[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১২

ফেরার জন্য আমি আসিনি ..


ফেরার জন্য আমি আসিনি


চন্দ্রের চিবুক বেয়ে নামছিলো শব্দের ধারা
ঘুমন্ত বৃক্ষের বুক ঘেঁষে জেগে আছে নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাস
পৃথিবীর শরীরে আজ বড্ড অসুখ, জরা
কবিতার বিদীর্ণ খাতা বুকে চেপে স্বপ্নরা খুঁজে নেয় আপন নিবাস।
শব্দরা খানিক ক্ষুব্ধ বিক্ষুব্ধ
বৃক্ষের স্পন্দনে ফিরে আসে দূরে সরে যাওয়া নিগূঢ় কষ্ট
চন্দ্রহারে স্পষ্ট হয়ে উঠে বিলুপ্ত কাব্যের এক একটি ছন্দ
আমি হাত বাড়িয়ে আগলে নিতে যাই দু’হাতের করতলে
সুখ নয়
আনন্দ নয়; দু হাত পূর্ণ হয়ে যায় শীতল অশ্রু জলে-
ফেরার জন্য আমি আসিনি
ফিরিয়েই তবে ফিরবো যা কিছু আজ হারিয়েছি
এতদিনের পূজার আসর
সাজিয়ে যাবো আগামীদিনের পবিত্র বাসর
স্বপ্নের অধিকারেই সাজাবো স্বপ্নিল পৃথিবী
শব্দের অধিকারেই আমি হয়ে যাবো কালজয়ী কবি।
2upssh2

যদি কেউ



যদি কেউ
 

তোমাকে ছেড়ে যেতে চায়...
 তবে তাকে যেতে দাও......!!
 তোমার নিয়তি কখনোই তার
 সাথে বাঁধা নয়...
 যে তোমাকে ছেড়ে চলে যায়....!!
 কারো চলে যাওয়ার অর্থ
 এই নয় যে.........
 তোমার জীবনের এখানেই সমাপ্তি...
 তোমার গল্পে তার অংশের
 সমাপ্তি ঘটেছে মাত্র...
 আর কারো জন্য
 তোমার গল্পটা কখনোই
 থেমে থাকবে না..........!!!♥

শুক্রবার, ২০ এপ্রিল, ২০১২

আমি সেই সমাজ থেকে বলছি





আমি সেই সমাজ থেকে বলছি



আমি সেই সমাজ থেকে বলছি
যেথায় আধুনিকতার খোলসে উলঙ্গ বেহায়াপনা
ধর্মনিরপেক্ষতার আদলে ধর্মহীনতা
প্রত্যহ স্বাগত জানাবে তোমায়।


আমি সেই সমাজের কথা বলছি
যেথা নোংরা সংস্কৃতির অবাধ অবগাহন
জীবন সত্ত্বাকে পরিণত করে
বিসর্জিত বিদ্রোহী সত্ত্বায়।


আমি সেই সমাজের বাস্তবতা তুলে ধরছি
যেথা অভিজাত মাতালের অট্টহাসি
আর বিকৃত লালসার স্ফূর্তির আড়ালে
বিলীন হয়ে যায় শোষিতের আহাজারি।


আমি সেই সমাজের বার্তা ঘোষণা করছি
যেথায় আত্ন-স্বাধীনতার মিথ্যে শ্লোগানে
পরাধীণতার অদৃশ্য শেকলে
শৃঙ্খলিত করা হবে তোমায়।

যে ফুল ঝরে গেল অবেলায়....

=== যে ফুল ঝরে গেল অবেলায় ===
jhora jua fool

সা’দ বিন হাসান। কতইবা বয়স তার! ৭-৮ বছরের অর্ধফোটা গোলাপ। যে বয়সে তার হেসে-খেলে বেড়ানোর কথা, যে বয়সে আব্বু-আম্মু বলে দৌড়ে কোলে উঠার কথা, সে বয়সে সে শুনেছে মানুষের আর্তচিৎকার; মাথার উপর বোমারু বিমানের গর্জন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তটস্থ থাকতে হয় তাকে, এই বুঝি শকুনের দল এলো ওকে ছিনিয়ে নিতে। ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে পাহাড়ের পাদদেশে উদ্ধাস্তু বস্তিতে তার পৃথিবী সীমাব্দদ্ধ। রাতগুলো দুঃস্বপ্নের মত কেটে যায়। মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন দেখে চিৎকার দেয় সা’দ, কিন্তু তার চিৎকারে কেউ এসে মাথায় হাত বুলিয়ে বলে না- “খোকা, তোর কি হয়েছে?” সে সৌভাগ্য থেকেও সে বঞ্চিত। প্রায় বছরখানেক আগে বোমায় বিদ্ধস্থ হয় তাদের বাড়ি। পুরো পরিবার মারা যায় একসাথে; শুধু বেঁচে যায় সা’দ ও তার ছোট চাচা। সা’দের চাচা তাকে এই বস্তিতে রেখে চলে যায় জীবন বাজির খেলায়, যোগ দেয় মুজাহিদদের দলে। সেই থেকে এই বস্তিই তার পৃথিবী।
আজ সোমবার। সকাল থেকেই সা’দ পাহাড়ী পথের দিকে তাকিয়ে আছে। আজ তার চাচা মনসুরের আসার কথা। প্রতিমাসে একবার মনসুর এসে তার প্রিয় ভাতিজাকে দেখে যায় এবং সেই সাথে তাকে নিয়ে পরিবারের সকলের কবর যেয়ারত করতে যায়; শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে।
সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে এল। মাথার উপর জ্বলন্ত সূর্যটা যেন আগুনের হল্কা ছড়াচ্ছে। একসময় দূর দিগন্তে ঝাপসা অবয়বে ভেসে উঠল মধ্যবয়সী একজন মানুষের চিত্র। লঘুপায়ে সে এগিয়ে এল সা’দের দিকে। ঘর্মক্লান্ত মুখে তার স্বর্গীয় আভা। সা’দ ”চাচাজান”-”চাচাজান” বলে ঝাপিয়ে পড়লো তার বুকে। পরম মমতায় অনাথ শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে ধরল মনসুর। দু’জনের চোখেই অশ্রুসজল দৃষ্টি, কত চেনা সে আঁখি…….. কত আপন….. ।
ঘন্টা দু’য়েক পরে চাচার হাত ধরে সা’দ তার বাবা-মায়ের কবর যেয়ারতের উদ্দেশ্যে রওনা হল। আস্তে আস্তে বিকেল হয়ে এল। একসময় তারা পৌঁছে গেল শহীদদের কবরের কাছে। চিরনিদ্রায় শায়িত বাবা-মায়ের কবরের কাছে দাড়িয়ে সা’দের চক্ষুদ্বয় লোনা জলে ভেসে যায়। দু’হাত তুলে মহান প্রভুর কাছে দীর্ঘসময় দোয়া করে ওরা।
পড়ন্ত বিকেলের সূর্যটা আকাশের শেষ প্রান্তে। ঠিক এইসময় বাতাসে ভেসে আসে বোমারু বিমানের গর্জন। কিছু বুঝে উঠার আগেই ওদের সামনে বিষ্ফোরিত হয় একটি বোমা। সা’দের মুখ থেকে ভেসে আসে একটি করুণ চিৎকার- “আল্লাহ….!!” তারপর সব শেষ। রক্তাস্নাত দেহ দুটি প্রচন্ড যন্ত্রনায় মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকে। গোধূলীর শেষ আলোটুকু ওদের মুখে এসে পড়ে। একসময় ডুবে যায় সূর্য; সেই সাথে ডুবে যায় ওদের বেঁচে থাকার স্বপ্ন । অবেলায়-অযত্নে পাশাপাশি দু’টি প্রাণহীন দেহ পড়ে থাকে। ঝরে যায় একটি অর্ধফোটা গোলাপ…. । ইরাকের হাজারো ফুল এভাবেই প্রতিনিয়ত ঝরে যায়….. । কিন্তু এভাবে আর কতদিন….!!

আলপনা...





kobitarkhata1.wordpress.com

আলপনা


হৃদয়ের উঠানেতে কত ছবি আঁকা
সাত রঙে সাজানো আলপনার রেখা
ফেলে আসা দিনগুলো সময়ের ডাকে
পবনেতে হারিয়ে যায় দিগন্তের বাঁকে।


এলোমেলো ঢেউগুলো, ধানক্ষেতে খেলা
রঙিন ঘুড়ির সুতোয়, আকাশেতে ভেলা
বৃষ্টির ছন্দে ছন্দে, পিচ্ছিল খেলা
বিকেলের ম্লান আলোয়, শাপলার মেলা।


আযানের সুর-ধ্বনি, সাঁঝের বেলা
আঁধার নামবে এখন, ফিরবার পালা
পড়াঘরে হৈ চৈ, কুপির আলোয়
জ্যোৎস্না-রাত কাটে, স্বপ্নের ভেলায়

আলপনা আলপনা, জীবনের বাঁকে
ফিরো এসো বারবার, কল্পানার আঁকে।