তুই হয়তো প্রথম কবিতা
ছিলিনা আমার তোকে শেষের কবিতা বানাতে চাই.. তুই হয়তো প্রথম ভাবনা ছিলিনা আমার তোকে ভেবে ভেবে হাসতে চাই.. তুই হয়তো প্রথম কিছুই ছিলিনা আমার তোকে যে চিরস্থায়ী করতে চাই...
হতে পারে, সব কথা শেষ হয়ে গেছে সব ভাষা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে তুসোর জাদুঘরে যতিচিহ্ন মুছে গেছে সব, রাস্তায় কোনো বিশ্রাম-বিরতি নেই গন্তব্যপুরের গ্রাম আর চোখেই পড়ে না তাহলে, এর পরের অবস্থা কী?
কী
রেখে যাচ্ছি তবে পুরোনো নদীর কাছে,
যে নদীতে একদিন ভেসে গেছে বেহুলাবান্ধব ঢেউ, সহস্র
কবিতা! কী এঁকে রাখছি তবে চিরকালের মহাদিগন্ত-ফলকে?
কথা
যদি শেষ হয়ে যায়, ভাষা যদি লিখে দেয় ‘সমাপ্ত’ কী দিয়ে যাচ্ছি তবে তরুণ কবির হাতে? কী?
কী?
তারই-বা
কী হবে, কেবলই নতুন বাক্যে
ডুব দিয়ে সারা রাত নির্ঘুম যে মেয়েটি একটি নতুন কবিতা পড়েই পোড়ে ধিকিধিকি!
দিন তো দিনের মতো চলে যাচ্ছে, চলে যাচ্ছে, রেখে যাচ্ছে ক্ষত। দিন শেষে রাত আসে হয়ে ইতস্তত।
ছোট
ছোট শিশির পড়ে। চরে চরে। গরুগুলি নাচে। এই দেশে কৃষকেরা হওয়া খেয়ে বাঁচে।
আমি
ঘরে বসে থাকি। কৃষকের মুখ আঁকি। কালি দিয়ে কালো। সন্ধ্যায় বলে দিই দিন গেল ভালো। এই ভাবে যাচ্ছে। কোথায় কে নাচছে। চারিদিকে ভাঁড়। দিন শেষে সকলেই চারপদ ষাঁড়। এই ভাবে চলে যাই রেখে যাই ক্ষত। দিন শেষে রাত আসে হয়ে ইতস্তত।