[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১২

আমি ও আমার বেয়াড়া গরু



আমি ও আমার বেয়াড়া গরু

আমি এক বেয়াড়া গরু পালি, আজ অনেক বছর
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজে না খেয়ে, আগে তার খাবার সাজাই
নিজে মুখ ধোয়ার আগেই,
তার গামলায় পানি আছে কি না দেখি।
খইল, ভূশি ও শুকানো ঘাস কেটে তার পিপা
তৈরী করি সযত্বে, অফিসে যাবার আগে।
অফিসে বসে কাজের ফাঁকেও মাঝে মাঝে তার
শরীরের খেয়াল রাখি, ফোন করি।
অফিস থেকে ফিরে কাপড় বদলেই,
আগে তার দিকে তাকাই, চোহারা মলিন কিনা,
হাত ডুবিয়ে দেখি, পিপায় পানি আছে কি না।
রাঙ্গা চোখ দেখে গলায় হাত বুলাই, আদর করি।
রাতে শোবার আগে, আবারো তার কাছে ফিরে যাই,
দরজা, জানালা বন্দ আছে কিনা, মশা তাড়াতে কয়েল জ্বালাই
আগামী কালের মেনু তৈরী করি মনে মনে,
ঘুম থেকে উঠেই যেতে হবে, চরে – ক’দিন সবুজ ঘাস নেই ঘরে।
যখনই চোখ দুটো লেগে আসে, তার হাম্বা ডাকে উঠে দাঁড়াই।
কাছে যাই, কি আনন্দিত আমার রুপসী বেয়াড়া গরু!
এই মধ্যরাতে আমাকে জ্বলাত্বন করে, কি সুখ সে পায়,
ফিরে আবার চোখ মুদি, আবার হাম্বা, এভাবেই রাত কাটে!
এই আমার বোয়াড়া গরু,
আমি ভালবাসি বলে
আমাকে জ্বালিয়েই তার সমস্ত আনন্দ
আমাকে জ্বালিয়েই বুঝি তার সুখ!
বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, তাকে ছাড়া আমি বাঁচব না,
বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, তার পিছনে পড়া থাকাই আমার সাধনা।
বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, আমার জীবনের মূল্য,
বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, তাকে ছাড়া আমার জীবন শুন্য!

কবিতাগুলো...০১



।আমার পথ আমিই

আমার পথ আমিই ধরেছি আমিই চিনেছি আমিই হেঁটেছি আমিই কেটেছি টুকরো টুকরো ফালাফালা। আমার জীবন আমিই কেটেছি আমিই কিনেছি আমিই বেঁচেছি আমিই বদলেছি ইচ্ছেমত সাদাকালা। পথের আবর্তে হারালে পথ দেখেছি আবার সূর্যোদয়। পথভাঙাশ্রমে থামালে রথ, জেনেছি জীবন হচ্ছে ক্ষয়।

।নর্দমা খুড়ে যদি

নর্দমা খুড়ে যদি পেয়ে যাও নদী
সত্য কহি, তোমাকে দখল দেবো গদি।


।সবুজ আর নীল

সবুজ আর নীল যমজ দু’বোন
সবুজের প্রেমে আমি হয়েছি খুন।


।চলো তবে আবার

ঠোকা দিয়ে গেলো একপশলা রিনিঝিনি হাওয়া। দখিনের জানালা খুলে বসেছিলো আগন্তুক কার অপেক্ষায় মনে পড়ে না। মেসেঞ্জারে প্রিয়তম অক্ষরগুলি শব্দবন্দি হলে এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠে তাহারছায়া—প্রিয়প্রিয়
মুখ। স্নিগ্ধ বাতাস খেলে খেলে, খেলে খেলে যায় দখিনের আরো দূরে নগরীর নষ্ঠ আস্তানায়—সঙ্গী হয়ে থাকে রোদের নরোমকণা, বালুকাবেলা। যে পথে হারিয়েছে বন্ধুতার ধূলোবালিছাই, চলো তবে আবার সেপথে হারাই।


।অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল

যে কথা রাখেনি কেউ সে কথা রাখবে বলেছিলো তারা
ইতিহাস ভুড়ি ভুড়ি মিথ্যে কথায় ভরা
পৃথিবীতে যত জন্মেছে মানুষের হাহাকার
তার থেকে বেশী হয়েছে মিথ্যের প্রচার
কথা রাখানারাখা কখনোই মনে রাখেনি মানবের দল
তাই তারা অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল।


।প্রেমের তীর্থ গড়ে ভেঙেছে সমূল

অনায়াসে ছেড়েছি তোমার হাত—অধিকারের প্রশ্নে দ্বিধান্বিত কেঁপেছি আমূল। বৃক্ষ হয়ে কি লাভ—বরঙ বৃক্ষের ভিতরে দেই প্রাণের স্পন্দন। এইভাবে বুঝেছিলো প্রেমিক পুরুষকূল, প্রেমের তীর্থ গড়ে ভেঙেছে সমূল।

।রঙধনু বিলাস

কাঁথার ভাঁজে কথার সিম্ফনি—শুনি নাই দুহাত ভরে। অপেক্ষা মধুর হবে এমন মন্ত্র বলে শুধিয়েছি অমলার করুন বিলাস; দেখা হয়নি দুচোখের পারস্পারিক ক্রিয়া। অন্ধ কি জানে- তার চোখে ফোটে ফালিফালি রোদ, চষ্ণুতে জমা হয় জলের সরোদ; কিংবা যে চোখে রঙ নেই সেও জানে রঙধনু বিলাস।

।কর্পোরেট সকাল

ভুলে যাই ত্রস্ত পায়ের ছাপ, পাগলাটে রেডিওটা পড়ছে ট্রাফিকজ্যাম। ডিজিটাল সাইন জুড়ে হামুখো দীর্ঘশ্বাস। মোবাইলটা শেখাচ্ছে নিউ ব্রাণ্ডের ঠাকুরমার ঝুলি। উদ্ধত তাহার চাহন দখল করে নেয় চিন্তার গতিপথ। পথের
ভারে শ্রান্ত পথিক ছাড়ছে হাহাকার।


।নিশিপুর

নিশিপুর ঘুমক্লান্ত চোখের ভিতর স্বপ্নের মায়াবেড়ী হয়ে জেগে থাকে অষ্ট্রপ্রহর। নিশিপুর আমারও আছে মনোভূমি জুড়ে—নিয়ত ফসল ফলাই উতকৃষ্ট চাষী। নিশিপুরে যাবার তাড়না নেই বস্তুত গন্তব্যে যাওয়ার তাড়া
থাকে না; দিনশেষে বাড়ী ফেরা স্বনিয়মেই ঘটে।


১০।সঙ্গমের তৃপ্তি নিয়ে

তুমি ঘুমে নাশ, আমি ঝিমুচ্ছি হাসফাস। সঙ্গমের তৃপ্তি নিয়র তোমার কি আকুল ঘুম, তুমি নয় তোমার ঘুমন্ত শ্বাসেই আমার সহবাস।

১১।সিরাজুলকে…

হঠাত থমকে যাওয়া চোখ
বিস্ময়ে বিমুখ
সকলে অচেনা নয়—
কিছু আছে চেনা চোখ
কিছু চেনা মুখ।

হাওয়াপাখি ভুলে গেছে



হাওয়াপাখি ভুলে গেছে
হাওয়াপাখি ভুলে গেছে সলাজ নীড়ের বাঁধন,
 দুপুরের খাঁ খাঁ বুকে ভাঙছে নির্জনতা।
কুসুমের ডানা ভেঙে ঝরে গেলে পাপড়ির মনোলোভা ঘ্রাণ,
 আর্তনাদ করে কাঁদে মৌবনের ঝাঁক।
পত্রসামিয়ানায় ধরে বৃক্ষের ওম;
ডালপালা ধরে রাখে মমতার হাত।
ধুসর বিকেল তার ভুলে যায় লালিমার অবিনাশী ডাক;
 হাওয়াপাখি ফিরে তার নীড়ে।
ফিরে গেছে সখী তার সনাতন প্রেমিকের ভিড়ে।

লিরিক: কিছু অনুভব



লিরিক: কিছু অনুভব
কিছু অনুভব
কিছু নাজানা সব
তোমার আমার মাঝে গড়বে দেয়াল
কিছু আকুলতা
কিছু ব্যকুলতা
তোমার আমার মাঝে ভাঙবে দেয়াল



কিছু ভালোলাগা সুর
কিছু নরোম নরোম ভোর
তোমার আমার মাঝে দাঁড়াবে হেয়াল
কিছু বিমূর্ত ঘোর
কিছু ভাঙা চুরচুর
তোমার আমার মাঝে বাড়াবে খেয়াল



কিছু চোখভাঙা ঘুম
কিছু রাতের নিঝুম
তোমার আমার মাঝে গড়বে খেয়াল
কিছু স্বপ্ন অকারণ
কিছু স্পর্শলাগা মন
তোমার আমার মাঝে ভাঙবে দেয়াল
আর গড়বে দেয়াল…

যাচ্ছি আমি বহুদূরে


যাচ্ছি আমি বহুদূরে


দাঁড়িয়ে আছি তোমার দ্বারে
 যাচ্ছি আজ আমি চলে
 জানাতে তোমায় বিদায়....
 ভাঙ্গাতে চাইনা আর তোমার ঘুম
 যেন এখন রাত নিঝুম...
 মনের মাঝে কি যেন কাঁদায়
 ধরো আমার হাত দুটো
 মুছে দাও অশ্রুগুলো..
 দাও আমায় হাসিমুখে বিদায়
 যাচ্ছি আমি বহুদূরে
 তোমায় একাকী ফেলে
 এই মন যে মানে না....

 কতবার দিয়েছি কষ্ট ,তোমার ঐ হৃদয়ে
 ভুলে যাও সেই সব অতীত
 যেখানেই যাব আমি, হৃদয়ে থাকবে তুমি
 আসবো ফিরে তোমারই জন্য...

 ধরো আমার হাত দুটো
 মুছে দাও অশ্রুগুলো
 দাও আমায় হাসিমুখে বিদায়.....
 যাচ্ছি আমি বহুদূরে
 তোমায় একাকী ফেলে
 এই মন যে মানে না.......
 .
 .

বুধবার, ১৩ জুন, ২০১২

অশ্বারোহী প্রেমিক প্রবীর



অশ্বারোহী প্রেমিক প্রবীর

আমি সাহারা মরুভূমি হতে
হেঁটে আসা কোন বিভ্রান্ত
পথিক নই, আমি প্রেমিক পুরুষ
এসেছি এখানে প্রেমের দাবী নিয়ে।
আমি নই কোন সুনামি কিংবা
ঘূর্ণিঝড়ে সব কিছু হারানো
কোন এক উদ্বাস্তু তরুণ,
আমি হলাম প্রেমিক প্রবীর।

আমি পরাহত নই, তবে
আজও বিজয়ের মালা ছিনিয়ে
আনতে পারি নি। আমি যোদ্ধা।
আমি প্রেমের পথে উন্মুক্ত তরবারি
হাতে যুদ্ধ করে যাই, তোমার জন্যে।

আমার কামনায় বাসনায় কিংবা
জাগ্রত চেতনায় আছো তুমি,
তোমার জন্যেই আজও অশ্বারোহী
হয়ে উন্মুক্ত নেশাখোর মাতালের
মত, নগ্ন তরবারি হাতে ছুটে
চলেছি পূর্ব হতে পশ্চিমের পথে।
চোখে নেশা-তুর স্বপ্ন তোমাকে
জিতে ছিনিয়ে আনবো বলে।