[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১২

তুমি যখন সন্ধ্যা হবে

তুমি যখন সন্ধ্যা হবে

তুমি যখন মেঘ হবে
বুঝবে ঝরে পরার ‍কি সুবর্ণ সুখ; জ্যোত্স্নায় ‍ছড়িয়ে পরা আলো
তুমি যখন নদী হবে
বুঝবে ভাটায় হারানোর সুখ; ভোরের সাদা আলোর মত বিভাস
তুমি যখন আকাশ হবে
বুঝবে মহাশূণ্যে বেদনার সুখ; সাঁঝের নরম আলোর মত হারানো
তুমি যখন ভোরের হাওয়া হবে
বুঝবে শীতল পরশের সুখ; বৃষ্টি ছোঁয়ার মত স্পর্শকাতর
তুমি যখন দুপুর হবে
বুঝবে দ্বিপ্রহরে গরম সুখ; পাতার ফাঁকে লুকিয়ে ঘুঘু জোরা খুনসুঁটি
তুমি যখন সন্ধ্যা হবে
বুঝবে দিন ফুরানোর সুখ; তন্দ্রায় জেগে স্বপ্নের মত চাওয়া
তুমি যখন রাত্রি হবে
বুঝবে অন্ধকারের বিবর্ণ সুখ; জোনাক আলোতে আশ্রয় বিমুখ
তুমি যখন~~~~~বুঝবে।

স্বপ্ন বিনোদিনী শ্রাবণ অঝরধারায় ঝরে

স্বপ্ন বিনোদিনী শ্রাবণ অঝরধারায় ঝরে


স্বপ্ন বিনোদিনী শ্রাবণ অঝরধারায় ঝরে
এখন শ্রাবণ।এমন বৃষ্টি ঝরার দিনে, ফিরে এলো না আর পোষা ময়না টা খাঁচায়।ময়নাটির ইচ্ছাতেই, আমি ওকে মুক্তি দিয়ে ছিলাম।বিহঙ্গ স্বাধীনতার উল্লাস দেখে।অধিকারের পাল্লাটা উর দিকেই ভারি ছিল।তাইতো খাঁচার বাঁধন খুলে দিতে, বিন্দু মাত্র কষ্ট ছিল না সেদিন।আমার ভালোবাসাটাকে সে কোন দিন প্রাণে পুষে নাই। শুধু মুক্তির জন্য অসম্ভব কাতর ছিল।সে দিন বুঝেছিলাম বন্দিত্বে ভালোবাসা শিকড় গজায় না।বন্দিত্বের অভিমান, মনের পাড় ভেঙ্গে যায়,নদীর তীর ভাঙ্গার মত।
এমন দিনে, ময়নাটির কথা খুব মনে পরছে।ওকি আগের জীবন ফিরে পেয়েছে? ওকি সত্যই স্বাধীন জীবন যাপন করছে?ওকি এমন বৃষ্টি ঝরা বাদলে, সবুজ পাতার আঁড়ালে খুনসুটিতে মত্ত?নাকি এমন জল ভেজা দিনে অবহেলায় নিজেকে ভেজায়? নাকি আবার উল্টো টা, স্বাধীনতার স্বাদ ঘুচেছে?আজ এই বৃষ্টির আরশিতে এত সব প্রশ্নের জল ছবি কেনই বা ভাসে? কেনই বা শ্রাবণ বার বার ফিরে আসে? অমূলক ভাবনা,শ্রাবণ ধারায় আজ আপ্লুত জল কণা।
স্বপ্ন বিনোদিনী শ্রাবণ অঝরধারায় ঝরে,
বিরহ ব্যথার সব জ্বালা মুছে, এক স্বপ্ন যৌবনা শ্রাবণ
বার বার ফির আসে।
1419@3 শ্রাবণ, বর্ষাকাল।

অসহ্য কষ্টের কাব্য

 অসহ্য কষ্টের কাব্য

মাঝে মাঝে জীবনটাকে অনেক অসহ্য লাগে।
কোন কিছুই করতে ইচ্ছে করে না,
অসহ্য লাগে সকালের নীরবতাকে,
অসহ্য লাগে ঘড়ির কাটার টিক টিক শব্দ,
অসহ্য লাগে বৃষ্টির টুপটাপ অশ্লীল নৃত্য।
অসহ্য লাগে সকালের প্রিয় গরম চায়ের পেয়ালাকে,
আর ফেলে আসা এক হ্রাস স্মৃতিমালাকে।

ভাবি আমরা মানুষ কেন এতো স্বার্থপর হই?
কেন আমরা সব ভুলে যাই এতো সহজেই।
ফেলে আসা স্মৃতি—-
ফেলে আসা অনুভাব—-
আর ফেলে আসা হাসি-কান্না গুলোকে।
কেনই বা ইদানীং ভালবাসাগুলো ভেঙে যায়
এক তুড়িতেই, কত সহজেই মানুষ হয়ে যায় পর,
আর রেখে যায় কিছু আঁচড়—-।
জীবনের খাতায় প্রেমের হিসাব মেলে ব্যর্থতার মাঝে।

কিছু প্রিয় মানুষ চলে যায় একেবারেই অন্য জগতে
যেখানে তাকে ছোঁয়া যায় না—
দেখাও যায় না—-
কথা বলাও যায় না—-
আর যায় না তার বুকে মাথা রেখে একটু ঘুমানো,
হয়তো আমিও একদিন চলে যাবো তোমাদের ছেড়ে
কিছুটা অভিমান আর বাকীটা অনুরাগ নিয়ে।

তখন আমায় মনে রেখো না তোমরা তোমাদের
স্মৃতির ডায়রির পাতাতে—–।

এই বার রিমঝিম,শ্রাবণ ধারা

এই বার রিমঝিম,শ্রাবণ ধারা 

জুলাই ১৯, ২০১২ |

এই বার রিমঝিম,শ্রাবণ ধারা
শ্রাবণ সকাল। মেঘের পাঁজা আকাশ জুড়ে, আকাশের কিছু অংশজুড়ে ধূসর মেঘের গায়ে ভাসছে জল। আবার কিছু অংশ ঘন কালো মেঘ।একটু দূরে,নীলের গা ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আর আমি দাঁড়িয়ে, ঘরটার দক্ষিণমুখী খিড়কিটার সম্মুখে।দুপাশে আবাসিক ভবন পেরিয়ে, গলিপথের যতটুকু আলো দক্ষিণে বেড় হয়।এতটুকুতেই প্রতীয়মান।ঝুপ ঝাঁপ বৃষ্টি নামবে,ততক্ষণ মিহি দানার জল কণা রাস্তার একপাত ভিজিয়েছে।তাতেও ধুলো গুলো বেশ মরা মরা নেতিয়ে যায়নি ধুয়ে।অফিসের তারা, সময়ের আস্ফালন।ছাতার প্রয়োজন অনুভূত হয় মাঝ রাস্তায় এসে।মাথা বাঁচাতে ঠাঁই নিলাম, একজনের ছাতার তলে আধা ভিজে হাঁটছি।
এই বার রিমঝিম,শ্রাবণ ধারা। একটু ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি, ছড়াটির কথা মনে পড়ল।যেন কৃষক তার ক্ষেতে শ্রাবণের ছুঁপ ছুঁপ জলে, হাঁটু গেঁড়ে সবুজ ধানক্ষেতে নিড়ানিতে মত্ত।দূর থেকে ভেসে আসে, বেহুলা লখিন্দরের ভেলা ভাসান গীত।শ্রাবণ জলের বিরহী গীত ভারি বর্ষণের মিলন ধারায় মিশে।মেঠোপথ ডুবেছে বানে। সবুজ ঘাস আগাছা জল ডুবা গায় ধরেছে শেওলা।
ক্ষেতের ধান বাড়ন্ত জলের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

অফিস দরজায় প্রবেশ পথে, আধো ভেজা গা’ ছেদ পরলো ভাবনার।
স্মৃতির বিষণ্নতা গায়ে মেখে, যাচ্ছে গড়িয়ে শ্রাবণ বেলা।
রিমঝিম রিমঝিম নামের বৃষ্টির টোপর, নগর পরেছে মাথায়।
তাইতো তার গা ভিজেছে, ছিটে ফোটা রয় পরে।

1419@4 শ্রাবণ, বর্ষাকাল

বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১২

দিয়াছ যা তুমি - সেতো ভালবাসা নয় !!!


দিয়াছ যা তুমি - সেতো ভালবাসা নয় !!!

 

 
যদি একটু ভালবাসা পাই,
সেই আশায়
আমি কতবার গিয়াছি
তোমার হৃদয়ের কাছাকাছি !
আমার ভালবাসা - মাথাকুটে মরে
তোমার হৃদয়-দুয়ারে।
তবুও তুমি দিলে না ঠাঁই
কেবল মিথ্যে ভরসাই
করে গেলাম আমি ;
দিয়াছ যা তুমি
সে তো ভালবাসা নয় ! তোমার মনের
ভিতর বাড়িছে ঘৃণা, বানের
জলের মতোই। তবুও কি অব্যক্ত আকুতি
আমার এ হৃদয়ে ! চোখ দুটি
ব্যস্ত সদা প্রহরীর
ন্যায় , যদি কভূ আস সরু গলির
পথ ধরেই ! আহা,কী অতৃপ্ত পিপাসা
আমার বুকের ভিতরে , ভাষা
যে নেই - তা বুঝাই কী করে ?
কত ব্যথা আছে এই বুকের গভীরে !

একদিন চলে যাব হায়
দূর-বহুদূরে ! নিবিড় মগ্নতায়
দিব একা ডুব অচেনা অন্ধকারে ;
পরম শূণ্যতারে
বুকে নিয়ে হয়ে যাব লীন
তোমার কাছে , কোনদিন
মাড়াব না আর চেনা পথগুলি,
ভুলিয়া যাইব সকলি
চিরতরে - কেবল তোমাকে ছাড়া ;
আমি তো বাঁধনহারা -
নেই পিছুটান,
ছিল যা - সবই গেছে ভেসে
উজান স্রোতের গ্রাসে !
তাই বড় বেদনাতে
বের হয়েছি আজ পথে ,
পথেই থাকিব নিশি-দিন ;
চলিব বাকীটা পথ হয়ে উদাসীন।
 

মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১২

Enter



♥ ভালোবাসি তোমায়
সত্যি কি মিথ্যা
জানি না ;
ভালোবাসি তোমায়
পাব কি পাব না
তা নিয়ে ভাবি না ;
...
ভালোবাসি তোমায়
হৃদয় জানে
তুমি জান না ;
ভালোবাসি তোমায়
নীল আকাশে তুমি
তোমায় ছোঁয়া যায় না ;
ভালোবাসি তোমায়
ছায়া হয়ে থেকো তুমি
কী পারবে না???♥♥