[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১২

যে ফুল ঝরে গেল অবেলায়....

=== যে ফুল ঝরে গেল অবেলায় ===
jhora jua fool

সা’দ বিন হাসান। কতইবা বয়স তার! ৭-৮ বছরের অর্ধফোটা গোলাপ। যে বয়সে তার হেসে-খেলে বেড়ানোর কথা, যে বয়সে আব্বু-আম্মু বলে দৌড়ে কোলে উঠার কথা, সে বয়সে সে শুনেছে মানুষের আর্তচিৎকার; মাথার উপর বোমারু বিমানের গর্জন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তটস্থ থাকতে হয় তাকে, এই বুঝি শকুনের দল এলো ওকে ছিনিয়ে নিতে। ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে পাহাড়ের পাদদেশে উদ্ধাস্তু বস্তিতে তার পৃথিবী সীমাব্দদ্ধ। রাতগুলো দুঃস্বপ্নের মত কেটে যায়। মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার দেয় সা’দ, কিন্তু তার চিৎকারে কেউ এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে না- “খোকা, তোর কি হয়েছে?” সে সৌভাগ্য থেকেও সে বঞ্চিত। প্রায় বছরখানেক আগে বোমায় বিদ্ধস্থ হয় তাদের বাড়ি। পুরো পরিবার মারা যায় একসাথে; শুধু বেঁচে যায় সা’দ ও তার ছোট চাচা। সা’দের চাচা তাকে এই বস্তিতে রেখে চলে যায় জীবন বাজির খেলায়, যোগ দেয় মুজাহিদদের দলে। সেই থেকে এই বস্তিই তার পৃথিবী।
আজ সোমবার। সকাল থেকেই সা’দ পাহাড়ী পথের দিকে তাকিয়ে আছে। আজ তার চাচা মনসুরের আসার কথা। প্রতিমাসে একবার মনসুর এসে তার প্রিয় ভাতিজাকে দেখে যায় এবং সেই সাথে তাকে নিয়ে পরিবারের সকলের কবর যেয়ারত করতে যায়; শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে এল। মাথার উপর জ্বলন্ত সূর্যটা যেন আগুনের হল্কা ছড়াচ্ছে। একসময় দূর দিগন্তে ঝাপসা অবয়বে ভেসে উঠল মধ্যবয়সী একজন মানুষের চিত্র। লঘুপায়ে সে এগিয়ে এল সা’দের দিকে। ঘর্মক্লান্ত মুখে তার স্বর্গীয় আভা। সা’দ ”চাচাজান”-”চাচাজান” বলে ঝাপিয়ে পড়লো তার বুকে। পরম মমতায় অনাথ শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে ধরল মনসুর। দু’জনের চোখেই অশ্রুসজল দৃষ্টি, কত চেনা সে আঁখি…….. কত আপন….. ।
ঘন্টা দু’য়েক পরে চাচার হাত ধরে সা’দ তার বাবা-মায়ের কবর যেয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হল। আস্তে আস্তে বিকেল হয়ে এল। একসময় তারা পৌঁছে গেল শহীদদের কবরের কাছে। চিরনিদ্রায় শায়িত বাবা-মায়ের কবরের কাছে দাড়িয়ে সা’দের চক্ষুদ্বয় লোনা জলে ভেসে যায়। দু’হাত তুলে মহান প্রভুর কাছে দীর্ঘসময় দোয়া করে ওরা।
পড়ন্ত বিকেলের সূর্যটা আকাশের শেষ প্রান্তে। ঠিক এইসময় বাতাসে ভেসে আসে বোমারু বিমানের গর্জন। কিছু বুঝে উঠার আগেই ওদের সামনে বিষ্ফোরিত হয় একটি বোমা। সা’দের মুখ থেকে ভেসে আসে একটি করুণ চিৎকার- “আল্লাহ….!!” তারপর সব শেষ। রক্তাস্নাত দেহ দুটি প্রচন্ড যন্ত্রনায় মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকে। গোধূলীর শেষ আলোটুকু ওদের মুখে এসে পড়ে। একসময় ডুবে যায় সূর্য; সেই সাথে ডুবে যায় ওদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন । অবেলায়-অযত্নে পাশাপাশি দু’টি প্রাণহীন দেহ পড়ে থাকে। ঝরে যায় একটি অর্ধফোটা গোলাপ…. । ইরাকের হাজারো ফুল এভাবেই প্রতিনিয়ত ঝরে যায়….. । কিন্তু এভাবে আর কতদিন….!!

আলপনা...





kobitarkhata1.wordpress.com

আলপনা


হৃদয়ের উঠানেতে কত ছবি আঁকা
সাত রঙে সাজানো আলপনার রেখা
ফেলে আসা দিনগুলো সময়ের ডাকে
পবনেতে হারিয়ে যায় দিগন্তের বাঁকে।


এলোমেলো ঢেউগুলো, ধানক্ষেতে খেলা
রঙিন ঘুড়ির সুতোয়, আকাশেতে ভেলা
বৃষ্টির ছন্দে ছন্দে, পিচ্ছিল খেলা
বিকেলের ম্লান আলোয়, শাপলার মেলা।


আযানের সুর-ধ্বনি, সাঁঝের বেলা
আঁধার নামবে এখন, ফিরবার পালা
পড়াঘরে হৈ চৈ, কুপির আলোয়
জ্যোৎস্না-রাত কাটে, স্বপ্নের ভেলায়

আলপনা আলপনা, জীবনের বাঁকে
ফিরো এসো বারবার, কল্পানার আঁকে।

রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১২

ময়ূরাক্ষীর মহানীলে আমি অপর্ণা


ময়ূরাক্ষীর মহানীলে আমি অপর্ণা

ভালবাসা হলো বিশ্বাস
কিছু অব্যক্ত কথা
কষ্ট আর অনুভূতির সমষ্টি
যা কিনা অপূর্ণতাকে বাড়িয়ে তোলে
আর বুকের মাঝে ভবিষ্যতের স্বপ্নকে
লালন করে বাঁচতে শেখায় |
সত্যিকারের ভালবাসা বলতে আমি তাই বুঝি
তোমার ও কি একই অনুভব ?
জানিও আমাকে |
অথচ দেখো , সময়ের নির্মম চাবুকে আজ
আমার বিলাসিতাও যেতে বসেছে
রঙিন পুতুল কিংবা একটা সস্তা খেলনাও এখন
আত্মজের হাতে তুলে দিতে পারিনা
নতুন মলাটের বইয়ের শোভা
চোখের তারা ঝিলিক দিলেও
পরমুহুর্তে তা বিলীন হয়ে যায়
শুধু গন্ধ শুঁকেই নামকাওয়াস্তে চলে আসি এই ভেবে
সামনের মাসে সংসার খরচ টা কোত্থেকে আসবে !
এখন তুমিই বলো আমি কি করে
তোমার-আমার চাওয়া পাওয়ার হিসাবের খাতা; কি করে খুলে বসি
ঝড়ের তাণ্ডবে আজ গৌণ হয়ে গেছে; আমার সুখ গুলি
ধুলো পরেছে সেখানে
ময়ূখের আকুলতায় বৃত্ত-বন্দী আমি
বের হয়ে আসতে চাই সেই বলয় থেকে প্রতিনিয়ত
ছুঁতে চাই তোমায় বারবার
কিন্তু স্পর্শে তুমি কোথায়?
তুমি রয়ে যাও অধরা-অস্পৃশ্য
অনেক ক্লান্তিতে তুমি কি আমার এক কাপ চা হবে ?
চুমুকে চুমুকে সতেজ করে দিও !
জানি ভাবনাতেই আমার সময় গড়াবে
আমার আকণ্ঠ তৃষ্ণা আমার’ই রয়ে যায় |
আমার মাঝে শুধু দুপুরের
ঘুঘু পাখিদের গান বাজে
যে দুপুরগুলোতে তুমি আমায় নিয়ে যেতে
এক আসমান থেকে আরেক আসমানে
সেই পল ছিলো ক্ষণিকের
তবুও এই আশা – নিরাশার ঘ্রাণে
মাঝে মাঝে শুনতে পাই
আমার শরীরের ভিতর তোমার রক্তের গুঞ্জরন |
আমি এই সব ভেবে ব্যথা পাই
তবুও আমার ভাবতে ভালো লাগে যে
আমার নীলাভ আকাশ জুড়ে শুধু তোমার’ই বসবাস
আমার বিছানায় তোমার নির্ভার দেহ , তোমার ঘুমন্ত মুখ
তোমার চোখের কোলে শুকিয়ে যাওয়া ঝরনার পদচিহ্ন ,
তোমার এলোমেলো চুল আর এক নিবির রমণীর আলিঙ্গন
তোমাকে আত্মার আত্মীয় ভাবি |
তাই তোমাকে আর আলাদা করে বলা হয়না ” ভালবাসি “
আমার মৌনতাকে নির্লিপ্ততা ভেবে কষ্ট পেও না
তোমার ব্যথিত দুই চোখে আমি দেখি
আমাকে না পাওয়ার জন্য তোমার কাতর কান্না
আর আমার থাকা না থাকার পার্থক্যে
ব্যবচ্ছেদ করতে না পারার প্রবল ঘোর |
তবুও তুমি বুঝে নিও
আমি আছি তোমার চোখের এক দিঘি জলে
হঠাৎ আনমনা হওয়া তোমার ভাবুক মনে
ময়ূরাক্ষীর মহানীলে কারাবন্দী আকুলতায়।

শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল, ২০১২

কাঁচা আমের টক রসে রঙ্গিন করি মুখ


কাঁচা আমের টক রসে রঙ্গিন করি মুখ

Photobucket
চৈত্রের তাপাদাহে পুড়ছে চারিপাশ, লু হাওয়া বইছে সবখানে। সবুজ মাঠ এখন বিরান ভূমির মতো লাগছে, কোথাও একটুকু ছায়া নেই, নেই শীতল বাতাস, বটবৃক্ষের তলেও খুজেও পাওয়া যায় না সেই মিষ্টি পরশ বুলিয়ে যাওয়া বাতাস বা ছায়া। প্রকৃতি বড় বেহরম আচরন করছে সকল জীবের সাথে। স্কুল, কলেজ, অফিস সব জায়গায় লোড শেডিং নামক দানবের কাছে পরাজিত। এই আছে এই নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা গরমে কাটাতে হচ্ছে মানুষকে। ত্রাহিদাহি অবস্থা প্রায় প্রতিটি প্রাণীর।
চৈত্রের এই মাসে একটু বৃষ্টির বড়ই প্রয়োজন এখন আর সাথে প্রয়োজন এমন কোন মুখরোচক খাদ্য যা মনকে প্রফুল্ল করে। চৈত্রের পরে আসবে বৈশাখ, ঝড় বাদলায় কেটে যাবে মুহুর্তগুলো। চলবে আম কুড়ানো পালা, বাড়ীতে বাড়ীতে কাচা আমের আচার আর মোরোব্বা বানানোর আয়োজন শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু এই চৈত্রেই যদি দেখা মেলে এমন খাবারের মন্দ হয় না কি বলেন আপনারা।
অফিসে যাওয়া আসার পথে কয়েকদিন ধরে দেখছি সবুজ সবুজ একটি ফল। দেখা মাত্র জ্বিভে জল চলে আসে। মনটা আনচান করে। কখন তাকে হাতে পাবো কখন তাকে মজা করে খাবো। আজ সকালটা প্রচন্ড রোদ যেমন উঠেছে তেমনি কাজের পাহাড় নিয়ে শুরু করেছি দিনটাকে। সকালে এই রোদে কাজের চাপে যখন জানটা যায় যায় অবস্থা রাস্তায় ভ্যান গাড়ীতে দেখলাম এক লোক লেবু আর কাচা আম নিয়ে বসে আছে। আর তর সইলো না। গাড়ী থামাতে বলে নিজেই গেলাম সেই মহা বিক্রেতার কাছে। লেবুর হালি কতো ভাই?? একদাম ৩০টাকা। রস হবে তো?? হইবো না মানে কাইট্টা লইয়া যাইবেন, রস না হইলে টাকা ফিরত। আর আমের কেজি কতো, একটু ভয়ে ভয়ে জানতে চাইলাম। পান খাওয়া দাত বার করে বলল মাত্র ১২০টাকা একদাম। একটু কমবে না ভাই। না আফা। এখন আম বহু দূর থাইক্কা আনতে হয়। কি আর করা। “ভোজন বিলাসী বাঙালী” এই সুনামতো আমাদের আছেই। ঠিক আছে এক পোয়া দেন। নিজে বেছে বেছে দিলাম উঠল ৫টা। তবে একপোয়ার বেশী হয় একটা কমাতে হবে, একপ্রকার জোর করে একটা আম বেশী নিলাম। গাড়ীতে বসেই শুরু হল কাচা আম খাওয়া। আহা কি যে সুখ বলে বুঝাতে পারব না। এই সুখ করে খাওয়া অনেক দিন পরে খাচ্চি।
Photobucket
একটা আম খেয়ে বাকী গুলো ড্রাইভারকে অফিসে গিয়ে মাখিয়ে দিতে বললাম। এখানে বলে রাখা ভাল আমাদের এই ড্রাইভার বেশ ভাল রান্না জানে। আমার কাছে সে ট্রেনিং নেয় রান্নার। আজ প্রায় তিন বছর সে আছে আমাদের সাথে। তাই সে জানে আমি কি রকম খাবার পছন্দ করি। কিভাবে আম মাখাতে হবে কারণ এই তিন বছর প্রতিবছরই তাকেই আম মাখাতে হয় আমার জন্য। শুধু আম ই নয় কিছু দিন পরে জাম উঠবে আর এই জাম খাওয়া চলবে প্রতিদিন। আর ড্রাইভার মাখিয়ে দিবে মজা করে। আপাতত লবন, চিনি আর কাচা মরিচ দিয়ে মাখানো হয়েছে পরে কাসুন্দি দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া হবে যখন আম উঠবে ঠিক মতো বাজারে।
অফিসে ফিরে তাড়াতাড়ি নামাজ পড়ে আম মাখা খেতে বসে গেলাম। তখনই মনে হল আপনাদের একটু লোভ লাগাই। চট করে লিখে ফেললাম পোষ্টটা।
Photobucket
বাসায় গিয়ে বউ, বোন মা কে বলুন এই রকম আম মাখিয়ে দিতে আর মজা করে খান দেখুন রসনার পূর্ণ তৃপ্তি পাবেন হৃদয়ে। আর যারা নারী কূলের বাসিন্দা তারা নিজেরা কিনে নিয়ে মাখিয়ে খেতে পারেন। তবে এটা সত্যি এই গরমে যতো টক আর তিতা খাবেন গরম ততো কম লাগবে আর শরীর ভাল থাকবে।
আমি মজা করে খাই। আর আপনারা আপাতত জ্বিভে পানি আনুন আর পোষ্টটা পড়ুন তবে কেউ নজর দিবেন না দয়া করে। ।

চৈত্রের শেষ দুপুর এবং প্রথম প্রেমের চিঠি...


চৈত্রের শেষ দুপুর এবং প্রথম প্রেমের চিঠি...

ক. প্রথম প্রেমের চিঠি /যেদিন তোমার মায়ের হাতে পড়লো ধরা/ সেদিন থেকে তোমার উপর/ দৃষ্টি রাখা হলো কড়া/ বন্ধ হলো লেনদেন মেলামেশা…
খ. পহেলা বৈশাখ, হাওয়ায় উড়িয়ে রঙ্গীন ঘুড়ি/ বাসন্তী রঙা শাড়ি অবিনাশী শব্দ ভালবাসি/ কত কথায় তো ছিল বলার/ সময় হলো না কারো দু-দন্ড মুখোমুখি বসবার…
প্রিয় কন্ঠ শিল্পী নাফিস কামাল ভাইয়ের গাওয়া গান দুটোর মতো বাস্তবে ধরা দেয়নি। একটু ভীন্নতা ছিল। ছিল ভয়। ১৪০৮ বাং সনের চৈত্রের শেষ দিন। শেষ দুপুর। আকাশে সাদাকালো মেঘের আনাগোনা। ছুটছি দল বেঁধে। হাতে নিমন্ত্রণপত্র। উপলক্ষ ১৪০৯ কে বরণ করে নেওয়া। বরাবরের মতো বরেন্দ্র সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে আরো একটি বর্ষবরণের সম্মিলিত প্রচেষ্টা। কোন ক্লান্তি নেই। ছুটছি। কাকতালীয় ভাবে দেখা হয়ে গেল সেলিম ভাইয়ের সাথে। ব্যাগ থেকে চিঠি বের করেই বললেন, এই ঠিকানাটা খুঁজে পাচ্ছি না। তাচ্ছিল্য ভরে হাতে ধরা। চমকে উঠা। আমার বলেই রেখে দিলাম পকেটে। আবারো দল বেঁধে ছুটে চলা। ব্যস্ততার কারণে চিঠিটার কথা ভুলে বসেছিলাম। মাঝরাতে মনে পড়তেই খামবন্দি চিঠিটা মেলে ধরা। পড়া। নতুন এক স্বপ্নের পথচলার শুরু সেই থেকে। স্বপ্নীল শ্রাবন্তীর বিরতীহীন লেনদেন শুরু। থেমে থাকেনি। দূরত্ব বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ১৪০৮ এর চৈত্রের শেষ দিনে হাত স্পর্শ করা চিঠিটার মাধ্যমেই জন্ম এক নতুন অধ্যায়ের। আবারো আসছে আরো একটি চৈত্রের শেষ দিন, শেষ দুপুর। আরো আসবে, যাবে। বয়স বেড়ে যাবে। এমনি করে বার্ধক্য আমাদের জড়িয়ে ধরবে। আজো স্মৃতিতে জমে আছে সেই চৈত্রের দুপুরে হাতে আসা প্রেমের প্রথম চিঠি।
চৈত্রের শেষ দিনটাতে এখন আর শ্রাবন্তীর জন্য ছুট দেওয়া নয়, নিষ্পাপ দুটো অবয়ব হাতছানি দিয়ে ডাকে। তাইতো ক্লান্তিকে উপেক্ষা করে অস্থির হয়ে উঠা, হৃদয়ের ক্যানভাসে আঁকা খিলখিল বুড়ি আর লিল’পরী, কখন ফিরবো বাড়ী…
বিলাসীর চুখে জ্বল ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যকে জানাই বাংলা নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা।