[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১২

টিপ


টিপ
মনে পড়ে সেই যে আমাদের
গভীরতম সুখগুল বুকেনিয়ে রোদেলা দুপুরে
হেঁটে যাওয়া।
...
বৃষ্টি ধোয়া কোন মেঘলা বিকেলে টিএস সি
কিম্বা কলা ভবনের মাঠে বসে
গল্পে মেতে ওঠা।
কথা না থাকা অনেক কথার
ফুলঝুরি ছোটা অচৈতন্য সময়
তোমার মুগ্ধ দৃষ্টির লূটোপুটি
আমার দুরন্ত লাল টিপে।

অতিক্রান্ত এক যুগ পড় আজো
যেন তেমনি সময় স্থির!!
তোমার বিচলিত দৃষ্টি
আর সব মুগ্ধত থমকে আছে
সেই লাল টিপে ......।

শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১২

আক্ষেপের অট্টহাসি


আক্ষেপের অট্টহাসি
কক্ষ পথে ঘুরতে গিয়ে
বক্র পথে দূর….
তোমার আমার মিলন রেখা
সাত সমুদ্দুর।

হিসেব থেকে অংক গুলো
তারার মত খসে….
তবু আমার সরল গনিত
তিন ব্রাকেটে বসে।

অগ্র বুজি পিছন তাকাই
চলার পথে বাঁক….
আমার চোখে গভীর রাতে
হাজার তারার ঝাঁক।

চিকন চোখের গাঢ় কাজল
তোর ঘরে বিন্যাস….
আমার শুধু ধুত্রা ফুলে
জীবন হা হুতাস।

রেলিং ধরে দারিয়ে থাকি
মনের কোনে বিষ….
উদম চোখে ভাবনা ভাবায়
ঠোটেঁর কোনে শিস।

ভালোবাসা


ভালোবাসা
ভালোবাসা কি?
সংজ্ঞা খুঁজে যাচ্ছি
ডিকশনারির পাতা ঘেটে শেষ করে ফেলেছি
নেট এ খুঁজে যাচ্ছি সেই কত কাল ধরে
এখনো জানতে পারি নি
ভালোবাসা কি।

তোমার সাথে কথা না হলে যে কষ্ট হয় বুকে
তার নাম কি ভালোবাসা?
তোমায় না দেখলে মনটা যেমন উদাস হয়ে ওঠে
সে কি ভালোবাসা?
তুমি অভিমান করলে মনের মাঝে যে উথাল পাথাল ঝড় বয়ে যায়
তার নামই কি ভালোবাসা?
তোমায় খুঁজে না পেয়ে যে ছন্নছাড়া দিন কাটাই
তাকে কি ভালোবাসা বলে?
কি জানি
কিছুতেই ভালোবাসার মানে বুঝতে পারি না।
কেও বলে ভালোবাসা একটা অনুভুতি
যা চাইলেও পাওয়া যায় না,
আবার অনেক সময় না চাইতেও পাওয়া যায়
কেও কেও এত বেশি পায় যে ভালোবাসার যন্ত্রণায় অস্থির হয়ে যায়;
যেমন তুমি।
আবার অনেকে ভালোবাসা না পেয়েও যন্ত্রণায় কাতরায়
ভালোবাসার কাঙাল হয়ে থাকে
যেমন আমি,
তোমার ভালোবাসার পথ চেয়ে থাকি
আর ভালোবাসার মানে খুঁজে বেড়াই
শুধু তুমিই বোঝো না
কিংবা বুঝেও না বোঝার ভান ধরে থাক
আমায় কষ্ট দিতে।
ভালোবাসা কি জ্যোৎস্নার চেয়ে সুন্দর
ভালোবাসা কি কবিতার চেয়ে কষ্টের
ভালোবাসা কি ফুলের সৌরভ
ভালোবাসা কি সাগরের বিশালতা
কিংবা নদীর বয়ে যাওয়া জল
আমি বুঝতে পারি না
আমার কাছে ভালোবাসা মানে
তোমার বাড়ানো হাত আমায় কাছে টানার
কিংবা “শুধুই তুমি”।
আমি কষ্ট কষ্ট সুখ পেয়ে যাচ্ছি
তোমার প্রতিক্ষার প্রহর গুনে
তুমি যেন আবার কষ্ট কষ্ট দুঃখ পেয় না
ভালোবাসার নষ্ট খেলা খেলতে গিয়ে।


hands

বৃহস্পতিবার, ১২ জুলাই, ২০১২

ভাইরাস কাব্য



ভাইরাস কাব্য
১.
তবে কবিতা আমায় দিয়েছে নির্বাসন
ব্লগীয় রাজনীতি থামিয়ে দেয় স্বাভাবিক সব আয়োজন

২.
ঘুমন্ত শহরে কুয়াশার বাড়ী
ডিজিটাল অবক্ষয়ে রক্ষিতা নারী

৩.
এমনি রাত ভালোবাসার চাঁদ
তোমাকেই ছোঁয়ার স্বপ্নিল আর্তনাদ

৪.
কালের দুষ্টছায়ায় আমার বিবেক বন্দী
আজো মনের আড়ালে ধ্বংস হওয়ার ফন্দি

৫.
মামায় কেনা সনদ দিয়ে অযোগ্যরাই নীতিনির্ধারক
শিক্ষাক্ষেত্রেই দূর্নীতির আখড়া, রক্ষকই ভক্ষক

৬.
টিপাইমুখ বাঁধ, বাংলাদেশের মরণফাঁদ
কুচক্রীদের বুলডেজারে নিষ্পেষিত প্রতিবাদ?

৭.
সত্যিকারের প্রেম জীবনে একবারই আসে
ভালোবাসার স্বপ্তডিঙ্গা মনের মহাসাগরে ভাসে

৮.
বলেছিল সে যখনি হবে তোমার বিক্ষিপ্ত মন
সুখময় স্মৃতি আর আগামীর গীতি করিও স্মরণ

৯.
দখিনা অন্ধকারে লাজুক কবিতা সভ্যতার রেললাইন
শুদ্ধ শিল্পের স্নিগ্ধ আকাশে বিধ্বংসী মাইন!

১০.
হয়তো এভাবেই দিন চলে যায়
আমারই ভালোবাসায় নীড় খুঁজে পায়…

১১.
অনেক প্রক্সি দিয়েছি, এভাবে আর কত?
অনেক মিথ্যা বলেছি! পাপের ভারে নত।

১২.
উদাসীন তুমি ভীষণ উদাসীন
ভুলে গেছ তুমি ভালোবাসার দিন!

১৩.
বন্ধ করে আঁখি, ধীরে ধীরে নীরবে ডাকি
কোথাও কেউ নেই, ফিরে যাব পুরনো খোলসে…

১৪.
আহারে মন তুই কেন এমন?
হয়ে যাস উদাস জানি না কখন!

১৫.
স্রোতের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে একলা চলতে হয়
হাল ছেড়ো না, আসবে প্রলয়ংকরী ঝড়, তবুও করো না ভয়।

১৬.
নাগরিকতার সুতো ছিঁড়ে হারিয়ে যাব ঐ দূর ছায়াপথে সহসাই,
দুটি মানবাত্মার সম্পর্ক পূর্ণতা পায় অনন্ত কালের ভালোবাসায়।

১৭.
নিশ্চুপে দেখে জীবনের সকল দুঃখ-সফলতা
নিরবতাই নিরবে বলে হৃদয়ের কথা…

১৮.
পৃথিবী তোমার কাছে ধাঁধা, আমার কাছে ইচ্ছেঘুড়ি
তোমার মনের রঙধনুতে ভ্রমরেরা করে উড়াউড়ি…

১৯.
তোমার নিভৃত আকাশে বর্ণময় ভালোবাসার ফুরফুরে হাওয়া,
ছুঁয়ে দিয়ে ঠোঁঠের উদাসীন তিলে গভীর প্রণয়ে জড়িয়ে যাওয়া..

২০.
দ্বন্দ্বময় সভ্যতায় চেতনারা আশ্রিত জাদুঘরে; বিজয়ী অভিজাত প্রলোভন
এই বৃষ্টিতে চলো স্নানের মিছিলে শুদ্ধ করি অবিশ্বাসী,অতৃপ্ত স্বীয় মন…

২১.
আমাদের জীবনটাই সিরিজ খেলা
সুখ-দুঃখে সময়ের পিছু চলা..

২২.
ভাবনাগুলো ঘুমন্ত থাকে
জেগে গেলে প্রচ্ছদ আঁকে!

২৩.
জানাও নি তবুও অবাক হয়ে ভাববে এসব হল কেমন করে?
সবকিছু থেকে দূরে থাকার পরেও পারো নি রাখতে দূরে…

২৪.
তোমার উঠোন জুড়ে সরু গলিপথ, কারফিউর রাতে নিষিদ্ধ আনাগোনা
অপেক্ষার অনন্ত প্রহর শেষে দুরন্ত মৌমাছির খাঁটি মৌচাক বোনা!

বর্ষায় ফিরে যাই পুরানো দিনে


বর্ষায় ফিরে যাই পুরানো দিনে
স্মৃতি, ছোট্ট একটি শব্দ কিন্তু এর পরিধী এতো বিশাল যে শেষ হতে চায় না। স্মৃতি কাতর মানুষদের জন্য এই স্মৃতি কখনো সুখের কখনো দুখের। শৈশব, কৈশোর, যুবা বয়সের অনেক কথা অনেক না বলা কথা একটা সময় আমাদের উকি দেয়। হয়তো তা কখনো কাদায় কখনো হাসায়।
যাক অনেক কাব্যিক ডায়লগ মারলাম এবার আসল ঘটনায় আসি। আমি আমার জীবনের খুব মজার এবং আমার জন্য স্মরনীয় একটি ঘটনা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।

ঘটনাটি সম্ভবত ক্লাস থ্রি কি ফোরের সঠিক সময়টা ঠিক মনে নেই, যাই হোক, আমার ছোট ভাই আমার চেয়ে দুই বছরে বড়, ও বড় হলেও আমাদের বেড়ে উঠা এক সাথে হয়েছে ও তখন আমার খেলার সাথী, বন্ধু যাই বলেন তাই ছিল। আমরা দুই ভাই বোন ইবলিশের রাজা আর রানী ছিলাম, দুজন মিলে যে কতো দুষ্টামি করেছি তা ভাবলে আজো হাসি। যা বলছিলাম, আমরা তখন মিরপুর দুই নম্বর এ থাকতাম থানাটা এখন যেখানে তার সাথে যে বাজার আছে (তখন বাজার ছিল না ফাকা ছিল) সেখানে আমাদের বাসা ছিল, সেই সময় এতো ঘনবসতি ছিল না, আমাদের বাড়ীর সামনে ফাকা জায়গা ছিল সেই ফাকা জায়গায় অনেকে টিনের চালা করে থাকতো, তারা সবাই কোন না কোন কাজ করতো তাদের একজন ছিলেন আচার বিক্রি করতেন, উনি নিজে আচার বানাতেন, চালতা, বড়ুই, তেতুল, করমচা, আম সহ সিজনাল সব ফলের আচার। সেই আচার বিক্রি করতেন আমাদের স্কুলের সামনে, ওই আচার বেশ মজার ছিল। আমরা তার বাসার সামনে থাকতাম বলে পরিমানে সব সময় একটু বেশী পেতাম। এই রকম এক বৃষ্টির দিন, তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে, স্কুলে যেতে পারিনি, স্কুলে না যাওয়ার কারণে তো আমরা দুই ইবলিশ মহা খুশী কিন্তু সেই খুশীতে পানি ঢেলে দিলেন বড়দা , বড়দা কড়া হুকুম নাস্তা করে পড়তে বসো। আমরা দুইজন জানালার পাশে বসে পড়ছিলাম আর বার বার চোখ বাইরে যাচ্ছিল, বাইরে ঠিক না ওই আচার ওয়ালার আচারের গাড়ীর উপর, প্রচন্ড বৃষ্টি তাই আচার ওয়ালা আচারের গাড়ী পলিথিনে ঢেকে বাইরে রেখে তার ঘরে বসে আছেন। আমরা দুজন চোখাচোখি করে কথা বলছি ইশারা যাকে বলে, দুজনই চোখের ভাসা বুঝে গেলাম যে এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিৎ নয়। বড়দা আমাদের পড়তে বসিয়ে সম্ভবত বাজারে গেলেন, আর যাই কোথায়, দুই ভাই বোন বই খাতা বন্ধ করে দে ছুট। বৃষ্টিতে ভিজছি মজা করে, এর পরে দুজনের পরিকল্পনা মাফিক আচারের গাড়ীর সামনে গিয়ে দাড়ালাম, ধীরে ধীরে গাড়ীকে ঢেলে একটু আড়ালে নিয়ে গেলাম, তখন ওখানে রাস্তায় বসানোর জন্য বড় বড় পাইপ রাখা ছিল, দুই জন আচার বয়াম খুলে আচার নিয়ে ওই পাইপে ঢুকে চুকচুক করে খেতে লাগলাম, মোটামুটি আচার শেষ করে আচারের গাড়ীটা আচার ওয়ালার বাসার সামনে রাখতে গিয়ে খেলাম ধরা। আর কি রেহাই আছে। আচার ওয়ালা আমাদের দুইজনকে ধরে আমাদের বাসায় নিয়ে আসলো বড়দা ততোক্ষন বাসায় এসে হাজির। দরজায় কড়া নাড়তে বড়দাই দরজা খুললেন দেখলেন বৃষ্টিতে ভেজা আমার দুইজন সারা হাতে আচার লাগানো আর আচার ওয়ালা আমাদের সাথে। বড়দার আর বুঝতে কোন কিছু আর বাকী রইল না। আচার ওয়ালাকে বললেন মা বাসায় আসলে আচারের দাম দিয়ে দিবেন।
বড়দা ছোটভাইকে বেদম মার মারলেন আমাকে মারার আগে আমি হাচি দেয়া শুরু করলাম, আমার ছোট বেলায় ব্রন্কাইটিসের সমস্যা ছিল এতো বৃষ্টিতে ভিজে ঠান্ডা বসে গেলো যার দরুন হাচি আসছিল সেই হাচির কারণে আমাদের যে দেখাশুনা করতো ডলি আমাকে তাড়াতাড়ি রুমে নিয়ে কাপড় পাল্টে দিতে লাগলো বড়দা ছোট ভাইকে এতো মারছিল যে তা দেখে ডলি ভয়ে বড়দাকে বলল মুক্তিরতো জ্বর এসেছে ওকে মাইরেন না। বড়দা ডলির কথা বিশ্বাস করে আমাকে ধমক দিয়ে ছেড়ে দিল। মা অফিস থেকে ফিরে সব শুনে আচার ওয়ালাকে ডেকে আচারের টাকা দিলেন আর ক্ষমা চাইলেন। তবে মা খুব বকে ছিলেন আমাদের।
ছোট ভাই কিন্তু এই যে মার খেলো এর প্রতিশোধ আরেকদিন নিয়েছিল এই রকম আরেকদিন বৃষ্টির দিনে আচার চুরি করে। অবশ্য আচারওয়ালা সেবার আর ধরতে পারেনি।

খুব বৃষ্টি দেখলে ঘটনাটা খুব মনে পড়ে আর একা একা হাসি। ছোট বেলায় আমাদের কতো কি যে ঘটনা আছে যা এখন মনে পড়ে আমাদের একটু হলেও হাসায়। আজ তেমন একটি দিন, বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে আমার এই ঘটনাটি মনে পড়লো তাই আমি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে, কিন্তু আমি একা কেনো শেয়ার করবো ?? চলুন আজকে সবাই মিলে বর্ষার আড্ডা দেই, শেয়ার করি এই রকম মজার সব ঘটনা সবাই সবার সাথে।

তো হয়ে যাক বর্ষার আড্ডা।

আমি এখন তুমি ছাড়া বাঁচতে পারি



আমি এখন তুমি ছাড়া বাঁচতে পারি

জীবনের মায়ার আর তোমাকে
কাছে টানব না, বলবো না
তোমাকে ছাড়া বাঁচব না,
চোখে চোখ আর রাখব না
হাত ধরার তো প্রশ্নই আসে
না, বলবো না জীবন আমার
গুছিয়ে দাও পরম মমতায়।


অনিকেত জীবন যাচ্ছে কেটে
যেমন তেমন, ছন্ন ছাড়া আমি
বেঁচে আছি হতাশার মধু করে
পান। অংকের খাতায় আর
কষবো না অংক তোমার-
আমার নাম যোগ করে।

ইংরেজি খাতায় লিখবো না
কোন গল্প তোমার কথা ভেবে,
বাংলা খাতায় আঁকবো না
তোমার মুখাবয়ব কবিতার রূপকে।


আমি এখন তুমি ছাড়া চলতে
জানি, বাঁচতে পারি আর পারি
নিজেকে একা ভাবতে, দেখো
একদিন সব যাবো ভুলে সময়ের
স্রোতে গা ভাসিয়ে। হয়তো একদিন
তুমি আমাকে ভাববে তোমার
অতীতের মাঝে, খুঁজবে জমে
থাকা ধুসর স্মৃতির পাতাতে।