[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১০

এই শোন........শোন না একটু.........

এই শোন........শোন না একটু.........

১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

রাত তিনটা বাজে তখন বেলার টেবিলের থাকা ঘড়িটাতে। আর উপারে থাকা রাজ এর ঘড়িতে রাত দশটা। বেলা অনেক চেষ্টা করছে ঘুময়ে পরতে কিন্তু পারছে না। কিন্তু রাজ এর সাথে কথা না বলে তো কোন দিনও ঘুমাতে পারেনি বেলা। তবে আজ কিভাবে ঘুমাবে? অনেক রাগ লাগছে অভিমানে মন ভরে যাচ্ছে। কি করছে ও? বাসায় ফিরেসে, নাকি কাজে আছে। নাকি রাতের খাবার রান্না করছে? না আবার শয়তান টা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে? সত্যি যদি রাজ আমাকে ফোন না দিয়ে ঘুমিয়ে পরে....... তবে ওর সাথে আমি তিন দিন কথা বলবো না। না সেটা আমি পারবো না......... ওকে অনেক বকে দেব..... সেটাও পারি না........ এতো সুন্দর করে কথা বলে........ এতো দুরে থেকেও আমাকে ভালাবাসায় ভরে রাখে......।

এই গতকাল রাতে গাড়ী নিয়ে শহরে গেছে। আমার সাথে একটু কথা বলে কার নিয়ে বের হয়ে গেছে। আমি অনেক রাগ করি। কিন্তু অনেক জরুরী কি কাজ যেন তাই ও চলে যায়। আমার অনেক খাহারপ লাগছিল। সেটা একমাত্র রাজ ই ভালো জানে। আর তাই হাইওয়ে তে উঠে আমাকে ঠিক কল দিয়েছিল। আমি বলছিলাম ড্রাইভ করার সময়ে তুমি কথা বলতে পারো না তবে কেন কল দিয়েছ। আমাকে অনেক আদর দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে বলল একটু কথা বলি। আর আমাকে আগেই বলে দিল আন্ডার পাস এ ঢুকলে নাকি নেট থাকে না। আর কল কেটে গেলে আর কল দেবে না। ২০ মিনিট কথা বলার পর লাইন টা কেটে গেল। শয়তান টা সত্যি র কল দিলো না। সারা দিনেও একটা এস এম এস ও করলো না।

সকাল থেকেই আম্মু বাসায় ছিলো না। সারাও দেখলাম কেমন মন ভার ভার করে আছে। জানতে চাইলাম কিছু বলে না। আপুর বাসায় গেলাম কেউ বাসায় নাই সবাই নাকি রাজ দের বাসায় গেসে। আপুর ননদের সাথে অনেক সময় গল্প করে বাসায় চলে আসি। হাতের কাজ শেষ করে হুমায়ন পড়েছি অনেক সময়।

এতো রাতে বসার ঘরে আস্তে আস্তে কথা বলে কে? বেলা যথেষ্ট বিরক্ত হলো। কাথা দিয়ে মুখ ঢেকে ঘুমানোর বৃধা চেষ্টা করতে লাগলো। """ কি ব্যাপার আমাকে ভুলে গিয়ে তুমি ঘুমিয়ে পড়লে?""" রাজ এর কন্ঠ!!!!!!!!!!! নিশ্চিত ঘুমিয়ে পড়েছি আমি আর স্বপ্ন দেখছি শয়তান টাকে , মুখে বলে বেলা। "" বেলা বউ চোখ মেলে দেখো শয়তান তোমার সামনে দাড়িয়ে""

মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০১০

ফুল ঝরা কবিতা

ফুল ঝরা কবিতা
আমি কবিতার কাছে হেরে গেলাম,
যেখানে শুরু করে বসিয়েছিলা কলমের আঁচর
শৈল্পের নৈপনিতে এঁকেছিলাম এক একটি কবিতা
সাজানো এক ফুল বাগানের মতো।
সেখানেই গিয়ে দেখি আজ ঝরা ফুলের নি:শব্দ কান্না
নৈ:শব্দ অনুভবে আমিও চোখের জলে ভিজিয়েছি ললাট
তীব্র অস্থিরতায় ঘেমেও ছিলাম তিক্ত অনুভবে,
যা বলার ভাষা প্রকাশ করার মত আমার উপায় ছিল না।

আমি ঝরা ফুলের মতো কবিতার কান্নাও শুনেছি
হার মেনেছি তার সীমাহীন ভালবাসায়,
অশরীরী আত্নায় তাকে দেখেছি কত অগনিত বার
নির্জন তিমিরে তার ছায়া রুপী আত্নাকে মানবীতে দেখেছি।
সে আর এখন আমার কাছে আসে না;
অথচ নির্জন জোস্না রাত আসলেই তার অপেক্ষার প্রহর কাটি
তেপথের পাড়ে যে ছায়াকৃত খুদে বৃক্ষ
সেখানে মাঝে মাঝে ছুটে যাই তাকে কামনা করে,
এখন আর সে আসে না;তার অশরীরী আত্নাও আমাকে ভর করে না;
তার কি কিছু হয়েছে? না আমি কবিতার কাছে হেরে গেলাম?