[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ২৩ জুন, ২০১২

দেহ # ৬

দেহ # ৬




আমার শরীর কাঁদে শেষবেলায়
নিরাপদ ঘরে,
যেখানে কান্না গুলো রাখে
অনাদর ঝড়ে।
শেষমেশ হেরেই গেলাম
তোমার জাগরণের খেলায়,
তুমি আজও ঘরময় রাখো
আমার আবদার মেলা,
শুধু আমার কাছে নেই
প্রশ্ন আরও কিছু
বেঁধে নিতে কয়েকটি ক্ষণ
আরও তোমার চোখে,
সেখানে আমি হলুদ রঙে
একটা লোভের ছবি;
কখনো ভাবোইনি আমায়
যা তোমায় আমি ভাবি,
আমি গর্ব, আমি অলঙ্কার,
তোমার অঙ্গে মিশিয়ে
তবু আমি পোড়া ছাই
দিন শেষে, ওই আলোয়ানে,
আজ সমাপ্ত এই কাহিনী
তুমি, আমি কিম্বা সে,
আজ অনিমেষ পলকে নীল তুমি
আমার অচ্ছুৎ শরীর দেশে...।।

এলোকেশী পত্র (লিপিকা # ১)



এলোকেশী পত্র (লিপিকা # ১)


এলোকেশী,
পত্রখানি আজি মোর
তোমার নূতন সাজে,
রাঙা সিঁথির তলে রাখা
চোখদুটি লাজে ।

এলোকেশী,
চললে কোথা
দুরের মাঠ পানে,
চঞ্চলতা বয়ে বেড়াও কেমন
এখনো এ মনে ।

এলোকেশী,
ঝড়ে উড়ায় আঁচলখানি
দুর্বার গতিময়
তুমি বৃষ্টি ভেজা সবুজ
রঙের দাবি রাখি আমি ।

এলোকেশী,
বারান্দার গরাদ ঘর
অন্তরের তুমি কলরব,
শিশির ভেজা ঘাসের 'পরে
চোরা কাঁটার আদর ।

এলোকেশী,
তুমি শুভ্র, নির্মল,
ছুঁতে চাই, তবে বেহিসেবি
পাপ পুণ্যের কোনধারে
কাঙাল ফেরে রবি ।

এলোকেশী,
আজ দুদণ্ড থেকে যাও
এ অজাতের ঘরে,
ভালবাসার পাত্র ভরে দেব
আবেশ, তোমায় পাওয়ার
-- কল্পনার সুরে...।।

বিদ্যুৎ ঘাটতি........

 
 
বিদ্যুৎ ঘাটতি........

আমি জানি তোমার আয়োজন কম নয়,
তবু মশারির ভেতরে রাতের অপেক্ষায়
তোমার শরীরের ঘামের গন্ধ,
আজ শুধুই যৌনতা মনে হয়...।
তোরজোড়ে, বিড়ম্বনায়, সে মেকী;
অশ্লীল বলতে তাকে ইচ্ছে হয় ।
কেন বলে ওঠ তুমি...।
কেবলই অবাক হই, তোমার প্রশ্নবানে
ভাবি একি তোমার বাৎসল্য
আমার বুকে আঁচড় কেটে;
চার দেওয়ালে ঢেকে তাকেই তো
নিয়ে করি উল্লাস, যা নিষিদ্ধ,
যা অন্যায় বলে ডাকে সবাই,
যা ঘেন্না করে... আমার শিক্ষা,
তবে কেন ঢাকি, আমার কামনা,
কি বাধা মিলনে, কিছু শিখে রাখা
অকারন শব্দে তাকে দূরে ঠেলে ??
কি ভুল ছুঁয়ে যদি দেখি তোমায়
রোদের আলোর মাঝে,
কি অন্যায় যদি তোমার ঠোঁটে
খিদে পায়, ইট বালির স্তম্ভের বাইরে,
আমার লজ্জা নিবারনের পোশাক খানি
অনেক দামি, আমায় আদর দিয়ে ঢেকে রাখে,
দেওয়ালের নেই প্রয়োজন, জানে সে আমায়;
আর জানে ----
প্রাচীর প্রান্তে শুধুই নিষিদ্ধকরণের বিরোধিতা হয়,
সেখানে রাত ঢেকে যতই হাত ধর,
ভালবাসা...... বিদ্যুৎ ঘাটতি মনে হয়...।।

একলা রবি......



একলা রবি......

কেউ মোর ডাক শোনে আর না
-- তাই একলা চলি রে ।
আমার একলা পথের একলা পথিক
একলা আমি, আমার খেয়ালে,
যদি পরান চায়, একলা এসো
একলা ঘরের একলা মন্দিরে ।
কেউ মোর ডাক শোনে আর না
-- তাই একলা চলি রে ।
অভাগা নাম যে আমার, কপাল
দোষে একলা হলেম, তোমার ভিড়ে,
তবু মন রে চায়, উড়তে বাধা,
দেয় বারেবার পরান আমার,
একলা থাকার দায়ে ।
কেউ মোর ডাক শোনে আর না
-- তাই একলা চলি রে ।
একলা আমার যাত্রা শুরু,
একলাই তো শেষ, তবু মন রে
মরে কেদে কেদে, কিসের সেই খোঁজ,
একলা দুপুর, একলা ঘেমে, একলাই তো রই
তবু অবুঝ মনের কিসের খেলা
একলা কেন ভয় ।
একলা হতেই চেয়েছিলে তো,
আলোর বাতির কাছে, লাজ তবে
তুই রাখিস কেন মনের মাঝে সাজে,
একলা আধার সেও যে আসে, সুজ্যি টারে ফেলে
তাই একলাই চল মরণ ধরি,
নতুন খেলার ছলে ।
কেউ মোর ডাক শুনে আর না
-- তাই একলা চলি রে...।।

স্বচ্ছ যবনিকা.........


স্বচ্ছ যবনিকা.........

যদি অগোছালোই রাখার হত, রাখতাম কেন,
বিস্মৃতি তো অনেক সহজ আবেগ ছিল,
সেখানে প্রতিনিয়ত, সাজানো নৈবেদ্যর
টুকরো গুলোয়, পচনের কান্না হয়ও না ।


যেখানে বিশ্বাসের গরাদখানায় একবার
পারদের মত বিষ হয়ে ঢুকেছিলে, সেখানে
আজও শ্মশানের চিহ্ন আঁকতে না পারার
আমার অক্ষমতাটাই আজ ভীষণ দৃষ্টিকটু,
কারণ তুমি ভিন্ন, তোমার ধারনা আজ
স্বয়ম্বর সভায় বিকনোর অপেক্ষায় দাম গুনছে,
ভাগ বাটোয়ারা খেলতে খেলতে
ক্লান্তিহীন দুটো লাল চোখের দুর্বোধ্যতা
তোমায় দূর করছে ; হারিয়ে নিয়ে চলছে ;


আমার সাদামাঠা গরীব জীবনে তোমার
এই অভিনয় একবার পরদা নামিয়েছে,
বলতে পাও, যবনিকা আজ সত্যি উধাও??
তবে বানাতে কেন বল আবেগ, কেন বল
আবেগ গুলো কুড়িয়ে এনে সাজাতে ??
পারবে তার মাঝে তুমি, আসীন হতে ??
আমার রচনা দীর্ঘ হোক, তুমি হও স্বচ্ছ ;
আমার জেগে ওঠা প্রশ্ন গুলোর উত্তর হয়ওনা,
হও একাত্ম, আমার মৃত্যুর পড়ে যেন,
আমি লিখে যেতে পারি, তুমি সেদিন,
বাকি সবার ভাগের মাঝে, শুধু আমারই ছিলে .........।।

ছোট্ট খাতা

 
ছোট্ট খাতা
আধ চোখ জাগা স্বপ্ন গুলোর
ঠোঁটে তার ডাক, মলিন চাদর;
ঘুম ছড়ানো তার ঘাম গায়ে
এক ফোঁটা আবেগের গরাগরিময়,
সুতর বুনটে জরাজরি করে
একটি শরীর আকুতিতে মরে,
কারাগার হয়ে যায় যেন সব
জানালার গায়ে রোদের কলরব,
দশ বাই দশ, ছোট্ট খাতার
খুন জখমের, হিসেবের ভার
কখনো দরজা সেঁটে দেয় কিছু
কুরিয়ারে আসে নীল কালি পিছু,
আরও দূর দুহাত এগলেই পরে
মুক্ত আকাশ জড়িয়ে ধরে
আত্মহত্যা কয় লোকে যারে,
আমার জীবন, আর আমার আমি ---- ওরা থাকে ওধারে.........।।

আর্দ্র-ছায়া......



আর্দ্র-ছায়া......



তোমার গর্ভপাতের আর্দ্রতায়
অ-ভূমিষ্ঠ রক্তপাত যখন
নামতা পড়ে অঙ্ক মেলানোর
বুদ্ধি গুনতে থাকে,
নিভৃতে ঘটে বিপ্লব,
মননের তরবারি হতে ।
তোমার আবিষ্ট লালদাগে
পন্থার কারখানায়,
যখন আগুন লাগায় আমার
বিপরিত হওয়ার আনন্দ,
সেখানে দ্যুতি তার
অপ্রয়োজনীয় লজ্জা নিবারণে
নিরন্তর প্রচেষ্টার একখানি
দংশন মাত্র - পরিচয়ে ।
মেঘ, বৃষ্টি, রোদ, চক্রে
রঙের কাল-বানীর অহমে,
তুমি কেবলই ছায়ামাত্র
জীবন থেকে মৃত্যুতে,
তবু অদৃশ্য ---------
প্রতিফলনের নির্লজ্জ নগ্নতাতে......।।

Mehedi Pata Dekhecho (kobita abritti) (mithila-Ononto)

যখন বৃষ্টি নামল

অস্মিতা এই মন

সকলের মাঝে শুন্য আমি

আর .... R

Bristi chaya chelam

ghumrazzar valobasha






বৃহস্পতিবার, ১৪ জুন, ২০১২

আকাশের নীলিমায় এই মেঘ এই রোদ্দুর...




আকাশের নীলিমায় এই মেঘ এই রোদ্দুর...

আকাশের নীলিমা তুমি
তোমার আমার নামটাও বেশ হয়েছে
উপরওয়ালা যেন মিলিয়েই পাঠিয়েছেন
প্রকৃতিও যেন হিংসা করে পাছে ।


নীলিমা তোমার চোখগুলো গভীর নীল
আজ আমার মনও বিষাদে ভারাক্রান্ত নীল।


নীল চোখে নীলিমা তুমি তাকিয়ে থাকো
অনাগত দু:স্বপ্নের আকাশে
তোমার পছন্দের সেই নীল আকাশ
আজ বিষাদে রক্তিম লাল হয়ে গিয়েছে ।


তোমার চোখের গভীরতায় পেয়েছিলাম
আমার স্বপ্নের রাজপ্রসাদ
ভেঙে চুরে গেছে আজ আমার
সব আহ্লাদ আর স্বপ্ন-স্বাদ ।


হারিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ
জীবন থেকে জীবনবোধ
ঠোঁটের ছোয়ায় আছে যেন বিষাক্ত বিষাদ
স্বাদহীন সব মায়াবোধ ।


প্রতিরোধহীন হতাশায় ডুবে থাকি
যেন স্রোতহীন নদীতে ভেসে যাওয়া জীবন
ভালোবাসা সেও স্বপ্ন দেখা রাত
স্বপ্নের সাগরে হয়ে যায় বিলীন ………


প্রতিবন্ধকতার হাজারো বেড়াজালে
নিজেকে রাখি আটকে
যেন বেঁচে থাকাটাই অর্থহীন
পারিনা যেতে টপকে … ।


বিষন্নতার কালো ছায়ায় আজ
আমার পৃথিবী অন্ধকার
কেউ বুঝে না নীলিমা আমাকে
অক্ষমতার অপরাধে স্বজন-সমাজ
কানে বাজে সব ঝাঁঝালো কণ্ঠ
প্রকট উত্তাপে-হতাশায় পুড়ে
পীড়িত হই আমি ।


জানিনা এ থেকে কবে আমি পাব পরিত্রাণ
তোমাকে কি দিবো বলো ? এই অক্ষম আকাশ
তোমার আকাশ নিয়তি নিয়ন্ত্রিত মানুষ
আকাশের প্রাপ্তির ঝুলিতে আছে হতাশা
আর অপ্রাপ্তি রঙের রঙ্গিন ফানুস …………..


নীলিমা আজ তোমার চোখে
আর পারিনা থাকতে তাকিয়ে
কেন জানি স্বপ্নের তীর শুধু
গেঁথে যায় এই বুকে সিঁধিয়ে………


যান্ত্রিক জীবনে কত কিছু যে দেখছি
সব কিছু বদলে যাওয়া
কেমন জানি হাঁশপাঁশ করা হাওয়া ।


তোমার চোখের গভীরে যে শান্তি
আমি খুঁজে পেতাম তা যেন মলিন হয়ে গেছে
প্রকৃতির বৈরী বাতাসের ঝাপটায়……


ক্ষমা করো নীলিমা………
ক্ষমা করো এই অক্ষম আকাশকে
বেকারত্বের অভিশাপে তোমার আকাশ
আজ জর্জরিত…..অসহায়

স্বজন-সমাজকে যে পারেনি কিছু দিতে
তোমাকে কি দিবে সে?
তাই এসো না আর এই
অক্ষম আকাশের ছায় ।


============================================

গল্প কবিতায় এই বারের বিষয় ছিল প্রিয়ার চাহনি
কিছুই ভেবে পাচ্ছিলাম না…….কি লিখবো । অবশেষে একজনের নাম দেখে নামটি পছন্দ হওয়াতে
ছেলে হয়ে লিখে ফেললাম কবিতাটি………তাও খুব অল্প সময়ে

আমি ও আমার বেয়াড়া গরু



আমি ও আমার বেয়াড়া গরু

আমি এক বেয়াড়া গরু পালি, আজ অনেক বছর
সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজে না খেয়ে, আগে তার খাবার সাজাই
নিজে মুখ ধোয়ার আগেই,
তার গামলায় পানি আছে কি না দেখি।
খইল, ভূশি ও শুকানো ঘাস কেটে তার পিপা
তৈরী করি সযত্বে, অফিসে যাবার আগে।
অফিসে বসে কাজের ফাঁকেও মাঝে মাঝে তার
শরীরের খেয়াল রাখি, ফোন করি।
অফিস থেকে ফিরে কাপড় বদলেই,
আগে তার দিকে তাকাই, চোহারা মলিন কিনা,
হাত ডুবিয়ে দেখি, পিপায় পানি আছে কি না।
রাঙ্গা চোখ দেখে গলায় হাত বুলাই, আদর করি।
রাতে শোবার আগে, আবারো তার কাছে ফিরে যাই,
দরজা, জানালা বন্দ আছে কিনা, মশা তাড়াতে কয়েল জ্বালাই
আগামী কালের মেনু তৈরী করি মনে মনে,
ঘুম থেকে উঠেই যেতে হবে, চরে – ক’দিন সবুজ ঘাস নেই ঘরে।
যখনই চোখ দুটো লেগে আসে, তার হাম্বা ডাকে উঠে দাঁড়াই।
কাছে যাই, কি আনন্দিত আমার রুপসী বেয়াড়া গরু!
এই মধ্যরাতে আমাকে জ্বলাত্বন করে, কি সুখ সে পায়,
ফিরে আবার চোখ মুদি, আবার হাম্বা, এভাবেই রাত কাটে!
এই আমার বোয়াড়া গরু,
আমি ভালবাসি বলে
আমাকে জ্বালিয়েই তার সমস্ত আনন্দ
আমাকে জ্বালিয়েই বুঝি তার সুখ!
বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, তাকে ছাড়া আমি বাঁচব না,
বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, তার পিছনে পড়া থাকাই আমার সাধনা।
বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, আমার জীবনের মূল্য,
বেয়াড়া গরু বুঝে গেছে, তাকে ছাড়া আমার জীবন শুন্য!

কবিতাগুলো...০১



।আমার পথ আমিই

আমার পথ আমিই ধরেছি আমিই চিনেছি আমিই হেঁটেছি আমিই কেটেছি টুকরো টুকরো ফালাফালা। আমার জীবন আমিই কেটেছি আমিই কিনেছি আমিই বেঁচেছি আমিই বদলেছি ইচ্ছেমত সাদাকালা। পথের আবর্তে হারালে পথ দেখেছি আবার সূর্যোদয়। পথভাঙাশ্রমে থামালে রথ, জেনেছি জীবন হচ্ছে ক্ষয়।

।নর্দমা খুড়ে যদি

নর্দমা খুড়ে যদি পেয়ে যাও নদী
সত্য কহি, তোমাকে দখল দেবো গদি।


।সবুজ আর নীল

সবুজ আর নীল যমজ দু’বোন
সবুজের প্রেমে আমি হয়েছি খুন।


।চলো তবে আবার

ঠোকা দিয়ে গেলো একপশলা রিনিঝিনি হাওয়া। দখিনের জানালা খুলে বসেছিলো আগন্তুক কার অপেক্ষায় মনে পড়ে না। মেসেঞ্জারে প্রিয়তম অক্ষরগুলি শব্দবন্দি হলে এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠে তাহারছায়া—প্রিয়প্রিয়
মুখ। স্নিগ্ধ বাতাস খেলে খেলে, খেলে খেলে যায় দখিনের আরো দূরে নগরীর নষ্ঠ আস্তানায়—সঙ্গী হয়ে থাকে রোদের নরোমকণা, বালুকাবেলা। যে পথে হারিয়েছে বন্ধুতার ধূলোবালিছাই, চলো তবে আবার সেপথে হারাই।


।অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল

যে কথা রাখেনি কেউ সে কথা রাখবে বলেছিলো তারা
ইতিহাস ভুড়ি ভুড়ি মিথ্যে কথায় ভরা
পৃথিবীতে যত জন্মেছে মানুষের হাহাকার
তার থেকে বেশী হয়েছে মিথ্যের প্রচার
কথা রাখানারাখা কখনোই মনে রাখেনি মানবের দল
তাই তারা অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল।


।প্রেমের তীর্থ গড়ে ভেঙেছে সমূল

অনায়াসে ছেড়েছি তোমার হাত—অধিকারের প্রশ্নে দ্বিধান্বিত কেঁপেছি আমূল। বৃক্ষ হয়ে কি লাভ—বরঙ বৃক্ষের ভিতরে দেই প্রাণের স্পন্দন। এইভাবে বুঝেছিলো প্রেমিক পুরুষকূল, প্রেমের তীর্থ গড়ে ভেঙেছে সমূল।

।রঙধনু বিলাস

কাঁথার ভাঁজে কথার সিম্ফনি—শুনি নাই দুহাত ভরে। অপেক্ষা মধুর হবে এমন মন্ত্র বলে শুধিয়েছি অমলার করুন বিলাস; দেখা হয়নি দুচোখের পারস্পারিক ক্রিয়া। অন্ধ কি জানে- তার চোখে ফোটে ফালিফালি রোদ, চষ্ণুতে জমা হয় জলের সরোদ; কিংবা যে চোখে রঙ নেই সেও জানে রঙধনু বিলাস।

।কর্পোরেট সকাল

ভুলে যাই ত্রস্ত পায়ের ছাপ, পাগলাটে রেডিওটা পড়ছে ট্রাফিকজ্যাম। ডিজিটাল সাইন জুড়ে হামুখো দীর্ঘশ্বাস। মোবাইলটা শেখাচ্ছে নিউ ব্রাণ্ডের ঠাকুরমার ঝুলি। উদ্ধত তাহার চাহন দখল করে নেয় চিন্তার গতিপথ। পথের
ভারে শ্রান্ত পথিক ছাড়ছে হাহাকার।


।নিশিপুর

নিশিপুর ঘুমক্লান্ত চোখের ভিতর স্বপ্নের মায়াবেড়ী হয়ে জেগে থাকে অষ্ট্রপ্রহর। নিশিপুর আমারও আছে মনোভূমি জুড়ে—নিয়ত ফসল ফলাই উতকৃষ্ট চাষী। নিশিপুরে যাবার তাড়না নেই বস্তুত গন্তব্যে যাওয়ার তাড়া
থাকে না; দিনশেষে বাড়ী ফেরা স্বনিয়মেই ঘটে।


১০।সঙ্গমের তৃপ্তি নিয়ে

তুমি ঘুমে নাশ, আমি ঝিমুচ্ছি হাসফাস। সঙ্গমের তৃপ্তি নিয়র তোমার কি আকুল ঘুম, তুমি নয় তোমার ঘুমন্ত শ্বাসেই আমার সহবাস।

১১।সিরাজুলকে…

হঠাত থমকে যাওয়া চোখ
বিস্ময়ে বিমুখ
সকলে অচেনা নয়—
কিছু আছে চেনা চোখ
কিছু চেনা মুখ।

হাওয়াপাখি ভুলে গেছে



হাওয়াপাখি ভুলে গেছে
হাওয়াপাখি ভুলে গেছে সলাজ নীড়ের বাঁধন,
 দুপুরের খাঁ খাঁ বুকে ভাঙছে নির্জনতা।
কুসুমের ডানা ভেঙে ঝরে গেলে পাপড়ির মনোলোভা ঘ্রাণ,
 আর্তনাদ করে কাঁদে মৌবনের ঝাঁক।
পত্রসামিয়ানায় ধরে বৃক্ষের ওম;
ডালপালা ধরে রাখে মমতার হাত।
ধুসর বিকেল তার ভুলে যায় লালিমার অবিনাশী ডাক;
 হাওয়াপাখি ফিরে তার নীড়ে।
ফিরে গেছে সখী তার সনাতন প্রেমিকের ভিড়ে।

লিরিক: কিছু অনুভব



লিরিক: কিছু অনুভব
কিছু অনুভব
কিছু নাজানা সব
তোমার আমার মাঝে গড়বে দেয়াল
কিছু আকুলতা
কিছু ব্যকুলতা
তোমার আমার মাঝে ভাঙবে দেয়াল



কিছু ভালোলাগা সুর
কিছু নরোম নরোম ভোর
তোমার আমার মাঝে দাঁড়াবে হেয়াল
কিছু বিমূর্ত ঘোর
কিছু ভাঙা চুরচুর
তোমার আমার মাঝে বাড়াবে খেয়াল



কিছু চোখভাঙা ঘুম
কিছু রাতের নিঝুম
তোমার আমার মাঝে গড়বে খেয়াল
কিছু স্বপ্ন অকারণ
কিছু স্পর্শলাগা মন
তোমার আমার মাঝে ভাঙবে দেয়াল
আর গড়বে দেয়াল…

যাচ্ছি আমি বহুদূরে


যাচ্ছি আমি বহুদূরে


দাঁড়িয়ে আছি তোমার দ্বারে
 যাচ্ছি আজ আমি চলে
 জানাতে তোমায় বিদায়....
 ভাঙ্গাতে চাইনা আর তোমার ঘুম
 যেন এখন রাত নিঝুম...
 মনের মাঝে কি যেন কাঁদায়
 ধরো আমার হাত দুটো
 মুছে দাও অশ্রুগুলো..
 দাও আমায় হাসিমুখে বিদায়
 যাচ্ছি আমি বহুদূরে
 তোমায় একাকী ফেলে
 এই মন যে মানে না....

 কতবার দিয়েছি কষ্ট ,তোমার ঐ হৃদয়ে
 ভুলে যাও সেই সব অতীত
 যেখানেই যাব আমি, হৃদয়ে থাকবে তুমি
 আসবো ফিরে তোমারই জন্য...

 ধরো আমার হাত দুটো
 মুছে দাও অশ্রুগুলো
 দাও আমায় হাসিমুখে বিদায়.....
 যাচ্ছি আমি বহুদূরে
 তোমায় একাকী ফেলে
 এই মন যে মানে না.......
 .
 .

বুধবার, ১৩ জুন, ২০১২

অশ্বারোহী প্রেমিক প্রবীর



অশ্বারোহী প্রেমিক প্রবীর

আমি সাহারা মরুভূমি হতে
হেঁটে আসা কোন বিভ্রান্ত
পথিক নই, আমি প্রেমিক পুরুষ
এসেছি এখানে প্রেমের দাবী নিয়ে।
আমি নই কোন সুনামি কিংবা
ঘূর্ণিঝড়ে সব কিছু হারানো
কোন এক উদ্বাস্তু তরুণ,
আমি হলাম প্রেমিক প্রবীর।

আমি পরাহত নই, তবে
আজও বিজয়ের মালা ছিনিয়ে
আনতে পারি নি। আমি যোদ্ধা।
আমি প্রেমের পথে উন্মুক্ত তরবারি
হাতে যুদ্ধ করে যাই, তোমার জন্যে।

আমার কামনায় বাসনায় কিংবা
জাগ্রত চেতনায় আছো তুমি,
তোমার জন্যেই আজও অশ্বারোহী
হয়ে উন্মুক্ত নেশাখোর মাতালের
মত, নগ্ন তরবারি হাতে ছুটে
চলেছি পূর্ব হতে পশ্চিমের পথে।
চোখে নেশা-তুর স্বপ্ন তোমাকে
জিতে ছিনিয়ে আনবো বলে।

কুড়িয়ে পাওয়া হার




কুড়িয়ে পাওয়া হার

মাঝে মাঝে ভাবি এভাবে বেঁচে থাকার
মানে কি? শুধুই কি কষ্টের নিমন্ত্রণ নাকি
নিজেকে সান্ত্বনার চাদরে আচ্ছাদিত করা।

হারিয়ে গেছ অন্ধকারে খুঁজে পাইনি আর
আজ তোমার আমার মাঝে সপ্ত পারাবার।
কিছু শপথ, কিছু কথা আজ মনে হয় তার
পুরোটাই মিথ্যা, স্মৃতিগুলো তবু অমলিন।
বলছে তারা কানে কানে ফিসফিসিয়ে
আর কত কাল রইবি তুই হয়ে বন্ধুহীন।
স্মৃতির অনুরণনে ভিজে যায় এই মন তবু
আঁখি পাতে হয় নাকো সৃষ্টি জল প্রপাতের।

মনকে দেই না সান্ত্বনা, বলি এতো কোন
কষ্ট না, বরং অন্যরকম সুখ। যেখানে
প্রেমিকার প্রতারণার অনলে পুড়ছে ট্রয়
কিন্তু দেবতার বাঁশি বাজানো হচ্ছে না শেষ।
হাতরে ফিরি তোমায়, নিয়ে অকুল অন্ধকার
এইতো সেদিন হারালাম কুড়িয়ে পাওয়া হার।

১৪৪ ধারায় দুঃখ



১৪৪ ধারায় দুঃখ

তোমায় আজ আর কোন
উপমার ফ্রেমে বাঁধব না,
বালু চরে নগ্ন পায়ে হেঁটে
যাওয়া দেখবো না। আর
শিস বাজিয়ে তোমার দৃষ্টি
আকর্ষণে ব্রত হব না,
তোমায় ভেবে প্রেমের কাব্য
রচনা করে কলমের কালির
হত্যা ঘটিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘিত
করব না। আজ থেকে দুঃখের
সমাবেশে ১৪৪ ধারা বলবত।

দু চোখ থেকে ক্রোধের অনল
সমুদ্র জল হয়ে বয়ে যাবে, তবু
তোমায় নিয়ে আর ভাবব না।
মাঝ রাতে ঘুম ভাঙা মনের
মাঝে, তোমার কামনায় নিজেকে
কষ্টের রঙে রাঙিয়ে হাপিত্যেশ
করে নিজেকে সান্ত্বনা দিব না।
আর নয় দুঃখের সাথে গলাগলি
আর নয় অতীতের খেরো খাতা,
এখন শুধু দু চোখে আমার
বর্তমান কেবল বর্তমানের ছবি।

মধ্য দুপুরে বৃষ্টি



মধ্য দুপুরে বৃষ্টি

মধ্য দুপুরে বৃষ্টি,
বুকফাটা খা খা রৌদ্রে, তৃঞ্চার খানিক বারি যেন।

ইট পাথরের, এই যে ভালোবাসার নগর মোদের,
যখন তাপের দহনে, পুড়ে পুড়ে আবেগ শূন্য নিঃস্ব একা,
সেই মুর্হূতেই ছিন্ন মেঘের অসম বৃষ্টি; নগর ইটের গা ধুয়ে জল পরে চুয়ে চুয়ে
গাছেরা বৃষ্টি পেয়ে ধূসর অঙ্গে সবুজাভ ফিরে পায়,
তালু শুকনো, কাকটার ঠোঁটের শ্রী ফিরে পায়, বৃষ্টির জলে ভিজেছে গলা।

কাঠ বিড়ালটা বকুল গাছ থেকে নামল নীচে, ডাবের ঠোলায় জমানো পানিতে
জিহ্বা ভিজায় এই জ্যৈষ্ঠে, মেঘ শূণ্য আকাশ উড়ে
নীলের বুকটা যেন ছাই রং এর ফেকাসে রং।
বৃষ্টি ঝরে মেঘ ফুরালে, আবার দহন পুড়ছে প্রিয় শহর,
কুঁকড়ে যাওয়া ফুলের দলের গা ধুয়ে বৃষ্টির জল শুকায়।

মধ্য দুপুরে বৃষ্টি,
প্রেমিক যুগল রোদে মাখা বৃষ্টির ডানায় ভিজেছে খানিক,
চড়ুই জুটি বৃষ্টির ফোটা গায়ে মাখে, ভিজতে ভিজতে উড়ে যায়;
বারান্দার কার্নিশে বসে।

১৪১৯@১৬ জ্যৈষ্ঠ,গ্রীষ্মকাল

জ্যৈষ্ঠের ভালবাসা



জ্যৈষ্ঠের ভালবাসা


জ্যৈষ্ঠ খরতাপে বের হওয়া মুস্কিল তবু
আজ আমাকে বেরুতে হবে, যেতে হবে
জিইসি কিংবা লালখান। দুচোখ যেদিকে
যায় সে দিকে নয়, যেতে হবে কেন্দ্রের
দিকে। বৃত্তের মত বিন্দুকে কেন্দ্র করে
ঘুরতে পারব না, পারব না তোমাকে
দূর থেকেই ভালবাসতে। ভালই যখন
বাসি তবে একটু খানি ছুঁয়ে দেখতে
অপরাধ কোথায়? আমার এ কথায়
কামনার দৃষ্টি খুঁজো না। কতখানি নিখাদ
ভালবাসা থাকলে, এমন বাসনা জন্মাতে পারে?


জানি তোমার শাড়ী খুব অপছন্দের, হয়তো
আজকে পরেছ আমাকে সন্তুষ্ট করার মনোবাসনায়,
কিন্তু যাকে ভালোবাসো তাকে সন্তুষ্ট করার
এতো অপচেষ্টা কেন? কখন যে সূর্যটা
অগ্নি আশীর্বাদ দিতে মাথার উপর চলে এলো
একটু টেরও পাই নি। জানি এমন কড়া
রোদে তোমার চোখের চেহারায় পরেছে বোমা।
অযত্নে, অবহেলায় শ্যাওলা ধরেছে তোমার
রূপের বাগানে। চির ধরেছে পলস্তারায়, কিন্তু
তুমি চলে যাও নি। থেকেছ প্রতীক্ষার প্রহর
গুনে। সূর্যের খরতাপকে সহ্য করে যখন
পোঁছালাম, দেখি অপেক্ষাতে কাল গোলাপ।

আমরা তোমার বুকে বাঁচবো, সুখ আর সাচ্ছন্দ্য পানে




আমরা তোমার বুকে বাঁচবো, সুখ আর সাচ্ছন্দ্য পানে

পৃথিবী তুমি নিরব কেন? আজ কিছু বল, তোমার বুকে তোমারই মানুষের সদ্য রক্তঝরে। ঘাস ফুল লতাপাতা, গাছ শুধু চেয়ে দেখবে? কণ্ঠ তুলে বলো কিছু। পৃথিবী তোমার মাটিতে বুনা বীজ, প্রাণ সারা জাগায় হেসে হেসে। লুটেরা ধর্ষকের লেহনে প্রাণ পালিয়ে বাঁচতে পারে না। ঝরা রক্ত চুষে নেয় তোমারই মাটি। অভিশাপ যত ঢেকে রাখে। কালে কালে আর কত ঢাকবে? তোমার বুকে পচন ধরবে জানি একদিন। সেদিন তুমিও বাঁচবে না। অভিমানে হারিয়ে যাবে।
সোঁদা মাটির গন্ধ, চুয়ে চুয়ে যাচ্ছে ক্ষয়ে। বিরান মরু অম্ল-মৃত্তিকায়। হাওয়া যাচ্ছে শুকে। পৃথিবীর গা চুয়ে পরছে নুন। যে গায়ে এক সময় নাভী কস্তুরীর গন্ধ বিলাতো। সে সুবাসে এখন মানুষের রক্তের চিটচিটে গন্ধ। খুঁড়ে খুঁড়ে বেড় করে বন্য শুয়ারের দল। হিংস্র দাঁতাল শুয়ার। কালের জিম্মায় বাঁচে রক্ত চুষে চুষে। আমরা মানুষ তোমার বুকে আজ বড় অসহায়
, আমাদের কলঙ্ক বাঁচাও। সম্ভ্রম আত্মহত্যায় বিবাগী। রক্ত আর রক্তপাত তোমার বুকজুড়ে। আলিঙ্গনে আব্রুহারা তোমার সবুজ বসন।
মৃত্তিকায়, তোমার বুকের পাঁজরের হার ঘেঁসে, বীজ পুঁতেছিনু নতুন চারার সুখ। সেই চারা থেঁতলে গেছে, ছোপ ছোপ তাজা রক্তের পদতলে কলঙ্ক লেপনে। পৃথিবী তুমি মুখ ফেরাও। অন্তত একটা নতুন সবুজ চারা জন্মাও। যে সবুজ বহমান আহ্লাদ, বাতাসে ছড়িয়ে দাও, উল্লাস আর সুখের বাণী। আমরা তোমার বুকে বাঁচবো, সুখ আর সাচ্ছন্দ্য পানে। আর চাই না, রক্তপাত, ধ্বংস আর বিনাশ।
1419@30 জ্যৈষ্ঠ,গ্রীষ্মকাল

সাম্প্রতিক


সাম্প্রতিক

কিছু শব্দের ব্যঞ্জনায় চোখ ফেরাতে পারি না,
কিছু পাওয়া আর না পাওয়ার হতাশাকে
রেখে দেই সব কষ্ট বুকের ভিতরে। বলতে
পারিনা জমানো সব দুঃখ মালা, পারি না
কেঁদে ভুলতে এসব কষ্টের ঘটনা। কিছু
মিথ্যে অভিমান আর বাকিটা ক্ষোভ নিয়ে
বসে থাকি ঘরের এক কোনে। এমন
জীবন কেন হয় মানবের? যেখানে অসহায়
সব কিছু অর্থের নিকটে, মানুষ বন্দী অর্থের
কাছে। পত্রিকা পড়ি না মনের ভুলে, যদিও
পড়ি তবে শুধু খেলা আর বিনোদনের পাতায়
চোখ রাখি সীমাবদ্ধ। কেন আমরা সাধারণ
জনগণ হয়ে গেছি কারো খেলার পুতুল?
রাস্তায় নামতে হয় বড় ভয়। জান না নিয়ে
ফিরতে পারার ভয়, ভয় হাইজ্যাক হবার,
ভয় সড়ক দুর্ঘটনার। এসবের নেই কোন
প্রতিকার। জীবন এখানে বড়ই অনিশ্চিত
আকাঙ্ক্ষাহীন জীবনের নগ্ন প্রতিচ্ছবি।


রাজনৈতিক নেতারা ব্যস্ত ক্ষমতার লোভে,
এই দৌড়ে এখন পাতি দলের নেতারাও
সরাসরি জড়িত। আল্টিমেটামের উপর
আল্টিমেটাম, জনগণের কথা কয় না কেউ।

শেয়ার বাজার আজ বড়ই দুষ্ট, কি করে
বিনিয়োগ করি বল। নৌ মন্ত্রী কেঁদে কয়
ড্রাইভার চিনবে গরু আর ছাগল, মানুষ
চিনার কি দরকার? ১৮ দলে আছে কে কে
কেউ কি বলতে পারবে, ১৪ দলের অবস্থা
আজ বড়ই শোচনীয়। সরকারের বিরুদ্ধে
বললে কথা এখন ফ্রি জেলখানা। ভুলেও
মানুষ করছে না এখন সরকারের সমালোচনা।

আগে হত শুধু খুন সাথে এখন নতুন আইটেম
গুম, আগে লাশ মিলত মর্গে কিংবা রাস্তায়।
এখন আর পাচ্ছে না কেউ লাশের খোঁজ।
সংবাদ পত্র আজ নাকি রাজনৈতিক দলের
মুখপাত্র,এমন জাতীর ভবিষ্যৎ কি তোমরাই
বল? আমি কবি অতি মূর্খ, তাই আছি নিশ্চুপ।

মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১২

রাতের বিলাপ, জ্যৈষ্ঠ রাতের জ্যোত্স্না



রাতের বিলাপ, জ্যৈষ্ঠ রাতের জ্যোত্স্না

রাতের বিলাপ, জ্যৈষ্ঠ রাতের জ্যোত্স্না

সারা দিনটা পুড়েছে দিন মুনির তাপদাহে। শরীরের রক্তমাংস,চর্বি,ফুসফুস,কিডনি,হৃদ্যন্ত্র,শব্দযন্ত্রসহ যাবতীয় সব কিছু পড়ে ছাই। শুধু হাড্ডি-মজ্জার কিছু অংশ পড়া দাগে এখনও টিকে আছে। বেলা শেষে ধুলায় অযত্নে। ভাবনার আঁকিবুকি খেড়োখাতায়, স্মৃতির স্তুপ যেন নিয়েছে আশ্রয়। সাঁঝে সপ্তা বর্ণা ধুপ শিখা জ্বলে, পুড়ে যাওয়া ছাইয়ে আঁধার ঢাকে। জোনাক বাতি রাতের বান্ধব। দূরে ডেকে উঠে ঐ, স্বপ্ন চেনা সুর। কাজল গাঁয়ে, বিরহী কুকুরের ডাক।

চেনা পথে দিগন্ত হাঁটে। গঞ্জের হাট দুপুর রাতে। এপথে ওপথে জোনাক পাহারায়, স্বপ্নেরা বাড়ি ফিরে।আইল পথে কৃষক জগলু, ঠান্ডা হাওয়া গায়ে মাখে। মাদার ফুলের লাল দল, রাতের ধুলায় গড়াগড়ি খায়। সবে জ্যৈষ্ঠের রাত। আঁধার কনকনে বানে ঘিরে ফেলে। জ্যোত্স্না সঁপিবে শরীর আর একটু পরে।

চেনা স্বপ্ন আজ ধর্ষিতা। লক্ষ নক্ষত্রের চোখ আঁধার ভূ-ভাগে। কাঞ্চনজঙ্ঘা আঁধার মগ্নতায়, ক্ষয়ে যাওয়া বিপন্ন সুখ মাগে। বাড়ন্ত রাতের গভীরতায় ডুবে ডুবে, ধীর লয়ে জ্যোত্স্না তার মুখ তুলে। আঁধার ঘোমটা সরে যায়। চাঁদের যৌবনে রাতের অভিসার। ঘুমের মায়া অন্তিম বিশ্বাস বিলায়, উন্মুখ স্বপ্ন আহ্লাদে। রাতের বিলাপ, জ্যৈষ্ঠ রাতের জ্যোত্স্না।

1419@29 জ্যৈষ্ঠ,গ্রীষ্মকাল

সুপ্ত আক্ষেপ



সুপ্ত আক্ষেপ
গতকাল দক্ষিনের ঘরটি আবার
খুলে দিলাম, যে ঘরটিতে আগে
থাকতে তুমি।এখন থাকবে আমার
মেয়ে রিমলীর কুকুর। রিমলীর
আবদার ফেলি কি করে বল, শত
হলেও একমাত্র মেয়ে তার উপর
কুকুরটি জার্মান শেফার্ড, প্রভাতে
ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় হাটাহাটি
করা আমার অনেক পুরনো অভ্যাস-
তাতো তুমি ভালো করেই জানো।
হটাৎ তোমার রুমের দিকে চোখ
পরায় এগিয়ে দেখি তোমার কাঠের
পালঙ্কে ঘুমাচ্ছে রিমলীর কুকুরটি।
আসলেই জগতে কোন কিছু শুন্য
থাকে না, কখনো ভাবি নি তোমার
খাটে অন্য কেউ ঘুমাবে, এখন
দেখি অন্য কেউ নয় ঘুমাচ্ছে কুকুর।
অতঃপর সে দখল করে নিলো তোমার
খুব প্রিয় আরাম কেদারাটা।এভাবেই
একে একে সে নিয়ে নিলো তোমার
ভাত খাবার বাসন কোশন যা যা
নিত্য প্রয়োজনীয় আছে সব কিছু।
এসব দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই
মাত্র দু দিনেই তাকে সবাই এভাবে
আপন করে নিল, সে যেন এ
পরিবারের ই একজন গুরুত্বপুর্ন সদস্য
তোমার চেয়েও একটি কুকুরের সম্মান
এতো বেশি, সত্যি অবাক হই আমি।
বারবার একটি কথা তোমার বউ মাকে
জিজ্ঞাস করতে গিয়ে ফিরে আসি সামাজিক
অশান্তির কথা ভেবে কিংবা মেয়েকে
জিজ্ঞাস করি নি ওর মনে আঘাত
হবে বলে, কথাটি হলো তোমার জন্যে
কেন বৃদ্ধাশ্রম নামের অদ্ভুত আয়োজন।

সোমবার, ১১ জুন, ২০১২

নষ্ট সময়




নষ্ট সময়

ভাবছি তোমাকে নিয়ে আর লিখব না
অনেক লিখেছি কাজের কাজ কিছুই হয় নি,
লিখতে লিখতে কলমের পানি শুকিয়ে গিয়ে
খাতার মাঝে বনভূমির সৃষ্টি করেছি, কিন্তু
ফলাফলের খাতায় যোগফল শুন্যই আছে।

ভেবেছিলাম আমার লেখা গুলো পড়ে তুমি
নিজেকে শুধরে নিবে আর মনের মরুভূমিকে
ভিজিয়ে নিবে অমৃত সুধা দিয়ে।তুমি তা
কখনোই করো নি।তোমার মরুভূমিতে
কখনো ফুটেনি মানবতা নামের ফুলটি,
কখোন সুবাস ছড়ায় নি আত্মসমালোচনা
নামক মৌমাছিটি।যতবারই তোমায় কাছে
ডেকেছি ততবারই তোমার স্বৈরাচারী
আচরনের স্বীকার হয়েছি।তুমি ঠিক পঁচে
যাওয়া সমাজ ব্যবস্থার এক করুণ প্রতিচ্ছবি,

যেখানে রাজনৈতিক দোলা চালে অতীষ্ট
মানবতার হৃদয়। তোমাকে নিয়ে আর
কখোনই লিখব না, তুমি হলে পঁচে যাওয়া
সমাজ ব্যবস্থার মতো আমার জীবন থেকে
হারিয়ে যাওয়া অদ্ভুত কিছু মূহুর্ত, যা আমি
কখনো মনে রাখব না,রাখতে চাইও না আর।

শুক্রবার, ৮ জুন, ২০১২

কথা রাখনি




কথা রাখনি


নির্ঘুম রাতের আলো আধাঁরীতে
না পাওয়ার নিদারুন কষ্টকে বুকে ধারন করে;
প্রতিটি মুহুর্ত তোমার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকি।
শুনেছিললাম পবিত্র ভালোবাসায় কোনো পরাজয় নেই;
এখন দেখছি সব মিথ্যা!
আসলে প্রতিটি মানুষের হৃদয় বাস্তবতার কষাঘাতে চার দেয়ালে বন্দি।
কথা ছিল গ্রাম্য মেঠো পথে হাত ধরে বসে থাকব
সন্ধ্যা গোধুলীর পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত।
পড়ন্ত বিকেলের অস্তমিত সূর্যের পানে চেয়ে;
কিন্তু তা হয়নি, কেন তা জানি না।
এ সত্যটা আগে বুঝতে পারিনি;
এখন বুঝতে পারছি ভুল করে।
হয়তো একদিন আমিও হারিয়ে যাব ওই মেঘের দেশে।
মেঘ আমাকে বৃষ্টি হয়ে ফিরিয়ে দিলে;
যাব সাগরের কাছে।
আমার সমস্ত বেদনা তাকে গিয়ে বলব;
আজ থেকে আমিও তোমাদের দলে।
আমি হারিয়ে গেলেও আমার ভালোবাসা রয়ে যাবে;
সেই অনুভূতিটুকু মনে রেখ।
আমি স্বপ্ন হয়ে এসে তোমাকে ছোঁয়ে যাব।
ভুলে যাব কি না তোমায় বলতে পারি না ?
মনের অজান্তে কোনোদিন খুঁজব কি না জানি না ?
স্মৃতি যদি কাঁদায় নিজেকে আড়াল করে রাখব;
তবুও ঝরা ফুলের মতো কোনো গন্ধ ছড়াব না,
কারন; তুমি তোমার কথা রাখনি!!!



********************
৭ জুন ২০১২ , ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯ , ১৭ রজব ১৪৩৩
সৌদি আরব, আল-বদর।

বুধবার, ৬ জুন, ২০১২

কিন্তু হায় তুমি কোথায়


।। কিন্তু হায় তুমি কোথায় ।।
                         হাসনাত
 তোমাকে দেখব বলে আমি দেখি আকাশ মহাকাশ
 আর তার বিচিত্র নক্ষত্র মন্ডল নীল অন্ধকার আলোয়
 আবৃত কৃষ্ঞ উপত্যকা হাজারো বিশ্ব ব্রহ্মান্ড
 হাজারো আলোকের বিচ্ছুরণ
 ফিরে দেখি আমার প্রাণ প্রিয়তম সবুজ পৃথিবী
 বৃক্ষ গুল্ম লতা বনভূমি সুগভীর
 মেঘ বৃষ্টি দিন ও রাত্রির শিশির
 প্রমত্তা মেঘনা ও আমাজনের ঘোলাজল
 সমুদ্রের বিশাল জলরাশি নোনাজল আর তার জল ভাঙ্গা
 বিশাল ঢেউ জলস্রোতে জনসমুদ্র সুবিস্তৃত
 পাহাড়ী বন পাহাড়ী ঝর্ণা উপত্যকা নদ নদী
 হিমালয় চাদ দিন ও রাত্রির সঙ্গম
 কালবৈশাখী সুনামি ও মহাপ্লাবন এলোনিনোর তান্ডব
 জন্ম ও মৃত্যুর দ্যোতনা আলোকিত দিগন্ত দিক চক্রবাল রেখা

 তোমার কণ্ঠস্বর শুনার জন্য আমি উদগ্রীব হয়ে শুনি এখনও
 বিগ ব্যাঙ্গ- এর গুম গুম শব্দ নিসর্গের হাজারো কোলাহল
 প্রকৃতির যানজট হুইশেল পাখ পাখালীর গান
 ধেয়ে আসা সুতীব্র ঝড়ের ঝাপটা
 সমুদ্র মহাসমুদ্রের শব্দ শাম্বত শো শো গর্জন ও তার ঘূর্ণিবায়ু

 তোমার ভালবাসা ও স্পর্শের জন্য সেই কবে থেকে আমি
 অপেক্ষায় আছি থিতু হয়ে
 আমাকে স্পর্শ করে রোদ বৃষ্টি জ্যোত্স্না আর তার
 জল ভরা ভারী বাতাস পরম মমতায় ভালবাসায়
 হিম শীতল তরঙ্গ আর তার উষ্ঞ উত্তাপ

 সময় হলেই আমি আমার সুযোগমত নিসর্গ ও প্রকৃতিকে
 ব্যবচ্ছেদ করি ছুটে যাই সমুদ্রে মহাসমুদ্রে আফ্রিকার তুষারাবৃত মালভূমে
 আকাশযানে ভর করে আকাশ মহাকাশে যাই কাল মহাকালে
 বর্তমান ভবিষ্যত্ ও অতীতের ঠিকানায় কথা বলি
 কিন্তু হায় তুমি কোথায় ??

সোমবার, ৪ জুন, ২০১২

সম্পর্ক (রঙ্গিন কাগজে মোড়া সাদাকালো ভালোবাসা)

সম্পর্ক(রঙ্গিন কাগজে মোড়া সাদাকালো ভালোবাসা)

ভালোবাসা কোনো সিদ্ধান্ত নয়,ভালোবাসা হলো বিশ্বাস আর মায়ার বন্ধনে জড়ানো এক পবিত্র দায়িত্ব। যুক্তির উপর যেখানে আবেগের আদিপত্য সেখানেই ভালোবাসা। যেখানে রঙ্গিন কাগজে মোড়া বাস্তবতা প্রায়ই ভেঙ্গে দিতে চায় সম্পর্কের ভিত্তি। সেখানেই বাস্তবতা কখনো কখনো হেরে যায় এক শরীরে গেঁথে থাকা দুটি আত্মারপবিত্র বন্ধনের কাছে। যখন কলুষিত পারিপার্শ্বিকতা তাদের এনে দাঁড় করায় হাজারটি ভাঙ্গনের কারনের সামনে, তখন তারা একটি কারন খুঁজে ফিরে সম্পর্ককে বাঁচাবার। হাজারো ভুলের মাঝে, কষ্টের মাঝে, সন্দেহের মাঝে কাউকে ভালবাসার জন্য একটি কারনই যথেষ্ট-সেই কারনটি হচ্ছে “ভালোবাসা”। সম্পর্কের শুরুটা ঠিক এমনই।


সময়ের আবর্তে এমন সম্পর্কেও ফাটল ধরে নিছক হেয়ালিপনায়। বেড়ে যায় চাওয়া পাওয়ার অসম ব্যাবধান।অগাধ বিশ্বাস নুয়ে পরে সামান্য সন্দেহের কাছে। সীমাহীন মায়া ম্লান হয়ে যায় মোহের কাছে। সম্পর্কের গুরুত্তের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় ব্যক্তিগত গুরুত্ব। চির ধরে অনুভুতিতে, বিশ্বাসে, ভালবাসায়।
সময়ের খেলায় ভাঁটা পরে আবেগে, বাস্তবতার মুখ বাকা হাঁসিতে বিবর্ণ হতে থাকে টিকে থাকা অনুভূতিরা। অধিকারেরা রূপান্তরিত হয় অনধিকার চর্চায়, আবেগ হয়ে যায় আদিক্ষেতা, বিশ্বাস হয়ে যায় সন্দেহ আর ভালোবাসা হয়ে যায় ডানা ভাঙা আহত পাখি, যে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে নিশ্বাস তো নেয় কিন্তু তার উড়ার ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। ঠিক তখনি বিশ্বাস আর মায়ার বন্ধনে জড়ানো দায়িত্ব হার মানে ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্তের কাছে। অতঃপর ভেঙ্গে যায় সম্পর্ক, দুজনের ভুলে কিংবা একজনের। থেকে যায় শুধু প্রশ্ন প্রশ্ন এবং প্রশ্ন।
প্রশ্নেরা যখন ভীষণ পোড়ায়, ভালোবাসা যখন ভীষণ কাদায় তখন শুরু হয় ভালোবাসা কে আঁকড়ে ধরার কিংবা একেবারে নিঃশেষ করে দেয়ার তুমুল যুদ্ধ। কিন্তু ফেলে আসা আবেগ, অনুভুতি, মায়া, বিশ্বাসের স্থানে জায়গা করে নেয় অসংখ্য যুক্তি, যার কাছে হেরে যায় ভালোবাসাকে আবার গড়ে তোলার জন্য দুজনের কিংবা একজনের সব প্রচেষ্টা। তবুও দুজনের মাঝে পৃথক ভাবে আবেগ অনুভুতি মায়া বিশ্বাস সব থাকে কম বেশি, কখনো কখনো ভালোবাসাও, শুধু মাঝখান থেকে শেষ হয়ে যায় সম্পর্ক।
কেউ সয়ে যায়, কেউ হেরে যায় আর কেউ বেঁচে থাকে অভ্যস্ততায়। কেও জলে ভাসে, কেও বা রক্তে, কেউ বেঁচে থাকে অনুশোচনায়। এভাবেই মরে যায় ভালোবাসা, নিঃশেষ হয়ে যায় সম্পর্ক। কেউ শুন্য হাতে শুন্যে মিলিয়ে যায়, কেউ শুন্যের মাঝে শুন্যই রয়ে যায়।

Shahrukh Khan Live in Bangladesh part 1_12-ahridwan



Shahrukh Khan Live in Bangladesh part 1_12