[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০১৩

তুমি ওগো আমার ডালায়..


কিছু দিয়ে যাও এই ধূলিমাখা পান্থশালায়,কিছু মধু দাও আমার বুকের ফুলের মালায়
কতজন গেল এ পথ দিয়ে আমার বুকের সুবাস নিয়ে
কিছু ধন তারা দিয়ে গেল, মর সোনার থালায়।
পথ চেয়ে আমি হেথা বসে আছি তোমার আশে
তুমি এলে যদি বসো প্রিয় আমার পাশে।
কিছু কথা বলা আমার সনে ঢেউ তুলে যাওয়া আমার মনে,এইটুকু শুধু দাও তুমি ওগো আমার ডালায় ।।

নতুন অন্ধকার




জীবনের খোলা পথে
একা একা হেটে এই
পদদলিত জীবনের
সুরগুলো তুলে নেই
বেসুরো সেই সুরে আমি
একা একা তাল দেই
এর পর দেখি আমি
পেছনে কিছু নেই।


সুখগুলো হেসে হেসে
জীবনের পথ ঘেঁষে
পিছিয়ে পরে যেই,
দুখের পান্ডুলিপি
একা একা আমি এই
বুকে বেধে নেই


আমি একা হেটে যাই
সুখগুলো পুড়ে ছাই,
চেয়ে দেখি আকাশে
মেঘগুলো বাতাসে
ভেসে ভেসে যায় দুরে
ভাসতে নতুন সুরে।


জীবনের বেলা শেষে
ক্লান্ত হয়ে বসে
পেছনে তাকিয়ে দেখি
জীবনটা ছারখার,
সারারাত জেগে দেখি
নতুন অন্ধকার।।

আয়না


আয়না



নিষ্পলক চেয়ে থাকি
আয়নার প্রতিবিম্বের দিকে।
কাঁচের নয়, স্মৃতির আয়না।
কোনো ফ্রেম নেই, প্রলেপ নেই
তবু স্মৃতির টুকরোগুলো মিলে
কি সুন্দর উজ্জ্বল প্রতিবিম্বই না সৃষ্টি করেছে।
স্পষ্ট তুমি সেখানে।

আয়নাতে লেপ্টে আছে
তোমার নাক, মুখ, চোখ
আর কপালের ঐ টিপটা।
শান্ত হাসিটা আয়নার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে
পেন্ডুলামের মত দুলছে।

হঠাৎ কান ফাটানো হাসি।
হ্যাঁ, ঐ প্রতিবিম্বটাই হাসছে।
বিশ্রী ভয়ংকর হাসিটা
দুমড়ে মুচড়ে পিষ্ট করছে আমাকে।
ঘৃণায় আমার কানদুটো জ্বলছে
হাতের আঙুলগুলো ছিড়ছে তালুর পেশী।
আয়নাটাকে সরাও তোমরা, সরাও এটাকে
এর তীক্ষ্ম ধারগুলোয় আমি রক্তাক্ত।

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৩

আয়না অথবা রূপসী



সেদিন ছিল..





সেদিন ছিল হাওয়ার রাত
বাতাসে ছিল নুপুরের নিক্কন
ফুলপরীর চোখে আবছা হতাশ মেঘ ,
কি যেন নেই কে যেন নেই
হাহাকারে আচ্ছন্ন হৃদয় কূপ
নিরাশার ফুলেরা
চন্দ্রমল্লিকার বাহু ধরে নৃত্যে উন্মাতাল ,
আজ হরিণীর চঞ্চল চোখে
ভীর করে না হতাশার জল
ফুলপরীর চোখে তবু ধোঁয়াশার চাদর
এখানে প্রবাহমান ছন্দের সেচ চলে
আমাদের নীড়ে ওঠে কাব্যের ঝড়