আমার ব্যথাগুলো আরো ব্যথা নিয়ে মেঘ হয়ে চেপে গেছে চোখে আমি ভালো নেই.....
[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]
শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩
রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১২
তুচ্ছ কেন তুমি ?
তুচ্ছ কেন তুমি ?
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
হয়ে শামুক নিজেকে গুটিয়ে নিলে যে বড়
শত্রুর ছায়া নিয়তই দীর্ঘ্য
বৃষ্টিতে ভিজে অনাহারী কাক
এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়!
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
ভিজে পোষাক হরদম না নেমেই জলে
করবে জরীপ সমুদ্র গভীরতা!
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
নেই কি তোমার গল্পগুচ্ছ. গীতিসন্ধ্যা নৃত্যমুখর উৎসব
বিক্রী করছো কবিতা সস্তা কাগজ দরে
ভুলো কি করে কবিতা তোমার অবয়ব!
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
হয়ে সঙ্গী বুনো ইঁদুর বিশ্রী বেঁচে থাকা
কত আর হবে তুচ্ছ !
চুপসে তরবারী ঘাতকের ঘাম শুকে ।
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
শুনে প্রেম আব্দার পাগলপারা
চুপসে তুমি চাপাতি রুটি !
গিয়ে দর্জির দোকান মাপো শরীর
ফেল বিম্ব জীবন আয়নায়
তুচ্ছ নও, তুচ্ছ নও তুমি
এখনো সংগোপন প্রেম যাচে তোমায়।
চিঠি পরিযায়ী
পরিযায়ী চিঠি এদিকে ওদিকে সবদিকে ছোটে বেগে
সে চিঠি এখন আকাশে বাতাসে সে চিঠিই মেঘে মেঘে
পেরিয়ে সে চিঠি সাগর পাহাড় মরুপ্রান্তর বন
পৌঁছেই গেছে দিল্লি বেজিং ন্যুইয়র্ক লন্ডন।
সে চিঠি এখন সকাল দুপুর সন্ধ্যা কিংবা রাতে
কিছুটা হলেও কবিতার মত এর ওর তার হাতে
পড়েছে সে চিঠি অন্তত কিছু রাত্রির নির্জন
পড়েছে হয়তো তোমার মতনই কোনো বিদুষীর মন।
যে পড়েছে সে তো আর যেই হোক তুমি নও তুমি নও
কি করে বা পড়ো তুমি কি আমার আপন দুঃখ হও!
আমিও ফিরে যাব প্রিয়
আমিও ফিরে যাব প্রিয়
অনুরাগের অদৃশ্য গৃবাজ
যখন বুকের ভেতরে সিঁধ কাটে,
প্রণয়ের পানশালায় যখন দুলে উঠে ঝাড়বাতি
তোমায় ছুঁয়ে দিতে খুব ইচ্ছে করে ;
তোমার মুখের কান্তি
ভরে দিতে চেয়ে স্পর্শের হলুদে
যেই আমি রাঙিয়েছি দেহ দেবলোকের আলোয,
দ্বিধার প্রাচীর তুলে ঠেলে দিয়েছ আমায়
অস্পৃশ্য বোধের সেই তাম্রযুগে ।
তোমাকে ছুঁয়ে দিলে যদি
অসময়ে বর্ষা নামে,
নীলিমার নীলে নামে বিষন্ন আঁধার
তবে ছোঁবনা,
তোমাকে ভেবে ভেবে এখানে সন্ধ্যা নামুক
পরাজিত গোধুলির লজ্জায়
রক্তরাগ ক্ষীনদেহ হোক
জোনাকীরা ফিরে যাক
আমিও ফিরে যাব প্রিয়
কিছু না পাওয়ার বেদনার তিমিরে ।
তোমার চোখের নীলিমায়
তোমার চোখের নীলিমায়
তোমার ঐ চোখে
এত মায়া, এত লাবণ্য
নির্ঘুম দেবতারাও ধ্যানচ্যুত হবে
ভিখিরিরা হয়ে যাবে অন্ধ,
তোমার ঐ মায়াবী চোখে
ওভাবে তাকাও যদি
আমার ভেতরে শুরু হয়
গলে যাওয়া মোমের মত
অস্থি ও মজ্জার বিগলন,
তোমার ঐ চোখের রংধনু বাঁকের
প্রসন্ন কাজল
শীতার্ত গ্রীবাজসম, আমার
রোমকুপের গভীরে শিহরন জাগায়,
আর তুমি তোমার হরিণ চোখের মায়ায়
আমাকে ক্রমাগত হরণ কর
যেমন সূর্যকে সন্তর্পনে করে
হিমালয়ের জমে যাওয়া হিম,
তোমার ঐ চোখের কাব্য
সৈনিককে করে দেবে শিরস্ত্রানহীন
রাজদন্ড ধেয়ে আসবে
ধুমায়িত মেঘ হবে জলপ্রসূ,
আমার উঠোনে তখন শুধু
অন্তহীন জলের প্রপাত ।।
তোমার ঐ চোখে
এত মায়া, এত লাবণ্য
নির্ঘুম দেবতারাও ধ্যানচ্যুত হবে
ভিখিরিরা হয়ে যাবে অন্ধ,
তোমার ঐ মায়াবী চোখে
ওভাবে তাকাও যদি
আমার ভেতরে শুরু হয়
গলে যাওয়া মোমের মত
অস্থি ও মজ্জার বিগলন,
তোমার ঐ চোখের রংধনু বাঁকের
প্রসন্ন কাজল
শীতার্ত গ্রীবাজসম, আমার
রোমকুপের গভীরে শিহরন জাগায়,
আর তুমি তোমার হরিণ চোখের মায়ায়
আমাকে ক্রমাগত হরণ কর
যেমন সূর্যকে সন্তর্পনে করে
হিমালয়ের জমে যাওয়া হিম,
তোমার ঐ চোখের কাব্য
সৈনিককে করে দেবে শিরস্ত্রানহীন
রাজদন্ড ধেয়ে আসবে
ধুমায়িত মেঘ হবে জলপ্রসূ,
আমার উঠোনে তখন শুধু
অন্তহীন জলের প্রপাত ।।
সেই কবে
এই যে দেখছো আমি?
আমি কিন্তু আমি নই
হয়তো ছিলাম কোনকালে,
তবে এখন নেই।
সেই কবে
বোহেমিয়ান এক তারার হাতছানিতে
অদ্য হতে আদি দন্ডয়ামান দাড়কাক
পরেছিলো
ময়ূর পুচ্ছ,
প্লাবিত ভাবতরঙ্গের দোলায়
ছুয়ে ছিলো
নিষিদ্ধ গন্ধম।
মধুকাতর ভ্রমরের মতো ছুটতে ছুটতে পা ফেলেছিলো
তোমার কবিতার
দ্বিতীয় সংকলনের এলাকায়।
এই যে দেখছো
মিছে
বাহাদুরির ঘোড়ার
বিরামহীন ছুটে চলেছে
চঞ্চল লাটিমের মতো,
একদিন এই স্ট্যালিয়ন
লাগাম পরে সেজেছিলো পঙ্খীরাজ,
এখন আমি এড়িয়ে চলি
অঘোষিত প্রতিবেশী কবি, এবং কবিতা কে,
এখন বরাবরই কবিত্বে
আমার ভীষন ভয়,
কবিতারা দখল দিয়েছিলো
বিন্দু থেকে বৃত্তে
কবির নিঃশ্বাস জ্বালিয়েছে
সাধের সংশোধিত কুঞ্জ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)