[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১১

হারিয়ে যাওয়া তুমি
হাওয়ার নির্মলতা; আমার অসহ্য লাগে,
লাগে একগেয়েমিতে দম বদ্ধ হয়ে যাওয়ার যন্ত্রনা।
নতুন করে,
তুমি হারিয়ে যাওয়াটা ভীষণ অনুভব করছি
সেই জন্য বোধ-হয়-
আমার যন্ত্রনাটা ক্ষনে ক্ষনে চক্র বৃদ্ধি হারে বাড়ছে।
আর তা-
ষোল কলা পূর্ণ করে,
আমার মগজের ভিতর ইস্কুলের ঘন্টা বাজাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আজ মৃত্যুকে অনেক বেশি চাই
ঠিক মন থেকে।
যেমনটা চাইতাম তোমাকে।

তুমি আপন হওনি; নিরাশ করেছ
মৃত্যু নিশ্চয় আমাকে নিরাশ করবেনা
আপন করে জড়িয়ে ধরবে পরম মমতায়।

আমি-
চির নিদ্রায় যাব
ঘুমাব পরম শান্তিতে।
মা তোমার কোলে ঘুমাব (প্রথম পর্ব)
মন খারাপ করে তিতাসের পাড়ে বসে আছে ইমতিয়াজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেরি না করে বাসায় চলে আসে, তাহলে অন্তত দু’টা দিন বেশি থাকা যাবে মা’র কাছে। ছোট মাত্রায় অনেক বড় আসা। কিন্তু মার কাছে তার শান্তিটা পাওয়া হয়ে উঠেনা। ইমতিয়াজের বাবা ওর কাছে তিন লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন ঢাকাতে যেহেতু ছোট দুই ছেলে পড়ালেখা করে, তাদের সেমিষ্টার ফি ও অন্যান্য কিছু খরচ বাবদ ব্যবহার করবেন। কিন্তু ইমতিয়াজের ভাবনায় ঢুকে পড়ে একটা মস্ত ভূল ভাবনা। কিছু লোকের কথায় সে ঐ টাকা বাবা-মাকে না বলে একটা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে বসে। ভাবে ছোটদের সেমিষ্টার ফি দিতে আরো ছয় মাস আছে। এর মধ্যে কোন একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। নিজেরও প্রতিষ্ঠা পাওয়ার একটা পথও তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু ভূল তো ভূলই। কথায় আছে না- লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। আবার তারাতারির কোন কাজ ভাল নয়। ঠিক এমনটায় হল। তার টাকাগুলু আটকে যায়। প্রতিষ্ঠানটা সরকারি বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ে ধ্বংসের পথে। টাকা ফেরত পাওয়ার নম্ভাবনা অনেকটায় মিলিয়ে যায়।
এই সবের জের ধরে ইমতিয়াজের বাবা ওর সাথে প্রায়ই রাগারাগি করেন। এবার ঈদে বাসায় আসার পর একটু বেশিই করে ফেলেছেন। গত রাতে ইমতিয়াজ খেতে পর্যন্ত পারেনি। সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হওয়াতে ওর বাবা এসে যাতা গালাগালি করে অফিসে চলে যান। প্রচন্ড মন খারাপ হয় ইমতিয়াজের। নদীর পাড়ে এসে গোপনে নিভৃতে কাঁদতে থাকে।
এখন আর কোন কিছু ভাল লাগে না। প্রতিনিয়তই মনে হয় মরে যায়। কিন্তু পারে না। মাকে এত বেশি ভালবাসে; এটা আসলে ব্যাখ্যা করা যায় না। কোন কিছু করতে গেলেই মার কথা আগে মনে হয়। শুধু ঐ কাজটাই মাকে না বলে করা। আর তাই এখন সম্পূর্ণ পৃথিবীটা অনর্থক মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে জীবনটা হল একটা ভাসমান কচুরি পানা। যার ভাসতে ভাসতে জীবন কাটে, শেষ হয় পচেঁ।
সারা দিন বাসায় যাওয়া হয়নি, খাওয়াও হয়নি। ফলে সন্ধায় বাসায় ফিরার পর ইমতিয়াজ দেখে মা কাদঁছে। ভাত নিয়ে টেবিলে বসা। সেও খায়নি। ঘরে ঢুকতেই মা ওকে টেনে নিয়ে খেতে বসালেন। নিজের হাতে খেতে নিলে মা ওকে না দিয়ে নিজে খাওয়াতে শুরু করলেন। কিন্তু খাওয়াটা আর শেষ করা যায়নি। ঐ দিক থেকে বাবা চেচিয়ে বলতে লাগলেন- ” গাধাটাকে খাইয়ে লাভ কি? এর চেয়ে যদি একটা কুত্তা পালতাম অনেক বেশি ভাল হত। যা বলতাম তাই শুনত। এইডা তো কুত্তা থেকে অধম।” গলা দিয়ে ভাত আর নামে না ইমতিয়াজের। চোখ দিয়ে দর দর করে পানি পরতে থাকে।
সকালে বাবা মাকে বলছে- ” গাধাটাকে বলিও বিদেশে চলে যেতে। সব ঠিক করে দিতেছি। যা টাকা লাগে দিমুনে। দান মনে করেই দমু। ফেরত দেওয়া লাগব না। এর বদলে যদি কিছু কামায় করতে পারে। অর পিছে যা খরচ করছি তার কিছুটা উছুল হইব। যা খরচ করছি তা দিয়া আলিশান দু’টা বাড়ী করতে পারতাম।” এই কথা বলে অফিসে চলে যায়। কষ্টে ইমতিয়াজের বুকটা মোচর দিয়ে উঠে। কারণ মাকে ছেড়ে সে কখনো দূরে থাকে পারে না। ঢাকাতেই থাকতে ওর অনেক কষ্ট হয়। সময় পেলেই চলে আসে। এর আগে অনেক বার বিদেশে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মাকে ছেড়ে যেতে হবে তাই নাকচ করে দিয়েছে। আর আজ নিজে মাকে গিয়ে বলে-” মা, মাগো আমি বিদেশ যাব।” এই কথা বলতেই চোখে পানি এসে যায়। চোখের পানি মুছতে মুছতে আবার বলে-” বাবাকে বলিও দান হিসাবে যদি দেয় তবে চিলে যাব। যে দেশেই হোক চলে যাব।”

যারা বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে, তাদের যাতে অনেক কষ্ট হয়, অনেক সময় লাগে। এমন কি মাসের পর মাস, অনেক সময় বছর ও ফুরিয়ে যায়। আর ইমতিয়াজের মাসো ঘুরেনি। সব ব্যবস্থা হয়ে গেল। রাতে আর ঘুম আসে না। বুক ভেঙ্গে কাঁন্না আসে। মাকে ছেড়ে যেতে চাইছে না মন। বার বার কেন যেন মনে হচ্ছে মৃত্যু বুঝি খুব কাছে চলে এল ইমতিয়াজের।
আগামীকাল ফ্লাইট। সব গুছিয়ে নিচ্ছে ইমতিয়াজ। মা-বোন সবাই কাদঁছে। কিন্তু ইমতিয়াজ নির্বিকার। যেন একটা রোবট। কোন অনুভুতি নাই। চোখে পানিও নাই। কেমন যেন হয়ে গেছে।
রাতের বেলায় সবাই যখন ঘুমানুর চেষ্টা করছে ইমতিয়াজ তখন বারান্দায়। এক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা খুঁজছে। আর ভাবছে, ইউরোপের আকাশ কি এই রকই, ও খানে কি মা আছে?? এই সব প্রশ্নের সাথে শুধু মনে হচ্ছে সে বুঝি আর বাচঁবে না। পরের দিন দুপুরে সবার কাছ থেকে অদ্ভুত এক নির্বিকার বিদায় নেয় ইমতিয়াজ। শুধু মার সামনে গিয়ে বলে-” মা, তুমি যদি আমাকে ভালবাস তা হলে নিজের যত্ন নিও। আর আমার জন্য একটা দোয়াই করিও , আমি যেন মরার আগে তোমার কোলে ফিরে আস্তে পারি। আমার শান্তির ঘুমটা যেন তোমার কোলে হয়।” মাকে আর ধরে রাখা যায়নি। হাউ-মাউ করে কাদতে শুরু করে।ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে-” আমার ছেলেকে কোথাও যেতে দিব না। আমার ছেলেকে কোথাও যেতে দিব না।” কিন্তু ইমতিয়াজ মাকে ছাড়িয়ে সামনে যেতে থাকে। পিছনে মার কান্নার আওয়াজ কানে এসে বারি খায়। প্রতি বারই মাথাটা ঝিম ঝিম করে উঠে।
বড় বড় প্লেনগুলু ইমতিয়াজকে নিয়ে আকাসে উড়াল দেয় নতুন এক অজানা ঠিকানায়।
মেঘের পালকি
ঋণী তুমি
ড্রিম বয় আমি
শাড়ী পড়ার বয়সে
অপূর্ণ ইচ্ছা তোমার
পূর্ণ করেছি আমি।

কৃষ্ণকলি-
আবার তোমায় বলি
চির নতুন
কিন্তু-
অপূর্ণাঙ্গ জীবন তোমার।

দোষী আমি-
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের সাথে।

তারপরও-
অনিচ্ছুক আমি
আজো তোমায় খুঁজি।
যোগ বিয়োগের ঈদ
মেয়েটি তখনো কেনেনি ঈদের শাড়ী
বাবা বলেছিলো ফিরবে যখন বাড়ি
আনবে সাথে লাল ফিতা লাল চুড়ি
যাবার বেলায় কপালেতে চুমু মেখে
বলেছিলো সে তুই যে আমার জান
মেয়ে বলেছিলো বাবা
তোমার জন্য সদা কাদে মোর প্রান।
বাবা ভাবে
শহরেতে গিয়ে ঈদ তিন দিন রিক্সা চালাবে মেলা
এ সময়ে সব শহরে বাবুদের থাকে বেশ দিল খোলা।
সাথে নিয়ে কিছু চিড়া আর মুড়ি বাবা যায় শহরে,
মেয়ে বসে ভাবে এবারের ঈদ কাটবেই খুশিতে।
দুই দিন যায় তিন দিন যায় বাবাতো আসে না বাড়ি
মেয়ে বসে ভাবে এইবারে ঠিক বাবার সাথে করে দেবে খুব আড়ি।
চার দিন যায় পাচ দিন যায় বাবার খবর নাই
আড়ি ভুলে মেয়ে চিন্তায় পরে কি করি কোথায় যাই।
ছয় দিন পরে খুব সকালে কাঁধে বয়ে এক লাশ
ধীর পায়ে হেটে পুলিশ দারায় তাদের বাড়ির পাশ।
গলা করে ক্ষীন পুলিশ শুধায় এটা কাহার বাড়ি
চঞ্চল চোখে মেয়ে তাকায় আলুথালু তার শাড়ী।
দুই দিন আগে মহা সড়কে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট
এই বডি ছাড়া শাড়ি,চুড়ি ফিতা রয়ে গেছে অবশিষ্ট।
রাখুন এই সব আপনার কাছে শেষ উপার্যনের কেনা
দানবের ঘায়ে মুখমন্ডল তার যায় না মোটেই চেনা।
হাতে নিয়ে চুড়ি শাড়ী নিশ্চুপ মেয়েটি আকাশ পানে চায়
চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরে মৃত বাবার গায়।
*সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১১

তোমার অপেক্ষায়...

অন্যরকম
ভালবাসা প্রিয়র তরে যখন সৎ হয়, হৃদয়ের আরতি যখন সহজ, নিঃষ্পাপ হয়
মিলন হতে তখন প্রিয়র দরবারে যেতে হয় না, তখন ঈশ্বর পর্যন্ত হেটে
বান্দার ঘরে চলে আসেন।
ভালবাসা জানতে হয়,ডাকের ভেতর মিষ্টতা থাকতে হয়
অনেক শব্দই ছাপা হয়, সব কবিতা হয়ে ওঠে না, নারীর রুপে যে পেরেছে অক্ষর
সাজাতে সে-ই কবি, সেই অক্ষরই তখন ধারাপাত ছেড়ে মহাকাব্যর সারি দখল করে।
গতানুগতিক
ঝির ঝির বর্ষণে,ডুকরে গুমরে আর্তনাদি গর্জনে
হৃদয়ের কোনে কোনে কিসের যেন শূন্যতা
মহাকালের দৈন্যতা, বানের জলে ভেসেও পিপার্সাত অপূর্ণতা
কিসের যেন অপূর্ণতা……..
জলে জলে জলাশয়, জলের ভেতর আশ্রয় হৃদয়ের ব্যাথার
রিমঝিম, ঝিরঝির বিলাপি গাঁথার, দিনভর সারারাত
কেন যেন লেখা বাড়ে কারাবালার পাতার, হৃদয়ের ব্যাথার ।
ব্যাথা (দ্বৈত অর্থ)
ছিলে না তুমি অথচ ছিলাম আমি
বোঝ কতটা সহ্য করেছি যাতনা,বোঝ কতটা অপেক্ষায় প্রহর কেটেছে অস্থির
কতটা ক্ষন কেটেছে রক্তাক্ত, কন্টকময়, অনলসম যেভাবে লাভার উপরিভাগ
আমি চেয়েছিলাম, ঘুমে নির্ঘুমে, হৃদয়ের গোপনে কেঁদে কেঁদে লিখেছি কান্না
পথের উপর রেখে পথের আশা, বেসেছি আশা, এই বুঝি তুমি এলে….
একটু কি বলে যেতে পারতে না….?

নীলার ভালবাসা

নীলা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রুদ্রের জন্য। রুদ্রের ফোন বন্ধ আসছে।
নীলা রুদ্রকে প্রচন্ড ভালবাসে। এত পরিমাণে ভালবাসে যে, সবার সামনে চিৎকার করে বলতে দ্বিধা বোধ করে না, “রুদ্রকে আমি অনেক ভালবাসি।” নীলা অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী। রুদ্র তার সহপাঠী। নীলা জানে না যে, সে রুদ্রকে পাবে কি পাবে না। তবে তার বিশ্বাস সে যেভাবেই হোক রুদ্রকে পেয়েই থাকবে।
২ ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে। নীলার চিন্তা বেড়েই চলেছে। কারণ ২ ঘন্টা আগেও রুদ্র তাকে বলেছে, “আমি আসছি, তুমি একটু অপেক্ষা কর।” নীলার খুব দুঃশ্চিন্তা হচ্ছে।
নীলা(মনে মনে): আমার রুদ্রের কিছু হল না তো। রুদ্র, তুমি একটু তোমার রাগকে সামাল দিতে পারো না।
রুদ্রের রাগের কারণে নীলার দুঃশ্চিন্তা বেশী ছিল। নীলার ফোনের রিং বেজে উঠল। নীলা না দেখেয় ফোন তুলে বলল,
নীলাঃ রুদ্র, তুমি ঠিক আছ তো?
রুদ্রঃ আমি ঠিক আছি। তুমি চিন্তা কর না। তুমি এখন কোথায়?
নীলাঃ যেখানে থাকার কথা।
রুদ্রঃ তুমি থাক। আমি আধা ঘন্টার মধ্যে আসছি।
নীলাঃ তুমি কোথায়?
এটা বলার আগেই রুদ্র ফোন কেটে দিল। সমস্যা ভেবে নীলা আবার ফোন দিল না।
আধা ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে। অস্থির নীলা বার বার ফোন দেখছে, আর তখনই তার ফোন বেজে উঠল।
রুদ্রঃ আমি চলে এসেছি।
নীলা এটা শুনেই ফোন হাতেই রেষ্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসল। দ্রুত পদে রুদ্রের আসার পথে এগিয়ে চলছে। রুদ্রকে দেখা মাত্র রাস্তাতেই এমনভাবে তাকে জড়িয়ে ধরল যেন, নীলা তার জীবন ফিরে পেয়েছে। রুদ্র হতভম্ব হয়ে গেছে। নীলা বিড় বিড় করে বলতে লাগল, “তোমার কিছু হয়নি তো। তুমি জানো, আমি কত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।” বলে কাঁদতে লাগল।
রুদ্রঃ এই আমার পাগলি, আমার কিছু হয়নি তো। এই দেখো তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন ছাড়ো,
সবাই দেখছে তো। সবাই কি বলবে বল তো?
নীলাঃ যা ইচ্ছে বলুক, তাতে আমার কি? আমি আমার রুদ্রকে জড়িয়ে ধরে আছি।
রুদ্রঃ ঠিক আছে, আমার পাখিটা। এখন চল কোথাও বসি। পুরো কাহিনী শুনবে না? চেহারা ঠিক কর।
এত কাদেঁ কেউ। আমার পাগলটা।
নীলাঃ ফোন বন্ধ ছিল কেন?
রুদ্রঃ ব্যাটারী শেষের দিকে ছিল, তাই। এত ভয় পাও কেন? আমাকে মেরে ফেলা পরিকল্পনা করছ বুঝি
(ঠাট্টা করতে করতে)।
নীলাঃ আমি কি তা বলছি নাকি। শুধু ইয়ার্কি, ফাজলামি ছাড়া কিছু বুঝে না (মুখের কোণে সামান্য হাসি।)
রুদ্রঃ যাক,এতক্ষণে আমার নীলার মুখে হাসি ফুটেছে। এই হাসিটাই তো আমি দেখতে চাচ্ছিলাম।
এভাবে রুদ্র নীলা মন ভাল করার চেষ্টা করতে থাকল। তাদের মাঝে এমন খুনসুটি লেগেই থাকে। এভাবেই তাদের ভালবাসা এগিয়ে যাচ্ছিল। তাদের ভালবাসা দেখে আশেপাশের মানুষের হিংসা হত।
এক বছর পর
নীলা আর হাসে না। চিৎকার করে কাউকে বলেও না, “আমি তোমাকে ভালবাসি।” সে এখন কাউকে ভালবাসতে পারে না।

আমি বেশ ভলো আছি

আমি বেশ ভালো আছি
নেই আমার সৌন্দর্য্য
নেই কোন ঐশ্বর্য্য
নেই দামী পোশাক
নেই বাড়ি-গাড়ি;
কিছুই নেই আমার
যা দেখেছি তাহার।
সন্তুষ্ট আমি তাতেই,
যা আছে আমার।
তাই আমি বেশ ভালো আছি।

আমি বেশ ভালো আছি
সে আমায় দিয়েছে গাল
জীবন নিয়ে খেলেছে চাল
মেরেছে কত পিঠে
মেরেছে যে শত ঠোটে
দিয়েছে কত যাতনা
যদিও আমার প্রাপ্য ছিল না!
তবুও ক্ষমা করেছি তারে
ভুলে গেছি আজ সে সব।
তাই আমি বেশ ভালো আছি।

আমি বেশ ভালো আছি
সদা রোধ করি আমার ক্রোধ
জাগেনা মনে অহং বোধ
সদা সত্য বলি আমি
সৎ পথে চলি সদা;
সদা সজাগ আমার চেতনা
দূরে ঠেলে দেই অযাচিত ভাবনা
সদা সুস্থ রাখি এ দেহ
প্রফুল্ল রাখি মন।
তাই আমি বেশ ভালো আছি।

আমি বেশ ভালো আছি
জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র ভেদে
মানুষের দুঃখে কাদে এ হৃদয়
অসহায়ের প্রতি সদা সদয়;
যথাসাধ্য করি মানুষের সেবা
তাই আমি বেশ ভালো আছি।

পুষ্পহীন বসন্ত

আমি বদ্ধ ঘরের কোনে
আপন মনে
বুনে চলি স্বপ্নের জাল
এরই মাঝে বাতাস
বয়ে আনে সুভাস
বয়ে আনে সুমধুর সুর।
আমি ভাবি বসে
উড়ে চলি আকাশে
তবে কি ফুল ফুটেছে আজ!
এসেছে কি ঋতু রাজ?
ফুটেছে ফুল, মোর কাননে!

আমি প্রফুল্ল বদনে
দ্বারখানি পেরিয়ে
ছুটে চলি উঠনে;
বুঝিবা আজ সেথা
বসেছে অলির মেলা
মুখরিত, বিহঙ্গ কুজনে!

হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ায়
এ স্বপ্নের জাল ছিড়ে যায়
কেঁদে উঠে মন বিস্বাদে
ছেয়ে যায় নীলিমায়;
আজও ফুল ফোটেনি
এ মুরু বালুকা বেলায়!

আমি ছল ছল চোখে
চেয়ে দেখি দূর পানে
পাপড়ি মেলে, হেসে-খেলে
ফুটেছে ফুল দলে দলে
ফুটেছে ফুল আজ
অন্যের কাননে!
সুমধুর সুর সেথা
কোকিলের কুহুতানে।

আমি আশায় বুক বেধে
ফিরি ঘরের কোনে
আবারও বুনে চলি
মোর স্বপ্নের জাল।
আসবে আবারও ফাগুন
ফুটবে ফুল নিশ্চয়ই হেথায়
শুনবে তোমরা ভ্রমরের গুঞ্জন
মুখরিত হবে এ কানন।

…………………………………
১লা ফাল্গুন, ১৪১৭

না বলা কথা আজ বলিতে চাই


লাজ, সংশয় আমায় বলিতে দেয়না কিছু
কোথা হতে এসে বাধা দেয় পিছু পিছু;
তাই একটি কথা আজও বলিতে পারি নি,
একটি বারের তরে কেউ শুনিতেও চাহে নি!
না কি, কেউ চেয়েছিল শুনিতে, অন্তরে অন্তরে
সে’ও কি লাজে, সংশয়ে প্রকাশেনি বাহিরে?
যদি শুনিতে চেয়ে থাকে কেউ, কে সে-
রংধনু আকিতে চেয়েছিল এ মেঘলা আকাশে?
সে কি রাজ কাননের গোলাপ, না কি বনফুল?
সে কি বাধে খোঁপা, নাকে পড়ে নাক-ফুল?
যে হও তুমি, আজ সে কথা বলিতে চাই
আমি ভালোবাসি তোমায়, ভালোবাসি তোমায়।

~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~*~

মৃত্যু হতে

ইচ্ছে করে এই দুনিয়ায়
চায় বলো ভাই মরতে কে
মৃত্যু হতে যায় কী বাঁচা,
পালিয়ে গিয়ে ঘর থেকে?
অসুখ যদি ডাক পাড়ে
খবর যে দেন ডাক্তারে
ঘনিয়ে এলে মরার সময়
পারেন বলো সরতে কে?

www.ahridwan7.webs.com

ছোঁয়া হয়নি অন্য কারো চোখ

images (1)
কোন এক কালে বিকালের রোদ্দুর
উঁকি দিয়েছিল মোর দুয়ারে
পুলকিত করেছিল খুব যতনে।
সেদিন থেকে শুরু হয়েছিল
ভালবাসার কাল গণনা-
অবশেষে শরতের
কোন এক বিকেলে-
প্রেম এসেছিল গোপনে
কাল গণনায়…
আমার প্রেমের বয়স
তখন ছিল মাত্র ছত্রিশ’শ সেকেণ্ড।
তারপর প্রেম লালন করেছি
শীত,বৃষ্টি আর তপ্ত রোদের
দহন থেকে….
কাউকে ছুঁয়েই দেখতে দেইনি।
অত:পর
অ-নে-ক বছর পর
বুঝলাম
প্রেম খেলা করেছিল
শুধু এই দু’টি চোখে
খেলাতে পারেনি প্রেম
অন্য কারো চোখে।

সাদা শাড়িতে শরতের প্রিয়া


এই শরতে পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি?
তোমার আঁচল ভরে দোবো সাদা শেফালিতে।
আমি নিয়ে যাবো তোমায় ঐ বাকা নদীর ধারে
যেথায় সাদা সাদা কাশফুল ফোটে
নীল আকাশে ভেসে যায় সাদা মেঘ
সাদা বলাকারা থাকে এক পায়ে দাড়িয়ে।

এই শরতে পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি?
স্নিগ্ধ আলোর জোসনা রাতে
আমি নিয়ে যবো তোমায় ঐ ভরা দিঘীর পাড়ে
সেখানে হিজল বনে জোনাকিরা জ্বলে
তোমার কোমল হাতে এ হাত রেখে
কইবো কথা সারারত্রি ধরে।

পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি, এই শরতে ?
আকাশ নীলের চিঠি
হাসনাত |অগাষ্ট ২৫, ২০১১

নীল আকাশে মেঘে মেঘে
হিমু আমায় চিঠি লেখে।
বৃষ্টি হবার পরে চিঠি
পাই না খুঁজে ফের,
না পাই, তাতে কী এসে যায়!
যেইটুকু পাই, ঢের।

হিমু আমার বুকের মাঝে
চাঁদটি হয়ে জেগে আছে।
যদিও চাঁদের জোসনাকে পাই –
যায় না ধরে দেখা,
তেমনি আমায় দেয় যে ফাঁকি
হিমুর চিঠির লেখা।

কারও যদি ইচ্ছে থাকে
হাজার লাখো কাজের ফাঁকে
ছোট্ট হলেও একটা চিঠি
যায় না বুঝি লেখা ?
আকাশ-নীলে চেয়ে কি মোর
মিছেই স্বপন দেখা ?

কষ্টের ক্ষত চিহ্ন

254339_229502687061359_100000048875508_1098173_6348689_n
ক্ষতি যা হবার হয়েছে
আমি তার ক্ষতি পূরন চাই না।
চাই নিজকে বাঁচিয়ে রেখে
বাকী জীবনটা পার করতে।
সেটাও আমার নিজের প্রয়োজনে নয়
সন্তানের ভবিষ্যত মজবুত করতে।
নিজকে বিলিযে দিয়েছি মানুষের মাঝে,
কোন কিছু দাবী না করে।
তারপরও প্রাপ্য সন্মানটুকু পাইনি
পেয়েছি যন্ত্রনাদায়ক কথার খোচা
যা এখনও নিজকে ব্যতিত করে।
নির্ঘুম রাত কাটে সীমাহীন কষ্টে
পূর্নিমা রাতের ভরা জোসনার চাঁদের মতোই,
জীবন ছিল পরিপূর্ন;
জীবন এখন আর রংঙ্গিন স্বপ্ন দেখে না
পাখা মেলে ভেসে যেতে চায় না দুর নীলিমায়।
জীবনের পড়ন্ত বেলায় আপন জনের
দেয়া কষ্টকে বুকে ধারন করে,
রজনী ভোর হবে ভাবিনি।
কেন এমন হয়, কেন আপন জন কষ্ট দেয় ?
মানুষ পৃথিবীর ক্ষনিকের অতিথি,
তবে কেন অন্য মানুষকে কষ্ট দিয়ে;
নিজের কষ্টের পরিমান বাড়িয়ে তুলা ?
আমরা কেউ কি ভেবেছি –
কষ্টের পরিমান কতটা ভারী হলে
একজন মানুষ নিজের আপনজনকে-
ভুলে থাকার চেষ্টা করে ?
যে কষ্ট দেয়, সে ভুলে যায়
আর যে কষ্ট পায়, সে সারা জীবন বয়ে বেড়ায়,
সে কষ্টের ক্ষত চিহ্ন।
যে ক্ষত একদিন দগদগে ঘায়ে পরিনত হয়।
অবিরাম রক্তক্ষরন, তারপর শেষ যাত্রা পরপারে।
এটাই তো জীবন।

যেন আমি দুরে নই 

শিশির ভেজা ঘাস মাড়িয়ে কুয়াশার আড়ালে হারানোর সময় একবারও কি মনে হয় না-এই জীবনের আড়ালেও একটি জীবন আছে। আছে সুখ-বেদনার স্মৃতি, যা অমলিন-গোটা জীবনেও যা মোছার নয়।
তাইতো…………………..
“আমি থাকব তোমার হৃদয়ের কাছাকাছি।
হয়তো চোখের আড়ালে দৃষ্টি সীমানা ছাড়িয়ে অনেক দুরে।
বিষন্ন সন্ধ্যায় যখন পুড়বে হৃদয় অবসরে
জানবে আমি তখন একা -
শূন্যে নিক্ষিপ্ত নয়নে ভাবছি তোমায়,
স্মৃতির বরফ গলে গলে ভিজবে হৃদয়
সাঝের বাতি উঠবে জ্বলে -
হয়তো হারাব তখন ব্যস্ত লোকালয়ে।”

রাতে প্রায়ই ঘুম আসে না। গভীর রাতে সত্তা থেকে নিদ্রা মুছে যায়। দু’চোখের উপর ভর করে এক নিভৃত ছায়া।এই নিভৃত ছায়া ঘরময় পায়চারী করে আমাকে জাগিয়ে রাখে সারা রাত। রাত শেষের প্রথম অস্ফুট আলো যখন আকাশটাকে র্স্পশ করে তখনও আমি জেগে থাকি। অনূদিত সূর্যের পানে তন্দ্রাচ্ছন্ন চোখে চেয়ে থেকে কেবলই মনে পড়ে দুর প্রবাসের একাকিত্ব, নিঃসঙ্গ একাকী জীবনের কথা। দুঃসহ দুর্ভাবনা আমাকে প্রতি নিয়ত তাড়া করে ফিরছে। তারপরও মনে পড়ে মাতৃভুমির প্রিয় মানুষ গুলির কথা।

"চুমু কাহিনী" প্রথম চুম্বন!

প্রতি অঙ্গ কাঁদে তব প্রতি অঙ্গ – তরে ।
প্রাণের মিলন মাগে দেহের মিলন ।
হৃদয়ে আচ্ছন্ন দেহ হৃদয়ের ভরে
মুরছি পড়িতে চায় তব দেহ -’ পরে ।
তোমার নয়ন পানে ধাইছে নয়ন ,
অধর মরিতে চায় তোমার অধরে ।
দেহমিলন নামে চতুষ্পদি কবিতার শুরুতে কবিগুরু উপরের যে চরণগুলো লিখেছেন, তা যেন প্রেম ভালবাসার একেবারে মোদ্দা কথা -‘অধর মরিতে চায় তোমার অধরে’! সত্যই তো। চুমু বিহীন প্রেম – যেন অনেকটা লবনহীন খিঁচুড়ির মতোই বিস্বাদ!তাই ভালবাসার কথা বললে অবধারিতভাবেই চুমুর কথা এসে পড়বে। ভালবাসা প্রকাশের আদি এবং অকৃত্রিম মাধ্যমটির নাম যে চুম্বন – সেই বিষয়ে সম্ভবতঃ কেউই দ্বিমত করবেন না।
বিশেষ করে ‘প্রথম চুম্বন’ ব্যাপারটা রোমান্টিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ সমীকরণ হিসেবে অনেকের জীবনেই উঠে আসে বলে মনে করা হয়। সাধারণতঃ প্রথম প্রেম কিংবা প্রথম যৌনসঙ্গমের মতো প্রথম চুম্বনের ঘটনাও প্রায় সবাই হাজারো ঘটনার ভীড়ে মনের স্মৃতিকোঠায় সযত্নে জমিয়ে রাখে স্থায়ীভাবে। মহাকবি কায়কোবাদের একটা চমৎকার কবিতা আছে প্রথম চুম্বন নিয়ে -
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!
যবে তুমি মুক্ত কেশে
ফুলরাণী বেশে এসে,
করেছিলে মোরে প্রিয় স্নেহ-আলিঙ্গন!
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন?

প্রথম চুম্বন!
মানব জীবনে আহা শান্তি-প্রস্রবণ!
কত প্রেম কত আশা,
কত স্নেহ ভালবাসা,
বিরাজে তাহায়, সে যে অপার্থিব ধন!
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!

হায় সে চুম্বনে
কত সুখ দুঃখে কত অশ্রু বরিষণ!
কত হাসি, কত ব্যথা,
আকুলতা, ব্যাকুলতা,
প্রাণে প্রাণে কত কথা, কত সম্ভাষণ!
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!

সে চুম্বন, আলিঙ্গন, প্রেম-সম্ভাষণ,
অতৃপ্ত হৃদয় মূলে
ভীষণ ঝটিকা তুলে,
উন্মত্ততা, মাদকতা ভরা অনুক্ষণ,
মনে কি পড়ে গো সেই প্রথম চুম্বন!
তবে কায়কোবাদ প্রথম প্রেমের মাহাত্ম্য নিয়ে যতই কাব্য করুক না কেন, প্রকৃত বাস্তবতা একটু অন্যরকম।মেয়েদের জন্য চুম্বন বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠার পেছনে কিছু বিবর্তনীয় কারণ রয়েছে বলে মনে করা হয়। বিবর্তনের পথিকৃত চার্লস ডারউইন তার যৌনতার নির্বাচন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে খেয়াল করেছিলেন যে, প্রকৃতিতে প্রায় সর্বত্রই মেয়েরা সঙ্গি নির্বাচনের ব্যাপারে খুব বেশি হিসেবী, সাবধানী আর খুঁতখুঁতে হয়ে থাকে। এই ব্যাপারটি জীববিজ্ঞানে পরিচিত ‘নারী অভিরুচি’ (female choice) হিসেবে।বিখ্যাত সামাজিক জীববিজ্ঞানী রবার্ট ট্রাইভার্সের ১৯৭২ সালের গবেষণা এ ব্যাপারে একটি মাইলফলক। ট্রাইভার্স তার গবেষনায় দেখান যে, প্রকৃতিতে (বিশেষতঃ স্তন্যপায়ী জীবের ক্ষেত্রে) সন্তানের জন্ম এবং লালন পালনের ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরাই বেশি শক্তি বিনিয়োগ করে। গর্ভধারণ, সন্তানের জন্ম দেয়া, স্তন্যপান করানো সহ বহু কিছুতে মেয়েদেরকেই সার্বিকভাবে জড়িত হতে হয় বলে মেয়েদের তুলনামূলকভাবে অধিকতর বেশি শক্তি খরচ করতে হয়। ভবিষ্যৎ জিন তথা পরবর্তী প্রজন্ম রক্ষায় মেয়েদের এই অতিরিক্ত বেশি শক্তি খরচের ব্যাপারটা স্তন্যপায়ী সকল জীবদের জন্যই কমবেশি প্রযোজ্য। জীববিজ্ঞানের পরিভাষায় একে বলে ‘অভিভাবকীয় বিনিয়োগ’ (parental investment)। মানুষও একটি স্তন্যপায়ী প্রানী। একবিংশ শতাব্দীর আধুনিক জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত হবার পরেও নির্দ্বিধায় বলা যায় মেয়েরাই অভিভাবকীয় বিনিয়োগের সিংহভাগে জড়িত থাকে। যেহেতু পুরুষদের তুলনায় নারীদের অভিভাবকীয় বিনিয়োগের সিংহভাগে জড়িত থাকতে হয়, তারা যৌনসঙ্গি নির্বাচনের ব্যাপারে হয়ে উঠে অধিকতর হিসেবী এবং সাবধানী। বিবর্তনীয় পথপরিক্রমায় মেয়েরা সঙ্গি নির্বাচনের ব্যাপারে অধিকতর সাবধানী হতে বাধ্য হয়েছে, কারণ অসতর্কভাবে দুষ্ট-সঙ্গি নির্বাচন করলে অযাচিত গর্ভধারণ সংক্রান্ত ঝুট-ঝামেলা পোহাতে হয় নারীকেই।কাজেই যৌনসঙ্গির ব্যাপারে নারীদের সতর্ক থাকতে হয়, কারণ ভুল সঙ্গিকে নির্বাচনের মাশুল হতে পারে ভয়াবহ। অন্ততঃ একজন নারীর জন্য চুম্বন হয়ে উঠে সঙ্গি বাছাইয়ের একটি অবচেতন প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সে নির্ণয় করতে চেষ্টা করে তার সঙ্গি তার ভবিষ্যৎ সন্তানের অভিভাবকীয় বিনিয়োগে অবদান রাখবে কিনা কিংবা তাদের সম্পর্কের ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ (committed) কিনা]। চুমুর মাধ্যমে MHC জিনের মধ্যকার ভালবাসার সংকেতগুলো পৌঁছে যায় মস্তিস্কে। পুরুষের লালাগ্রন্থিতে যে সমস্ত যৌন হরমোনের উপস্থিতি থাকে, সেটার উপাত্তই চুমু বিশ্লেষণের জন্য বয়ে নিয়ে যায় মস্তিস্কে।
চুম্বনের রসায়নে নারী পুরুষে কিছুটা পার্থক্য থাকলেও একটি বিষয়ে মিল পাওয়া গেছে। চুম্বন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে – নারী পুরুষ উভয়েরই। মনোবিজ্ঞানী উইন্ডি হিল এবং তার ছাত্রী কেরি উইলসনের গবেষণা থেকে জানা গেছে চুম্বনের পরে দেহের কর্টিসল (cortisol) হরমোন, যার পরিমান মানসিক চাপের মধ্যে থাকলে বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হয়, তার স্তর লক্ষ্যনীয়ভাবে কমে আসে। এর থেকে বোঝা যায় যে, রোমান্টিক চুম্বন আমাদের মানসিকভাবে চাপমুক্ত থাকতে সহায়তা করে।

তথ্যসূত্র:
১. অবশ্য চুম্বন ব্যপারাটি সংস্কৃতি নির্বিশেষে সার্বজনীন ( কালচারাল ইউনিভার্সাল) কিনা তা নিয়ে বিতর্ক আছে। কিছু গবেষক দেখেছেন যে মানব সমাজের সব জায়গায় চুম্বনের প্রচলন নেই। ডাচ বিজ্ঞানী ক্রিস্টোফার নাইরোপ তার একটি গবেষণায় দেখিয়েছেন ফিনিশ একটি গোত্রে একসাথে নগ্ন হয়ে স্নান করার প্রচলন আছে, কিন্তু চুম্বনের নেই। অনেক জায়গায় চুম্বনকে ঘৃনিত প্রথা বলেও মনে করা হয়। কিন্তু এই স্বল্প কয়েকটি সংস্কৃতি বাদ দিলে মানব সমাজের মোটামুটি সবাই চুম্বন ব্যাপারটার সাথে পরিচিত।

তুমি নেই বলে...

তুমি নেই সবকিছু তাই এক অন্তর্ভেদী শূন্যতার একান্ত প্রতীক।
যেন তুমি নেই বলে ইহ পরকালে কখনো কিছুই থাকবে না -
বর্তমান ভবিষ্যৎ এবং অতীত।
ভরে যাবে যেন এক শব্দহীনতার অসহ্য সংগীত।
তুমি নেই বলে, জ্বলবে না আলো, উড়বে না পাখি…….
দিঘির কালো জলে পুষ্পিত হবে না সেই রক্তমাখা পদ্মের শরীর
বিরহ ভিষন খেলা অন্তর্ভেদী রক্ত মাংস এবং বধির।
যেন এক দীর্ঘ হাহাকার মৃত্যুর অধিক যেন অবিরাম ক্ষুধা সর্বগ্রাসী
নিষ্ঠুর থাবার নিচে যেন এক সম্পন্ন বসুধা -
লন্ডভন্ড পড়ে আছে পত্র পুষ্পহীন।
ধরিত্রীর যত শ্যামলিমা নিমিষে উধাও।
ভষ্মিভূত প্রান্তরের যেন কোন সীমা পরিসীমা নেই।
যেন সব কিছু বিবর্ন বিস্বাদ।
এক যন্ত্রনার ক্রমাগত ছায়া প্রসারিত জীবনে মরনে।
বিরহ নিশ্চল এক অন্তরীক্ষ তার গতিময় কায়া।
তুমি নেই বলে………..
কাল মহাকাল জ্বলে ছারখার প্রতিদিন নিজেরী অনলে।

বন্ধুর শূন্যতা

SalmaRahman007_1278442229_1-Two_friend
মন আজ ‘বিয়োগান্ত’ বেদনায় মলিন।
হারিয়েছে ছন্দ, হারিয়ে সুর, তাল লয়
হারিয়েছে হৃদয়ের যত ভাব ভালবাসা
হারিয়েছে সুখ স্বপ্ন, হারিয়েছে আশা।
আজ কোন সুসংবাদ নেই
আছে দুঃসংবাদ।
প্রেম কিছুটা মধুর, কিছুটা বেদনা বিধুর।
কিছুটা কাল্পনিক,কিছুটা বাস্তব।
কিছুটা হতাশার, কিছুটা আশার।
এগুলো নিয়েই তো জীবন।
তারপরও বন্ধুর শূন্যতা মাঝে মাঝে মনকে-
নাড়া দেয় অব্যক্ত বেদনায়……………….।

সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল, ছিল নাকো চাঁদ! জীবনের প্রথম প্রবাস গমন, সাময়িক কিছু আনন্দ থাকলেও বেদনার যেন কোনও কমতি ছিল না। তখন শীতকাল। প্রচণ্ড শীত কুয়াশার চাদর দিয়ে ডেকে রেখেছিল গোটা পৃথিবীটাকে। আকাশের সূর্যের সঙ্গে সেদিন পৃথিবীর কোনও মিলন ঘটেনি। ঠিক ওদের মানসিক অবস্থা আর আমার মানসিক অবস্থার মধ্যে কোনও দূরত্ব ছিল না। বিদায় যে বড় কঠিন, বড় নির্মম সেদিন তা অনুভব করেছিলাম হাড়ে হাড়ে। দেশপ্রেম কি, বন্ধুত্ব কি, আত্মার সম্পর্ক কি? ভালবাসা কি? ভালবাসার রূপ, রঙ, গন্ধ, বর্ণ সবকিছু সেদিন মন অনুভব করেছিল একান্ত করে। সেদিন অনেকেই বোবা কান্নায় কেঁদেছিল। সবচেয়ে বড় একা হয়ে গিয়েছিল আমার সন্তান আমার দ্বিতীয় আত্মা। সে আমার কোলে আমার গলা ধরে সবার দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে থেকে মাঝে মাঝে আমার গালে চুমু দিচ্ছিল। আর আমি যেন অনেকটা বোবা পাথর হয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন বিদায়ের বাঁশির সকরুণ সুর আজও আমাকে নীরবে কাঁদায়। আমি হারিয়ে যেতে থাকি ভাবনার অতল গভীরে। আমার স্মৃতিমাখা সে দিনগুলো যেন আজও স্মৃতি হয়ে ভেসে বেড়ায় মনের জানালায়। তবে সেদিন সাময়িক সময়ের জন্য হলেও আনন্দ পেয়েছিলাম এই ভেবে যে, একটু সুখের আশায়, একটু শান্তির অন্মেষনে মা-বাবা ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তানের মুখে হাসি ফোটাতে পারব। আমার ঢাকার কর্মব্যস্ত জীবন কেটেছে বেশিটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে। ছুটি কাটাতে যখন গ্রামের বাড়ীতে আসতাম তখন গ্রামের পুরনো বন্ধুদের নিয়ে চলে যেতাম পদ্মার তীরে। সেখানে আড্ডা চলত মাঝ রাত পর্যন্ত। জানি না আজ আর সে আড্ডা জমে কিনা, আমার জানা নেই হয়তোবা জমে নয়তোবা নয়। হয়তোবা বন্ধুরা আমার শূন্যতা অনুভব করে, নয়তো নয়! কিন্তু আমি আজও অতীতের সেই সোনাঝরা দিনগুলো হৃদয়ের ক্যানভাস থেকে কিছুতেই মুছতে পারিনি। সবাই হয়তো ভুলে গেছে, কেননা বড় বড় আনন্দ উৎসবের দিনগুলোতে তারা কেউ একটা এসএমএস দিয়েও মনে করে না। প্রথম প্রথম দেশের বন্ধুদের প্রচুর চিঠি লিখতাম। কিন্তু কখনো উত্তর পায়নি। এখন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছি তাদের কাজ থেকে সাড়া না পেয়ে। তারপরও অতীত স্বপ্নকে লালন করি সযতনে বুকের গভীরে।
স্বপ্নই সবাইকে বাঁচিয়ে রাখে প্রবাসের আত্মীয় পরিজনহীন একাকী পরিবেশে। স্বপ্ন! স্বপ্ন সবাই দেখে,কেউ জেগে কেউবা ঘুমিয়ে। ঘুমের মাঝে স্বপ্ন সবার কাছেই আসে। আমার কাছে প্রতি রাতেই আসে। বিচ্ছিন্ন খন্ড খন্ড স্বপ্ন। স্বপ্নতো আর সাজিয়ে গুছিয়ে ধারাবাহিক ভাবে আসে না। যে রাতে আমি স্বপ্ন দেখিনা, সে রাতটা আমি ধরে নেই আমার বিনিদ্র রজনী কেটেছে । ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখিনি সে আমার জীবনে কখনো ঘটেনি। ঘুম বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বপ্নের একটা সময় সীমা আছে সেটা কখনো দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না। কিন্তু আমার স্বপ্ন গুলি অনেক দীর্ঘ হয়, অন্তত আমার কাছে সেটা মনে হয়।আমার স্বপ্ন আমার বাস্তব চিত্রের সাথে মিলে মিশে আমাকে কঠিন ভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যায় ফেলে আসা অতীতে।
কর্মব্যস্ততার এই প্রবাসে মানুষের জীবনে অবসরের বড় অভাব। তবুও প্রতিদিন জীবনের এই পথ চলতে গিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোনো না কোনো সময় মন ছুটে যায় কোনো স্মৃতির পাতায়_ যা সীমাবদ্ধ থাকে না কোনো একটি মধুর বা বেদনাবিধুর স্মৃতিতে। কোন দিবস এলে সেটা আরো ভারাক্রান্ত করে এ হৃদয়কে। আসলে আমাদের জীবনে এমন পূর্ণ অবসর নেই তাই চিন্তাধারাগুলো এখন আর একটি জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে না। এক বর্ষণমুখর দিনে সোনার হরিনের আশায় দেশ ত্যাগ করি। এই প্রবাসে যখন কোন দিবসের অবসরের স্বাদ নিতে চাই তখনই ফেলে আসা অতীতের কিছু মুখ ভেসে ওঠে স্মৃতির আয়নায়। একদিন যার কথা শুনতে চাইনি, আজ তাদের মধুর স্মৃতি বেশী মনে পড়ে। পড়ন্ত বিকেলে যখন আরব সাগরের তীরে গিয়ে দাঁড়াই, রাতের আঁধারে যখন ছোটখাটো অবসরগুলো কাটে তখন সেই সুখস্মৃতিগুলোই যেন স্থান করে নেয় সমস্ত মনজুড়ে। মনেপড়ে, সেই অগোছালো জীবনে ছিলো না কোন স্থিরতা। পরিচিত হলো দুটো মন সময়ের পথ ধরে এগিয়ে চললো তারই ধারাবাহিকতা। ওই মধুর স্মৃতি, সে আসবে বলে কত স্বপ্ন এঁকেছি জীবনের বাঁকে বাঁকে। এখনও যেন সেই স্বপ্নের রাজ্যে আছি।
মাঝে মাঝে ভিড় করে স্কুল কলেজের ফেলে আসা সেই দিনগুলো এবং আরও কতস্মৃতি। কিন্তু সব স্মৃতিকে ভাসিয়ে সামনে চলে আসে বন্ধু দিবসের আনন্দের স্মৃতি। প্রবাস জীবনের কর্মব্যস্তার মাঝে শুরু হল নতুন এক পথচলা। এখনও যেন স্বাপ্নিক চোখে ভেসে আসে নানা রঙের রাঙ্গায়িত স্বপ্নের সেই দিনগুলো_যা কোন দিবস আসলে দিয়ে যায় মৃদু আনন্দের ছোঁয়া। অবসরের মুহূর্তে ভেসে চলি ফেলে আসা সেই দিনগুলোতে।
প্রবাস জীবনের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে যখন দেখি পেছনের দিনগুলো ধূসর ধূসর, আর সেই ধূসরতার শরীর থেকে হঠাৎ হঠাৎ কোনও ভুলে যাওয়া অতীত স্বপ্ন আচমকা সামনে এসে দাঁড়ায় বা কোনও স্মৃতি টুপ করে ঢুকে পড়ে আমার প্রবাসী একাকী নির্জন ঘরে, আমাকে কাঁপায়, আমাকে কাঁদায়। যে স্বপ্নগুলো অনেককাল মৃত, যে স্বপ্নগুলোকে এখন আর স্বপ্ন বলে চেনা যায় না, মাকড়শার জাল সরিয়ে ধুলোর আস্তর ভেঙ্গে কি লাভ সেগুলোকে নরম আঙুলে তুলে এনে। জানি সব, তবুও আমার প্রবাসের জীবন আমাকে বারবার পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, আমি আমার অতীত জুড়ে মোহগ্রস্থের মতো এখনো হাঁটি। দুঃস্বপ্নের রাতের মতো এক একটি রাত আমাকে ঘোর বিষাদে আচ্ছন্ন করে রাখে এখনও। সন্ধ্যা রাতের তারা হয়তো আর আলো জ্বালবে না হৃদয় নিকুঞ্জে। পাল তোলা নৌকা আর বয়ে চলবে না জীবন গঙ্গায় ।আস্তে আস্তে জীবন ধাবিত হচ্ছে অজানা গন্তব্যের দিকে। তারপরও বন্ধত্বের শূন্যতা ভুলে থাকা যায় না।

এবার ছুটি থেকে আসার পর তোমার সাথে তেমন একটা যোগাযোগ করা হয় নাই বিভিন্ন রকম ব্যস্ততা এবং কাজের চাপে। তার মানে এই নয় যে আমি তোমাকে ভুলে গেছি। আমি তোমাকে ভুলি নাই, কিন্তু তুমি মনে হয় আমাকে আস্তে আস্তে ভুলতে চেষ্টা করছো। কয়েকবার ফোনে আলাপ হয়েছে অল্প সময়ের জন্য বারবারই লাইন কেটে গেছে জানিনা এটা তোমার ইচ্ছাকৃত কিনা? তারই প্রেক্ষাপটে বন্ধুকে একটি মেইল করেছিলাম। তাই এখানে তুলে ধরলাম। লেখাটি আমার বড় ভাই তুল্য বন্ধু গোলাম মোস্তফা খবির কে যে এখন আমার মতো প্রবাসী………………
Every relation is based on Trust and respect, even if that relation is for short duration or without having any name. A little step towards misunderstanding can bring the gulf of thousands of miles between the hearts. You don’t know you are inevitable part of my life. I don’t think anything without you. How can I forget you? Long time why you are silent? I don’t know what is the cause? Up to now I pursuit your momentous advise. Now and then I miss your radical idea. I guess now you should do something better than before. Go ahead you will be achieving your goal and will regenerate in future. But enormousness never cannot give mental peace & happiness. As if it serious your decision of course you will get your prospective thing. In any adverse I always appreciate actually you are an aware able & sophisticated person. Also I know you are ego trip. Sometimes you can take crucial decision. Most of the time I tolerate it. Sometimes it falls on the brutal. It’s a peril. Somebody told me many times now you have major change. There is no anything substitute. Now I feel, life is really unpredictable, so I must always be ready what ever happened in my life, in good things and bad things. And it happened with purpose and if you’re with Allah you can easily accept it. Everybody experienced it. So do I….. If you are a caring person keep it up!!! Coz others will appreciate it but sometimes also so painful especially to someone special and if he is not, at least you’ve showed how you fell, I felt the same way
You can do everything in your life which you want. It’s your life. You can’t say what can I do common 1st you are a young ration and life is beautiful. God gave you everything which you want in life. Now everything will be fine! Now I have another think I don’t like my life because I don’t have anything in my life no happiness nothing, but god has give me this life to do something good on the earth, I am not leaving for myself but I want leaving for everybody who love me, care me, respect me, who share my all joy & sorrows. When they are happy I am also happy I feel so good in my life.
But we always wanted more and more and never think of what we have today to relish and enjoy the blessed moments. This is very common in human beings. Only when we lose any relation or if we get far away from our relatives, we get to know how important were they in our lives on which we never give a thought when staying too close to them so cherish what you have today and never spend the time whining for what you don’t have. Sometimes can’t right .I can’t thinking so many as my situation. I can’t think for tomorrow. Now I spend my time for my child. You are a beautiful and sweet. Possible to identify you. If you want you. Life is ups and down, so we must always be ready for anything that happens in our daily life whether positive or negative for God is there to care for us and get us true’
কন্যা
হাসনাত|অগাষ্ট ২, ২০১০

কন্যা গো কন্যা গো
বাঁকা চুলেতে খোপা
আর বেঁধোনা গো ।

ওই চুলেতে যাদু আছে রে
আমার ঘুম আসে না রাতে
একা ঘরে ।

অন্তর ও কারিলা কন্যা
ঘুম কারিলা ,
মিছে প্রেমের স্বপ্ন দেখাইয়া
আমায় কাঁদায়লা ।

মন দিয়েছি প্রাণও বন্ধু
প্রান দিয়েছি ,
ভেবে দেখালাম সবই আমি
ভুল করেছি ।

কন্যা তোমার এক হৃদয়ে
কত জনের নাম ,
হৃদয় ভাংগাড় খেলায় তুমি
ছূটেছো অবিরাম ।

কন্যা তোমায় বলি আমি
মন দিয়া শুনো ,
ছলাকলা ছেড়ে তুমি
এক হৃদয়ে থেকো ।
অতীত স্মৃতির পাতায় ভর করে আসে "প্রবাসী ঈদ"!
হাসনাত | অগাষ্ট ৩০, ২০১১
ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি ।
ঈদ মানেই সকল বেদনা দুঃখ কষ্ট ভুলে এক চিলতে হাসি।
ঈদ মানেই যেন আলোর ঝর্ণাধারা,
ঈদ মানেই সকলকে একসাথে কাছে পাওয়া ।
বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ।তার প্রত্যেকটি গ্রাম যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব রঙ্গশালা। যেদিকে চোখ যায়-অবারিত সবুজ মাঠ, ফুলেফলে ভরা গাছপালা, তৃন গুল্মশোভিত বন-বনানী ও শ্যামল শস্যেক্ষত- এই অনুপম রূপসুধা পান করে সকলের হৃদয়ে এক অভিনব আনন্দের শিহরন জাগে। কোথাও প্রকৃতির সবুজ ঘোমটা ভেদ করে পাকা শস্যের সোনালি সুন্দর মুখখানা বের হয়ে আসছে, আবার কোথাও বিশালদেহ বটবৃক্ষ প্রান্তরের এক স্থানে উধ্বর্বাহু হয়ে মৌন তাপসের মত দাঁড়িয়ে সুশীতল ছায়া দিয়ে পথিকের ক্লান্তি দুর করছে । কোথাও তালগাছ এক পায়ে দাড়িঁয়ে আকাশ থেকে নীলিমা ছিনিয়ে আনার জন্যে ওপর দিকে হাত বাড়িয়েই চলছে, আবার কোথাও দীঘির কাকচক্ষু কালো পানিতে লাল সাদা শাপলা ও কুমুদ ফুঁটে অপরূপ সৌন্দর্য বিস্তার করছে। বাংলাদেশের এই সৌন্দর্য বৈচিত্র্য সবার মন যেমন আনন্দে ভরে দেয় তেমনি ঈদের আনন্দও বাংলার মানুষের মন প্রান কানায় কানায় ভরিয়ে দিতে প্রতি বছরই ঈদ আসে তার আনন্দের বার্তা নিয়ে।

প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল চলছে। তাই গ্রীষ্মের তীব্রতা কিছুটা কমে আসছে। শরতের চাঁদনী রাতে বনের গাছ-পালা, নদী তীরের কাশবন,গৃহস্থের কুটির,গতিশীল নদীস্রোত নতুন নতুন রূপে আমাদের চোখে ধরা দেয়। নানা রকমের ফুল ফোঁটে। শরতের শেষে কিছুটা শীতের আমেজ শুরু হয়।শীতের সোনালী আমেজকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ আসছে তার আগমনী বার্তা নিয়ে। ঈদের আগমন শীতের ঝরা পাতার মতো আমাদের জীবনের দুঃখ কষ্টের করুন স্মৃতি গুলোও ঝরে যাবে।অতীতের সমস্ত দুঃখ বেদনার দাগ ভুলে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিকেশ পিছনে ফেলে আবার নতুন রূপে, নতুন সাজে আমাদের মাঝে ফিরে আসছে পবিত্র ঈদ। ঈদ আরবী শব্দ। এর অর্থ খুশি, আনন্দ-উৎসব। রমজান মাসে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর সকল মুসলিমদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সরূপ সকলের মাঝে আনন্দ বিলিয়ে দিতে আসে ঈদ। ঈদ মহাখুশি ও চরম আনন্দের একটি মহিমান্বিত দিন।
মূলত, ঈদ মানুষের জীবনে নিয়ে আসে পরম আনন্দ আর পেছনে থাকে এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। ঈদের সীমাহীন আনন্দ উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে পরম করুনাময়ের উদ্দেশে নিজেকে নিবেদিত করতে হবে আর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ত্যাগের, ভ্রাতৃত্বের, ঐক্যের, সম্প্রীতির এবং সৌহার্দ্য-সহমর্মিতার মহান আদর্শ অনুধাবন করতে হবে।
জীবনের দীর্ঘযাত্রায় অতীতের ঈদের স্মৃতি বাংলার মাটি ও মানুষের মতো আমার অস্তিত্বে গভীর নোঙর বেঁধে আছে আজও। সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল, ছিল নাকো চাঁদ! জীবনের প্রথম প্রবাস গমন, সাময়িক কিছু আনন্দ থাকলেও বেদনার যেন কোনও কমতি ছিল না। তখন শীতকাল। প্রচণ্ড শীত কুয়াশার চাদর দিয়ে ডেকে রেখেছিল গোটা পৃথিবীটাকে। আকাশের সূর্যের সঙ্গে সেদিন পৃথিবীর কোনও মিলন ঘটেনি। ঠিক ওদের মানসিক অবস্থা আর আমার মানসিক অবস্থার মধ্যে কোনও দূরত্ব ছিল না। বিদায় যে বড় কঠিন, বড় নির্মম সেদিন তা অনুভব করেছিলাম হাড়ে হাড়ে। দেশপ্রেম কি, বন্ধুত্ব কি, আত্মার সম্পর্ক কি? ভালবাসা কি? ভালবাসার রূপ, রঙ, গন্ধ, বর্ণ সবকিছু সেদিন মন অনুভব করেছিল একান্ত করে। সেদিন অনেকেই বোবা কান্নায় কেঁদেছিল। সবচেয়ে বড় একা হয়ে গিয়েছিল আমার সন্তান আমার দ্বিতীয় আত্মা। সে আমার কোলে আমার গলা ধরে সবার দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে থেকে মাঝে মাঝে আমার গালে চুমু দিচ্ছিল। আর আমি যেন অনেকটা বোবা পাথর হয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন বিদায়ের বাঁশির সকরুণ সুর আজও আমাকে নীরবে কাঁদায়। আমি হারিয়ে যেতে থাকি ভাবনার অতল গভীরে। আমার স্মৃতিমাখা সে দিনগুলো যেন আজও স্মৃতি হয়ে ভেসে বেড়ায় মনের জানালায়।আমার ঢাকার কর্মব্যস্ত জীবন কেটেছে বেশিটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে। ঈদের ছুটি কাটাতে যখন গ্রামের বাড়ীতে আসতাম তখন গ্রামের পুরনো বন্ধুদের নিয়ে চলে যেতাম পদ্মার তীরে। সেখানে আড্ডা চলত মাঝ রাত পর্যন্ত। জানি না আজ আর সে আড্ডা জমে কিনা, আমার জানা নেই হয়তোবা জমে নয়তোবা নয়। হয়তোবা বন্ধুরা আমার শূন্যতা অনুভব করে, নয়তো নয়! কিন্তু আমি আজও অতীতের সেই সোনাঝরা দিনগুলো হৃদয়ের ক্যানভাস থেকে কিছুতেই মুছতে পারিনি। সবাই হয়তো ভুলে গেছে, কেননা বড় বড় আনন্দ উৎসবের দিনগুলোতে তারা কেউ একটা এসএমএস দিয়েও মনে করে না। প্রথম প্রথম দেশের বন্ধুদের প্রচুর চিঠি লিখতাম। কিন্তু কখনো উত্তর পায়নি। ঈদ আসলে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা পাঠাতাম। এখন তাও অনেকটা কমিয়ে দিয়েছি তাদের কাজ থেকে সাড়া না পেয়ে। তারপরও অতীত স্বপ্নকে লালন করি সযতনে বুকের গভীরে।

স্বপ্নই সবাইকে বাঁচিয়ে রাখে প্রবাসের আত্মীয় পরিজনহীন একাকী পরিবেশে। স্বপ্ন! স্বপ্ন সবাই দেখে,কেউ জেগে কেউবা ঘুমিয়ে। ঘুমের মাঝে স্বপ্ন সবার কাছেই আসে। আমার কাছে প্রতি রাতেই আসে। বিচ্ছিন্ন খন্ড খন্ড স্বপ্ন। স্বপ্নতো আর সাজিয়ে গুছিয়ে ধারাবাহিক ভাবে আসে না। যে রাতে আমি স্বপ্ন দেখিনা, সে রাতটা আমি ধরে নেই আমার বিনিদ্র রজনী কেটেছে । ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখিনি সে আমার জীবনে কখনো ঘটেনি। ঘুম বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বপ্নের একটা সময় সীমা আছে সেটা কখনো দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না। কিন্তু আমার স্বপ্ন গুলি অনেক দীর্ঘ হয়, অন্তত আমার কাছে সেটা মনে হয়।আমার স্বপ্ন আমার বাস্তব চিত্রের সাথে মিলে মিশে আমাকে কঠিন ভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যায় ফেলে আসা অতীতে।

কর্মব্যস্ততার এই প্রবাসে মানুষের জীবনে অবসরের বড় অভাব। তবুও প্রতিদিন জীবনের এই পথ চলতে গিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোনো না কোনো সময় মন ছুটে যায় কোনো স্মৃতির পাতায়_ যা সীমাবদ্ধ থাকে না কোনো একটি মধুর বা বেদনাবিধুর স্মৃতিতে। ঈদ এলে সেটা আরো ভারাক্রান্ত করে এ হৃদয়কে। আসলে আমাদের জীবনে এমন পূর্ণ অবসর নেই তাই চিন্তাধারাগুলো এখন আর একটি জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে না। এক বর্ষণমুখর দিনে সোনার হরিনের আশায় দেশ ত্যাগ করি। এই প্রবাসে ঈদে যখন অবসরের স্বাদ নিতে চাই তখনই ফেলে আসা অতীতের কিছু মুখ ভেসে ওঠে স্মৃতির আয়নায়। একদিন যার কথা শুনতে চাইনি, আজ ঈদ অবসরে তার মধুর স্মৃতি বেশী মনে পড়ে। এখন ইদের অবসরে পড়ন্ত বিকেলে যখন আরব সাগরের তীরে গিয়ে দাঁড়াই, রাতের আঁধারে যখন ছোটখাটো অবসরগুলো কাটে তখন সেই সুখস্মৃতিগুলোই যেন স্থান করে নেয় সমস্ত মনজুড়ে। মনেপড়ে, সেই অগোছালো জীবনে ছিলো না কোন স্থিরতা। পরিচিত হলো দুটো মন সময়ের পথ ধরে এগিয়ে চললো তারই ধারাবাহিকতা। ওই মধুর স্মৃতি, সে আসবে বলে কত স্বপ্ন এঁকেছি জীবনের বাঁকে বাঁকে। এখনও যেন সেই স্বপ্নের রাজ্যে আছি।

মাঝে মাঝে ভিড় করে স্কুল কলেজের ফেলে আসা সেই দিনগুলো এবং আরও কতস্মৃতি। কিন্তু সব স্মৃতিকে ভাসিয়ে সামনে চলে আসে স্বদেশে ঈদ আনন্দের স্মৃতি, মায়ের সেমাই, বাড়ীর পাশের ঈদগাহে নামাজ শেষে দীর্ঘক্ষন হাততুলে মোনাজাতের স্মৃতি। প্রবাস জীবনের কর্মব্যস্তার মাঝে শুরু হল নতুন এক পথচলা। এখনও যেন স্বাপ্নিক চোখে ভেসে আসে নানা রঙের রাঙ্গায়িত স্বপ্নের সেই দিনগুলো_যা ঈদ আসলে দিয়ে যায় মৃদু আনন্দের ছোঁয়া। অবসরের মুহূর্তে ভেসে চলি ফেলে আসা সেই দিনগুলোতে।

যতবার ভেবেছি, অতীতকে আর মনে রাখব না, মুছে যাক মনের পাতা থেকে অতীতের সব বস্তা পঁচা স্মৃতিগুলো। চোখের পানি দিয়ে মুছে পরিস্কার করে ফেলব। কিন্তু অতীতকে ফেলে নিজকে আরো বিভ্রান্ত করে হারিয়ে ফেলেছি।
জানি, মানুষের জীবনের সকল আশা-আকাঙ্খা, সাধ-স্বপ্নের যখন মৃত্যু ঘটে তখন শুধু বিগত দিনের স্মৃতিগুলোকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকা যায় না।স্মৃতির মধ্যে সুখ নাই, শান্তনা নেই। আছে শুধু ব্যথা, বেদনা আর দীর্ঘশ্বাস। স্মৃতি, সেতো অতীত। সুখের হোক আর দুঃখের হোক, বর্তমানে তার উপস্থিতি দুঃখজনক। শুধু আমি কেন, পৃথিবীর যে কোন মানুষ যে কোন মুহুর্তে একবার যদি অতীতের সকল সাগর মন্থর করে তাহলে তার ভেতরে একটু না একটু বেদনার উদ্রেক হবেই।

প্রবাস জীবনের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে যখন দেখি পেছনের দিনগুলো ধূসর ধূসর, আর সেই ধূসরতার শরীর থেকে হঠাৎ হঠাৎ কোনও ভুলে যাওয়া অতীত স্বপ্ন আচমকা সামনে এসে দাঁড়ায় বা কোনও স্মৃতি টুপ করে ঢুকে পড়ে আমার প্রবাসী একাকী নির্জন ঘরে, আমাকে কাঁপায়, আমাকে কাঁদায়। যে স্বপ্নগুলো অনেককাল মৃত, যে স্বপ্নগুলোকে এখন আর স্বপ্ন বলে চেনা যায় না, মাকড়শার জাল সরিয়ে ধুলোর আস্তর ভেঙ্গে কি লাভ সেগুলোকে নরম আঙুলে তুলে এনে। জানি সব, তবুও আমার প্রবাসের জীবন আমাকে বারবার পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, আমি আমার অতীত জুড়ে মোহগ্রস্থের মতো এখনো হাঁটি। দুঃস্বপ্নের রাতের মতো এক একটি রাত আমাকে ঘোর বিষাদে আচ্ছন্ন করে রাখে এখনও। সন্ধ্যা রাতের তারা হয়তো আর আলো জ্বালবে না হৃদয় নিকুঞ্জে। পাল তোলা নৌকা আর বয়ে চলবে না জীবন গঙ্গায়।
তারপরও দিগন্ত জুড়ে এক ফালি সরু চাঁদের অপেক্ষায় দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদের আনন্দ-বারতা। রমজানের একটি মাসের সিয়াম সাধনায় পরে এলো খুশির ঈদ। বাঁধ ভাঙা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবে বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায়। আর আবেগ প্রবন বাংগালী মুসলমানের ঈদ মানে এক মহা উৎসব। চাদরাত থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই বর্নিল আয়োজনের। টিভির পর্দায় গেয়ে উঠবে……
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ
আপনারে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানি তাগিদ’…।
ঘুমকাতুরে চোখ উৎসবের আমেজে প্রতিক্ষার প্রহর গুনবে ঈদের সোনালী সকালের। গৃহিনীরা সদা ব্যস্ত থাকবে সুস্বাদু সেমাই, ফিরনি, পায়েস, পোলাও, কোরমা সহ মুখরোচক খাবারের আয়োজনে। বাড়ীর তরুনীরা ঘরটাকে সাজিয়ে নিবে নিপুন কারুকাজে। সময় করে মেহেদিতে হাত রাঙাবে তরুনী, কিশোরী এমনি কি প্রান পুরুষের দল। ঈদের সকালে গোসল করে নতুন কাপড় পড়ে পৌছে যাবে ঈদগাহে। নামাজের পরে ঈদ মোবারক আর কোলাকুলির সৌহার্দ্যে, সম্প্রিতি আর ভালোবাসার এক বন্ধনে নতুন করে আবদ্ধ হবে সবাই। এরপর গভীর রাত অবধি উৎসবের জোয়ারে ভেসে যাবে সব। আজ কোন দুঃখ নেই। ছোট বড়, ধনী গরীব যার যার পরিসরে সবাই ঈদের আনন্দে রঙ্গীন হবে মহা উৎসব। বাংলাদেশের এই ঈদের আমেজ অনেকটাই অনুপস্থিত আমাদের প্রবাসী জীবনে। তাই তো ঈদের দিনে নষ্টালজী পেয়ে বসে অনেকের মাঝে। ফেলা আসা হারানো দিনের ঈদের আনন্দ এখন কেবলই স্মৃতি।ঈদের সকালে ঘর থেকে বের হলে মনের ভিতরের ঈদের আনন্দ আর থাকে না। সবাই ব্যস্ত যার যার মত। প্রবাসে আমরা সংখ্যালঘু , তাই ঈদের আনন্দ অনুভুতিগুলি মনের গহীনেই আটকে থাকে ।এর বাহ্যিক আবরণটা খোলসা হয় না কখনও।
তারপরও এত যান্ত্রিকতার মাঝেও ঈদ প্রবাসীদের জীবনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে।প্রবাসে ঈদের আমেজ খুজে পাওয়া যায় ঈদের নামাজের আসরে গিয়ে। সকালে ঈদের নামাজ, তারপর নতুন বাহারী পোষাক আর ঘরোয়া পরিবেশে রকমারী সুস্বাদু খাবার খেয়েই ঈদের আনন্দ শুরু হয়। প্রবাসের ভিন্ন পরিবেশে তাই ঈদের বাহ্যিক আবরণটি ঘরের বাহিরে তেমন ভাবে দেখা যায় না।তাই প্রবাসের মুলধারার জীবন দর্পনে ঈদ তেমন প্রভাব ফেলে না। তবুও বাংগালী মুসলমানদের অন্তরে ঈদ লালিত হয় আবেগ অনুভূতি আর ভালবাসার অফুরন্ত উচ্ছাস নিয়ে। তারপরও ঈদের ছুটির অবসরে প্রীতিময় সামাজিকতার আঙ্গিকে ভরে উঠে প্রবাসীদের মন।

সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদের আগমন সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। জীবনের দুঃখবোধের সমস্ত গ্লানি মুছে যাক, জীবন গাঙ্গে বয়ে চলুক পূর্ন আনন্দের অমীয় ধারা।

ঈদ মোবারক………