[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

%LOVE

ভালবাসা অবাক চোখে ...

অনেক দূর থেকে দেখেই রক্তিম নীলিমা আসছে বুঝতে পারল ।রক্তিম ১০ টাকার বাদাম কিনে তা খাচ্ছিল । নীলিমা কাছে আসাতেই জিজ্ঞাসা করল - কেমন আছো ? বাদাম খাবা ?
নীলিমা রক্তিম এর দিকে তাক...নিয়ে রইল । রক্তিম  বুঝল না নীলিমার মনের অবস্থা রাগের দিকে না ঠাণ্ডা । আবার জিজ্ঞাসা করল - বাদাম খাবা না?
নীলিমা আবার অনেক রাগে রাগে তাকাল রক্তিমের দিকে । রক্তিম বলল- কি হল?কথা বলবা না ?
এতক্ষণে নীলিমা বলল - তুমি ছোলাসহ বাদাম খাচ্ছ কেন ?
- ওহ ! sorry . ভুল হয়ে গেছে ।
-ভুল হয়ে গেছে মানে ? এক ভুল মানুষ কতদিন করে ?
- আমার বাদাম এর ছোলা ছাড়াতে ঝামেলা লাগে ।
- তাহলে বাদাম খেতে কে বলছে ?
- আমার ভাল লাগে ।
-ছোলাসহ খেতে , তাই না ?
- না , খারাপ তো লাগে না । দেখ, বাদাম এর ছোলাও তো টাকা দিয়ে কিনি ।
- চুপ কর । কথা বইলো না ।
- আচ্ছা।
রক্তিম ঠোঁট ২ টা আঙ্গুল দিয়ে চেপে ধরল । নীলিমা রক্তিম এর পাশে বসল । বসে বলল - মুখটাকে এমন অদ্ভুত করে রাখছ কেন ? হাত নামাও মুখ থেকে ।
রক্তিম হাত নামাল । নীলিমা বলল - এবার কথা বল ।
রক্তিম বলল- কি বলব ?
- এতদিন পর দেখা হল, কিছুই বলার নাই ?
- আছে ।
- কি?
- i love u
- তোমাকে না টি -শার্ট পড়ে আসতে বলছি , এই পচা শার্ট পরে আসছ কেন ?
-sorry .ভুল হয়ে গেছে ।
- আমাকে চিনতে পারতেছ ?
- পারব না কেন ?
-না । ভাবলাম তাও ভুলে গেছ নাকি !
- কি যে বল তুমি ?আচ্ছা তুমি কি আমার উপর রাগ করে আছ?
- না ।
- তাহলে এভাবে কেন কথা বলতেছ ?
- কিভাবে বলতেছি ?
- সবসময় যেভাবে বল সেভাবে বল ।
- আমি সেভাবেই বলতেছি , তোমার ভাল লাগতেছে না।
রক্তিম কিছু বলল না ।চুপ করে রইল । দুজন কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর নীলিমা বলে উঠল - নাহ !তুমি এমন কেন ? আমার মনের মতন কিছুই করতে পারো না । তোমার কিছুই মনে থাকে না ......
- কি হল আবার ?
- কি হবে , কিছুই হয় নায় । তোমার চুলের ঐ অবস্থা কেন? মানুষের চুলের অবস্থা এমন থাকে? একটা কথা কতদিন তোমাকে বলতে হয় ? আমার সাথে দেখা করতে আসছ এতদিন পর, আজ কে অন্তত চুলটা ঠিক করে আসতে পারতে !
- ভুল হয়ে গেছে sorry !!
- এই এত sorry sorry করবা না'ত ।
- তুমি কি রাগ করতেছ?
- তো কি করব ?
- ভাল করে কথা বল না , please .
- আমি ভাল করে কথা বলতে পারি না ।
রক্তিম কি বলবে বুঝতে পারল না । তাই আবার চুপচাপ বসে রইল ।
নীলিমার রাগ বোধহয় আরও বাড়ছে । রক্তিম কে বলল - তুমি পাশ থেকে সরো তো । আমার ভাল লাগছে না ।
- কেন?
- তোমাক সরতে বলছি সরো ।
- না আমি তোমার পাশেই বসে থাকব।
- সরতে বলছি না তোমাকে । তোমাকে আমার অসহ্য লাগছে ।
- দেখ , এমন কইরো না please.
- কি করতেছি ? তোমাকে আমার ভাল না লাগলেও ভাল বলতে হবে? তুমি আমার পাশ থেকে সরো তো ।
- plz, আর এমন করব না ।
- কেমন করবা না? তুমি তো আবার এমন করবা । তোমাকে চুল ঠিক করে রাখতে বলছি , একটা দিন করলা না । চুল দেখলে মনে হয় পাখির বাসা । বলছি ছোলাসহ বাদাম না খেতে, তুমি ওগুলা সহই খাবা । বলছি t-shirt পরতে , তুমি পরই না । বল কি t- shirt পরলে নাকি ছাগল এর মতন লাগে । এই , তোমার কোন প্রবলেম আছে আমার ছাগল কে ভাল লাগলে ? তোমাকে আমার ভাল লাগলেই তো হল । আর কাকে দেখাতে হবে তোমার ?
- কাউকে না ।
-তাহলে আমার কথা শুননা কেন?
- শুনি তো ।
- কি শুনো তুমি? কি শুনো ?
- সবই তো ।
- এই আজ কত তারিখ জানো ?
- জানি তো
- তোমার মনে আছে আজকে কি? আজ কেন তোমাকে আসতে বলছি , আমার সাথে দেখা করতে বলছি?
- কিসের জন্য ?
- তাও জাননা তুমি?
- বল না plz. কেন?
নীলিমা এবার আরও রেগে গেল । কিছুক্ষণ পর কান্না শুরু করে দিল ।
রক্তিম বলল - এই , কি হইছে তোমার ?
বলে রক্তিম নীলিমার মাথায় হাত রাখল । নীলিমা রক্তিম এর হাতটা সরিয়ে দিয়ে বলল - plz. তুমি আমাকে ছুঁইও নাত । আমি আর পারতেছি না । আমার তোমার সাথে সম্পর্ক রাখা ইম্পসিবল। তোমার মতন ছেলের সাথে আমি relation রাখতে পারব না । plz leave me.
রক্তিম বলল - প্লিজ এত রাগ করো না প্লিজ ।
- বললাম না তোমাকে আমি তোমার সাথে relation রাখব না । তুমি যাও এখান থেকে ।
রক্তিম কিছু না বলে একটু দূরে সরে গেল । তারপর ব্যাগ থেকে কিছু বের করল । নীলিমার সামনে ৬ টা গোলাপ ধরে বলল- happy propose day !!! এই দিনে এই ছাগলটাকে propose করছিলা। আজ ১ বছর হল । এই ছাগলটা এখনও মানুষ হয় নায় , sorry !!
নীলিমা চোখ মুছে গোলাপ গুলো নিল । একটু হাসি ফুটল নীলিমার মুখে । নিচের ঠোঁটে কামড় দিয়ে বলল - এতক্ষণে দিলা কেন? তুমি জানতে , তাই না?তবে আগে বললে না কেন ? আমাকে কষ্ট দিতে খুব ভাল লাগে তাই না? কেন এমন করলা তুমি?
- তুমিও তো আমকে কষ্ট দিলা । ওওও তোমার জন্য আরও একটা জিনিস আনছি ।
রক্তিম ব্যাগ থেকে একটা চকবার আইসক্রিম বের করল ।
নীলিমা হাতে নিল আইসক্রিমটা। দেখল আইসক্রিম গলে পানি হয়ে গেছে । নীলিমা বলল - এটা তো আগে দিতে পারতে? দেখো কি অবস্থা !!!! গোলাপ গুলো ও দেখছ ব্যাগ এর ভিতর চাপে চ্যাপ্টা হয়ে গেছে ?
- sorry ! মনে ছিলনা ।
- তোমাকে নিয়ে কি যে করি? তুমি এমন পাগল কেন বলতো? অবশ্য তোমার পাগলামির জন্যই তোমাকে আমি এত ভালবাসি । i love you. এই যে গলে যাওয়া চকবার , চ্যাপ্টা গোলাপ দিছো তাতে আমার যতটা ভাল লাগছে , ভাল গুলো দিলে এতটা লাগত না ।
বলেই নীলিমা রক্তিমকে জড়িয়ে ধরে বলল - আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাব না। আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি জান ।
- আমিও।
নীলিমা তারপর ২ টা t-shirt বের করল ।বলল- নাও,তোমার জন্য আনছি। এখন থেকে এগুলা পরবে, বুঝছ ? আর যেন ভুল না হয় ।আর এগুলা পরলেই আমার কথা বেশি করে মনে পড়বে। মনে হবে আমি তোমার বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে আছি, বুঝতে পেরেছ?
- হ্যাঁ । থাঙ্কস। i love you ,জান।
রক্তিম আবার ও বাদাম নিয়ে ছোলাসহ খাওয়া শুরু করল ।নীলিমা হেসে বলল - এই আবার?দাও আমি ছুলে দেই বাদাম আর তুমি খাও ।নীলিমা বাদাম ছুলে দিতে লাগল আর রক্তিম খেতে লাগল । আবার হয়ত জগড়া হবে একটু পর। রক্তিম আবার উলটা পাল্টা কিছু করবে । নীলিমা বলবে রক্তিমকে ছেড়ে যাবার কথা। কিন্তু সব আবার একটু পর ঠিক হয়ে যাবে । এইতো ভালোবাসা । মধুর ভালোবাসা!!!!!!!
__________________________________The End

"কষ্ট"


জীবনে প্রথম একজন ..
আমাকে খুব ভালবেসে ফেলেছে ..
সে নাকি আমাকে ছেড়ে যাবে না ..
আমি ছাড়া সে নাকি মূল্যহীন ..
আমাকে ছাড়া সে অর্থহীন ..
আর সে হল " কষ্ট "..





বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

নিয়তির বিধান।

ছাইড়া গেলাম মাটির পৃথিবী
জীবন খেলাম হারাইলাম সবই
বুকে জমাট বাধা অভিমান
কী নিঠুর এই নিয়তির বিধান।
রক্তে আমার মিশ্যা ছিল সুরের ছোয়া
হৃদয় দিয়া বাইয়া গেছি সংগীতের খেয়া।
আশায় আশায় কাটলো জীবন ভোর
পার হই নাই তবু সুর সাগর
বুকে জমাট বাধা অভিমান
কী নিঠুর এই নিয়তির বিধান।।
কিসের আশায় মন সপিলাম সুরেরই মেলায়
কী পাইলাম আর কী হারাইলাম সঙ্গীতের খেলায়।
কাইন্দা কাইন্দা বলে আমার মন
ভাংলো কেন সুরেরই স্বপন
বুকে জমাট বাধা অভিমান
কী নিঠুর এই নিয়তির বিধান।।
সাদা কাফন পইড়া গেলাম আন্ধার কবরে
রাইখা গেলাম আমারই গান তোমাদের তরে।
আমায় মনে রাইখো চিরদিন
রঙ্গিন নেশায় কইরো না বিলীন
বুকে জমাট বাধা অভিমান
কী নিঠুর এই নিয়তির বিধান।।

রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

শ্যামল অঙ্গনে....


শরৎ তোমার অরুণ আলোর অঞ্জলি
ছড়িয়ে গেল ছাপিয়ে মোহন অঙ্গুলি।
শরৎ তোমার শিশির-ধোওয়া কুন্তলে,
বনের-পথে লুটিয়ে-পড়া অঞ্চলে
আজ প্রভাতের হৃদয় ওঠে চঞ্চলি।
মানিক-গাঁথা ওই যে তোমার কঙ্কণে
ঝিলিক লাগায় তোমার শ্যামল অঙ্গনে।
কুঞ্জ-ছায়া গুঞ্জরণের সংগীতে
ওড়না ওড়ায় এ কী নাচের ভঙ্গিতে,
শিউলি-বনের বুক যে ওঠে আন্দোলি'।