[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১ জুলাই, ২০১২

রাজ-দহন......


রাজ-দহন......



আমার অনুরাগে দহন হয়ে
কখনো থমকে দাঁড়াতে পারো;
তাতে পরে থাকা ব্যথার কুড়িয়ে
চলতে থাকা ব্যায়াম, পরের পৃষ্ঠায়
স্বাগমন ধারণ করতে পারে ।
সেখানে কোথাও বহুযুগের তোমার
উপোষ ভাঙ্গতে পারে, আমার
-- নিরামিষ দাঁতে ।
রং দিলেই যদি নাম বদলায়
তাহলে আমার অঙ্গে আগুন জালিয়ে
পথ দেখার ব্যবস্থাপনায় বিরত থাকতাম,
বরং, আবেগের ভড়ং দেখার জন্য,
কাল-কুঠুরির রাজা সেজে গোটা
ছাদ টা জয় করতে নামতাম না ।
আমার পায়ে রোদ সইল না,
রাজত্ব গেল তাই,
আমার আগুন জলে মন সাদা হল না,
রাজকন্যাও রঙিন জলছবি তাই ।
আমি শুধু প্রান্তদেশের পটুয়া,
লিখছি হলুদ রঙের গান,
খাতা কলমের ভিড় করা আবদারে
খিড়কির বাইরে, ঝুলন্ত অর্ধেক ছাদে,
আমার জলসা নামে পায়রা নাচে,
আজ
---- আমি রাজা পূর্ণ পোষাকে ...।।

শনিবার, ২৩ জুন, ২০১২

দেহ # ৬

দেহ # ৬




আমার শরীর কাঁদে শেষবেলায়
নিরাপদ ঘরে,
যেখানে কান্না গুলো রাখে
অনাদর ঝড়ে।
শেষমেশ হেরেই গেলাম
তোমার জাগরণের খেলায়,
তুমি আজও ঘরময় রাখো
আমার আবদার মেলা,
শুধু আমার কাছে নেই
প্রশ্ন আরও কিছু
বেঁধে নিতে কয়েকটি ক্ষণ
আরও তোমার চোখে,
সেখানে আমি হলুদ রঙে
একটা লোভের ছবি;
কখনো ভাবোইনি আমায়
যা তোমায় আমি ভাবি,
আমি গর্ব, আমি অলঙ্কার,
তোমার অঙ্গে মিশিয়ে
তবু আমি পোড়া ছাই
দিন শেষে, ওই আলোয়ানে,
আজ সমাপ্ত এই কাহিনী
তুমি, আমি কিম্বা সে,
আজ অনিমেষ পলকে নীল তুমি
আমার অচ্ছুৎ শরীর দেশে...।।

এলোকেশী পত্র (লিপিকা # ১)



এলোকেশী পত্র (লিপিকা # ১)


এলোকেশী,
পত্রখানি আজি মোর
তোমার নূতন সাজে,
রাঙা সিঁথির তলে রাখা
চোখদুটি লাজে ।

এলোকেশী,
চললে কোথা
দুরের মাঠ পানে,
চঞ্চলতা বয়ে বেড়াও কেমন
এখনো এ মনে ।

এলোকেশী,
ঝড়ে উড়ায় আঁচলখানি
দুর্বার গতিময়
তুমি বৃষ্টি ভেজা সবুজ
রঙের দাবি রাখি আমি ।

এলোকেশী,
বারান্দার গরাদ ঘর
অন্তরের তুমি কলরব,
শিশির ভেজা ঘাসের 'পরে
চোরা কাঁটার আদর ।

এলোকেশী,
তুমি শুভ্র, নির্মল,
ছুঁতে চাই, তবে বেহিসেবি
পাপ পুণ্যের কোনধারে
কাঙাল ফেরে রবি ।

এলোকেশী,
আজ দুদণ্ড থেকে যাও
এ অজাতের ঘরে,
ভালবাসার পাত্র ভরে দেব
আবেশ, তোমায় পাওয়ার
-- কল্পনার সুরে...।।

বিদ্যুৎ ঘাটতি........

 
 
বিদ্যুৎ ঘাটতি........

আমি জানি তোমার আয়োজন কম নয়,
তবু মশারির ভেতরে রাতের অপেক্ষায়
তোমার শরীরের ঘামের গন্ধ,
আজ শুধুই যৌনতা মনে হয়...।
তোরজোড়ে, বিড়ম্বনায়, সে মেকী;
অশ্লীল বলতে তাকে ইচ্ছে হয় ।
কেন বলে ওঠ তুমি...।
কেবলই অবাক হই, তোমার প্রশ্নবানে
ভাবি একি তোমার বাৎসল্য
আমার বুকে আঁচড় কেটে;
চার দেওয়ালে ঢেকে তাকেই তো
নিয়ে করি উল্লাস, যা নিষিদ্ধ,
যা অন্যায় বলে ডাকে সবাই,
যা ঘেন্না করে... আমার শিক্ষা,
তবে কেন ঢাকি, আমার কামনা,
কি বাধা মিলনে, কিছু শিখে রাখা
অকারন শব্দে তাকে দূরে ঠেলে ??
কি ভুল ছুঁয়ে যদি দেখি তোমায়
রোদের আলোর মাঝে,
কি অন্যায় যদি তোমার ঠোঁটে
খিদে পায়, ইট বালির স্তম্ভের বাইরে,
আমার লজ্জা নিবারনের পোশাক খানি
অনেক দামি, আমায় আদর দিয়ে ঢেকে রাখে,
দেওয়ালের নেই প্রয়োজন, জানে সে আমায়;
আর জানে ----
প্রাচীর প্রান্তে শুধুই নিষিদ্ধকরণের বিরোধিতা হয়,
সেখানে রাত ঢেকে যতই হাত ধর,
ভালবাসা...... বিদ্যুৎ ঘাটতি মনে হয়...।।

একলা রবি......



একলা রবি......

কেউ মোর ডাক শোনে আর না
-- তাই একলা চলি রে ।
আমার একলা পথের একলা পথিক
একলা আমি, আমার খেয়ালে,
যদি পরান চায়, একলা এসো
একলা ঘরের একলা মন্দিরে ।
কেউ মোর ডাক শোনে আর না
-- তাই একলা চলি রে ।
অভাগা নাম যে আমার, কপাল
দোষে একলা হলেম, তোমার ভিড়ে,
তবু মন রে চায়, উড়তে বাধা,
দেয় বারেবার পরান আমার,
একলা থাকার দায়ে ।
কেউ মোর ডাক শোনে আর না
-- তাই একলা চলি রে ।
একলা আমার যাত্রা শুরু,
একলাই তো শেষ, তবু মন রে
মরে কেদে কেদে, কিসের সেই খোঁজ,
একলা দুপুর, একলা ঘেমে, একলাই তো রই
তবু অবুঝ মনের কিসের খেলা
একলা কেন ভয় ।
একলা হতেই চেয়েছিলে তো,
আলোর বাতির কাছে, লাজ তবে
তুই রাখিস কেন মনের মাঝে সাজে,
একলা আধার সেও যে আসে, সুজ্যি টারে ফেলে
তাই একলাই চল মরণ ধরি,
নতুন খেলার ছলে ।
কেউ মোর ডাক শুনে আর না
-- তাই একলা চলি রে...।।

স্বচ্ছ যবনিকা.........


স্বচ্ছ যবনিকা.........

যদি অগোছালোই রাখার হত, রাখতাম কেন,
বিস্মৃতি তো অনেক সহজ আবেগ ছিল,
সেখানে প্রতিনিয়ত, সাজানো নৈবেদ্যর
টুকরো গুলোয়, পচনের কান্না হয়ও না ।


যেখানে বিশ্বাসের গরাদখানায় একবার
পারদের মত বিষ হয়ে ঢুকেছিলে, সেখানে
আজও শ্মশানের চিহ্ন আঁকতে না পারার
আমার অক্ষমতাটাই আজ ভীষণ দৃষ্টিকটু,
কারণ তুমি ভিন্ন, তোমার ধারনা আজ
স্বয়ম্বর সভায় বিকনোর অপেক্ষায় দাম গুনছে,
ভাগ বাটোয়ারা খেলতে খেলতে
ক্লান্তিহীন দুটো লাল চোখের দুর্বোধ্যতা
তোমায় দূর করছে ; হারিয়ে নিয়ে চলছে ;


আমার সাদামাঠা গরীব জীবনে তোমার
এই অভিনয় একবার পরদা নামিয়েছে,
বলতে পাও, যবনিকা আজ সত্যি উধাও??
তবে বানাতে কেন বল আবেগ, কেন বল
আবেগ গুলো কুড়িয়ে এনে সাজাতে ??
পারবে তার মাঝে তুমি, আসীন হতে ??
আমার রচনা দীর্ঘ হোক, তুমি হও স্বচ্ছ ;
আমার জেগে ওঠা প্রশ্ন গুলোর উত্তর হয়ওনা,
হও একাত্ম, আমার মৃত্যুর পড়ে যেন,
আমি লিখে যেতে পারি, তুমি সেদিন,
বাকি সবার ভাগের মাঝে, শুধু আমারই ছিলে .........।।