুমি


তুমি কি জানো ? না পাওয়া সেই তুমি
মিশে গেছো প্রতিটি ইন্দ্রীয়তে,
হয়ত কষ্টে পোড়াবে বলেই
কড়া নেড়েছিলে এই হৃদয়ে।


প্রশ্ন ছিল অনেক হয়নি করা কখনো,
একাকী মনে প্রশ্নগুলো বার বার ফিরে আসে
উত্তর পাবে না জেনেও, তবু জানতে ইচ্ছে হয়,
কেনো তুমি সেই তুমি আর থাকলে না
যাকে ভালবেসে স্বর্গ রচনা করার কথা ছিল এই মত্তে।


হয়ত বলবে সবটাই ভুল ছিল, বা বলবে
এমন কি কোন প্রতিশ্রুতি ছিল?
বা পরিহাসের হাসি হেসে বলবে, তুমি মানুষ
চিনতে পারোনি বলে কষ্টকে করেছো আলিঙ্গন ।


তবু বলব বার বার
ভুল আর শুদ্ধ জানিনে
শুধু জানি, আমার অনুভবে
মিশে গেছো তুমি।


উত্তরে - খণ্ড কাহন ৩

উত্তরে - খণ্ড কাহন ৩
393508_261048290623140_100001539147249_709636_939863641_n[1]

নিজের তৈরী বৃত্ত থেকে কোন দিনই বাইরে যেতে পারিনি, তাই কোন দিন মৃগয়ায় যাইনি, আমি জানি শিকার করা মানুষ গুলো একটু আখাঙ্খা লোভী হয় তেমন ইচ্ছে কোন দিনই ছিলো না। আমার নীরাজনে শান্তি নয় ধ্বংসই কাম্য ছিলো, তাই নিসর্গ নয় মৃত্তীকার বুকে পদ চিহ্ন আকতেঁ চেয়েছিলাম তাতে যদি কোন দেবতা তুমুল অট্টহাসিতে ফেটে পরে বুঝবো তাদের নিবিষ্ট ধ্যান ভঙ্গ করাতে পেরেছি আমার নিবিড় ইচ্ছের জয় দিয়ে। আজ তুমি যাকে স্বেচ্ছামৃত্যু বিলসী মানুষ ভাবো সেই মানুষটি স্বপ্নের ব্যথিত গাছে লন্ঠন ঝুলিয়ে কোন অলীক জ্যোৎস্না আবাদ নয়, খুঁজে বেরিয়েছে গাঢ় অন্ধোকারে, ভোকাট্টা হওয়া জীবনের নীল ঘুড়ি, আর পায়নি বলেই আজ তোমার অভিশাপ পাবার পথ খোলা থাকলো।
সময় নিরন্তন কূটস্থ ধারনা মানুষ ভেদে কুহেলির জন্ম দেয় তাই, অমৃত বা মৃত জৈমিনির কাছে গিয়ে খুজেঁ নিও। আমি জানি আমার অহংকার নক্ষত্রের আগুন, রোদের পত্তন নয় তাই তো কবরের গভীরে খুঁজি সুখ।
সব আত্ম সমর্পণে আত্মার শান্তি মেলে না, যুদ্ধো জয়ের পরও কোন কোন সৈনিক চোখের জল ফেলে বিধাতার পা এ নিজের মৃত্যুর জন্য। তেমন কোন জোহার আমার চোখে ধরা পরেনি যাতে করে আমার কোন জীবন নিধান সমর্পণের পায়ে লুটিয়ে পরতে পারে। এই বয়সে এসে পুরু চশমার কাঁচ যতটা প্রয়োজন আছে ততটা ছিলোনা সেদিন। আমার ধারনাটা জীবনের ভিন্ন পথে সব সময়ই থাকে, তাই আমার মনে হয় যে দরজা কেউ ভালোবাসার জন্য একবার খোলে সেই দরজা কোন দিন তার জন্য বন্ধ হতে পারে না, হয়তো ভালোবাসার লোকটি বদলে যেতে পারে কিন্তু সেই সময়ের ভালোবাসাটা তো ভুল ছিলো না যা বদলে যাবে। তাই আজো পুরোনো দিনের কোন সময় স্মরন করে একটি পরিশুদ্ধ আকাঙ্ক্ষার কবিতা পেতে চাই, যা শুধু ঝাঁপি বন্ধী ছড়ানো ছিটানো তোমার আঙ্গীনায়।


আমি বুঝতে পারিনি
জীবনের খেলা ঘরে সময় বিন্যাস
ফিরে আসে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
অসময়ের ঘরে সময়ের উই পোকা
কাটে শরীর মন, ঘর দুয়ার,
বালিশ তোষক আর স্মৃতির খাতা।

তবুতো বয়স ভেদে সবাই কেনে
মাটির পুতুল কিংবা ক্ষয়িষ্ণু জীবন।
আমার জন্য দর দাম হয়েছিলো ঠিকই
তুব সঠিক দাম পায়নি বলে
বেচেনি বিধাতা।

খুব বাঁচা বেঁচে গেছি ঝাঁপিতেই থেকে
দেখেছি মেলার মাঠে কত শত লোক
আর তাদের ভিন্ন ভিন্ন জীবন ধারা
তাদের হাতের ছোঁযায় কিছুটা রং হয়তো হারিয়েছি
তবু বুঝেছি লোক ভিন্ন হাতের উষ্ণতা কিংবা
দেখেছি অসম মানুষের অপ্রাপ্তির গ্লানি