[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১২

আজ রক্ত নেচেছে সর্বনাশী


আজ রক্ত নেচেছে সর্বনাশী



আজ রক্ত নেচেছে হোলিখেলায়, রক্ত নেশা
 অন্ধকারের নাই দিশা আজ, শুধু তৃষা।

ক্ষুরধারার ক্ষুদার্ত তরবারি চলছে বেশ, অহনীশি
চারিদিক ধ্বনিত কুরুক্ষেত্র ভয়, সর্বনাশী।

ঝন-ঝন-ঝন ঢাল-তলোয়ার বাজে পবন, আর্তদহণ
সর্বনাশা ছোবল ধ্বজ্জ্বায় মৃতসবের, অরণ্যরোধন।

দিকে-দিকে আহাজারি‘তে আজ সুখ মুছেছে, আর্তবিলাপ
কেন আজ রক্ত সুখে চলছে খেলা, দহণ প্রলাপ!

এযে আজ, সকল আশার; ভালোবাসা, বরফ গলা জল
তাই; আত্মগ্লাণি মুছায়ে দিতে, করছে টলমল।

বুকেচাপা ব্যথার দেয়াল সব, সহেছি বড়
দেয়াল পিঠে বাঁচি কত আর, জড়সড়।

শুধু হোলিখেলার নোংরা সুখ, সংগোপনে
ক্ষুরধারার রক্ত প্রহসন, জনে-জনে।

ভরা পূর্ণিমার জোয়ারধারা, গ্রহণকালে
ঢাক, ঢোল, শিঙ্গায় রক্তখেলা; তালে-তালে।

নিগূঢ়সুখ রক্তজলে আজ করে স্নান, আহ্বান
ব্যথার পাহাড় ভাঙ্গে বিলাপে, আত্মম্লান!

Δছুটে যাই নষ্টলোক


Δছুটে যাই নষ্টলোক



ছন্দিত পদভারে হেঁটে যাও তুমি
দুলিয়ে দুলিয়ে কোমল নিতম্বদ্বয়
খেলা করে কীযে দেহের ভূভাগ–

উথাল-পাথাল যেনো ঢেউয়ের নাচন!
তুমি কি বুঝতে পারো বা দেখতে পাও
কী নাছোড় তোমার অদৃশ্য চূম্বক?
কেমনে বিদ্ধ করে আমার হৃদয়-শরীর
বড়শীবিদ্ধ হয় যেমন দুরন্ত মাছ;

হায়, কী করেই বা দেখবে আবেশীয় চোখ!
কিংবা টিভি-সিনেমার পর্দায় নাচো গাও
তখনো কি ভাবো, তোমার দেহের নাচন–
জাগায় মনের ভেতর অবাধ্য জোয়ার
মধুর আকর্ষণে কাজ ভুলে মাতাল আমি
মন্ত্রমুগ্ধের মতোন ছুটে যাই নষ্টলোক!

ষোড়ষী কিংবা শিশুও কি তখন আর
অভয়ারণ্যেও থাকে নির্ভয়-নিরাপদ?
আমি না হয় মদমত্ত বেভুল, হোক সাজা হোক
কিন্ত সাকী হে, সাজা কি হয় কখনো তোমার!!

নষ্ট কবি নষ্ট কবিতা!!

Δপাপ যদি হয়




উদোম শরীরে কিংবা ফিনফিনে পোষাকে যখন
দুলিয়ে তুমি কোমল দেহবল্লরী
উগ্র প্রসাধনে চলে যাও মুক্ত-স্বাধীন–

হৃদয়ে তখন আমার মাতাল হাওয়া বয়ঃ
আর দাপাদাপি করে শুধু নরকের কীট;
মনের পশুটাও ক্ষেপে ওঠে বেগতিক
ঠেকাই তাকে বলো, কী সাধ্য আমার?
সর্পিল গতি হেঁটে যাও তুমি—-

ভেসে চলে বাতাসে গন্ধ তোমার
পাগল আমি চেয়ে থাকি অপলক
পাপ যদি হয়, বলো দোষ কি আমার!
পতঙ্গের মতো হয়ে বেভুল-মাতাল
নিজেকে দিতে যদি না পারি সামাল;

কিংবা মোহের আগুনেই কভূ দিয়ে দিই ঝাঁপ
দায়ী কি হবেনা তবু তোমার শরীর
একাকীই নেবো আমি নিন্দার ভাগ!!