বিষন্নতার কালো ছায়ায় আজ আমার পৃথিবী অন্ধকার কেউ বুঝে না নীলিমা আমাকে অক্ষমতার অপরাধে স্বজন-সমাজ কানে বাজে সব ঝাঁঝালো কণ্ঠ প্রকট উত্তাপে-হতাশায় পুড়ে পীড়িত হই আমি ।
জানিনা এ থেকে কবে আমি পাব পরিত্রাণ তোমাকে কি দিবো বলো ? এই অক্ষম আকাশ তোমার আকাশ নিয়তি নিয়ন্ত্রিত মানুষ আকাশের প্রাপ্তির ঝুলিতে আছে হতাশা আর অপ্রাপ্তি রঙের রঙ্গিন ফানুস …………..
নীলিমা আজ তোমার চোখে আর পারিনা থাকতে তাকিয়ে কেন জানি স্বপ্নের তীর শুধু গেঁথে যায় এই বুকে সিঁধিয়ে………
যান্ত্রিক জীবনে কত কিছু যে দেখছি সব কিছু বদলে যাওয়া কেমন জানি হাঁশপাঁশ করা হাওয়া ।
তোমার চোখের গভীরে যে শান্তি আমি খুঁজে পেতাম তা যেন মলিন হয়ে গেছে প্রকৃতির বৈরী বাতাসের ঝাপটায়……
ক্ষমা করো নীলিমা……… ক্ষমা করো এই অক্ষম আকাশকে বেকারত্বের অভিশাপে তোমার আকাশ আজ জর্জরিত…..অসহায় স্বজন-সমাজকে যে পারেনি কিছু দিতে তোমাকে কি দিবে সে? তাই এসো না আর এই অক্ষম আকাশের ছায় । ============================================
গল্প কবিতায় এই বারের বিষয় ছিল প্রিয়ার চাহনি কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না…….কি লিখবো । অবশেষে একজনের নাম দেখে নামটি পছন্দ হওয়াতে ছেলে হয়ে লিখে ফেললাম কবিতাটি………তাও খুব অল্প সময়ে
আমি এক বেয়াড়া গরু পালি, আজ অনেক বছর সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজে না খেয়ে, আগে তার খাবার সাজাই নিজে মুখ ধোয়ার আগেই, তার গামলায় পানি আছে কি না দেখি।
খইল, ভূশি ও শুকানো ঘাস কেটে তার পিপা তৈরী করি সযত্বে, অফিসে যাবার আগে। অফিসে বসে কাজের ফাঁকেও মাঝে মাঝে তার শরীরের খেয়াল রাখি, ফোন করি।
অফিস থেকে ফিরে কাপড় বদলেই, আগে তার দিকে তাকাই, চোহারা মলিন কিনা, হাত ডুবিয়ে দেখি, পিপায় পানি আছে কি না। রাঙ্গা চোখ দেখে গলায় হাত বুলাই, আদর করি।
রাতে শোবার আগে, আবারো তার কাছে ফিরে যাই, দরজা, জানালা বন্দ আছে কিনা, মশা তাড়াতে কয়েল জ্বালাই আগামী কালের মেনু তৈরী করি মনে মনে, ঘুম থেকে উঠেই যেতে হবে, চরে – ক’দিন সবুজ ঘাস নেই ঘরে।
যখনই চোখ দুটো লেগে আসে, তার হাম্বা ডাকে উঠে দাঁড়াই। কাছে যাই, কি আনন্দিত আমার রুপসী বেয়াড়া গরু! এই মধ্যরাতে আমাকে জ্বলাত্বন করে, কি সুখ সে পায়, ফিরে আবার চোখ মুদি, আবার হাম্বা, এভাবেই রাত কাটে!
এই আমার বোয়াড়া গরু, আমি ভালবাসি বলে আমাকে জ্বালিয়েই তার সমস্ত আনন্দ আমাকে জ্বালিয়েই বুঝি তার সুখ!
বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, তাকে ছাড়া আমি বাঁচব না, বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, তার পিছনে পড়া থাকাই আমার সাধনা। বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, আমার জীবনের মূল্য, বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, তাকে ছাড়া আমার জীবন শুন্য!
আমার পথ আমিই ধরেছি আমিই চিনেছি আমিই হেঁটেছি আমিই কেটেছি টুকরো টুকরো ফালাফালা। আমার জীবন আমিই কেটেছি আমিই কিনেছি আমিই বেঁচেছি আমিই বদলেছি ইচ্ছেমত সাদাকালা। পথের আবর্তে হারালে পথ দেখেছি আবার সূর্যোদয়। পথভাঙাশ্রমে থামালে রথ, জেনেছি জীবন হচ্ছে ক্ষয়।
২।নর্দমা খুড়ে যদি
নর্দমা খুড়ে যদি পেয়ে যাও নদী সত্য কহি, তোমাকে দখল দেবো গদি।
৩।সবুজ আর নীল
সবুজ আর নীল যমজ দু’বোন সবুজের প্রেমে আমি হয়েছি খুন।
৪।চলো তবে আবার
ঠোকা দিয়ে গেলো একপশলা রিনিঝিনি হাওয়া। দখিনের জানালা খুলে বসেছিলো আগন্তুক কার অপেক্ষায় মনে পড়ে না। মেসেঞ্জারে প্রিয়তম অক্ষরগুলি শব্দবন্দি হলে এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠে তাহারছায়া—প্রিয়প্রিয় মুখ। স্নিগ্ধ বাতাস খেলে খেলে, খেলে খেলে যায় দখিনের আরো দূরে নগরীর নষ্ঠ আস্তানায়—সঙ্গী হয়ে থাকে রোদের নরোমকণা, বালুকাবেলা। যে পথে হারিয়েছে বন্ধুতার ধূলোবালিছাই, চলো তবে আবার সেপথে হারাই।
৫।অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল
যে কথা রাখেনি কেউ সে কথা রাখবে বলেছিলো তারা ইতিহাস ভুড়ি ভুড়ি মিথ্যে কথায় ভরা পৃথিবীতে যত জন্মেছে মানুষের হাহাকার তার থেকে বেশী হয়েছে মিথ্যের প্রচার কথা রাখানারাখা কখনোই মনে রাখেনি মানবের দল তাই তারা অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল।