[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৩

বেঁচে থাকা

বেঁচে থাকা



আজ সন্ধ্যাটা খুবই অদ্ভুত। একদিকে আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে। ছোটখাটো আকদ অনুষ্ঠান। তাকে শুভেচ্ছা জানালাম।

আরেকদিকে এক বাচ্চার জন্ম হল সেগুনবাগিচার বারডেম হসপিটালে যার মা আমাদের এক ফ্যামিলি ফ্রেন্ডের মেয়ে, আমার ইউনিভার্সিটির আপুর ছোট বোন ও আমার বান্ধবী। মা ও বাচ্চাকে দেখতে গেলাম আমি আব্বু আম্মু। কেক খেলাম, ছবি তুললাম, বাবু কোলে নিয়ে সবার সাথে হাসি তামাশা করলাম। আসার সময় বান্ধবীকে শুভেচ্ছা জানালাম।

এরপর গেলাম এক বাসায়। ইকোনোমিস্ট ও রবীন্দ্র সঙ্গীতশিল্পী আনিসুর রহমান এবং তার বউ আমাদের ফ্ল্যাটের নিচ তলায় থাকেন। থাকতেন। আঙ্কেলকে বরাবরই খুব ভালো লাগে আমার, প্রায় ৮০ বছর বয়সী কারোর এত আধুনিক মানসিকতা খুব কম দেখেছি। উনাদের বাসায় কাজের লোক ছিলো না, সব কাজ নিজেরা ভাগাভাগি করে করতেন। বিকাল বেলা উনি মুখে মাস্ক লাগিয়ে আর একটা হাফ প্যান্ট পরে রমনা পার্কে হাঁটতে যেতেন। সাদা লম্বা লম্বা চুলওয়ালা এত বয়সী একজন মানুষকে এভাবে হাঁটতে দেখে সবাই তাকিয়ে থাকতো, উনি পাত্তাই দিতেন না। তাঁর ওয়াইফ ডোরা আন্টির সাথে আমার সবচেয়ে জলজ্যান্ত মেমোরি প্রায় চার বছর আগে একদিন বাসায় রান্না করা খাবার তাঁদের বাসায় দিয়ে আসতে গিয়ে বিস্তর আলাপে মজে যাওয়া। তার কিছুদিন আগে আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো জেনেভা ঘুরে আসার। আঙ্কেল আন্টি বহু বছর বাস করেছেন ঐ শহরে, সেও বহু বছর আগে। আমার কাছে শুনতে চাইলেন এখনকার জেনেভার কথা। আঙ্কেলের এত চুপচাপ শহরে থাকতে ভালো লাগেনা, আবার আন্টির অমন চুপচাপ শহরই ভালো লাগে - কথা বলতে বলতে দুই জনের জীবনের নানা কথা, নানা চাওয়া পাওয়া, অনেক না-পাওয়ার কথা বের হয়ে আসলো। দুই ছেলেমেয়ের বিদেশে গিয়ে থিতু হওয়াটা তাদের জন্য একইসাথে আনন্দের এবং বিষাদের তাও আলাপ থেকে বোঝা গেল।

ডোরা আন্টি গত আড়াই বছর ধরে প্যারালাইজড। ডান দিক পুরোটা। বসে থাকতে পারেন, বাম হাত দিয়ে একটু একটু খাবার মুখে দিতে পারেন। কথা বলতে পারেন না। প্যারালাইজড হওয়ার পর এই বাসা ছেড়ে সেগুনবাগিচায়ই আন্টির পৈতৃক বাসাতে গিয়ে উঠেছেন যেখানে তার ভাই এবং ভাবী থাকে। সেই বাসায়ই গেলাম আজ। আম্মু মাঝে মাঝে এখানে গেলেও আমার যাওয়া আজই প্রথম। আম্মু গিয়ে তার পাশে বসতেই উনি কেঁদে দিলেন। আম্মুর হাত নিয়ে নিজের গালে ঘষতে থাকলেন। আমাকে দেখে উনার এক্সপ্রেশন দেখে বুঝলাম চিনতে পেরেছেন, কিন্তু আমি পাশে গিয়ে বসার সাহস পেলাম না। উনাকে এভাবে দেখেই গলার মধ্যে কি যেন আটকিয়ে যাচ্ছিলো। দূরে আরেকটা সোফায়ই বসে থাকলাম নির্বোধের মত। আম্মু কথা বলল উনার সাথে, উনি মাথা ঝাঁকিয়ে হ্যাঁ না উত্তর দিতে থাকলেন। আমরা চলে আসার আগে আম্মু আমাকে বলল উনার পাশে বসতে। আমি অনেক সাহস করে তার পাশে গিয়ে বসলাম। উনার গায়ের উপর হাত রাখলাম, উনি আমার হাত শক্ত করে জড়িয়ে ধরলেন। আমি কোনো রকমে কান্না আঁটকিয়ে রাখলাম।

আমার দাদা দাদী নানী কাউকে নিজের চোখে দেখারই সৌভাগ্য হয়নি। শেষ বয়সের মানুষকে খুব কাছে থেকে দেখিনি বললেই চলে। জানিনা সেইজন্যই বোধ হয় এত দুর্বল হয়ে গেলাম আজ উনাকে দেখে। কি ভয়ংকর একটা স্টেট অফ হেলথ! সব জানি, সব বুঝি, সব মনে পড়ে, সব অনুভব করি কিন্তু কিছু প্রকাশ করতে পারিনা, একটু দুরের একটা বই তুলে নিয়ে পড়তে শুরু করতে পারিনা। বাথরুমে যাওয়ার জন্যেও অন্যের উপর নির্ভরশীল। নিজের শরীরে বন্দি! তাদের প্রবাসী ছেলেমেয়েকে কি দোষ দেবো? তাদের কাছে এক্সপেক্ট করবো যে তারা নিজেদের এবং ছেলেমেয়েদের উন্নত জীবন বাদ দিয়ে পোড়া দেশটায় এসে withering বাবা মা এর সেবা করবে? কোনটা 'উচিত' সেটা কে কিভাবে define করবে?

একই দিনে প্যারালালি ঘটে যাওয়া বিয়ে জন্ম এবং ক্ষয়ে ক্ষয়ে শেষ হয়ে যাওয়ার সংস্পর্শে আসলাম। খুবই অদ্ভুত লাগছে। মন খারাপ লাগছে। জীবনকে pointless লাগছে।

একটু পরেই আবার ঠিক হয়ে যাবো তাও জানি। এসবই ভুলে যাবো। আমরা কত এ্যক্টিভিস্টকে গালি দেই যে অমুক ইস্যু নিয়ে এত লাফাইসিলা, এখন সব কই? ভুলে যাওয়া কি একটি survival technique না? ভুলে না গেলে বেঁচে থাকতাম কি করে?

জোনাকিরা



জোনাকিরা
*********************************************
তারা- একটি দুটি তিনটি করে এলো
তখন- বৃষ্টি-ভেজা শীতের হাওয়া
বইছে এলোমেলো,
তারা- একটি দুটি তিনটি করে এলো
থই থই থই অন্ধকারে
ঝাউয়ের শাখা দোলে
সেই- অন্ধকারে শন শন শন
আওয়াজ শুধু তোলে
ভয়েতে বুক চেপে
ঝাউয়ের শাখা , পাখির পাখা
উঠছে কেঁপে কেঁপে
তখন- একটি দুটি তিনটি করে এসে
এক শো দু শো তিন শো করে
ঝাঁক বেঁধে যায় শেষে!
তারা- বললে ভাই, ঝাউয়ের শাখা,
বললে ভাই পাখি,
অন্ধকারে ভয় পেয়েছো নাকি ?
যখন- বললে, তখন পাতার ফাঁকে
কী যেন চমকালো
অবাক অবাক চোখের চাওয়ায়
একটুখানি আলো
যখন- ছড়িয়ে গেলো ডালপালাতে
সবাই দলে দলে
তখন- ঝাউয়ের শাখায়- পাখির পাখায়
হীরে-মানিক জ্বলে
যখন- হীরে-মানিক জ্বলে
তখন- থমকে দাঁড়াঁয় শীতের হাওয়া
চমকে গিয়ে বলে-
খুশি খুশি মুখটি নিয়ে
তোমরা এলে কারা?
তোমরা কি ভাই নীল আকাশের তারা ?
আলোর পাখি নাম জোনাকি
জাগি রাতের বেলা,
নিজকে জ্বেলে এই আমাদের
ভালোবাসার খেলা
তারা নইকো- নইকো তারা
নই আকাশের চাঁদ
ছোট বুকে আছে শুধুই
ভালোবাসার সাধ

সত্য মিথ্যে



সত্য মিথ্যে
----------
হাসনাত

সত্য কথায় সর্বনাশ,
নগ্নসত্যে সাড়ে সর্বনাশ
হজম হয়না হাসফাস,
বদহজমে নাভিশ্বাস

খনার বচনে বলে তবু,
মিথ্যে হয়না সত্যি কভু
কিন্তু এই যে কলির কাল,
সত্য মিথ্যায় বেসামাল

মিথ্যেটারই হচ্ছে জয়,
সত্য হচ্ছে পরাজয়
মরার পরে স্বর্গ হবে,
সত্য ধরে যেজন রবে

সত্য নিয়ে তাই সৎজন
করছে লড়াই প্রানপণ

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

%LOVE

ভালবাসা অবাক চোখে ...

অনেক দূর থেকে দেখেই রক্তিম নীলিমা আসছে বুঝতে পারল ।রক্তিম ১০ টাকার বাদাম কিনে তা খাচ্ছিল । নীলিমা কাছে আসাতেই জিজ্ঞাসা করল - কেমন আছো ? বাদাম খাবা ?
নীলিমা রক্তিম এর দিকে তাক...নিয়ে রইল । রক্তিম  বুঝল না নীলিমার মনের অবস্থা রাগের দিকে না ঠাণ্ডা । আবার জিজ্ঞাসা করল - বাদাম খাবা না?
নীলিমা আবার অনেক রাগে রাগে তাকাল রক্তিমের দিকে । রক্তিম বলল- কি হল?কথা বলবা না ?
এতক্ষণে নীলিমা বলল - তুমি ছোলাসহ বাদাম খাচ্ছ কেন ?
- ওহ ! sorry . ভুল হয়ে গেছে ।
-ভুল হয়ে গেছে মানে ? এক ভুল মানুষ কতদিন করে ?
- আমার বাদাম এর ছোলা ছাড়াতে ঝামেলা লাগে ।
- তাহলে বাদাম খেতে কে বলছে ?
- আমার ভাল লাগে ।
-ছোলাসহ খেতে , তাই না ?
- না , খারাপ তো লাগে না । দেখ, বাদাম এর ছোলাও তো টাকা দিয়ে কিনি ।
- চুপ কর । কথা বইলো না ।
- আচ্ছা।
রক্তিম ঠোঁট ২ টা আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরল । নীলিমা রক্তিম এর পাশে বসল । বসে বলল - মুখটাকে এমন অদ্ভুত করে রাখছ কেন ? হাত নামাও মুখ থেকে ।
রক্তিম হাত নামাল । নীলিমা বলল - এবার কথা বল ।
রক্তিম বলল- কি বলব ?
- এতদিন পর দেখা হল, কিছুই বলার নাই ?
- আছে ।
- কি?
- i love u
- তোমাকে না টি -শার্ট পড়ে আসতে বলছি , এই পচা শার্ট পরে আসছ কেন ?
-sorry .ভুল হয়ে গেছে ।
- আমাকে চিনতে পারতেছ ?
- পারব না কেন ?
-না । ভাবলাম তাও ভুলে গেছ নাকি !
- কি যে বল তুমি ?আচ্ছা তুমি কি আমার উপর রাগ করে আছ?
- না ।
- তাহলে এভাবে কেন কথা বলতেছ ?
- কিভাবে বলতেছি ?
- সবসময় যেভাবে বল সেভাবে বল ।
- আমি সেভাবেই বলতেছি , তোমার ভাল লাগতেছে না।
রক্তিম কিছু বলল না ।চুপ করে রইল । দুজন কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর নীলিমা বলে উঠল - নাহ !তুমি এমন কেন ? আমার মনের মতন কিছুই করতে পারো না । তোমার কিছুই মনে থাকে না ......
- কি হল আবার ?
- কি হবে , কিছুই হয় নায় । তোমার চুলের ঐ অবস্থা কেন? মানুষের চুলের অবস্থা এমন থাকে? একটা কথা কতদিন তোমাকে বলতে হয় ? আমার সাথে দেখা করতে আসছ এতদিন পর, আজ কে অন্তত চুলটা ঠিক করে আসতে পারতে !
- ভুল হয়ে গেছে sorry !!
- এই এত sorry sorry করবা না'ত ।
- তুমি কি রাগ করতেছ?
- তো কি করব ?
- ভাল করে কথা বল না , please .
- আমি ভাল করে কথা বলতে পারি না ।
রক্তিম কি বলবে বুঝতে পারল না । তাই আবার চুপচাপ বসে রইল ।
নীলিমার রাগ বোধহয় আরও বাড়ছে । রক্তিম কে বলল - তুমি পাশ থেকে সরো তো । আমার ভাল লাগছে না ।
- কেন?
- তোমাক সরতে বলছি সরো ।
- না আমি তোমার পাশেই বসে থাকব।
- সরতে বলছি না তোমাকে । তোমাকে আমার অসহ্য লাগছে ।
- দেখ , এমন কইরো না please.
- কি করতেছি ? তোমাকে আমার ভাল না লাগলেও ভাল বলতে হবে? তুমি আমার পাশ থেকে সরো তো ।
- plz, আর এমন করব না ।
- কেমন করবা না? তুমি তো আবার এমন করবা । তোমাকে চুল ঠিক করে রাখতে বলছি , একটা দিন করলা না । চুল দেখলে মনে হয় পাখির বাসা । বলছি ছোলাসহ বাদাম না খেতে, তুমি ওগুলা সহই খাবা । বলছি t-shirt পরতে , তুমি পরই না । বল কি t- shirt পরলে নাকি ছাগল এর মতন লাগে । এই , তোমার কোন প্রবলেম আছে আমার ছাগল কে ভাল লাগলে ? তোমাকে আমার ভাল লাগলেই তো হল । আর কাকে দেখাতে হবে তোমার ?
- কাউকে না ।
-তাহলে আমার কথা শুননা কেন?
- শুনি তো ।
- কি শুনো তুমি? কি শুনো ?
- সবই তো ।
- এই আজ কত তারিখ জানো ?
- জানি তো
- তোমার মনে আছে আজকে কি? আজ কেন তোমাকে আসতে বলছি , আমার সাথে দেখা করতে বলছি?
- কিসের জন্য ?
- তাও জাননা তুমি?
- বল না plz. কেন?
নীলিমা এবার আরও রেগে গেল । কিছুক্ষণ পর কান্না শুরু করে দিল ।
রক্তিম বলল - এই , কি হইছে তোমার ?
বলে রক্তিম নীলিমার মাথায় হাত রাখল । নীলিমা রক্তিম এর হাতটা সরিয়ে দিয়ে বলল - plz. তুমি আমাকে ছুঁইও নাত । আমি আর পারতেছি না । আমার তোমার সাথে সম্পর্ক রাখা ইম্পসিবল। তোমার মতন ছেলের সাথে আমি relation রাখতে পারব না । plz leave me.
রক্তিম বলল - প্লিজ এত রাগ করো না প্লিজ ।
- বললাম না তোমাকে আমি তোমার সাথে relation রাখব না । তুমি যাও এখান থেকে ।
রক্তিম কিছু না বলে একটু দূরে সরে গেল । তারপর ব্যাগ থেকে কিছু বের করল । নীলিমার সামনে ৬ টা গোলাপ ধরে বলল- happy propose day !!! এই দিনে এই ছাগলটাকে propose করছিলা। আজ ১ বছর হল । এই ছাগলটা এখনও মানুষ হয় নায় , sorry !!
নীলিমা চোখ মুছে গোলাপ গুলো নিল । একটু হাসি ফুটল নীলিমার মুখে । নিচের ঠোঁটে কামড় দিয়ে বলল - এতক্ষণে দিলা কেন? তুমি জানতে , তাই না?তবে আগে বললে না কেন ? আমাকে কষ্ট দিতে খুব ভাল লাগে তাই না? কেন এমন করলা তুমি?
- তুমিও তো আমকে কষ্ট দিলা । ওওও তোমার জন্য আরও একটা জিনিস আনছি ।
রক্তিম ব্যাগ থেকে একটা চকবার আইসক্রিম বের করল ।
নীলিমা হাতে নিল আইসক্রিমটা। দেখল আইসক্রিম গলে পানি হয়ে গেছে । নীলিমা বলল - এটা তো আগে দিতে পারতে? দেখো কি অবস্থা !!!! গোলাপ গুলো ও দেখছ ব্যাগ এর ভিতর চাপে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে ?
- sorry ! মনে ছিলনা ।
- তোমাকে নিয়ে কি যে করি? তুমি এমন পাগল কেন বলতো? অবশ্য তোমার পাগলামির জন্যই তোমাকে আমি এত ভালবাসি । i love you. এই যে গলে যাওয়া চকবার , চ্যাপ্টা গোলাপ দিছো তাতে আমার যতটা ভাল লাগছে , ভাল গুলো দিলে এতটা লাগত না ।
বলেই নীলিমা রক্তিমকে জড়িয়ে ধরে বলল - আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাব না। আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি জান ।
- আমিও।
নীলিমা তারপর ২ টা t-shirt বের করল ।বলল- নাও,তোমার জন্য আনছি। এখন থেকে এগুলা পরবে, বুঝছ ? আর যেন ভুল না হয় ।আর এগুলা পরলেই আমার কথা বেশি করে মনে পড়বে। মনে হবে আমি তোমার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আছি, বুঝতে পেরেছ?
- হ্যাঁ । থাঙ্কস। i love you ,জান।
রক্তিম আবার ও বাদাম নিয়ে ছোলাসহ খাওয়া শুরু করল ।নীলিমা হেসে বলল - এই আবার?দাও আমি ছুলে দেই বাদাম আর তুমি খাও ।নীলিমা বাদাম ছুলে দিতে লাগল আর রক্তিম খেতে লাগল । আবার হয়ত জগড়া হবে একটু পর। রক্তিম আবার উলটা পাল্টা কিছু করবে । নীলিমা বলবে রক্তিমকে ছেড়ে যাবার কথা। কিন্তু সব আবার একটু পর ঠিক হয়ে যাবে । এইতো ভালোবাসা । মধুর ভালোবাসা!!!!!!!
__________________________________The End