[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

নিশিকন্যা



নিশিকন্যা





কদিন ধরে কাজে যেতে পারছে না সুমি ।
এমন শীত। উফ ! বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না সন্ধ্যার পর। কদিন এমন শীত থাক কে জানে। তার উপর শরীর খারাপ করেছে। মাসের এ কয়েকটা দিন খুব খারাপ কাটে সুমি’র। একটা অসস্তি ঘিরে রাখে। শীত আর শরীর খারাপ কোনোটার উপর তার নিজের কোন হাত না থাকলেও এখন সে দুইটার উপর বিরক্ত। বেশ বিরক্ত বলা চলে। নিজের শরীর আর মরার শীতের উপরে রাগে ফুসে উঠছে সে । গরীবের সুখ নেই। মনে মনে গজগজ করতে থাকে সুমি। ঘরে চাল নেই। মুদি দোকানে বাকি জমে গেছে। সেও আর বাকী দেবে বলে মনে হয়না। বস্তিতে ধার পাওয়া যায় না। সুদে টাকা ছাড়া এক টাকা ও কেউ কাউকে দেয়না। কে দেবে? সবার এক অবস্থা। খেয় না খেয়ে পরে আছে। বাচ্চা দুইটা কই কই ঘুরছে কে জানে । সকালেও কিছু খায়নি। দুপুরেও খাবার নেই । রাতে না খেলে ঘুম আসেনা। পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘুম হয়? নাহ ! আজ বের হতেই হবে। দেখাযাক কপালে কি আছে। যদি ভাগ্য ভাল থাকে তাহলে কিছু জুটে যেতেও পারে।

সাতপাচ ভেবে সুমি ঘর থেকে বের হয়। কদম ভাইয়ের খোজ করতে হবে। সুমি বাইরে গেলে সাধারনতঃ কদম ভাইকে নিয়ে যায়। কদম ভাই লোকটা ভালো । পুলিশের সঙ্গে ভালো খাতির। আর সুমির সঙ্গে খারাপ কিছু করে না। বিপদে ভরসা রাখা যায় । এমন এক কাজ করে সে যে পারে সেই সুযোগ নিতে চায়। গায়ে হাত দিতে চায়। যেন জগতে সে এসেছে শুধু অন্যের জন্য মজা আর আনন্দ বিলাতে। কপাল আরে কাকে বলে। দুইটা বাচ্চার কথা ভাবে সে। নাহলে কবে রেলের নীচে ঝাপ দিতো । জীবন জুড়াতো, পাপ কম হত, শান্তিও পেত। তা আর হল কই? নষ্ট জীবন বয়ে বেড়াতে হচ্ছে । সামনের গ্যারেজে কদম ভাইকে পেয়ে বলে এলো । সন্ধ্যায় বের হবে। কদম রাজী হতে চায়নি। এই দিনে নাকি খদ্দের পাওয়া যাবে না। সুমি জোর করে বলেছে। ঘরের অবস্থা শুনে কদম ভাই বলেছে, চল । যদি পাস তাহলেতো ভালোই।

সংসদ ভবনের রাস্তায় রিকশা নিয়ে এপাশ ওপাশ করছে। লোকজন তেমন নেই। একটু আগে হাইকোর্টের মাজার থেকে এসেছে। সেখানে সুন সান নীরবতা। এই শীতের সন্ধ্যায় কে আর কাজ ছাড়া বের হয়। পেটে ক্ষুধা, বাচ্চা দুইটাকে দোকান থেকে ৫ টাকার মুড়ি কিনে দিয়ে এসেছে। বলে সেছে কিছুক্ষন পর এসে ভাত রেধে খাওয়াবে। খুশীতে চকচক চোখ মুখ নিয়ে দুজন মুড়ি খেতে বসেছে। আহারে! মায়ায় আদ্র মন নিয়ে পাপের উদেশ্যে ঘর ছেড়েছে সুমি। অনেক ক্ষন হয়ে গেলো । কোন খদ্দের মিলেনি। কি করে রাতের খাওয়া জুটবে, কদম ভাইয়ের আধ বেলার টাকা দেবে এসব ভাবতে ভাবতে মনে মনে অস্থির সুমি।

হঠাত করে কদম ভাইয়ের কথায় সম্বিত ফেরে।
: কিরে আর কতক্ষন ঘুরবি?
: কি করুম কদম ভাই, ঘরে এক দানা চাল নাই। মুদি দোকানে বাকী। আর চাওন যায়না। পোলা দুইটা না খাইয়া আছে। আসনের সময় কইয়া আইছি, আইসা ভাত রান্ধুম। এহন কেমনে যাই। তুমার টেহা দিমু কেমনে? কিচ্ছু বুজতাসি না কদম ভাই।
: আমার টেহার কথা বাদ দে। নিজের কথা ভাব। নিস্পৃহ ভাবে বললো কদম ভাই।
: কদম ভাই, চল চন্দ্রিমা উদ্যানে যাই। ঐহানে পাওয়া যাইতে পারে।
: চল। বলে কদম রিকশা ঘুরালো চন্দ্রিমা উদ্যানের দিকে ।

খামার বাড়ীর মোড়ে সুমির রিকশার সামনে থামলো দামী একটি গাড়ি। সুমির চোখ চক চক করে উঠলো । আস্তে করে কদম ভাইকে থামতে বললো।
: দেখ-তো কদম ভাই। ওদের লাগবো নাকি? মনে লয় আল্লাহ কাম একটা দিসে । সুমির গলায় খুশীর সুর।
: তুই বয় রিকশায়। আমি দেহি। বলে কদম নেমে এগিয়ে গেলো গাড়ীর কাছে ।

সুমি রিকশায় বসে দেখলো কদম ভাই মুখ বাড়িয়ে কথা বলছে। গাড়ীতে কে আছে বোঝা যাচ্ছে না। অনেক্ষন পর ফিরে এলো কদম ভাই।
: যাইবি সুমি? সারা রাত থাকতে হইবো । ৫০০ দিবো। রাজী থাকলে ক?
: আচ্ছা যাইমু, তুমি কিছু টেহা লইয়া যাওগা। হাসুনির মারে কইডা চাইল দিয়া ভাত রাইন্ধা দিতে কইবা? পুলা দুইটা খাইয়া ঘুমাইতে পারবো।
আমি বিয়ান বেলা আমুনে।
: আইচ্ছা । কমুনে।
একটু থেমে কদম ভাই বললো, হুন সুমি, যাইবি, তুই? পুলা দুইটা ছোড ছোড, কার পুলা কে জানে, বাসায় কেউ নাই মনে হয়, এই আকাম করতে বাইর হইসে।
: ইতা চিন্তা কইরা লাভ নাই কদম ভাই, আমরার পেটে ভাত নাই।

কদম আর কথা বাড়ালো না। গাড়ীর কাছে ফিরে গিয়ে টাকা নিল । সুমিরে তারাতারি গাড়ীতে তুলে দিয়ে রিক্সা ঘুরালো বস্তির দিকে ।

সুমি গাড়ীতে বসেই, টের পেলো । কদম ভাই এর কথা ঠিক । কত আর বয়স হবে পুলা দুইটার । হের নিজের পুলার থেইকা কয়েক বছরের বড় । মনটা কেমন করে উঠলো । পাপ করলেও মনের অন্দরে পাপীও কিছু বিশ্বাস লালন করে। সেই মন থেকে একটা নিষেধ টের পেল।

কিচ্ছুক্ষনের মধ্যেই সুমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো তার বুকে চাপ বাড়ছে, তাকে অষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে বুক খামচে ধরেছে তারই সন্তানের বয়সী আজকের খদ্দের।

তুই কি হবি আমার বালিকাবধূ?


তুই কি হবি আমার বালিকাবধূ?



১, আমি ভালোবাসা নামের শব্দটা পাল্টে দিতে চাই

আমি ভালোবাসা নামের শব্দটা পাল্টে দিতে চাই
আবেগ নামক শব্দটা ডাস্টবিনের ময়লার স্তপে দেখতে চাই
রাজপথের ড্রেন লাইনের পাশ দিয়ে প্রেমিকার রক্তস্রোত
রাস্তার নেড়ি কুকুরের মুখে প্রেমিকের আহত হৃদয়।


আমি স্বপ্ন নামের আপেক্ষিক শব্দটা খুন করতে চাই
খুটির ট্রান্সমিটারের উপরের পাখির বাসায় আগুন দেখতে চাই
অপেক্ষা নামক শব্দটা আর অপেক্ষায় রাখতে চাইনা
ক্লান্ত পথিকের ঝুলিতে করে অতীতের নির্বাসন।


আমি প্রেমের দৃষ্টিভরা চোখ উপড়ে ফেলতে চাই
ঘরের সিলিংয়ের পাখায় উড়না ঝুলানো দেখতে চাই
শিরা কাটা হাতে নীল সব সরল রেখা পাশাপাশি
পাবলিক ট্রান্সপোর্ট যাত্রীর মত গাদাগাদির শঙ্খনীড়।


আমি আমার গল্প থেকে তোমার নাম মুছে দিতে চাই
টুকরো টুকরো কাগজে তোমার কান্নার রোল দেখতে চাই
ফুটপাথে শুয়ে ঘচঘচ জুতোর শব্দ শুনে প্রেম পালিয়ে যায়
এক পা খুড়িয়ে চলা কবুতর দুর্গম ঝঞ্জা পাড়ি দিতে চায়।




২, তুই কি হবি আমার বালিকাবধূ?


তুই কি হবি আমার বালিকাবধূ?
গোধূলির আভায় নীড়ে ফিরবো আমি
ঝিঁঝিঁ ডাকা সন্ধ্যায়
একরাশ এলোমেলো ভাবনা
আপন করে নিবি তুই
তোর নগ্ন হাতের কাঁকন গুনে
হারিয়ে যাব ধোঁয়াটে কুয়াশার দেশে।


তুই কি হবি আমার বিজন বনের চারুলতা?
অবুঝ আমি দিশাহারা হবো তোর পত্রপল্লবে
জোনাক জ্বলা রাত্তিরে
গোমরা মুখের মেঘের গর্জনে
জরিয়ে নিবি তুই
তোর শেকড় মাঝে সপে দিয়ে আমাতে
অস্তিত্ব মিশিয়ে হুতুম পেঁচার গান।


তুই কি হবি ঘোরের চাদরের স্বপ্নকিশোরী?
নুপুরের ধ্বনি নাচিবে শিরায় উপশিরায়
আধো পূর্ণিমার আলোয়
মাদুর বিছিয়ে সন্তপর্ণে দুজনে
চাঁদ নামাবো তারাময় ভরা আকাশ হতে
নিঝুম আলোছায়া আর শিতল পাটির ঘ্রান।


তুই কি হবি আমার হৃদয় কোনের গৃহরানী?
সকালের মায়ারোদ মাখিব চোখেমুখে
উষ্ণতা চুমিবে পদ দুজনার
পর্দাটানা বালিশ চাদরের ঘর
আঙ্গুলে জড়িয়ে আঙ্গুলের খাঁজ
নয়ন যুগলে ভালোবাসাদের অভিযোগ।


৩, স্ট্রে ফুল সিগারেট ফিল্টার

স্তব্ধ নির্ঘুম রাত
আধপোড়া জ্বলন্ত সিগারেট
এলোমেলো পুস্তকের ভিড়ে
কিছুটা সৃতি, কিছুটা তুমি
গহীন থেকে আর্তনাদ
না পাওয়ার হাহাকার।

নেশায় বুদ মস্তিস্ক
ঝিম ধরে ঘুরছে সব
স্ট্রে ফুল সিগারেট ফিল্টার
কারো স্পর্শ, কারো ঘ্রান
ম্লান যন্ত্রনার আরেকটি রাত
ফোঁটায় ফোঁটায় লবনাক্ত জল।

টিক টিক টিক ঘড়ি
সিলিংয়ে অপলক তাকিয়ে থাকা
বুক চেপে চিৎকার
কখনো অরন্য, কখনো মেঘ
চেপে ধরে দৈবস্বত্বা
মৃত্যুর খুব কাছাকাছি

নিউরন সেল কেঁপে উঠছে
জানালায় মৃদু বাতাস
আরেকটি অধ্যায়ের অবসান
তাহার প্রেম, তাহার ভালবাসা
ধারালো কিছু একটা
মেঝেতে রক্তস্রোত।


৪, আমার নিকষ অন্ধকারের রাত ঘুমের আদরে ঘুমায় না


তুমি বলেছিলে
একটি সুন্দর সকাল দেবে?

তুমি হয়ত কখনো জানতেই না,
আমার প্রতিটি সকাল তোমার জন্য করুন আর্তনাদ করে;
সাদা গাঙ্গচিলের দল তোমার জন্য
তোমায় দেখাবো বলে বন্দী করে রেখেছিলাম স্নিগ্ধ সকালগুলো।


তুমি বলেছিলে
আমায় ছুটে যাওয়া তারা দেখাবে?

রাতআকাশে শশীর মায়া দেখনি,
আমার নিকষ অন্ধকারের রাত ঘুমের আদরে ঘুমায় না;
ঝিরি বাতাসে জোছনাযাপন তোমার জন্য
তুমি নেই বলে রাখা হয়না হারিয়ে যাওয়া তারার খবর।


তুমি বলেছিলে
বর্ষার জল ছুঁইছুঁই পথে হাটবে?

বর্ষার জলকনা হয়ত তোমার পা স্পর্শ করেনা,
আমি প্রতিটি বর্ষায় অজান্তেই সেই পথে হেটে গেছি নিভৃতে;
শাপলা আর কচুরির ফুল তোমার জন্য
প্রতিটি বর্ষার বিকেল ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকা পদধ্বনি শোনতে।


তুমি বলেছিলে
তুমি কি আমার হবে ?

বিষাদের তিক্ততায় কেটেছে অনেক সময়,
অহর্নিশি আমি বাঁচতে চাই তোমার দেয়া মুহূর্ত আঁকড়ে;
আমি এবং আমার সব তোমার জন্য
আমি আজো তোমারি আছি, তুমিই হারিয়ে গেলে......।




৫, কবিতার শেষ চরন

কবিতার শুরুটা আমিই করেছিলাম
জ্যোৎস্না মাখা রাতে শীতের চাদর জড়িয়ে
একের পরে এক শব্দ সাজিয়ে
তবুও কেন যেন অসম্পূর্ণ......


ফ্লোরে ছরিয়ে থাকা প্যাডের কাগজ
অলস ঘুমিয়ে পরা কলম
ভাবিনি আবার জেগে উঠবে
আবার দাগ কাটবে সাদা কাগজের বুকে।


হ্যাঁ, আমার অসম্পূর্ণ কবিতার মাঝে তোমার আগমন
বৈশাখী ঝড়ের গতিতে শব্দের সমাহার
আমার পা বেঁয়ে সবুজ তরু বেঁয়ে উঠতে শুরু করে
আমি ফিরে পাই আরেকটি বসন্ত।


এরপর আবার সেই অলস কলমের ঘুম
কবিতার শব্দেরা ঝরে পরতে শুরু করে
কিন্তু আজো রয়ে গেছে তোমার আবেশ
কবিতার শেষ চরনে............


## নয় বছর বসয়ে প্রথম ছন্দ মিলিয়ে দাগ টানা অংক খাতায় কিছু একটা লিখে ফেলেছিলাম। আমার ছোট জীবনের প্রথম ক্ষুদ্র সাহিত্য। একটা ষোল লাইনের কবিতা। নিতান্ত ছেলেমানুষি একটা কবিতা আমার ছোট্ট ভাইটাকে নিয়ে। কবিতাটার প্রথম আট লাইন মনে আছে। পড়ে কেউ হাসবেন না,

" রাতুল রাতুল করে সবাই
রাতুল এখন কই?
রাতুল এখন পড়ার ঘরে
পড়ছে এখন বই

বইয়ে ছিল বাঘের গল্প
শুনে দিলো লাফ
সেই লাফে গিয়ে পড়লো
মাটির উপরে ধাপ।"

সেই থেকে শুরু। কবিতা, রূপকথা, ভ্রমনগল্প, ছোট গল্প থেকে শুরু করে প্রেমপত্রও লিখেছি ডায়রী ভরে। কি আজব এক নেশা ! ## 

এমন শীতের রাতে



এমন শীতের রাতে


হঠাৎ একদিন তুমি বললে ‘হও’
অমনি টুপ করে পায়রা হয়ে গেলাম আমি।
তোমার উর্বশী হাতের তালু থেকে
খুঁটে খেতে লাগলাম সুবর্ণরঙ শস্যদানা।
এক অলৌকিক ক্ষমতাবলে রচিত হলো
আমাদের এক লক্ষ রাতের প্রেমার্ত ঘুম।
তারপর কতইনা উড়িয়েছো তুমি আমাকে
পার্কে, সমুদ্রতীরে, মায়াবনের আঁচল ছুঁয়ে
বিকেলের অবসন্ন রোদ কেটে কেটে
উড়ে গেছে তোমার শুভ্র পায়রার ডানা।
পোষাপাখিকে কী করে চুম্বন শেখাতে হয়
সে তুমি জেনেছো আমারই কাছে।
তুমি এখন বিখ্যাত এক উড়ানবিশারদ।
আজ পৌষের পারদ হিমাঙ্কে নেমে গেছে
হঠাৎ এসে বললে ‘চলে যাও’।
এমন শীতের রাতে পাখিটা কোথায় যাবে?

মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

এই দুটি আঁখি...



এখনও তোমার চোখের মায়া ভুলিনাই,,,
এখনও তোমার জন্য খুলে রাখি এই দুটি আঁখি...
এখনও তোমার জন্য গৃহকোণ করি সমরচন,,,
এখনও তোমার জন্য যত্ন করি বাগানের চারা গাছ গুলি...

এখনও তোমার চোখের ভাষা ভুলিনাই...
এখনও তোমার জন্য সাজাই আমার পৃথিবী...
এখনও তোমার  জন্য এ হৃদয়ে স্বপ্ন সাজাই...
এখনও তোমার জন্য আমার হৃদয়ে ভালোবাসা খুজে পাই.....♥♥

সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

প্রেম ও তর্ক



তুমি কে আমার, চৈতি হাওয়া
তোমার সঙ্গে আমার কিসের সম্পর্ক-
নৈঃশব্দের ঝগড়া প্রেম ও তর্ক ?
কি চাও, কি পেলে তোমার পাওয়া ?
তুমি কে আমার, পুষ্পশাখা ?
তোমার উপর আমার কতটা এখতিয়ার ?


 

বৃষ্টি

 
 
 
যখন আমরা বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফিরি---

ভাইয়া জিজ্ঞেস করে,
ছাতা নিয়ে বের হস নি কেন??

আপু উপদেশ দেয়,
বৃষ্টি থামার
অপেক্ষা করতে পারলি না!!

...
বাবা রাগ হয়ে বলেন,
বৃষ্টিতে ভিজেছ কেন?? যখন
জ্বর বাঁধাবে তখন বুঝবে!!

কিন্তু মা তার শাড়ির আঁচল
দিয়ে ভেজা মাথা মুছে দেন আর বলেন,
পাজি বৃষ্টিটা তোর বাসায় ফেরা পর্যন্ত
অপেক্ষা করতে পারলো না!!

তাই তো মায়েরা সবার থেকে আলাদা...
একটু বেশিই ভালো...
 
 
 

আজ হঠাৎ করে

 
 
আমি তো কাঁদতে ভুলে গেছি
এই পাষাণ অশ্রু গুলো
কেন জানি এখন আর চোখ থেকে
বয়ে যায় না ।
কেন যেন এখন আর কাঁদতে
পারি না আমি ।
কিন্তু আজ হঠাৎ করে
এ চোখ ভিজে গেল
জানি না কেন কিছু
...
নুনা জল আজ দেখলাম
এ চোখে ।
মনে পরে গেল আমি হয়তো
নিজের অজান্তে তোমায়
ভাবছিলাম তাই ,
আমি তো সেই কবে তোমায়
হারিয়েছি ঠিক মনেও পরে না আমার ।
কিন্তু আজও হারানোর হিংস্র থাবায়
আমার চোখে কান্না আসে ।
আমি তো ভেবেছিলাম আমি
তোমায় ভুলে গেছি । কিন্তু
এ চোখ আমার আবার মনে
করিয়ে দিল পুরনো তোমায়
মনে করিয়ে দিল হারিয়ে যাওয়া
একজন কে ।
তবে কি এটাই ভালোবাসা
মানুষটা হারিয়ে গেলেও
তার জন্য এ হৃদয় কেঁদে যাবে আজীবন ?
তবে কি এ হৃদয় কোন দিনই মুক্তি নেবে না
সেই হারানো ভালোবাসার কষ্ট থেকে ?
তবে কি এমন করেই মাঝে মাঝে নিজের
অজান্তে ভিজিয়ে দিয়ে যাবে আমার এ চোখ ?