[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১২

O Gaanwala

 

 O Gaanwala

Just came across this beautiful Bengali song by Suman Chattopadhaya. Such a melodious and soothing number that you don't even need to understand the lyrics. A friend of mine helped me to do the translation and it sounds even better now.

বাংলা

O Gaanwala,
Aar ekta gaan gao...
Amar aar kothao jabar nei,
Kischu korar nei!

Cheleybelar sei -
Behala bajano lokta,
Choley gechey behala niye
Choley gechey gaan shuniye!
Ei paltano shomoy,
Firbey ki firbey ta jana nai!
O Gaanwala,
Aar ekta gaan gao...
Amar aar kothao jabar nei,
Kischu korar nei!

Koishor sesh houa,
Rong-chonge shopner din -
Choley gechey rong hairey
Choley gechey mukh firiye!
Ei thatka-bajir deshey
Shopner pakhi gulo bechey nei!
O Gaanwala,
Aar ekta gaan gao...
Amar aar kothao jabar nei,
Kischu korar nei!



Translation:

O singer
Sing one more song
I don't have anywhere to go
I don't anything to do

In childhood's
The guy who used to play violin
Went away with his violin
Went away singing song
This running time
Not sure if it would come back again

O singer
Sing one more song
I don't have anywhere to go
I don't anything to do

Teen age is over
Days of colorful dreams
Went away losing all the colors
Went away turning face
This land of deceiving
No birds of dream are surviving

O singer
Sing one more song
I don't have anywhere to go
I don't anything to do!




বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১২

DJ RIDWAN

BOLO KANO AAMON HOY-DJ RIDWAN

এলোমেলো ভাবনা

এলোমেলো ভাবনা

চলতি পথে কিংবা কখন কোন একা উদাস নির্জনে বসে আমার মত অনেকের মনেই কিছু না কিছু ভাবনা বা সুর গুন গুন করে। তার কিছু ধরে রাখা যায় আবার কিছু কোথায় কোন নীলিমায় মিলিয়ে যায় তা আমরা কেউ জানি না। এ নিয়ে এত চিন্তাও করি না। কত কিছুই আসে যায় কে তার এমন খোজ রাখে, তাই না? এমনি কিছু টুকরো কথা যা আমাকে মাঝে মাঝে ভীষণ বিব্রত করে তোলে। মন থেকে কিছুতেই দূরে যেতে চায় না। নিজেরই অজান্তে কখন যেন তাই কাগজের কোণে লিখে রেখেছিলাম। ঝারা মুছা করতে গিয়ে দৃষ্টিতে এলে আবার তা কখন যেন  যত্নে তুলেও রেখেছিলাম তারই কয়েকটা আজ আপনাদের সামনে তুলে দিচ্ছি। দেখুন আপনারাও গুন গুন করতে পারেন যদি!

খন্ড কথা-১
কি খেলা খেলিছ আজ আমার হৃদয় লয়ে
বারে বারে নত হয়ে রই যেন তব পদ তলে
আমার প্রানের উচ্ছাস যত উছলিয়া উঠে
কহিতে পারে না তাই নিরবে আকুলিয়া ঝরে।
আপনার চেয়ে আপন যারে ভেবেছি চির কাল
সে নহে মোর আপন বুঝি নাই কেন এত কাল।

খন্ড কথা-২
সাঁঝের পাখিরা সবে ফিরে এল কুলায়
তুমি এলে না হায় আজো সন্ধ্যা বেলায়।
কত দিন কেটে গেছে প্রহর গুনে গুনে
কত রাত কেটে গেছে নিশীথের গান শুনে।
কি যেন বলিতে চেয়েছিলে মোরে
আজো হয় নি সে কথা শোনা
হলো না শেষ মোর কল্পনার জাল বোনা,
বসে রই ঝরা শিউলি তলায়।
খন্ড কথা-৩
ওই রংধনুর রঙ থেকে কুড়িয়ে পেয়েছি অরুন মালা
তুমি ছিলে পাশে হাতে নিয়ে বরণ ডালা।

খন্ড কথা-৪
বরষার মেঘ হয়ে আছ তুমি
হৃদয় যমুনার তীরে
যেন জাগলে ঢেউ কুল ভেসে
হাল ভাঙ্গা তরী এসে ভিরে।।
খন্ড কথা-৫
অনেক দিনের আশা ছিল তোমায় দেখিবার
মনের মুকুরে দ্বিপ জ্বেলে ভালবাসিবার।

খন্ড কথা-৬
কি ব্যাথায় গান গেয়ে পাখি ওই শাখে
মরমে বেধে সুর আমাকে ডাকে।।
হৃদয় তিমিরে নিভে গেছে শুকতারা
সুরের মিছিলে আর নাহি জাগে সারা
তবু কেন ওই সুর কেড়ে নেয় আমাকে।।

খন্ড কথা-৭
রিনিঝিনি বাজে নুপুর শ্রাবণে
হারালো চাদের আলো
মেঘলা গগনে।।
কথা কয় নিশুতি রাত
ব্যাথার রাগিনী তুলে
যেন মধু লগন ভেসে যায়
বিরহ সাগরে।।

এই তো এই পর্যন্তই।

বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১২

নিথর চাহনী অপলক





আমি দেখেছি হিমাদ্রির সৌরভাদ্র ব্যাকুলতা,
পাখির ডানায় সিক্ত সবুজ বীথির ছায়া।
ভর দুপুরে গ্রীষ্মের মেঘ ভাঙ্গা শুদ্ধতা।
রুপসী বালিকার, কাছে টানার মায়া।

আমি দেখেছি শুভ্রসানন্দ, বর্ষার ধারাজল;
শীতের কুয়াশায় দিপ্ত মিহির অন্তরাল।
বসন্তের বর্ণীল আনন্দনিকেতন
কুয়াশার অলস বিসাদে ভরা দেহ মন।
ভালোলাগেনা কিছুই নিথর চাহনী অপলক;
শুধু মুখস্ত মানুষ দেখি মৃতপালক।
গোধুলীর সূর্য্য নদী বক্ষে হারিয়ে যায়,
রাতের আধার কেটে পূর্ণতা পায়।

তুমি কালের ব্যতিক্রমে ফেরনি--
অভিমানী, সর্বস্ব খোয়ানো মেয়ে
মানসিক নীলে বন্ধ জীবনধারণী।
কত প্রেয়সী শত অভীমান করে
আবার ভালোবাসার প্রেমিক ডোরে ফেরে।
ফিরে আস সব অশুদ্ধতা ছিড়ে;
নতুন করে সাজাই ঘর, করিয়া যতন।
শুশ্রুষার সবুজ চুম্বনে সিক্ত করে দাও....
আগের মতন!!!

অচেনা জগতে কেমন করে আছ নির্লিপ্ত একা??
অন্ধকার রাতে একটি তারা দেখি...
ক্রমে মেঘে ঢেকে যায় আকাশ।
অনুভব হয় শরীরে ঠান্ডা বাতাস।
এক হওয়ার প্রতিক্ষায় থাকি.........

শনিবার, ১৭ মার্চ, ২০১২

সেই চোখ.....................


সেই চোখ .....................

০৪ ঠা জুন, ২০০৯ সকাল ৮:০৪





পাখির নীড়ের মত চোখ ছিল তার। সাজানো গোছানো নীড়ের মত নিখুত জোড়া আখি। সে চোখ ছিল এক টুকরো মিষ্টি হাসির যোগ্য সহযোগী। চোখের কোনায় ছড়িয়ে থাকা আনন্দের ছটা দেখে এলোমেলো হয়ে যেতাম আমি। উফ! কি আক্ষেপ! কি বিষাদময় অতৃপ্তি! ওই অনিন্দসুন্দর চোখ, ওই মায়াবী আকর্ষন হাহাকার জাগিয়ে তোলে মনে। হাহাকার! মস্তিস্কের আধাধুসর কোষগুলো জট পাকিয়ে যেত। মাথায় চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হত। সৌন্দর্যের বিকিরনে এ কেমন প্রতিক্রিয়া? এমনই ছিল চোখজোড়া যে সহ্য করতেও কষ্ট হত। শুধুই কানে বাজত কি করি? কি করি? ক্ষনে ক্ষনে অবশপ্রায় হয়ে যেত হাতপা। ওটা সহ্য করতে না পেরে অস্থির হতাম আমি। দুহাত দিয়ে নিজের চুল ধরে টানতাম। অনেকদিন কেটে যাবার পর মনে হল আমি প্রেমে পড়ে গেছি...ওই চোখদুটার প্রেমে।

মনের যখন এ রকম অবস্থা, তখন কিছু একটা করতে ইচ্ছে জাগে। অনেক কিছু করার ইচ্ছে। মনে আকুলি বিকুলি করে ওঠে বিভিন্ন পরিকল্পনার ভুমিকারূপ। সময়ের চলার গতি দ্রুত হয়ে যায় দিবাস্বপ্নে। মনের গুঢ় ইচ্ছেগুলো বাস্তব করতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু সাধ্যসীমার সাথে যুদ্ধ করে পেরে উঠে না ইচ্ছে। তারপরেও একদিন কেমন করে জানি পরিচয় হয় তার সাথে। কথা হয়। অবাক হয়ে দেখি চোখের প্রতি যেন ওর নজরই নেই। কোন অহম নেই। মনে হয়, যদি ওই চোখের মাঝে হারিয়ে যেতে পারতাম!

পরিচয়টা বন্ধুত্বে গড়াতে সময় নেয় কেন যেন। লক্ষ্য করে দেখি ও যেন নিজেকে আড়াল করে রাখে। ইউনিতে কালো বোরখা পড়ে আসে ও। মুখটা পর্যন্ত ঢাকা থাকে, উন্মুক্ত থাকে শুধু দুচোখ, আমার একান্ত আপন আঁধার। আমার স্বপ্ন! ওই চোখজোড়া দেখেই তৃপ্ত আমি। ক্যাম্পাসে কালো বোরখা পড়ে আসে আরও অনেকে। কিন্তু ওই দুচোখ জোড়ার মালিককে ঠিকই চিনে নিই আমি অবালীলায়। ছুটে যাই তার কাছে। কেবল তার চোখ জোড়া তৃপ্ত হয়ে দেখতে, হয়ত হ্রদয়ের চোখটাও অনুভব করতে! কিন্তু ওটা আর করা হয়ে ওঠে না। নিজেকে খাচায় বন্দী রাখতে চায় যেন! উন্মুক্ত আকাশের মুক্ত বিহঙ্গ হতে নারাজ। আমিও তখন এক আজব খাচাঁয় বন্দী। সে খাচাঁ থেকে বেরোব, সে উপায় নেই। সে চোখ সর্বক্ষন আটকে রাখে এই আমাকে। দুজনেই খাচাঁয় বন্দী, কিন্তু কেমন অদ্ভূত বিপরীতধর্মী সে দুঃসহ বন্দীশালা।

আমি অস্থিরতার পৌনপুনিকতা সম্পন্য করি। এ এক বিচিত্র চক্র। প্রথমে দুর থেকে দেখে...এখন কাছ থেকে...।

পরিচয়টা কোনমতেই গাঢ় বন্ধুত্বে রূপ নেয় না। সন্দেহ জাগে। খোজ নিয়ে দেখি সত্যি ও আড়ালে থাকে, এমনকি মেয়েদের থেকেও। সবার সাথেই নির্দিষ্ট দুরত্ব ওর। নিজের চারপাশে এক অদৃশ্য অথচ নিষ্ঠুরতম দুর্গ গড়ে তোলে সবাইকে অন্যায়ভাবে আটকিয়ে দেয়। মনস্থ করে নিলাম, ওই দুর্গ ভাঙব। খানখান করে দেব। নয়ত নিজেকেই মচকে যেতে হবে। কিন্তু তা তো সম্ভব নয়। জীবনের জটিল পাজলটাকে মেলাতে গেলে মচকে যাওয়া তো চলবে না। এক ঝটকায় মাথা উচু করলাম আমি।

সেদিন একটা ক্লাসরূমে বসে, অস্থিরতাকে প্রকাশ করে দিয়ে জানালাম আমার মনের কথা, যে কথাগুলো এতদিন ধরে আমার অবচেতন বা হয়ত সচেতন মনে কঠিন আর শক্ত এক বাসা বেধে বসে আছে। যে গুলোকে বহন করতে গিয়ে অস্থির আমি, বিপর্যস্ত আমি। সে কথাগুলো বলেই ফেললাম। আমার চোখে তখন আশা। প্রতিকুল পরিবেশে হারাবার ভয়হীন, অস্থির অথচ দুর্বার মন আমার আশা করে ইতিবাচক কিছু একটা। ভারমুক্ত হয়ে নিজেকে হালকা করতে মাউথ অর্গানটা মুখে লাগিয়ে চোখ বন্ধ করলাম একটা চমৎকার সুরের আশায়। প্রশ্ন করে উত্তর শোনার অপেক্ষা না করেই।
কিন্তু একি! মাউথ অর্গানে এ কেমন দুখী সুর । গভীর দু্ঃখরোধের সে সুরই ভাল লাগল, বাজাতে লাগলাম হ্রদয়ের অন্তস্থল থেকে। সামনের সবকিছু তখন মনের দৃশ্যপট থেকে অদৃশ্য। মাউথ অর্গান বাজানোর সময় এমনই হয় আমার।

যখন সুর বন্ধ করে চোখ খুললাম, তখন জোছনাভরা চোখজোড়ার দিকে তাকিয়ে স্তম্ভিত আমি। একি দেখি! ওই মায়াবী চোখে জল? দেখলাম, নিখুত সুন্দর চোখ জোড়ায় টুইটুই করছে জল। চোখদুটো তাকিয়ে আমার দিকে।
এরকম অনাকাংখিত ধাক্কায় বিমূঢ় আমি। একদৃষ্টিতে চেয়ে থাকলাম চোখের দিকে। আর কিছু দেখার সুযোগও নেই। ওর বোরখা ঢাকা মুখ আমি দেখিনি কখনও। দেখতে ইচ্ছেও হয় নি তেমন। চোখ দেখেই যে আমি তৃপ্ত। কিছুক্ষন শব্দহীন দুজনে। এরপর দেখলাম ওর চোখ নড়ছে। কথা বলল ও -'তুমি আমার চেহারা পর্যন্ত দেখোনি!
ওহ! কি করে আমি বোঝাব ওকে। ওর চোখই যে সব আমার কাছে। পাখীর নীড়ের মত আমার আপন আঁধার ওদুটো। বলে ফেললাম তা।
'তবুও, তুমি আমাকে একবারও দেখনি।' একরোখার মত করে বলে ও।
ওমা! এতদিন ওকে দেখিনি, দেখতে চাই নি বলে রাগ করল নাকি? অনেক কিছু হারাবার ভয় হঠাৎ করে অপ্রস্তুত ভাবে জাপটে ধরেছিল তা ছেড়ে যেতেই স্বস্তির হাসি হাসলাম। বললাম-
'আচ্ছা। আজই না হয় দেখব।'
কোন কথা বলল না ও। দেখলাম ওর চোখের কোন আর যেন জল ধরে রাখতে পারছে না। কিন্তু একটু আগের মত বিপর্যস্তের রূপ নেই আর ওগুলোতে। এখন তা শান্ত, স্থীর।
একটুক্ষন নিরবতা। তাকেই অনেক বেশী দীর্ঘ মনে হল।
হঠাৎই হাত বাড়িয়ে বোরখার মুখের কাপর সরাল ও। আমি দেখলাম এতক্ষন খুব কষ্টে ধরে রাখা ওর চোখের জল টপ করে পড়ে গড়িয়ে গেল মুখময় বীভৎস ঘা এর উপর দিয়ে।

'ও মাগো!' অস্ফুট কথাটা আটকাতে পারলাম না আমি।
'আহ!' দেখলাম, ওই অনিন্দসুন্দর চোখের মালিক, সে কিনা এক বর্বর পশুর নির্মমতার শিকার। প্রায় পুরোটা মুখেই বীভৎস ঘা। নাকের জায়গাটা প্রায় খালি, দাতগুলোর উপর ঠোটের আবরন নামেমাত্র। আশ্চর্যজনকভাবে শুধুমাত্র দুচোখ আর তার আশেপাশের কিছু অংশ বেচে গেছে। নিজেকে আবার অস্থির লাগছে , অনেকদিন আগের মত আবার একবার হাতপা অবশ হয়ে যাচ্ছে। মুঠোবন্দী হাতদুটোতে চাপ বাড়ছে। এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে ভাবনা। আর দেখতে পারলাম না আমি। চোখ সরিয়ে নিলাম দ্রুত। ওই বীভৎস ঘা টা পেড়িয়ে তাকাতে পারলাম না আমার আপন আঁধারের দিকেও। মাথা নিচু করে বসে রইলাম। প্রকৃতি যাকে এতকিছুর পরও সুন্দর, সজীব রেখেছে তাকে আর নিজের ভাবতে সায় দিল না অবচেতন মন। ভালোবাসা যেন উবে গেল।
'আহ! ছি! কাপুরুষ!' মনের আরেক অংশ বলে উঠল। মাথাটা আমার নিচুই রইল।

একটু পর চোখ মুছে স্বাভাবিকভাকে মুখের কাপড় লাগিয়ে উঠে দাড়াল ও। চোখ তুলে একবার তাকাল আমার দিকে। কিন্তু কই! ওই চোখজোড়াকে তো আর আগের মত লাগছে না। আমি ওর চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকতে পারলাম না।

আবার ওর চোখে জল ভরে উঠল। কিন্তু সামলে নিল ও। তারপর চলে গেল স্বাভাবিক ভাবে অন্য সব দিনের মত। যাবার সময় একবার চোরের মত ওর চোখে তাকিয়ে দেখলাম এতদিন ধরে অনেককষ্টে ধরে রাখা আনন্দগুলো উবে গিয়ে ওই চোখদুটিতে জায়গা করে নিয়েছে গভীর বিষাদ।

কাপুরুষের মতই শুধু বসে রইলাম আমি, মাথা নিচু করে...।