[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

কবি হতে পারিনি এখনো

কবি হতে পারিনি এখনো


আকাশ গলিয়ে সন্ধ্যা নামে
দিনের আলো মিলে যায়;পূর্ন উদ্দামে
কালো আধার ভুলিয়ে বালিয়ে
আমাকে বানিয়ে দেয় অন্য মানুষ
সন্ধ্যা নামার পর
আমিও নিজের ধান্ধায় হন্য হয়ে উঠি
রাতের অন্ধকার আধঁরে
হাতড়াতে থাকি এক টূকুন নিরবতা
রাস্তার ধারে,চৌরাস্তার মোড়ে
সেজে গুজে থাকা ভ্রাম্যমান পতিতা
সারা দিন সেও অপেক্ষা করে সন্ধ্যা নামার
মাঝে মধ্যে মুচকি হাসি আমিও-

পতিতা আর আমার মাঝে পরাক কই?
সন্ধ্যার পর খদ্দর খুজে সে- আর আমি কবিতা
দরদাম ঠিক হলে খুলে ফেলে জড়তা
আমিও যেমন-
পংক্তির খোজে আমিও ভুলে যাই সব
সন্ধ্যার বুকে ডূব দিয়ে উদ্দার করি কবিতা।

কবিতা ধরা দেয়- ফসকেও যায় কখনো
সারা জীবন এমনই লুকোচুরি করে গেলাম
কবি হতে পারিনি এখনো।

মন ভাল নেই

মন ভাল নেই

আজ আমি কি লিখবো;আজ আমার মন ভাল নেই
আজ আমি কি আঁকবো,আজ আকাশ বড্ড মেঘলা
আজ আর কি গাইবো আজ যে বাতাসে দাবানলের ঘেই
কাজ কর্ম সবি মাটি মনের সাথে হৃদয়ের আঁটি;
মর্ম কথা ক’বোনা আজ পেটে বড় ক্ষুধা,লাজ শরম
খেয়েছে মাথা;কবিতার পায়ে শৃকল বাধা বিষন্ন কলম।
আজ আর হবেনা লিখা একটাও কবিতা।
আজ বেশ ভ্যপ্সা লাগছে
পৃথিবীও আজ হাঁকছে নিজের সমস্ত ভাষা দিয়ে
মানুষের লিপ্সা মিটছেনা কেন?
ভালবাসার তরীতো ভেসে গেছে নোঙ্গর ছিড়ে - -

শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

আমার বাল্যকালের সখী ছিল-নিদিতা

নিদিতা- আমার বাল্যকালের সখী ছিল



নিদিতা-
আমার বাল্যকালের সখী ছিল
যার কাছে আমার পুরো
শরৎকাল দায়বদ্ধ।

শরতের শিউলী কুড়ানো
আর
নীল আকাশের নীচে
কাঁশফুলের সাথে সখ্যতা
আমাদের আবশ্যক ছিল তখন।

অপার বিস্ময়ে এই আমি
নিদিতাকে-
আবিষ্কার করতাম আনমনে
কখনও তার হাত ছুঁত
আমার কাঁধ
আবার
তার চুল উড়ে এসে
আমাকে আবেগে ভাসাত রোজ।

নিদিতা-জানো
আজ এই কালে এসে
তোমাকে আর শরতকে
ভিন্ন করতে পারিনা আমি।

একজন মায়াবতীর জন্য

একজন মায়াবতীর জন্য

মায়াবতী তোকে দিলাম শূন্যের নৈশব্দ
নির্ঘুম চাঁদ, চন্দ্রসভার মেঘ
তোর সাথে হোক বন্ধন
হিমালয়ের কান্না-পবিত্র জল ছড়িয়ে পড়ুক
তুই ভিজে যা- ভিজুক তোর মন

আজন্ম শোকগুলো ধুয়ে যাক- উড়ুক গাংচিলের ডানায়
ঠাণ্ডা বাতাস লাগুক তোর চোখে
তুই শূন্য হ। জন্মান্তরের পাপ ধুয়ে যাক তোর
আবার জন্ম নে তুই এই জীবনেই
লালসাগুলো ঝলসে উঠুক তোর
তোকে তোর মতোই দেখুক সবাই
তোর মতোই তুই বেঁচে থাক
প্রতিটা অনুভবে মিশে থাক তুই।
এ যে তোরই জীবন।
তুই সুখী হ।

************

tumar jonno

তোমার জন্য


তোমার জন্য-
একসময় অনেক রঙ্গীন ছিলাম
এই আমি
আবেগপ্রবণ হতাম খুব
বৃষ্টির ছোঁয়ায় শিহরীত হতাম
পাখির ডাকে হতাম বিমহিত।
তোমার জন্য-
কবি হলাম একদা
কলম আর মনের সাথে
ঠুকাঠুকি করে রক্ত ঝরালাম
আমার প্রিয় ডায়রীতে ।
তারপরও হয়নি বলা শেষ কথা
কখনো আবিষ্কার করেছি তোমায়
ক্লিওপেট্রো কখনো শকুন্তলা
আবার কখনো
জীবনানন্দের বনলতা সেন।
কত নামে পূজা করেছি তোমায়।
জানা হয়নি-
পৃথিবীর হাজারোও আশা মরে
মনেরও অজান্তে
তিল তিল করে গড়ে তুলা স্বপ্ন
ভেঙ্গে চুরমার হয় কারো অবহেলায়।
তারপরও জানা-
কেমন আছো তুমি ?

শিরোনামহীন কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে...

শিরোনামহীন কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে...

একই শহরে আমাদের নিত্যবসবাস
তোমার আমার মাঝে ফারাক শুধু
আলো আর অন্ধকার
মাঝখানে দাগটানা নিয়তি..
আমি, তুমি আর নিরন্তর যাপিত জীবন ।
বহন করি শতাব্দী প্রাচীন অভিশাপ
কোন এক যক্ষের মত..

ক্রমশ অনুভুতি গুলো আলগা হয়ে যায়
ঝাপসা হয়ে যাও তুমিও
হয়তোবা এটাও স্বাভাবিক স্বাভাবিকতা