[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১২

কাতানের লাল টিপ…


একটা অসহ্য বিষয় দিয়ে শুরু করি, সবার বিয়ে কেন ২০ তারিখে? চার চারটা বিয়ে আমার ২০ তারিখে? আমি কোনটা ছেড়ে কোনটায় যাব? তাও আবার সব বিয়ে রাতে। দিনে হলেও হত। ভাবতেই খারাপ লাগছে যে খুব কাছের দুইজনের বিয়ে ২০তারিখে। এখন আমার কি করা উচিত? Should i dance or just vent my frustration out over here? খুবই চিন্তাই আছি। এমনকি আমি রাতে বসে বসে আমার বান্ধবীদের সাথে প্ল্যান করি কি বলে কাকে কাটাব। আমি আবার পানি যেদিকে গড়ায় সেদিকে গড়াই। যেই বিয়েতে সবাই যাবে আমিও সেই বিয়েতে যাব। একা একা আনন্দ করার থেকে দুষ্টু গরুর দলে থাকা ভাল তাই না?
Ahhsome বিষয় হচ্ছে আমি প্রায় এক বছর পর ঘটা করে শাড়ি পরব। শাড়ির সাথে আমার শৈশবে এত বেশি আন্তরিকতা ছিল যে এখন এই বয়সে মানে Twenty something এ এসে শাড়ি দেখলেই আমার মেজাজ গরম হয়ে যায়। একতো শাড়ি পর তার উপর মিলিয়ে ব্লাউজ বানাও, ব্লাউজ এর আবার বাহারি ডিজাইন আছে সেগুলো একে একে টেইলর কে দিয়ে সাজাও। আমার শাড়ির না যত দাম তার থেকে বেশি টাকা ব্লাইজ বানাতেই নিয়ে নিল আমার টেইলর। মাঝে মাঝে মনে হয় নিজেই একটা সেলাইন মেশিন নিয়ে বসে যাই। যত টাকা টেইলর কে গত কয়েক বছরে দিয়েছি তত টাকা দিয়ে আমার আর কিছু না হলেও একটা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি হয়ে যেত। হ্যাঁ, যেই প্রসংগে বলছিলাম, আমার শাড়ি পরা নিয়ে এইবারো এক বিশাল গ্যাঞ্জাম লেগে গেল। পরশু দিন হলুদ আর আমি কনের বান্ধবি হয়ে এখনও শাড়ির সাথে ব্লাউজ মিলাতে পারলাম না। Sniff*
এই সব গ্যাঞ্জামের থেকেও আরেক বড় গ্যাঞ্জাম আছে… বলুন তো কি?
কনে একটু আগে ফোন দিয়ে বলল, যেই অনুষ্ঠানটা অফিসার্স ক্লাব এ হবার কথা, সেই অনুষ্টান অফিসার্স ক্লাব এ আর হচ্ছে না। ঐ দিন নাকি তারা সকল অনুষ্টান বাতিল করেছে। কেন করেছে কেও জানে না। যাই হোক এখন হলুদ কনের নিজ বাস ভবনে হচ্ছে। তাহলে আমি একটা রিক্স নিতে পারি বলুন? আমার সকল সমস্যার সমাধান আসলে কনে নিজেই করে দিল। যেই পোজ মেরে আমি হলুদে যেতে চেয়েছিলাম আমাকে সেই হলুদে এখন একটু কম সাজলেও কেও চোখে দেখবেনা :P ছাদের উপর করুন আর সামনের উঠানে, ক্লাব এ যেমন ঝকমারি বাতি লাগানো থাকত তা থেকে বাসার হলুদের আয়োজন অনেক কম আলোয় হবে। সুতরাং আমি আর ব্লাউজ নিয়ে ভাবছিনা। এখন কালো ব্লাউজ পরলেও আমাকে কেও দেখবেনা । :P
ওহ! শাড়িটা না দেখালেই নয়, আমার মা’র শাড়ি, না হলেও ত্রিশ বছর আগের শাড়ি।
 
এর সাথে লাল সবুজের কাঁচের চুড়ির সাথে এন্টিক এর বালা, স্টোন এর বালা এবং কাতানের পাড়ের চূড় পরলে কেমন হবে? সাথে বড় ঝুমকা এবং মস্ত বড় একটা লাল টিপ! উফফফফ… আমি এত খুশি কেন? বান্ধবীর বিয়ে নাকি নিজের সাজুগুজু করার সুবর্ন সুজোগ পেয়ে! সাজের ব্যাপারে আমি বরাবরই একটু বেশি খুশি থাকি। সব কিছু যেন ভাল ভাল হয় এই দোয়া চাই সবার কাছ থেকে এবং আমার বান্ধবীর বিবাহিত জীবন যেন অনেক সুখের হয় সেই জন্যও আমি দোয়া প্রার্থী।
হলুদ খেয়ে এসে ahhsome experiences নিয়ে আমি আবারো আসব কিন্তু তার আগে আমাকে জানাতে হবে বিয়ের জন্য কি উপহার কিনলাম যেটা না কিনেই আমি হৈ চৈ করছি !

শাড়িটা কিনেছি হৃদিতা তুমি পরবেনা ?



শাড়িটা কিনেছি হৃদিতা তুমি পরবেনা ?


মেরুণ কালারের একটা শাড়ি ঝুলেছিল হ্যঙ্কারে
পুরো জমিন ভরা ছিল তার হরেক পুঁতির বাহারে
আহারে প্রিয়ারে তোমার পরনে জড়ালে হবে বেশ
শাড়িটা নিউমার্কেট থেকে কিনে স্বপ্ন দেখলাম বেশ
এই চৌদ্দ তারিখে মেরুণ সাঁজে সেঁজে দাঁড়াবে পাশে
আহ ! চৌদ্দ তারিখ কেন এখনো আসে নারে মঙ্গলী বেশে
হৃদয় তৃষ্ণায় ছটফট করে করে চাওয়ার অনুগুলোয় নাচন ধরে
আহ ! শাড়িটা কিনেছি হৃদিতা ; তুমি কি পরবেনা অহংকারে ?


খুব কষ্ট পাব তৃষ্ণার সাথে সাথে স্বপ্নের মৃত্যু হবে
ভালবাসার প্রতিদানে ভাল লাগা যদি নাইবা দিবে
কেন শুধু শুধু একপেশে ভালবাসা নিবে...........?

শিয়রে দাঁড়িয়ে আছে তোমার ভালবাসা


শিয়রে দাঁড়িয়ে আছে তোমার ভালবাসা ।।

আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে আছে তোমার ভালবাসা
কাছে ডাকছি শুনছে না ।
বসতে বলছি বসছে না ।
তেরো হাত জমিনে লাল টুকটুক সজ্জায় দাঁড়িয়ে আছে
তোমার ভালবাসা।
গোলাপের পাপড়ি রাঙ্গা অধর যে তার তোলে হৃদস্পন্দন
প্রজাপতি রাঙ্গা আঁখির মাঝে স্বপ্নের নান্দনিকতা খেলা করে
ময়ূর পাখির পেখমের মত করে দোল খায় ভালবাসার জানালা
আমাকে শিহরিত করে তোমার ভালবাসা !!
এলাচির খোসায় আবদ্ধ তোমার টক-ঝাল দৃষ্টি
দেহের চাদর ভেদ করে সাড়ে চব্বিশ পরগনায় আলোড়ন তোলে !
ঝুঁকে ওঠে কপোতাক্ষ নদের দেহ !
তুমুল আলোড়নে নড়ে ওঠে নাভিমূল
ঝুঁকে বসে কবি বাবুর বসন্ত বেলা ।

আমার শিয়রে দাঁড়িয়ে আছে তোমার ভালবাসা
কাছে ডাকছি শুনছে না ।

অবহেলা অনাদরের মাঝেও যে মুষ্টিমেয় সুখ মেলে
তা কেবলি আমার ; তোমার নয়
তোমার ভালবাসারও নয়।।

সবি বুঝো কেবল মালি মনের কথন বুঝো না !


সবি বুঝো কেবল মালি মনের কথন বুঝো না !


সহজ সরল চরিত্রের এক প্রেমিক আমি। বিকেলের অণু রোদ আমার নিকট বড় ক্লান্তির ! নিশীথে জোনাকির আলো আমার ভ্রান্তি বাড়ায় ! তবুও আমি প্রেমে অটল প্রেমিকপুরুষ । কঠিন প্রেমের মায়ায় বেঁধেছি তার হৃদয়ের সাথে আমার হৃদয়। ভালবাসার আকর্ষণে আমাদের প্রেম যেন একি দেহের দুটি অংশ। যার এক অংশ কষ্ট পেলে অপর অংশ কাতর হয়। এক অংশে রক্ত ঝরলে অপর অংশ রক্ত বিলিয়ে দেয়। তবুও কেন তার চোখে-মুখে এত সংশয় ?

তার চোখে ছলনার ডিঙ্গা বয় অথচ আমাকে খুশী করতে আমার ওষ্ঠের সম্মুখে তার ওষ্ঠ ছোঁয়াতে মগ্ন থাকে সারাক্ষণ! চুম্বনের বিপরীতে স্বতস্ফুর্ত চুম্বন ! তারপরও ছেড়া-কষ্ট আমার হৃদয়ের মাঝে থেকেই যায়। বেশী ভালবাসলে বুঝি এমনি হয়।

নিষ্কলঙ্ক বিশ্বাস মুখ লুকোয় আড়ালে। আপন শক্তি ক্রমাগত নুয়ে পড়ে । মনের কলকব্জা গুলো অনাদরে-অবহেলায় পড়ে থাকতে থাকতে ধীর ধীরে মরিচার শিকার হয়। তখন মনের সাথে মানুষটাকে মেলানো খুব কষ্টকর হয়। নিষ্কলঙ্ক বিশ্বাসের রোদনে আমার আপন শক্তি ক্ষয়ে গেছ্যে দিনকে দিন। শক্তি-সামর্থের কলকব্জায় মরিচা পড়েছে। আমি নষ্ট কলের মত অনাদরের পাত্র হয়েও প্রেম ভিক্ষা চাই।

আমার প্রেমের শরীর আবার হাসুক। জলতরঙ্গে হৃদয়ের হাহাকার গুলো নিজেদেরকে বিসর্জন দিক ।

ফুল যদি নাইবা হও কাটা হয়ে মন বাগানে এসোনা একটি বার। আমি ভ্রমর নাইবা হতে পারি একজন সাদা মনের মালি হতে পারবো। মালি কি প্রেমিক হতে পারে না ? নাকি মালির মন থাকতে নেই ? এই জনমে না হয় অন্যজনমে যদি একটি বারের জন্য জন্মাই তবে আমি যেন মালি হয়ে-ই জন্মাই। আমার বাগান সুদ্ধ যেন একটি গোলাপ গাছ থাকে। যাতে ফুল থাকবে না ; পাতা থাকবে না ,শাখা-প্রশাখা কিছুই থাকবে না। থাকবে কেবল ভালবাসার একটি কাঁটা। যেখানে তুমি থাকবে , তোমার আলতো ছোঁয়া থাকবে ; আর অভিনয় বিহীন ভালবাসা গ্রাহী একটি মন থাকবে। সেই কাঁটার তীক্ষ্ণতায় আমার ভালবাসার শরীর আমি রক্তাক্ত করবো বারবার।

ওগো সুনয়না, সবি বুঝো কেবল মালি মনের কথন বুঝো না !

নৈঃশব্দের ঘোরে অদৃশ্য আমি !


নৈঃশব্দের ঘোরে অদৃশ্য আমি !



আমাকে আবিষ্কার করতে পারলে না! পাতালের রহস্যে হাত দাও। কি? কিছু পাচ্ছো? তোমার হাত মিলিয়ে যাবে তবুও কিচ্ছু পাবে না।

বর্ষা আসছে। কদিন পরেই ঝড়ের তাণ্ডবে শিকড় সমেত উপড়ে পড়বে বুড়ো বট। চারপাশ জলকণায় পরিপূর্ণ হবে। এত সবের মাঝে চোখের জলের মূল্য কোথায় ?সিক্ত-শীতল আবহাওয়া। আমিও যথেষ্ট শীতল হতে চাই!

প্রহেলিকার অন্তরালে আমার নিমগ্নতা। আমার ভাল লাগা আজ ভঙ্গুর বিশ্বাসের উপর আর্তনাদরত! আগে ভাল থাকা বুঝতে এক রকম বুঝতাম; এখন আর বুঝতে পারি না, আমি ভাল আছি কিনা? ভাল থাকা কাকে বলে ,এখন আমার কাছে ধূপছায়ার মত লাগে।

বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দ্বন্দ্বে আমি বড়ই ক্লান্ত। ক্লান্ত আমার শরীর-স্বপ্ন-বিবেক। আমার সহ্য ক্ষমতা সীমা অতিক্রমের মাত্রায় এসে দাঁড়িয়েছে। আমার বড় হতাশা কোথায় জান? এতদিনের সম্পর্ক অথচ একটিবারের জন্যেও তুমি আমাকে বুঝলে না! সত্যি সেলুকাস, কি বিচিত্র তোমার প্রেমলীলা!

আকাশের বুক থেকে নীহারিকা অদৃশ্য হয়ে গেছে। তোমার সাথে-সাথে বিমুখ পৃথিবী-প্রকৃতি! বিরক্তিকর বিচিত্রহীন পাহাড় প্রহরীর মত চোখের সম্মুখে দণ্ডায়মান! যেন তৈরী হয়েছে কতগুলো বোকা পর্যটকদের জন্য! আমার মত নগণ্যের জন্য নয়। আঁখির জলের জন্য নয়, শুষ্ক হৃদয়ের তৃষ্ণার জন্য নয়। স্বপ্নেই জন্য তো নয়-ই!

পাথরে পিষ্ট আমার হৃদয়-প্রশান্তি। আমার কোন শব্দ নেই। যা কিছু আছে তা কেবল নৈঃশব্দ! নৈঃশব্দের বেড়াজালে বিক্ষিপ্ত-বিচূর্ণ আমি! নৈঃশব্দের ঘোরে একলা হাঁটি, একলাই চলি। একাকিত্ব কে সঙ্গী ভেবে আমিত্বকে নির্বাসনে পাঠাই বারবার।

তবুও পারলে না! পারলে না আমাকে আবিষ্কার করতে! হৃদয়ের চোখ দিয়ে কেবল একটিবার আমার দিকে তাকাও; নিজের স্বপ্নে আমার স্বপ্নগুলোকে ঠাঁই দাও। দেখবে, হৃদয় আকাশে মেঘ কেটে গেছে। বর্ষার বিদায়ে এসেছে বসন্ত।

কিছু কথা কিছু


কিছু কথা কিছু (গান)

নীল
নীল নীল
আকাশ
মৃদু
মন্দ বইছে
বাতাস
লুকোচুরি
করে চাঁদ মেঘের সনে

বসে আছি নির্জনে
কইছি
কথা আপন
সনে
তোমাকে
কেন আজ পড়ল
মনে?

কবে তুমি হারিয়ে
গেছ
তবু
বার বার ফিরে
আস
চাইলেও
পারিনা যে
ভুলিতে
মনের
গোপন
কোণে
রেখেছি
তোমায়
সংগোপনে
বড়
কষ্ট একা পথ চলিতে

চাঁদের
পানে চেয়ে তোমায় পড়ল
মনে…..

একা একা আর ভাল
লাগেনা
কোন
কাজে মন যেন বসে
না
আর
কি হবেনা দেখা
জীবনে?
শূণ্য এই জীবন কি খুঁজে পাবে কোন
মানে??