[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১২

ফেসবুক কাব্য

 

ফেসবুক কাব্য

১.
আমার হিংসুটে ভালোবাসা। ভালো থাকিস।
অকারণে জল ফেলিস। পারলে মুছে নিস আঁচল দিয়ে। বন্ধি করিস আমার আবেগ। বশ করে নিস অনুভূতি। বিচরণ করিস মনেরও বাতায়নে……তুমুল চেষ্টায় সারাতে না পারলে উঁকি দেবো হৃদয়ের টানে।

২.
মিনতি করি সব ভুল আমারই ছিল। সব বিনয় সব আবেগ সব জয় আমারই ছিল। ভুল ছিল সব আমার স্বীকার করে নিচ্ছি। এসবের শুধু অর্থবোধক মান আছে কিন্তু সম্মান নেই এই পৃথিবীতে। নিজেকেই নিজে ধিক্কার দেই। মাথা তুলে দাঁড়াবার প্রাণপণ চেষ্টা করি।

৩.
এখনও অস্থির না কেন?
শ্রাবণ এসে দু’দিন অতিক্রম করেছে। আষাঢ় অতিবাহিত হল। টেরই পেলাম না। বর্ষায় যদি আবেগ জমাট না বাঁধে মনে। তাহলে কিসের বৃষ্টি আর মেঘ। বর্ষায় যদি নীল আঁচল সুভাস না ছড়ায় । বিচ্ছিরি মেঘের দল আর বিরক্তিকর বৃষ্টির জল। আবেগে সবুজ পাতার এক ফুটো জলও হয়ে যায় রঙ্গিন প্রজাপতি। আর জলে সিক্ত তুমি হও জীবনের ক্যানভাস।

নিরব দহন


নিরব দহন


প্রতিটি বিকেল বেলা-
পশ্চিমে যখন দিনের সূর্য ঢলে
তুমি এসে বসে থাক রূপালী নদীর তীরে
ঐ শ্যামল বটের তলে।
সূর্যের লালী মেশা জলে হয়তো
এঁকে যাও কোন কল্পনার প্রতিচ্ছবি।
বাতাসে উড়ে তোমার চুল
নদীর তরঙ্গ উছলে উঠে
তোমার বুকে হয়তো জাগে অজানা প্লাবন।
আমি তখন এই পারে বসে-
তমাল তরুর তলে
ছড়িয়ে দুখানা পা,
বাঁশিতে তুলি সুরের গীতাঞ্জলি
আনমনে গেয়ে যাই অজান্তে
অচেনা তোমারই নাম।
তুমি চেয়ে থাক অপলক
সুরের তরঙ্গে কেঁপে উঠো
শিহরন জাগে তোমার রক্ত স্রোতে।


সাঁঝের মায়ায় মায়া বনে একাকী তুমি
ঝড়াও মায়ার জালে।
তারপর সাঁঝের ছায়ায় যখন আঁধার নেমে আসে
অস্পষ্ট হয়ে যায় আমার প্রতিচ্ছবি
থেমে যায় আমার সুর-
তুমি ফিরে চল ধীর পায়ে।
চাওয়া পাওয়ার দ্বন্ধে অশ্রু ঝরাও
বিরলে বসে কাটাও নিঝুম রাত
কখনও নিদ্রার কোলে।
দিন কেটে যায়
কেটে যায় প্রতিটি বিকেল
আমি তবু দেখিনি তোমার বিরহ যাতনা
দেখেছিল শুধু আমার অন্তরাত্মা।
 


তুমি যখন আজ উঠে দাঁড়ালে
উড়লো আঁচল, উড়লো তোমার চুল
ধ্যান ভাঙ্গলো আমার বাতাসের ঝাপটা লেগে;
মন হল- কে জানি আপন
ছুঁয়ে গেল তনুমন।
তুমি চেয়ে রইলে অপলক আমার পানে
তারপর পা বাড়ালে
দু’হাতে অশ্রু মুছে
আঁধারে মিশে গেলে।
আমি চেয়ে রইলাম তোমার পথের পানে
অজান্তে উঠলো কেঁদে আত্মা আমার
বাতাসেও হু হু শব্দ জাগে
হয়তো তোমার আত্মার ক্রন্দন
শুনা হয়নি এতদিন
হয়তো ছিলাম অচেতন।


রাত নেমে এলো
নেমে এলো আমার বুকে
তোমার সহস্র দিনের নিরব যাতনা
প্রতীক্ষার প্রহর গুণা।
শেষ হয়না তবু নিরাশার এ রাত-
আশঙ্কা বুকের মাঝে উঁকি মারে
আবার কি আসবে তুমি এই পথ ধরে
বসবে কি আবার শ্যামল বটের তলে।
যদি আর না আস ফিরে
কি করে কাটাব এ জীবন
প্রতিটি বিকেল তবু বসে রইব প্রতীক্ষায়।
না- এ হবার নয়
জানি তুমি আসবে আবার ফিরে
গোধূলি রঙ্গ মেখে,
আমি তখন কাণ্ডারি সেজে
ভিড়াবো আমার তরী
ঐ শ্যামল বটের তলে,
হবো তোমার পাণিপ্রার্থী।
তুমি কি দেবে তখন দুহাত বাড়িয়ে?

শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১২

শে


শে
...



বসে বসে সময় গুনি
কখন যে বেরিয়ে গেছো তুমি

কখন যে চাপা পায়ে
শব্দ না করে, না-তাকিয়ে
অথবা না-তাকানোর চে’ আরো বেশি উপেক্ষা
আরো বেশি অভিমান ...

কখন যে চাপা পড়ে, গেছে হারিয়ে
যে সর্বনাম-প্রিয়
শে

পরিস্থিতি


পরিস্থিতি
..........




তোমার শরীর নরোম, এত্তোটুকু
নুয়ে আসে;
আগুনে ঘি ঢেলে বাড়তে দিই তাকে
আগুন পোহাই

আমি দূরত্বে নতজানু
অলস, বিভ্রান্ত।

ঘেঁটু কাহিনি


ঘেঁটু কাহিনি
..............


এই ঘেঁটুর ভিতরে আমি ঢুকে যেতে চাই!
হয়ে উঠতে চাই এর অংশ
কি করে যে মৃদুমন্দ সফিশটিকেশন ভিতর এটা নিজেদের রা করে
শুনলেই আমোদ লাগে, কাদাজলে ছোটাছুটি করা
শাদা শুকরছানার মতো লাগে

হা হা হি হি করে করে কেটে যাবে কত যে সময়
সময়ের পাঙ্খা আর নাই সময়ের ভিতর!

অনেকদিন আগে, কতদিন যে আগে
বসেছিলাম সেই বারান্দায়
টুং টাং গ্লাসের শব্দে উঠেছিল আমার ঢেঁকুর

পড়িমড়ি করে করে ছুটে ছুটে
আমি আবার চলে যেতে চাই যে সেই ঘেঁটুর ভিতর

পুরাতন সমাজ থেকে
ব্য-সম্প্রদায় ডাকে
ওরাও তো হতে চায় ঘেঁটুর বাছুর!

মাদী-ঘোড়া আসে
আরও আসে যার নাই কোন পাছা

আসে আর যায় যারা
তাদের গমনাগমণে
উৎসুক হয় মন আরো, নানান জিজ্ঞাসা...

ওই যে বক্তব্য-প্রধান
ছিঁড়ে যাচ্ছে নিজের চুল, ক্রমাগত

ওই যে ভন ভন মাছি

ওই লাজুক মোরগ, প্যাঁকপ্যাঁক হাঁস, বিগলিত হাসি

এঁরাও তো বিনীত অংশীদার
ঘেঁটু শিষ্টাচার গড়ে তুলছে
ছোট ছোট বাঁশের বেড়ায়

গরুর উলান থেকে জাগিয়ে তুলছে ক্ষিরি কাবাবের অগ্রিম গন্ধ

সেই গন্ধেই মন উচাটন,
অমরত্ব-লোভী পোকা-মাকড়গুলি
দিয়ে যাচ্ছে জৈবিক সারের যোগান

ঘেঁটু’র মহত্বে আমিও অভিভূত
রাত বারোটায় লাইনে দাঁড়ানো বাংলাদেশীর মতো
হীনমন্ম্য, অস্বস্তিকর (দুই সপ্তাহের জন্যে হলেও) একটা এন্ট্রি চাই, ইন্ডিয়ার
দেখে আসতে চাই
কেমন যে ওই শাদা, বরফ-পাহাড়!

যারা নাই তারা আসলে কেমন?
কেমন এই ঘেঁটুর আদল?

দুই/চার লাইন


দুই/চার লাইন....
.................


বহুত্ব

ইচ্ছা হয় গর্ত ছেড়ে বের হয়ে আসি
ইচ্ছা হয় গর্তের ভিতর কাটিয়ে দিই সারাটা জীবন

জীবনের বহুত্ব খোঁচাচ্ছে আমারে এখন।


সকালবেলা


ডিম হয়ে ভেঙ্গে পড়ি
গরম কড়াইয়ের তেলে

বলি মন উঠো, সকাল হয়েছে!


গানের পাখি


শচিন-কর্তা গাইলেন,
মুগ্ধ হয়া শুনলেন যিনি, তিনি পাখি

পাখি কখন জানি উড়ে যায়!


দৈনিক পত্রিকা


দিন শেষ তাই
দিনের পত্রিকা তুলে রাখি

দেয়ালের পাশে স্তুপ জমে যাচ্ছে ক্রমশঃ

গান

  দূর থেকে শোনা গান, দূরত্ব মহান!
কে আর তবে আসবে কাছে, কে আর তবে গাইবে গান?
গান তো তবু ছুটছেই; মহা গ্যাঞ্জাম!

শরীর


এই শরীর আমি চিনি না, এই গন্ধ ...
এই শরীরকেই আমি ভুলে যেতে চাই,
এইটা আসলে নাই-ই!

অর্ধস্ফুট

শিখছি চুপ করে থাকা, কি করে কথা না বলে থাকা যায়;
তারপরও কথা বের হয়, যদিও আটকে আসে...

আমি ভাবি, এইরম করে আর কদ্দিন!

চিম্বুক পাহাড়ে


একটা পাহাড় ডাকছে, ‘ও ভাই, যাও কন্ডে?’
আরেকটা পাহাড় বলে, ‘মেঘ ধরতে দাঁড়ায়া আছি’

মেঘগুলি উড়ে উড়ে ... পাহাড় থেকে পাহাড়ে ...


টাইম-আউট


সময়ের বাইরে এসে বসছি
প্লাস্টিকের টেবিল চেয়ারে বসে ভাবছি, এইটাই তো অবসর

এক টুকরা খোলা আকাশের নিচে ছোট ছোট খুপচি আড্ডা