[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

নচিকেতার গানঃ বৃদ্ধাশ্রম।





ছেলে আমার মস্ত মানুষ,মস্ত অফিসার
মস্ত ফ্ল্যাটে যায় না দেখা এপার ওপার।
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামী দামী
সবচেয়ে কম দামী ছিলাম একমাত্র আমি।
ছেলের আমার আমার প্রতি অগাধ সম্ভ্রম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।।

আমার ব্যবহারের সেই আলমারি আর আয়না
ওসব নাকি বেশ পুরনো,ফ্ল্যাটে রাখা যায় না।
ওর বাবার ছবি,ঘড়ি-ছড়ি,বিদেয় হলো তাড়াতাড়ি
ছেড়ে দিলো, কাকে খেলো, পোষা বুড়ো ময়না।
স্বামী-স্ত্রী আর আ্যালসেশিয়ান-জায়গা বড়ই কম
আমার ঠিকানা তাই বৃদ্ধাশ্রম।।

নিজের হাতে ভাত খেতে পারতো নাকো খোকা
বলতাম আমি না থাকলে কি করবি রে বোকা?
ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদতো খোকা আমার কথা শুনে-
খোকা বোধ হয় আর কাঁদে না,নেই বুঝি আর মনে।
ছোট্টবেলায় স্বপ্ন দেখে উঠতো খোকা কেঁদে
দু’হাত দিয়ে বুকের কাছে রেখে দিতাম বেঁধে
দু’হাত আজো খোঁজে,ভুলে যায় যে একদম-
আমার ঠিকানা এখন বৃদ্ধাশ্রম।।

খোকারও হয়েছে ছেলে,দু’বছর হলো
তার তো মাত্র বয়স পঁচিশ,ঠাকুর মুখ তোলো।
একশো বছর বাঁচতে চাই এখন আমার সাধ
পঁচিশ বছর পরে খোকার হবে ঊনষাট।
আশ্রমের এই ঘরটা ছোট,জায়গা অনেক বেশি-
খোকা-আমি,দু’জনেতে থাকবো পাশাপাশি।
সেই দিনটার স্বপ্ন দেখি ভীষণ রকম
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম!
মুখোমুখি আমি,খোকা আর বৃদ্ধাশ্রম।।

অঞ্জন দত্ত'র রঞ্জনা এবং রঞ্জনা'র সিক্যুয়েল রঞ্জনা-২


প্রথম গাওয়াঃ রঞ্জনা।

পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেব
বলেছে পাড়ার দাদারা
অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই ।
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না।

ধর্ম আমার, আমি নিজে বেছে নিই নি,
পদবীতে ছিলনা যে হাত।
মসজিদে যেতে হয়, তাই যাই জোর করে যাই
বছরে দু এক বার।
বাংলায় সত্তর পাই আমি এক্সামে,
ভালো লাগে খেতে ভাত মাছ
গাঁজা সিগারেট আমি কোনটাই ছুঁই না,
পারি না চড়তে কোন গাছ।
চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি,
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি।
কবজির জোরে আমি পারবো না।
পারবো না হতে আমি রোমিও, তাই দুপুর বেলাতে ঘুমিও।
আসতে হবে না আর বারান্দায়।
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না।

বুঝবো কি করে আমি তোমার ঐ মেজ দাদা,
শুধু যে তোমার দাদা নয়।
আরো কত দাদাগিরি, কবজির কারিগরি,
করে তার দিন কেটে যায়।
তাও যদি বলতাম হিন্দুর ছেলে আমি,
নীলু বিলু কিম্বা নিতাই,
মিথ্যে কথা আমি বলতে যে পারি না,
ভ্যাবা ভ্যাবা ভ্যাবাচ্যাকা খাই।
চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি,
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি।
কবজির জোরে আমি পারবো না।
পারবো না হতে রোমিও, তাই দুপুর বেলাতে ঘুমিও।
আসতে হবে না আর বারান্দায়।
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না।

সত্যিকারের প্রেম জানিনা তো কি সে,
তা যাচ্ছে জমে হোম টাস্ক,
লাগছে না ভাল আর মেট্রো চ্যানেল টা,
কান্না পাচ্ছে সারা রাত।
হিন্দু কি জাপানী, জানি না তো তুমি কি,
জানে ঐ দাদাদের গ্যাং,
সাইকেলটা আমি ছেড়ে দিতে রাজি আছি,
পারবো না ছাড়তে এ ঠ্যাং।
চশমাটা খসে গেলে মুশকিলে পড়ি,
দাদা আমি এখনো যে ইশকুলে পড়ি।
কবজির জোরে আমি পারবো না।
পারবো না হতে আমি রোমিও, তাই দুপুর বেলাতে ঘুমিও।
আসতে হবে না আর বারান্দায়।
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না।
পাড়ায় ঢুকলে ঠ্যাং খোঁড়া করে দেব
বলেছে পাড়ার দাদারা
অন্য পাড়া দিয়ে যাচ্ছি তাই ।
রঞ্জনা, আমি আর আসবো না।


রঞ্জনা গানটি শুনতে চাইলে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।


রঞ্জনা গানের সিক্যুয়েল রঞ্জনা- ২

জড়ো হচ্ছে ঝড় কোথাও আকাশে
ছুটছে সবাই আমার আশেপাশে
জানি দাঁড়াবেনা তুমি আর তোমার বারান্দায়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না তোমার পাড়ায়

তুমি জানাবে তোমার মত, দেখাবে না মুখ
শুধু মন্তব্যে ভরে যাবে অর্কূট
শুধু কম্পিউটার আছে, নেই অবসর সময়
তাই রঞ্জনা আমি আর আসবো না তোমার পাড়ায়

হাতে লেখা চিঠি তুমি লেখো নাতো আর
সময় নেই রাস্তায় হেঁটে বেড়াবার
শুধু মুখোমুখি বসে থাকা ব্যস্ত পারিস্তায়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না তোমার পাড়ায়

কালো হয়ে যাচ্ছে আকাশের কোণ
ভেসে যাবে আমার শহর এখন
হাঁটু জলে ফিরে যাবো অক্কুর দত্ত লেন
তুমি আর যাই হও-তুমি নও, বনলতা সেন
তাই মনটা খারাপ, হচ্ছে না আর
প্রেমে আমি ঠিক পড়বোই আবার
লোডশেডিংয়ে বসে লিখে যাবো ঠিক কবিতা
তবু কিছুতেই আমি আর আসবোনা তোমার পাড়া

আমি চেয়েছি দিতে- গোটা জগৎ আমার
তুমি চেয়ে বসলে শুধু- হ্যারি পটার
হয়না কিছুতেই যেটা হবার নয়
রঞ্জনা আমি আর আসবো না তোমার পাড়ায়

নেমে গেছে বৃষ্টি অনেকক্ষণ
ভাসছে আমার কলকাতা এখন
আমি একা-একা ময়দানে ভিজবো অনেকক্ষণ
রঞ্জনা আমি আর ধরবো না তোমার ফোন
আমি একা-একা ঘুরে যাবো ভিক্টরিয়া
একা-একা ফুচকা, একা লেবুচা
তুমি একা-একা ঘরে বসে করে যাও- তোমার চ্যাট
সামনে আমার তেপান...তরের মাঠ

GHULAM ALI KHAN-KARTE HAIN MOHABBAT SAB HI COMPLEAT

GHULAM ALI KHAN-HAMKO KIS KE GHAM NE MARA

AttaUllah Khan With Happy Tabla Player

MERE SHOK DA NAHEN ( GULAM ALI )


ahridwan