[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

অবদমন


অবদমন


তার কাছে কি ঠাঁই ছিলো না দেবার মতো,
কিংবা কিছু ভালবাসার নীল যাতনা ?
নয়তো কিছু ঘৃণার অধিক বিবমিষা ?
আমার কেবল অবহেলার তীব্র দহন ,
আয়ুর দীর্ঘ চত্বরে তাই
অপমানের স্মারকচিহ্ন !
ক্ষতের দাগে, কাঁটার খোঁচায়
জীর্ণ আমার সুখ-চেতনা ।
পরাভবের গ্লানি জড়ায় পায়ে পায়ে
ধুলোর মতন,
ভোরের আলোয় কেন ছিলো তার
মৌনব্রত- অবদমন ?
তার কাছে কি কথা ছিলো না বলার মতো.... ?

ঘুমন্ত নারী


ঘুমন্ত নারী


ঘুম ঘুম ঘুম চোখে
ঘুম ভাঙ্গা শহরে
বুক ফাটে চোখ উঠে
বিছিন্ন আঁধারে।

আবছা আলো ঝাপসা চোখে
নতুন কোন সুখ
রাস্তার মাঝে পড়ে থাকি
আহত আমার মুখ।

বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিলো
অপবিএ শরীর
কোথায় গেলে পাবো তারে
হয়েছে সর্বনাশ।

কত কথা মধুরতা
শহরে শত চিহৃ
আঁকা বাঁকা পথে
খুজে নিয়ে ছিলাম সরলতা।

কোমল মনের ব্যাকুলতায়
পড়েছি বসন্তে
দেহ মন শিহরণ
আবারো প্রতিটি ক্ষণ।

প্রয়োজন শেষে পরিত্যক্ত আমি
এই ভালোবাসার শহরে।

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

পরী বানুর গল্প


পরী বানুর গল্প

০৬ সেপ্টেম্বর ২০১২

বাড়ি বাড়ি কাজ করে
পরী বানু নাম
বাচ্চা কাচ্চা আছে দুটো
অভাবের সংসার।

প্রতি মাসে নতুন শাড়ী
করে যে আবদার
রিক্সা চালক জামাই তার
হয় না ভাল আয় রোজগার।

তিন বেলা অন্ন জুটে না
নেই কোন অভিমান
নতুন শাড়ী পেলে পরে
খুশিতে করে স্লান।

কারো থাকে টাকার লোভ
কিংবা বাড়ি গাড়ি
পরী বানুর শাড়ীর লোভ
নিজেকে ভাবে অভাবী।

আনতে গেল নতুন শাড়ী
বাচ্চা কাচ্চা নিয়ে
মানুষের ভিড়ে পিষ্ট হলো
সরদার বাড়ির উঠনে।

পরী বানুর কান্না চোখে
জোড়া লাশের ভারে
পরের বছর পিষ্ট হলো
রিক্সা চালক জামাই।

নতুন বাড়িতে কাজ নিয়েছে
চলছে বিয়ের আমেজ
কনের জন্য আনলো কিনে
লক্ষ টাকার শাড়ী।

সেই শাড়ী পড়তে গিয়ে
পরীর হলো দেরি
বাড়ির মানুষ দেখতে পেয়ে
করলো সবাই চুল ধরাধরি।

পরীর মাথা এদিক ঘেঁষায়
ওদিক ঘেঁষায় রক্ত ছড়াছড়ি
এ্যাম্বুলেন্স ছুটে চলছে
মৃত্যুর ঘোরাঘুরি।

যাবার আগে পরীর মুখে
ছিল খুশির বেগ
লক্ষ টাকার শাড়ী পড়ে
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ।
 
 

তুই চোর

 

তুই চোর

        ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১২

আসুন আমরা একটি পক্ষী পালি
তাকে গান গাইতে দিবো না
রাত দিন একই বোল শিখাব
"তুই চোর","তুই চোর","তুই চোর"
আর পক্ষী তা শিখে গেলে
পাঠিয়ে দাও এই অস্ত্র তাদের ঘরে

যাদেরকে বিশ্বব্যাংক চোর বলেছে
যারা ভারতের দালালি করে
যারা শেয়ার মার্কেটে লুট করে
যারা বেডরুমের নিরাপত্তা দিতে পারে না
যারা ঘুস খেতে ভালবাসে
যারা প্রতিক্ষেত্রে দুর্নীতি করে
যারা শিক্ষাজীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে
এর ফলে হয়তো এইসব জানোয়াররা বদলাবে না

তবে তাঁর সন্তানেরা বলবে, "বাবা/মা, তুমি চোর ?"
তাঁর পিতা-মাতা বলবে," তুই চোর?"
তাঁর সমর্থকরা বলবে, "আপনি চোর?"
আর আমি কবিতা লেখব "তুই চোর"

প্রতিদিন উড়ে যাই তোমার নিকট

 

প্রতিদিন উড়ে যাই তোমার নিকট



একটি পিপাসার্ত কাচপোকার মত
ভয়ে অথবা নিশঙ্ক চিত্তে
একাগ্র ছুটে চলা আগুনের লকলকে শিখাটির দিকে;
মাটি কিংবা হাওয়ার ক্যানভাসে
নিশ্বাসের মিহি ছাপ রেখে একদিন
পৌঁছে যাবো ঠিক তোমার নিকট।


দীর্ঘ অদর্শনের যাতনা ভুলে
তুমি হয়তো চমকে উঠতে
প্রথম দিনের মত;
অবাকের ভঙ্গীতে আমি তোমার মুখোমুখি
দেয়ালের আরশী হয়ে
চোখে চোখ রেখে দাঁড়াতাম!


হয়তো অনুরাগী অভিযোগে বলতে আগের মত
‘এত দেরি করলে কেন? আমার বুঝি খারাপ লাগে না?’
অথবা ‘কত ঝামেলা, কাজের পাহাড় ঠেলে আর আসা হয় না!’

বলে তোমার কষ্টে প্রলেপ ছোঁওয়াতাম;
গভীর দৃষ্টিতে আমার চোখে চোখ রেখে বলতে,

 ‘অনেক শুকিয়ে গেছ!’

এমনি আরো কত কিছু ভাবি দিনরাত
কিন্তু শেঁকড়-বাকড় মেলা পুরোনো বৃক্ষের মত
যেন অনড়তায় নির্বাক কঠিন সময়;
তবু আমি প্রতিদিন উড়ে যাই তোমার নিকট
বিস্তৃত-ডানা মুক্তবিহঙ্গ যেন হাওয়ায়
স্বপ্নে অথবা মননের বায়ুযানে।

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মা’গো ও’মা!কি রাখিবো চরণে তোমার?



মা’গো ও’মা!কি রাখিবো চরণে তোমার?


মা’গো ও’মা!
কি রাখিবো চরণে তোমার?

যে চাঁদের ‍কপালে এঁকেছিলে’মা,
তোমার মুখের আদর মাখা,
জ্বল জ্বলে তারার মত সোহাগি চুমা।
তোমার সেই কোলের শিশু এখন,
হাটি হাটি পায়ে, তোমারই আঁকা পথে,
পথ চলতে শিখেছে’মা।

বড় হয়েছে এখন তোমার সন্তানেরা’মা,
পুষ্ট শরীর, ব্যাঘ্র গর্জনে, দর্পভরে,
 তোমার প্রজন্ম দেখ উঠছে বেড়ে।

তোমার স্বপ্নের মত উচ্চভিলাষি’ মা,
তমসা আঁধার করছে পার,
বিশ্ব জয়ের প্রলুব্ধ বাসনায়।

“আমার সন্তানেরা থাকে যেন দুধে ভাতে”
বলতে তুমি’মা,
তাইতো আজ, দিনবদলের সমুখ পথে,
জয়ের ভেরি বাজে, তোমার গানে গানে।
মা’গো ও’মা!
কি রাখিবো চরণে তোমার?