[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ১ আগস্ট, ২০১২

সে দিন সে এসেছিল'



সে দিন সে এসেছিল'


চৈত্রের শেষ রাত এবং বৈশাখের প্রথম দিনে,
ওকে আমি বলেছিলাম,
শ্রাবণের প্রথম বৃষ্টিকণা আমি তোমাকে দেব।
আমার চোখের দিকে তাকিয়ে,
স্নিগ্ধহাসি হেসে মাথা দুলিয়েছিল,
হাত নেড়ে মৌণ্য বিদায় বলে চলে গিয়েছিল।
আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম পলাশ গাছে হেলান দিয়ে।

বৈশাখ মাসে কি পলাশ পাওয়া যায়?
আমি জানি না।

শ্রাবণের ঠিক শুরুতে, সূর্য যখন উঠছিল,
সে দিন সে এসেছিল, হাতে ছিল একটা পলাশ।

একটি কবিতা

 

একটি কবিতা

 
কবিতার রাজরাণী
স্বপ্নে দেয় হাতছানি
এ শূণ্য বুকে
কেন জানি কোন ঝোকে
এসেছিল ফাগুন রাতে
এলোমেলো এ জীবনটাতে
নিঃসঙ্গে হয়েছিল দোসর
কেটে যাক বেদনার প্রহর
ঝলমলে আলোয় ভরে যাক
শূণ্য মনের উঠোন,আর থাক
কাচের গ্লাসে ভরা উপচানো মদ
সময়ের পিঠে বেড়ে উঠা বিপদ...
নতুন করে নিরিবিলি এ বিকেলে
কবিতার কথা মনে এলে
ভুলে যাই অতীতের দুঃখগাথা
দু একটি পঙতি,ঝড়ে পড়া একটি বৃক্ষলতা
নীরবে বলে দেয় আমার অতীত
ঘাসের মাঠে কুয়াশা জমে নি,কমেছে শীত।

আমি ডুবে যেতে চাই তোর মাঝে

 

আমি ডুবে যেতে চাই তোর মাঝে


কাননিকা জুড়ে অজস্র বুনোফুলে আমি তোর ছায়া দেখি
খজ্যোতি যেমন টিপটিপ করে জ্বলে নিভে
তেমনি আমার বুকে তুই জ্বলতে থাকিস অবিরাম;
আমি ব্যাথাতুর কপিঞ্জল হয়ে
ঘুরে বেড়াই
জনপদ থেকে জনপদে।

কোন দুরদেশে তূই;
কোন কুহেলী মায়ায় জড়িয়েছিস আমায়,
আমার ব্যাথার নদী;
আমি তোর ভালবাসার ঝর্নাধারায় স্নান করতে চাই
অবিরল ভিঁজে যেতে চাই;

আমি সব শ্রান্তি পেছনে ফেলে
কঞ্চুলী সরিয়ে তোর কবোষ্ণ বুকের গন্ধ নিতে চাই;
কষিত ভালোবাসার ছায়া দেখতে চাই।

অবিরাম শ্রাবন ধারা বয়ে যাক -
আমি ডুবে যেতে চাই তোর মাঝে!

আমি যেন কেমন আছি ?


 


 মা বাবার সাথে আমি...

 মা বাবার সাথে আমি...


বাবা ভাইয়া আমি আর ভাবী


ভাল লাগা একটা ছবি

ভাইয়া এবং আব্বা..


 উমবা হজ্ব করার পর তুলা ছবি


 উমবা হজ্ব করার পর তুলা ছবি


আমার সাথে বড় আপা


আমি যেন কেমন আছি ?




এ স্বাধীণতা হায়

 
এ স্বাধীণতা হায়

“শালা, দিলো সকাল সকাল মেজাজটা খিঁচড়ে। ঢ্যামনা বুড়ো শালা, যত সব কেত্তন, কি না বালের স্বাধীনতা, সকাল বেলা উঠে পতাকা মারাও, প্রভাত ফেরি যাও, ওঠো গো ভারত লক্ষ্মী গাও।ইল্লি আরকি যতসব ঢ্যমনা বুড়োর কারবার”। সকাল বেলা পঞ্চুদার চায়ের দোকানে ঢুকতেই শ্যামের কথা গুলো কানে এসে বাজলো। জিঞ্জাসা করলাম কিরে শ্যাম সকাল সকাল কাকে খিস্তি করছিস। শ্যাম বলে উঠলো “আর বলো না শুভ দা, আমার বাপটা, সালা বুড়ো ঘাটের মরা সকাল বেলা ঘুম থেকে তুলে বলে আজকে তো ১৫ই আগাষ্ট স্কুলে যা পতাকা তোল পাড়ার প্রভাত ফেরিতে যা।তুমি বলো আজকে সালা ছুটির দিন একটু বেলা করে ঘুমাবো তা নয় দিলো সাত সকালে ঘুমটা ভাঙ্গিয়ে কোন আক্কেল আছে সালার। নিজে তো বুড়ো হাবড়া সালা ঘুম হয় না রাতে সক্কাল সক্কাল উঠে পড়ে। তা বলে কাঁচা ঘুমটার একেবারে পেছন মেরে দেবে? আজকে শালা ছুটির দিন কোথায় ১১টায় ঘুম থেকে উঠবো, চা খাবো, তারপর একটু মেয়ে দেখতে বেরোবো, দুপুরে সালা মাংস দিয়ে ভাত মারবো, তারপর দুপুরে ক্লাবে গিয়ে তাস পেটাবো আর সন্ধ্যে বেলা হলে একটু মাইরি লাল জল হবে না, তা নয়, সালা ভোর বেলা উঠে প্রভাত ফেরি মারাতে হবে, পেছন ফাটিয়ে ৫ মাইল হেঁটে লোক দেখাতে হবে। মাইরি সালা কোন রসকষ নেই গুরু”।পঞ্চুর চা খেয়ে দাম মিটিয়ে শ্যাম কে একটা হাসি দিয়ে বেড়িয়ে এলাম। মাঠে যাবো একটু। রাস্ত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে শ্যাম এর কথা গুলোই ভাবছিলাম। সত্যিই তো, আজ ১৫ই আগষ্ট, আরেকটা ছুটির দিন।একটু আয়েশ করে ঘুমানো তারপর নিয়ম ভাঙা রুটিন, দুপুরে মাংসভাত রাতে রঙ্গিন জল, তা নইলে আর স্বাধীনতা দিবস কেনো।শ্যামের বাবা গোপালবাবু পুরোন মানুষ, তিনি বুঝবেন কেনো এসব।তাঁর বাবা গান্ধীজির আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দিয়ে জেল খেটেছেন। তিনি কি করে বুঝবেন ছেলের স্বাধীনতা আসলে কি।

আমরাই কি বুঝি স্বাধীনতা আসলে কি? আমরা মানে যারা বি.এ, এম.এ পাস করে নিজেদের শিক্ষিত বলি তারাই বা বুঝি কোথায় স্বাধীনতা দিবসের মানে। আমরা শুধু পাড়ায় পতাকা তুলি, বাচ্চাদের লজেন্স বিলি করি তারপর প্রভাত ফেরি করি, গালার শিরা ফাটিয়ে গাই স্বদেশী গান, তাও ঐ ২৬সে কি ২৩সে কিংম্বা ১৫ই অথবা নিদেন পক্ষে ওই ২সরা। বছরের আর বাকি কটা দিন কোথা থাকে আমাদের স্বাধীনতা বোধ, কোথায়ই বা যায় আমাদের আদর্শ।ওই শ্যামের ভাষায় বলা যাতে পারে ছিঁড়তে।১৫ই এলে কি বা ছিঁড়ে ফেলি আমরা? কি না অরকুট কিংম্বা ফেস বুকে ইউটিউব থেকে চাড্ডি দেশাত্ববোধক গানের লিঙ্ক, কি গোটা কয়েক এসএমএস পাড়ায় দুটো ফ্ল্যাগ ব্যাস আমাদের স্বাধীনতা বোধ ওখানেই শেষ। বছরের আর বাকি কটা দিন কি করি আমরা? না সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠি অফিসে যাই সন্ধ্যেবেলা হরির চায়ের দোকানে গুলতানি মারি, বাঞ্চত সচিনের ১০০য় ১০০ হবে কিনা, সৌরভটাকে মাইরি ডালমিয়া খেয়ে নিল, সিপিএম সালা ৩০ বছর বাংলার কল কেলিয়ে দিল,মমতা মাইরি পরিবর্তন আনতে পারবে, মনমোহন সনিয়ার আঁচল ধরে রাজনিতীর বৈতরণী পার হবে, নইলে পাশের বাড়ির বৌদির বুক দুটো পুরো চম্পা একঘর মাইরি। কালু দার শালীটাকে দেখেছিস উফফ দেখেলই মনে হয় খেয়ে ফেলি, মিনতি বৌদির পেছন খানাও মাইরি পুরো তানপুরা।ব্যাস আমাদের স্বাধীনতা তাই ওই মিনতি বৌদির পেছনেই ঢুকে যায় কিংম্বা পাশের বাড়ির বৌদির বুকে ঝুলে থাকে।আর আমাদের নেতারা! হাঃ হাঃ হাঃ সত্য সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ!! তাদের সময় কোথায়। একে ন্যাশানাল ছুটি সকালে এখানে পতাকা উত্তোলন ওখানে বক্তৃতা আর বিকেলে কোন শ্যামা তন্বীর বক্ষলগ্না। বাকি বছরের ৩৬৫ দিন প্রতিশ্রুতি, প্রতিশ্রুতি আর প্রতিশ্রুতি।মাঝে মাঝে মনে হয় সত্যি কি আমরা স্বাধীন, এর চেয়ে তো অনেক ভালো ছিলো পরাধীন ভারত।

বলতে পারি কি আজ জোর দিয়ে আর কবে আমরা সাবালক হবো, কবে পুরোপুরি স্বাধীন হবো। নাকি একশো বছরের পরাধীনতা আমাদের মেরুদন্ডটাকে তুবড়ে দিয়ে গেছে, গোলামী আমাদের মজ্জাগত। তা নইলে মাত্র 162,419,950 কোটির জনসংখ্যার একটা দেশ পাকিস্থান, যাদের চাল থেকে সূচ সমস্তই ধার করা তারা বারবার এসে আমাদের বুকে তান্ডব চালিয়ে যায় কি করে। আবার আমরাই গর্ব করি আমাদের রক্ষণ প্রহরীদের, তারা নয় তাদের কাজ করেছেন, কিন্তু সাধারন মানুষ 1,210,193,422 ভারতবাসী

কতটা করেছি? শুধু যে করিনি তা নয় বরং যে করতে গেছে তারপাশেও আমরা দারাবার মত সামান্য মূল্যবোধটুকুও দেখাতে পারিনি। এই যে আন্না হাজারে করাপশান এর বিরুদ্ধে লড়ছেন বুকে হাত দিয়ে কি আজ জোর গলায় বলতে পারছি ১২১ কোটির ১কোটিও তার পাশে দাঁড়িয়েছি। নাঃ পারছি না জোর গলায় বলতে। কারন আমাদের গলার জোর শুধু মাত্র পাড়ার চায়ের দোকানে মঞ্চে সভা সমিতিতে। এর বাইরে আমাদের গলার আওয়াজ বেরোয় না। তাইতো মাত্র ৫ জন লোক এসে আমাদের এই বিশাল দেশটার একটা রাজ্যে অনায়াসে মৃত্যু তান্ডব চালিয়ে যেতে পারে। কারণ আমাদের যে সর্ষের মধ্যেই ভূত। তা ওঝা ভুতা তাড়াবে কিসের জোরে।

আমরা শুধু নাটক দেখতেই ব্যাস্ত, একদিন কেউ এসে আমাদের উদ্ধার করবে কিংম্বা স্বর্গ হতে কোন অবতার অবতীর্ণ হবেন এই আশায় আমরা গীতা আউড়ে যাই “য়দা য়দা হি ধর্মস্য গ্লানীরভবতি ভারথ, অভ্যুত্থানম অধার্মস্য তদাৎমানম সৃজম আহম, পরিত্রানয় সাধুনাম, বিনাশায় চ দুস্কৃতম,

ধর্মসন্থাপনায়র্থ সম্ভামি য়ুগে য়ুগে। চমতকার। আমরা শুধুই নাটকের পট পরিবর্তনের আশায় বসে থাকি।

“রাজা আসে যায় রাজা বদলায়

লাল জামা গায়ে নীল জামা গায়ে

এই রাজা আসে ওই রাজা যায়

জামা কাপড়ের রঙ বদলায়

দিন বদলায় না।

গোটা পৃথিবীটাকে গিলে খেতে চায়

সেই যে ন্যাংটো ছেলেটা

কুকুরের সাথে ভাত নিয়ে তার লড়াই

চলছে চলবেই

পেটের ভিতর কবে যে আগুন

জ্বলছে এবং জ্বলবে।

রাজা আসে যায় আসে আর যায়

শুধু পোশাকের রঙ বদলায়

শুধু মুখোশের ঢঙ বদলায়

পাগলা মেহের আলি

দুই হাতে দিয়ে তালি

এই রাস্তায় ওই রাস্তায়

এই নাচে ওই গান গায়

সব ঝুট হ্যায়। সব ঝুট হ্যায়। সব ঝুট হ্যায়

জননী জন্মভূমি।

সব দেখে সব শুনেও অন্ধ তুমি

সব জেনে সব বুঝেও বধির তুমি”।।

সত্যি সব ঝুট হ্যায়। সব মিথ্যা। এই যে আজ আমরা গর্ব করে বলছি আমরা তৃতীয় বিশ্ব। বলতে পারো কিসের বিশ্ব, যে দেশে আজো জাতপাতের নামে আগুন জ্বলে, যে দেশে আজো কন্যা ভ্রুণহত্যার মতো নৃশংস ঘটনা ঘটে যে দেশে নাকি আজো অনার কিলিং এর মতো তান্ডব হয় তারা আবার নিজেদের কে বিশ্ব বলে সম্বোধন করে। হায়রে আমার বিদ্যাসাগর হায়রে রামমোহন। এঁনারা থাকলে বোধহয় একটাই কথা বলতেন ‘হা হতস্মিঃ’।শ্যাম বলে বাল, আর আমি দাঁত কেলাই। আপনারাও কেলান কিম্বা বগলে চুল নিয়ে দুহাত তুলে উর্দ্ধবাহু নাচুন, আর মাইকে শাকিরা বাজুক শাকালাকা বেবি সাকালাকা বেবি।কোন অধিকার নেই আমাদের স্বাধীনতা পালন করার, কোন অধিকার নেই নিজেদের স্বাধীন বলার।সাধে কি আর মেহের আলির মতো মানুষ বলে ‘সব ঝুট হ্যায়’। সত্যিই তো সব মিথ্যে। ক্ষুদিরামের আত্মত্যাগ মিথ্যে, নেতাজির লড়াই মিথ্যে, রাসবিহারি, কানাইলাল, প্রফুল্লচাকি মিথ্যে, মিথ্যে তাদের বলিদান, মিথ্যে তাদের সমস্ত লড়াই। তারচেয়ে আমি বা আপনি আপনারা শালা আজ কোন ইংরেজের বাথরুম সাফ করতাম, কিম্বা তাদের পেছন চুলকাতাম সেটাই ছিলো অনেক ভালো। কি হবে এ মিথ্যে স্বাধীনতা দিয়ে স্বধীন হবার ভড়ং করে। কোন লাভ নেই। আজ ৬৪তম স্বাধীনতা কাল ৬৫ তম হবে তারপরের বছর ৮৫ তম তারপর ১০০তম স্বর্ণ রজত হিরক বালছাল জয়ন্তী। কিন্তু যতদিন না আমরা স্বাবালক হব যতদিন না আমরা সচেতন হব এ স্বধীনতার কোন দাম নেই। আমাদের স্বাধীনতা দিবস শুধু আর পাঁচটা ছুটির দিনের মতো আরেকটা ছুটির দিন হবে। আমরা দেরি করে ঘুম থেকে উঠবো, চা খাবো, লুঙ্গি পরে বাজারের থলি হাতে পোঁদ চুলকাতে চুলকাতে বাজার যাবো কচি পাঠা কিম্বা মুরগি নিয়ে বাড়ী ফিরবো। পাড়ায় পতাকা তুলবো, চায়ের দোকনে দেশোদ্ধার করবো, দুপুরে বাড়ী ফিরে মাংস দিয়ে ভাত সাঁটাবো, বউকে একটূ আদর করবো বিলেকে হুইস্কি সহযোগে মিনতি বৌদির পেছন দেখবো কিংম্বা পাশের বাড়ীর টুসির বুক, তারপর রাতে বাড়ী ফিরে বৌকে পাশে নিয়ে বীর্য ত্যাগ করে আরামসে ঘুমোবো পরের দিনের দিনগত পাপক্ষয় করতে। আর আমাদের স্বাধীনতা ওযে বললাম হয় মিনতি বৌদির তানপুরা পাছায় নয়তো টুসির বুকের জোড়া ফলের মতো দুলতে থাকবে আর আমরা দেখে যাবো আর দাঁত কেলাবো।।

সোকাল বেলায় উঠি উঠি করচি

আর আধপোড়া বিড়িট্যায় টান দিচ্চি

মনে হলো – কারা যেনো চিঁচাচ্চে

ধরফঁড়াই কোপাট টো খুলে বেড়ায় দেখি

জিঞের সারি পারা মানুষ গুলান

“লেতাজি জিন্দাবাদ” দিতে দিতে যেচ্চে।

শকুন পারা দৃষ্টি লিয়ে, পেরথম হতে শ্যেষত্‌ক

ড্যাবডেবাঁই চারিপানে চেয়ে দ্যেখল্‌ম

কিন্তুক কোন লেতারই টিকিটো প্যেলম নাই

হু- শ্যেষ পানে চেঁয়ে দেখি

আধ ডাগুরে মিয়্যা গুলান বিধবার পারা শাড়ি পিনে

ঘাড় দুল্যাই দুল্যাই গাইছে ---

“ওঠো গো ভারত নক্ষী”।

তা মা নক্ষীরা; ভারতনক্ষী কি আর উঠতে পারবেক

নক্ষীছাড়ার দলতো উহার পিন্ডি চটকাই দিইচে

মায়ের ভান্ডার ফাঁক করে

বৌ বিটারা সিন্দুক গুঁছাই লিইচে

এ লেতাজিরাই তো মা টো বেঁধে রোখে

বিদেশে দাদন খাইচে

ওই মাটো কি আর উঠতে পারবেক গো মা নক্ষীরা।

বউটোকে বুললেম, ‘ ও বুদির মা

বিটিটো কেনে পাঠালি উদের মিছিলে’?

গল করা ঝুড়িটো কেঁকাল হতে নামায়ে

ঝাঁটাটো মুখের গোড়ায় নেড়ে

বউটো বললেক, “ আ মরণ ডোকলা মিন্‌সে

বুড়াকালে ভেমরতি হইচে

বলি এ লেতা তোর রাও আদবানি সুখরাম লয়

এ হলো লেতাজি সুভাস

দ্যাশের তরে জিবন বিকাইছে,

তার নামে এসকল কইতে তোর নাজ লাগেনা?

‘ক’ আরেক বার ‘ক’

ঝেঁটিই দাঁত কটান ফেলিদি”।

ভুলটো বুঝতে পেরে হাতটো কোপালে ঠেঁকাই

মনে মনে বুললেম – “হা লেতাজি

দোষ লিওনা, ক্ষমা কইরো”।।
 

আন্না আর না



আন্না আর না“বহিনচোদ গাঁড় তোড় দেঙ্গে তুমহারে”।সত্যি কথা বলতে কি চমকানোর কথা নয় তবুও চমকালাম। কে রে বাবা। দিল্লীর রাস্তাঘাটে মা বোন তোলাটা জলভাত শুধু নয় প্রায় দুদুভাতও বলা চলে। তাহলেও আমি চমকালাম। কেনো, কারন যেখানে আমি দাঁড়িয়ে আছি সেটা এই মুহুর্তে ভারতের তীর্থক্ষেত্রের রুপ নিয়েছে, এবং স্বয়ং কল্কী অবতারের জায়গা নিয়েছেন আন্না মানে আন্না হাজারে। ভুল বললাম কি? মাইরি বলছি আনন্দবাজার পড়া বাঙ্গালী পাঠককুল ক্ষমা করবেন, বুকে ঠুকে মা কালি মা দূর্গা, মা সরস্বতী মায় লক্ষীমায়ের পেঁচাটারও দিব্বি দিয়ে বলছি আমার বাঙালী (পড়ুন বরিশ্যাইল্যা বাঙাল) উচ্চারণে হাজার জিভের জড়তা কাটিয়েও কিছুতেই অন্না বলতে পারলাম না। দেখি এক ইউপি জাঠ গালি দিচ্ছে প্রবল বিক্রমে। কেসটা কি জানার জন্য পায়ে পায়ে এগিয়ে গেলাম। দেখি একদল ওই কুড়ি বাইশ বছরের আমাগো ভাষায় পোলাপান সেই গালির লক্ষ। “শালো ঘনা মাস্তি চাড়ি গয়া ক্যা, থারো সমঝ মে না আবে ক্যে কেহ রাহা হু ডান্ডা দেকে সামঝাউ ক্যে, গাঁড় মে এইস্যা ডান্ডা দেঙ্গে না কি............ । আর থাকতে পারলাম না, জাঠ বন্ধুদের সাথে মেলামেশা করার সুবাদে যেটুকু জাঠ অ্যাকসেন্ট জানতাম তার দ্বারাই জিঞ্জাসা করলাম “আরে চাচে কে হুয়া (ভাগ্যিস হুক্কা হুয়া বলে নি তাহলেই চিত্তির আর কি), কদি ডাঁট কাহে রাহে হো?বাচ্চা হ্যায়। “বাচ্চা নেহি সালা কুত্তাকে বাচ্চা কহো বেটা। সালা আন্না হুয়া পার অনশন পর হ্যায় আর ইয়ে লোগ হিয়া পর মস্তি করনেকো আয়া”। মুচকি হাসলাম, এর বেশি আর কিই বা করতে পারি। চারদিকে তাকিয়ে দেখলেই বোঝা যায় এই যে অনশন মেলা লেগেছে তার কতটুকুই বা বোঝে আজেকের আমাদের প্রজন্ম। কালা ধন ওয়াপাস লাও, লোকজনপাল বিল পাস করো এই লোকজনপাল বিলের কতটুকু জানি আমরা? সারাদিন মেট্রোতে বাসে ট্রামে রাস্তাঘাটে সর্বত্র গাঁন্ধী টুপি তে টি-শার্ট এ ম্যায় আন্না হুঁ লেখা মানুষের ভীড়। রামলীলা ময়দানে কাতারে কাতারে লোক সবাই ভাসছে জোয়ারে। কিন্তু এর মধ্যে হাতে গুনে কতজন বলতে পারবে যে আমি বুঝি কেনো আমি এখানে এসেছি।


অদুরেই পালিকা বাজার ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে ইন্ডিয়াগেট, লালকিলা চাঁদনি চক। কাতারে কাতারে মানুষ। বেশির ভাগই ফিচকে ছোঁড়া কিছু বাবা মায়ের পেছন পাকা আদরের সন্তান। মেট্রোতে কয়েকজন তরুনী কে দেখলাম, হাতে মেট্রো শপ থেকে কেনা বার্গার মাথায় আমি আন্না লেখা টুপি পরনে জামা কাপড় না থাকারই মত। সারা মেট্রোর কামারা জুড়ে তারা স্লোগান দিচ্ছে সাথে আবার বক্ষলগ্ন প্রেমিক। যব তক সুরজ চাঁন্দ রহেগা আন্না তুমহারা নাম রহেগা, মনমোহন জিসকা তাউ হ্যায় ও সরকার বিকাউ হ্যায়, সনিয়া জিসকা মাম্মি হ্যায় ও সরকার নিকাম্মি হ্যা্‌য়, ইনকিলাব জিন্দাবাদ। মাইরি বলছি আমার চোদ্দ পুরুষের দিব্বি দিয়েবলছি ওই মেয়েদের ঘিরে সারা মেট্রো কামরা জুড়ে যে কজন মানুষ স্লোগান দিচ্ছিল, তারা যতটা না আন্নার কথা মনে করে স্লোগান দিচ্চিল তারচেয়ে বেশি দিচ্ছিলো অমন ডাঁসা পরিপুষ্ট ৩২ আর ৩৪ এর ব্রায়ের (পাঠক মা শেতলার দিব্বি আমি কিন্তু মোটেই পার্ভাট নই, তবে হ্যাঁ আমিও যে দেখি না তা নয় সুযোগ পেলে কিন্তু আমিও ছাড়ি না) ফাঁকে রাখা আন্নার দিকে তাকিয়ে দিচ্ছিল। একবার ইচ্ছে হয়েছিল বলি মামনীরা এই যে আন্না আন্না করছো তা হাতে বার্গার আর ডান বুকে প্রেমিক কে লোটকে কেন মা? যাও না একদিন আন্নার পাশে বসে অনশন করে দেখো না কেমন লাগে তবে নাহয় বুঝবো মর্দ (নারীবাদীরা শুনে ফেললেন নাতো আজকাল বড্ড ভয় নারীবাদীরা হাব্বী কেলাচ্ছে শুনেছি)কা বাচ্চা থুরি ইন্সান কা বাচ্চা। কিন্তু পাঠক কুল সত্যি বলতে কি তাদের বুকে মনিহারি ব্যাচ এর মতো ঝুলতে থাকা মুসকো মার্কা বয়ফ্রেন্ডদের দেখে লোভ সামলাম, কারন আমার এই ২৭ কোমর ৩২ ছাতি চেহারায় যদি অই জিম সুশোভিত মাসলওয়ালা একটা হাত এসে পড়ে তাহলে চোদ্দ পুরুষ তো দূর অস্ত আমার আগামী বংশধর জন্মাবার আগে দুবার ভাববে। রামলীলা ময়দানের দিকে তাকিয়ে দেখুন যে হাজার হাজার মাথা দেখা যাচ্চে তাদের দিকে একবার তাকান তারা কারা? কলেজ পড়ুয়া অফিস ফেরতা বাবু বারমুডা পরিহিতা তরুণী। তাদের একজন কেও ডেকে জিঞ্জাসা করুন দাদা আপনি এখানে কি করছেন কলেজ পড়ুয়ারা বলবে আবে ইয়ার সব আ রাহা হ্যায় থোড়া হমভি আ গয়ে মস্তি মারনে। অফিস ফেরতা বাবু বলবেন সালে আ গয়ে ব্যস আন্ন টোপী (এখন আর গান্ধি টুপি নয়) লাগাকে মোবাইল মে ফোটে খিচেংগে আউর ঘর সে নিকালতে ওক্ত বেটা বোলা থা পাপা মুঝে আন্না ওয়ালা টোপী চাহিয়ে টোপি উসকো দে দেঙ্গে। আর তরুণী তারা আবার এককাঠি ওপরে। তাদের বক্তব্য শুনবেন? “আরে ইয়ার তুম গান্ডু হো ক্যা, ইয়ে তো মওকা হ্যায়, অফিসে মে বোলা আন্না কে পাস জা রাহা হুঁ, বস মানা নেহি কার সকতে সব কই যা রাহা হ্যায় রোকেঙ্গে তো অফিসমেহি আন্দোলন চালু হো জায়েগা। বস মে টিকট নেহি লাগেগি। হিয়া পর বয়ফ্রেন্ড কো বুলা লিয়া থোড়ি পিকচার উকচার খিঁচয়াঙ্গে খানা পিনা হোগা ফির ইন্ডিয়াগেট পর যায়েঙ্গে কিসি অন্ধেরে কোনে ব্যাঠকে হে হে হে হে সমঝ গায়ে না”। আমি কেনো মামনী হোল ইন্ডিয়া সমঝ গয়ে, দিলওালে সিনেমার গুলসন গ্রোভারের কথা মতো স্বপ্না কে আশিক স্বপ্না কে সাথ গানা গায়েগা জিস পর সুর হোগা তাল হোগা পর বোল নেহি হোগা। পাঠক ছবিটা এখানেই শেষ নয়। পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত।
ফিরে আসছি বাসে করে সেখানেও আন্না সমর্থকদের পরাক্রম অব্যাহত। “ সন্দিপ জিসকা পোতা হ্যায় ও সরকার খোটা হ্যায় (সন্দিপ দিক্ষিত), শীলা (শীলা কি জওানী র শীলা নয় দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী শীলা দিক্ষীত) জিসকি নানী হ্যায় ও সরকার কমীনি হ্যায়” কানে বেজে যাচ্ছে। এর মধ্যে বেচারা কন্ডাক্টর চেয়ে বসিলেন ভাড়া, “মাদারচোদ তুনে ভাড়া ক্যায়সে মাঙ লিয়া বে, সালে বেটি চোদ দিখতা নেহি কাহা সে আ রাহে হ্যায় হম লোগ, আঁখে কিয়া তেরি বিবি কি ভোসরা মে চলি গয়ি ক্যা”। লে হালুয়া তুমি গেছ বার্গার পিজা মারিয়ে আন্নার মজা দেখতে তার জন্য বেচারা কন্ডাক্টর না খেয়ে মরে কেনো। দিনের শেষে মালিককে পয়সা না দিলে সে বেচারার একদিন কা দেহারি মিলবে না। তাহলে? তোমরা তো অন্যায়ের প্রতিবাদে সামিল হতে গেছিলে মহামান্য পাবলিক তাহলে এখানে যে অন্যায় টা করছো তার কি হবে? কোন বোকাচোদা তোমাকে মাথার দিব্বি দিয়েছিল যে তুমি যাও আন্নার অনশনে তাও যদি বুঝতাম আন্নার ১৫ দিনের জায়গায় তুমি একদিনও অনশন করেছো। তাও যদি বুঝতাম তুমি পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে বন্দে মাতারম বলে লাঠি খেয়েছো। কিছুই না খালি পেঁয়াজি।

বলতে পারেন মহামান্য পাব্লিক এই যে ১৫ দিন ধরে আপনারা আন্না নামক মহাজাগরনের ছবিটি দেখলেন তাতে আপনার কন্ট্রিবউশান টা ঠিক কি? কিছুদিন আগেই আন্না ডাক দিয়েছিলেন একদিন কি খানা দে দো, অর্থাৎ কিনা একদিনের একবেলার খাবারের টাকাটা আপনারা দিন দেশের জন্য। কজন দিয়েছিলেন? আজকের ছিলিম ফিগারের তাড়নায় খাওয়া ছেড়ে দেওয়া মেয়েটিও দেয়নি একটা টাকাও। পাবলিক আপনারা কি শুধুই আমজনতা নাকি শুধু “পাব লিক্‌”।সালা হুজুগে বাদর নাচের বাদরের থেকেও তো অধম। সেই বাদর টা তবু নিস্ফল লাফান ঝাপান করে মালিকের পেটের ভাত জোগায় আর আপনারা? শুধুই দর্শক। “আমরা আর কি করতে পারি” সুলভ কথাবার্তা বলে দিন গুনবেন কবে আসবেন যিশু কিংবা কৃষ্ণ নেতাজি, আন্না। আর যখন তারা আসবেন আপনারা শুধুই দর্শক। বাঞ্চত আপনারা সোজা কথায় যাকে বলে চোখে প্রেমিকার মাই কানে বাপের বাড়া আর মুখে বউয়ের পোঁদ গুজে বসে থাকুন। দোহাই আন্না খামোকা নিজেকে কষ্ট দেবেন না। যাদের কথা ভেবে আপনি লড়ছেন তারা নিজেরাই তো দোষী কাকে ছাড়বেন কাকে বাদ দেবেন? লোকজনপাল বিল অনেক পরে আগে ঘুনের মতো বাসা বেঁধে থাকা মানুষের ভিতরের অন্যায় প্রবনতা কে মারুন, আগে মানুষ কে বলুন বাসে ট্রামে রাস্তা ঘাটে নিজেদের মানুষ প্রতিপন্ন করতে। হাওড়া স্টেশানে অসুস্থ বৃদ্ধ মারা যায় কেউ চোখ ফেরায় না, দিল্লীতে অসুস্থকে হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য লিফট চেয়ে অপদস্থ হয় এক তরুণী, মুম্বাইয়ে রেস্তোরার বাচ্চা বয় মালিকের লাথি খেয়ে মারা যায়, সারা ভারতের দিকে চেয়ে দেখুন একজনও মানুষ নেই। নিদেন পক্ষে মান কিংম্বা হুশ কোনটাই নেই। তাই আন্না প্লিজ আর না আর না।।