[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১১

সবকিছু যেন শেষ সন্ধ্যায়



সবকিছু যেন শেষ সন্ধ্যায়
ব্রিকফিল্ড ঘিরে রেখেছে
উত্তর আধুনিক এই শহর।
চারদিকে তাপ দিচ্ছে
দুষিত করছে ,ধুলা কিম্বা ময়লায়।
সব কিছু যেন অন্ধকারে
গুমট হয়ে আসছে।
বাতাসে বৈরি পরিবেশ-
কুয়াশায় লাবণ্যতা হারাচ্ছে
বিস্তৃত সব অপরূপ প্রকৃতি-
যেন ধেয়ে আসছে
কোনো এক ভয়াবহতা
যেখানে শিকার হবে তাবৎ
শক্তিমান যত রুপসী শহর,
গ্রাম-অথবা সৌন্দর্য মণ্ডিত দেশ।
আমাদের শরীরে বইছে
অনাদিকালের সব নোংরা অসভ্যতা
আমরা নীরবে জ্বলে যাই
পুরে যাই – তার সাথে
হত্যা করি আমাদের যত
প্রদত্ত জ্ঞান-
৩০।১২।২০১১ইং/রাত্রি:১০:১৫মি:

অনেক দিন পর আমি...

অনেক দিন পর আমি...
অনেক দিন ধরে আমি ব্লগে আসি না। আবার আসলেও আমি অফলাইনে থেকে কিছু লিখা পড়ি।আসব আসব করে আর আসা হয়ে উঠেনা।অবশেষে এসেই পরলাম……..

” একটু কাঁদব বলে “

অনেকদিন কান্নার স্বাদ পাইনি
দু-ফোঁটা অশ্রু নিয়ে বসে ছিলাম
একটু কাঁদব বলে।

ভেবেছিলাম তুমি আসবে;আর
তুমি এলেই তোমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদব।
কেন কাঁদতাম জানি না,হয়ত তোমাকে ছাড়া
এতগুলো দিন আর রাত আমি কি করে পার
করেছি! তা ভেবেই কান্না পেত।
নয়ত তোমাকে কাছে পাবার আনন্দেই কাঁদতাম।

কিন্তু তুমিতো এলেই না;
কি করে কাঁদব আমি?

তোমার আসা আর কোন দিনই হবেনা
সেটা জানি,কিন্তু কান্না পায়না কেন বলতো?
হাসতেও তো পারিনা এখন।

তোমার না আসা কি আমায় কষ্ট দেয়নি?
নাকি আর একটু বেশী কষ্ট পেলে কাঁদতাম আমি?
মানুষ কতটুকু কষ্ট পেলে কাঁদে সেটা যদি জানা যেত;
তবে আমি ঠিক ততটুকু কষ্টই পেতাম।
কারন আমিতো একটু কাঁদতেই চেয়েছিলাম;
নাকি আমার ভেতরটা নীরবে কাঁদে!
আমি টের পাইনা,শুধু বাহির নিয়েই পরে
থাকি আমি।
তবে কি আমার আর কোন দিনই কাঁদা হবে না?

তবুও জীবন

তবুও জীবন 

 ডিসেম্বর ২৮, ২০১১

পৃথিবীর পথে প্রান্তরে ঘুরেছি আমি,
দেখেছি ফুল ও পাথর সাজিয়ে রেখেছেন
অন্তর্যামী।
ভালবাসা দেখেছি, মমতা দেখেছি
বন্ধু দেখেছি, শত্রুও দেখেছি,
আরও দেখেছি অবজ্ঞা অবহেলা,
প্রেমের সাথে বঞ্চনার খেলা।
অবজ্ঞা উচ্ছাস পাশাপাশি চলে
নদীকে যেমন বেধে রাখে দু কূলে।
হৃদয়ের হাটে চলে বেচাকেনা
ভালো মন্দ যায় না চেনা।
তবুও মূল্য বেশি, অনেক বেদনা অনেক যাতনা
তারপরেও থেকে যায় অনেক অজানা।
ভিড়ের মাঝে চিনতে হয় ভুল
কোথায় পাথর আর কোথায় ফুল।
কালের স্রোতে ভেসে যাওয়া মন
খুজে ফিরে ঠিকানা এইতো জীবন।

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১১

পরবাস __________



পরবাস

sun off
রোদের ঘৃণা প্রহেলিকায় জাগে
জীবন যেন সিঁদুর – মাখা দুপুর
প্রহেলিকার রঙিন অনুরাগে
পতিতাদের পায়ে বাজে নূপুর
পরিশেষে অন্ধকারের আগে
নষ্ট স্বপ্ন ঝরে টাপুর টুপুর।

সঙ্গবিহীন আত্মরতির জালে
ঊর্ণনাভি বন্দী দূর্বিপাকে
মনস্তত্ত্ব ঘুমায় অন্তরালে
কিংবদন্তী সত্য হয়ে ডাকে
ব্যর্থ হওয়ার প্রসবোন্মুখ কালে
শকুন্তলা পাথর চাপা থাকে।

স্নায়ুতন্ত্রী অবশ স্তব্ধ নেশায়
কনীনিকা ঘষা কাঁচের ধোঁকা
স্তেপের ধুলো কাঁপে বিপুল হ্রেষায়
মেরুদন্ড কাটে অলীক পোকা
দুধের সঙ্গে জননী বিষ মেশায়
গোলক জুড়ে লোকান্তরের টোকা।
নিজভুমে আজ পরবাস
সবই ভুল মিছে আশ্বাস !!

কেন ডাকো ^_^

কেন ডাকো
e8bcdd5a25ace5947c0278da930a2fdc

তবু কথা থাকে
বলেছেন একজন। সন্ধ্যের পরেও কথা থাকে;
রক্ষিতার মত সঙ্গোপনে রাতের নির্জন কথা
দুপুরের শেষ মৃত্যুর পরেও থেকে যায় অপরাহ্নের সংলাপ।


কোন এক গোপন ঈঙ্গিতে চারটি চোখের রঙ বদলে- যাওয়ার মত
আবেশে স্পন্দিত, বৃষ্টির পরেও মেঘ-মেঘ আকাশে ভাসে
শুভ্র কথার কাফন।


আমি ঘুমহীন চেয়ে চেয়ে দেখি
দু’চোখের দরিদ্র পারদ ঝরে ঝরে পড়ে
শতাব্দীর নোংরা কোলে।

কথা বলি না, কেননা
কথা না- বলার করেছি সংরক্ত পণ
একান্তে, নিঃশব্দে, জানে না ঘনিষ্ঠতমা।


ঘোর তমসার নীল জলশয্যাতে
তখন অনন্ত বীটোফেনের সিম্ফনি
অবাক তৃষ্ণার্ত রঙের ধরায় অবিরল বয়ে গেলে
তুমি এসে কেন ডাকো
হে নারী, হে কবিতার প্রসূতি, হে বিষণ্ণ প্রকৃতি !!!


e8bcdd5a25ace5947c0278da930a2fdc12

স্মৃতি থেকে নেয়া প্রিয় লিখা।

একটি সোনালী মুখ

একটি সোনালী মুখ
একটি সোনালী মুখ
পুকুরের বন্ধ্যা জলের মত স্তব্ধ সময়
কৌটায় ভরে ‍রাখা এক ফালি রোদ যেন,
কালের স্মৃতি চারণে; অমাবস্যার রাত অপেক্ষায় থাকে
চন্দ্রমুখী তুমি বিনে! গরল বিজন,
আমলকীর বন আজ সর্বনাশের উল্লাসে মাতে।

টলটলে স্বচ্ছ জলে তোমার জলছবি
এঁকেছিলে কবে?
তির তির করে কাঁপা বাতাসে
স্তব্ধ জলের ঢেউ! স্মৃতির আকর যেন,
বড্ড জালায় এই পড়ন্ত বেলায়।

এই পড়ন্ত বেলায় নেমে ‍এলো
কুয়াশার সাঁঝ, যেন আতুর ঘরে বাতি জ্বলল
ডুব সাঁতারে মত্ত হাসের ছানা! বাড়ী ফেরার তারা ভুলে যায়;
মাছ রাঙার মত জলে খুঁজে ফিরে
একটি সোনালী মুখ।


১৪১৮@১৪ পৌষ,শীতকাল

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১১

আমি-ই আমার কবিতা

আমি-ই আমার কবিতা
আমি-ই আমার কবিতা
কবিতার ভিতরই আমার অস্থিত্ব
এই অস্থিত্বের ভিতরই এঁকে যাই,
আমার খন্ড খন্ড কথামালার ছন্দপল্লবে
ভোরের শিশিরের মতো ঝকঝকে বিন্দুকণা
শিশিরের অবগাহনে যখন ফুলের স্নানের উৎফুল্লতা
এথানেই আমাকে নিয়ে বিচার করি
আমি আমার কবিতা আর কোন সংশয় নেই।

যদি

যদি

কে তুমি

কে তুমি

কে তুমি?
কে তুমি বলো তো?
একটু খানি পরিচয়টা দাও তো
তোমার পরিচয়টা জানার জন্যে
হৃদয়টা যে আমার ব্যাকুল হয়ে উঠে।


কে তুমি?
কেন তুমি তোমার পরিচয়টা দাও না;
একটুখানি কথা খুলে বলো না
তুমি কি বোবা!
না ইচ্ছে করেই বলছো না?


কে তুমি?
আমার দিকে একটু চোখটা দিয়ে দেখ না,
কেনই বা তুমি চোখের চশমাটা খুলো না;
না তুমি অন্ধ!
তাই আমার দিকে ফিরেও তাকাও না।


কে তুমি?
ওঁ তুমি তো আবার বোরখা পড়া
চোখে আবার কালো চশমাটা লাগা;
কেমনে তোমায় চিনব আমি?
তবুও তো পরিচয়টা দিচ্ছ না তুমি?


কে তুমি
তাহলে কি ভাববো তোমায়?
ভূত,পরী না মানুষ!
যদি ভূত-পরী হও তাহলে দূর হও
আর যদি মানুষই হও তাহলে কথা কও।


কে তুমি?
কথাও বললে না পরিচয়টাও দিলেনা;
তাহলে কেনই বা দাঁড়িয়ে আছ তুমি
তোমার কি হাজব্যান্ড রয়েছে পিছনে,
তার জন্য অপেক্ষা করছ এত দীর্ঘ সময় ধরে?


কে তুমি?
কেনই বা দাঁড়িয়ে আছ তুমি
তোমার দাঁড়িয়ে থাকার রহস্যটা কি!
যদি হাজব্যান্ড না থাকে তোমার
তাহলে তুমি ভালবেসে ফেল আমায়!!


কে তুমি?
যদি পরিচয় নাই দাও তুমি
তাহলে এখান থেকে চলে গেলাম আমি
পিছন থেকে কেন টেনে ধরলে তুমি?
আসলে বলো তো কে তুমি?

বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১১

আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়..

 আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়
 ডিসেম্বর ২০, ২০১১

আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়
 এই তো সেদিন
 তোমাকে দেখতে দেখতে, অবেলায় দিনটা শেষ হল
 সনাতন নিয়মে দুপুর গরিয়ে সাঁঝ হল।


তোমাকে দেখবে বলে
 হ্যামিলনের বাঁ‍শিওয়ালা মত পিছনে ছুটতে লাগলো
 রাতের হরেক রকম পোকামাকড়;
 আর ঝাঁক ঝাঁক জোনাক বাতি জ্বেলে,তোমাকে ‍ঘিরে রাখল,
 নিয়ন আলোর মত করে!
 সখীরা মিলে নওবত সানাই বাজায় ঝিঁঝির;
 

এদিকে জ্যোত্স্না তার,
 যৌ‍বন উন্মাদনা বিভাস পাতার ফাঁ‍ক দিয়ে
 তোমার উচ্ছ্বল চোখ মুখে ঝিলিক পরছিল; যেন উন্মুখ রাজহংসী
 কপোত বিরহে উদাস।


কঙ্কাল রাত পাহারায়
 ঘুম নাই আঁধার চোখে, যত সামান্য আলো তাও পারলে
 চুঁইয়ে পরা শিশির ফোটার মত চুমুকে নিঃশেষ করে।
 

এই রাত ছিল তোমার,
 বিরহের কঙ্কাল খতিয়ান! জড়পদা‍র্থের স্পর্শ চুম্বন
 আঁধার রাতের দীর্ঘশ্বাস হাওয়া বয়ে বেড়ায়।


 ১৪১৮@৬ পৌষ,শীতকাল

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১

উচ্ছাস ভরে ফুটে পূর্ণ্যিমার চাঁদ

উচ্ছাস ভরে ফুটে পূর্ণ্যিমার চাঁদ
 নভেম্বর ২৭, ২০১১


চিত্তের গভীরে যে বাসা বাধে আপন ভূমিকায়,
 সে যে কারো অজানার নয়।
 ভুবন বিলাসী যত বিনোদন আছে
 ছুয়ে যায় শুধু ছুয়ে যায়, কখনো যে হারাবার নয়।
প্রেমের অমর সুধা করেছে যে পান
 এই জগৎ সংসারে, তার ভীরে নগন্য একজন
 আপন নগরে তা ফুলে ফেপে ফুটাইয়াছে প্রাণ
 যেথা কোনো ব্যবধান নয়।
দীপের আড়ালে জমা পড়ে যেই অন্ধকার
 যার তরে গেথে থাকে চাপা নীরবতা
 যখনি নিভিবে দীপ সমীক্ষার ও প্রহর অন্তরালে
 কিছু যেন লুটাইবার রয়।
সকল জয়ের স্বাদ ভূলোকের সমারোহে
 প্রেম মিত্রে কি যে দারুন অমরতা পায়
 মন্থর গতিতে তাও মুছিবার শ্রয়
 কখনো যা ভুলিবার নয়।


২৭শে-নভেম্বর-২০১১ই/ রাত্রি:১০:৩৫মিঃ

ভোরের আকাশে প্রথম সূর্য

ভোরের আকাশে প্রথম সূর্য
ডিসেম্বর ১৬, ২০১১


কালো রাত্রির আঁধারে
 যারা রক্তাক্ত হয়েছে
 তাদের রক্তে আঁকা হয়েছে
 আমাদের এই বিজয় ।
 আমাদের এই মানচিত্রটা-
 আমাদের স্মৃতিস্তম্ভগুলো
 পৃথিবীর ইতিহাসে
 নিদারুণ স্বাক্ষী হয়ে আছে
 আমাদের বধ্যভূমিগুলো
 হয়ে আছে সেই ইতিহাসের
 জ্বলন্ত দলিল।


১৬ই ডিসেম্বর-২০১১ইং রাত্রি:১১:৫০/১২:০০মিঃ

প্রেম বোঝে না

প্রেম বোঝে না
অক্টোবর ০৭, ২০০৯

 প্রেম বোঝে না
 মানুষ মাত্রই প্রেম বোঝে না,
 প্রেম বোঝে না, প্রেম বোঝে না।
 প্রেমের নামে জলপাই বন অন্ধকারে শরীর বোঝে।
 উষ্ণ কোন গিরিপথের সন্ধান খোঁজে।
 কোমল কিংবা উষ্ণ বুকে,
 হাত বাড়ায়ে কামনা খোঁজে ।
 মানুষ মাত্রই,
 উষ্ণতায় মগ্ন ধ্যানে কামনার সিড়ি ভাঙেঁ।
 প্রেম বোঝে তো, ভাষা বোঝে না,
 ভাষা বোঝে তো, হরেক রকম মিথ্যে কথার,
 নীল কাগজে রক্ত দিয়ে পত্র লেখে।
 মানুষ মাত্রই প্রেম বোঝে না।
 প্রেম মানে তো,
 ইচ্ছে গুলো মাতাল করে ভাসিয়ে দেওয়া মেঘের ভেলায়।
 প্রেম মানে তো,
 কবোষ্ণ তাপে সুখে দুখের গল্প সল্প জমিয়ে রাখা,
 আধ পোড়ানো কয়লা কাঠে আগুন নিয়ে খেলা করা।
 প্রেম মানে তো,
 বিষাদ ভরা দুপুর গুলোর স্পর্শ নিয়ে স্বপ্ন বোনা।
 ব্যাকুল বুকে,ত্রস্ত চোখে এক আকুল চাওয়া।

 প্রেম মানে তো,
 দ্বীপে মধ্যে সবুজ ঘরের ছবি আঁকা,
 প্রেম মানে তো, দুরন্ত এক কিশোর বেলা ।
 প্রেম মানে তো,
 তুহিন মনে,নিবন্ত এক আগ্নেয়গিরির অগ্নি বুকে,
 ঝলসে যাওয়ার অপেক্ষাতে বসে থাকা।

মন শুন্য হ্নদয়

মন শুন্য হ্নদয়
নভেম্বর ১৮, ২০১0

 হ্নদয়,হেমন্তের ধান কাটা মাঠ,
 দিগন্তের ওপারে সন্ধ্যার মেঘমালা,
 ছড়িয়ে স্বপ্ন অঞ্জন,চলে যাচ্ছে দিনমনি।
 তুমি চলে যাচ্ছো,
 দীর্ঘ ছায়া ফেলে ধান কাটা মাঠে,
 পথের ঝরা পাতা মর মর করে মাড়িয়ে,
 নকসী আঁকা কোমল চরণ তলে ফেলে।
 দয়া করে তাকাও যদি ফিরে,দেখবে,
 পাতা নয়, ভাঁঙচ্ছো আমার বুকের পাজর।
 তুমি চলে যাচ্ছো,
 এ আমার বেদন নয়, কিছুতেই নয়।
 বিকেলের চিনেবাদামের খোসার মত,
 টুক-টাক,টুস টাস ভাঙচ্ছো, বসে,
 আমার স্বপ্নের আঙিনায় বাঁধা ময়ূর পালঙ্ক ঘর।
 একি তোমার বারমাসি মন, না কি?
 কামনায় আর জমে না মহুয়া মৌ।
 সায়েহ্ন জমে বেদনার জল,
 মরা মাছের চোখের মত জাগে চাঁদ
 ঘরে বিরহের হিমে পরে আছে স্মৃতির খাট,
 নিশি জেগে হাটে মন শুন্য হ্নদয়
 হেমন্তের ধান কাটা মাঠের মত
 সুনসান নিরবতার আঁচল বিছায়ে।
 তোমার কোমল চরণ তলে বেদনার শব্দ রেখে,
 তুমি চলে যাচ্ছো,
 হ্নদয়ে বসন্তের উদ্ভাস নিয়ে।

আমার মা বলেন

আমার মা বলেন ডিসেম্বর ১৬, ২০১১

 তোমরা যে বল, বিজয়, বিজয়, মহান বিজয়।
 মুক্তির বিজয়, স্বাধীনতার বিজয়,মানুষের বিজয়।
 বিজয়ের মাস এলে,
 শ্লোগানে শ্লোগানে মুখুর করো রাজপথ,
 সেমিনারে, বক্তৃতায় মঞ্চ রাখো গরম।
 বলতে পার কি?
 বিজয় কোথায় ? কিসের বিজয়, কাদের বিজয়?
 আমি কোন বিজয় দেখি না,
 বিজয় দেখি না। কোথাও পাই না তাহাকে।
 এ বিজয় কেবল তাদের, কেবল তাদেরই জন্য,
 যারা রাজনীতিবিদ দানবের মত।
 যারা স্বার্থপর মানুষের মত।
 যারা স্বাধীনতা বিরোধি শক্তির মত।
 যারা রাজাকার । এবং
 কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাদের।
 যারা নিহত হলে,মূত্যু হলে, হয়ে যান শহীদ।
 কবর হয়ে উঠে আত্ত্বতুষ্টির বেদী।
 এ বিজয় কেবল তাদেরই জন্য, কেবল তাহাদেরই জন্য।
 আর যারা মাটিতে পিঠ রেখে,
 জারুলের উজ্জ্বল বেগুনি ফুল মঞ্জুরিত শাখার দিকে তাকিয়ে,
 মৃর্ত্তিকায় বিনা বেদনায় বিছায়েছে অমূল্য প্রাণ,
 যেখানে বিরাঙ্গনা এখনো কেবলই বিরাঙ্গনা,
 সমাজ তাকে করে রাখে এক ঘরে,
 জোটে না কাফন,জোটে নামাজ দাফন।
 দু বেলা দু মুঠো খাবারে জন্য হয়ে যান পতিতা।
 তাকে আমি বিজয় বলি না, কখনো বলবো না।
 কেমন করে বলি,
 সাভারের ঐ স্মৃতির মিনার দেখে,
 সংবাদ পত্রের ছাপানো কালো কালির অক্ষরে,
 টিভি’র পর্দার আলোচনার তুমুল ঝড়ে,
 জাতীয় সংসদের গোল টেবিল বৈঠকে,
 মাঠে ময়দানে পাড়ার মোড়ে উঠতি নেতাদের গলাবাজিতে।
 নীতি বর্জিত নেতাদের বুলসিট বক্তৃতায়।
 তোমর বিজয় উত্তসব দেখছ, আরোও দেখবে আগামীর পথে।
 বিজয় মাঠের প্রস্তুতি পর্বের দিনগুলি দেখন

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১

বেদনার বালুচরে

বেদনার বালুচরে

হৃদয়ের জানাল খুলে বসে আছি তোমার প্রতীক্ষায়
কবে তুমি আসবে আবার, এ মন তোমায় ফিরে পেতে চায়
তুমি ছাড়া নীথর এ জীবনের চাকা আর চলে না
স্মৃতির জানালায় দাঁড়িয়ে কেন, ধরা দাও না?

র্নিঘুম রাতে তোমাকে খুব বেশী মনে পড়ে
আহত পাখির মত উড়ে পড়ি বেদনার বালুচরে
তুমি ছাড়া এ ভূবন আমার ধূ ধূ মরুভূমি
তোমার স্মৃতি বারে বারে হৃদয় আমার যায় চুমি ।

কত বসন্ত আসে যায় তুমি ফিরে এলে না
মনের মাঝে যে দ্বীপ জ্বেলেছিলে, সে তো আর জ্বলে না
কত কথার মালা শুকিয়ে গেছে তোমায় পরানো গেল না
বেদনার বালুচরে বসে একা, এ জীবনে বুঝি তোমায় পাওয়া হলো না ।

গোলাপ কাঁটা

গোলাপ কাঁটা

হে গোলাপ-প্রেমী, গোলাপের সৌন্দর্য্যে বিমুহিত হয়ে
ভাবছ কী বসে একা? তোমার রঙ্গিন চশমা পরা চোখে
শত স্বপ্নের মেঘ পাল তুলে বেড়াচ্ছে ।তুমি নেই তোমাতে ।
কিন্তু জান কী- গোলাপের সৌন্দর্য্য আর সুবাস যতটা মধুর
কাটার আঘাত ততটাই বেদনাবিধুর ।নয়নভরে সৌন্দর্য্য
পান কর, তবে ছিঁড়তে যেওনা তাকে । কাটার আঘাত
সইতে পারবে না তুমি । এ বড়ই র্নিমম!

কাটার আঘাত না সহে কে গোলাপের সৌন্দর্য্য করেছে
উপভোগ? কষ্ট না সহে সুখ পেয়েছে কে কবে?
প্রদীপের আলোর নীচে আঁধার থাকে বলে কী প্রদীপ
কেউ জ্বালবে না? ভালবাসার পশ্চাতে বিরহ মুচকী
হাসে, তাই বলে কী হৃদয় ভালবাসবে না?
মেঘের আড়ালে চাঁদ হাসে, শীতের পর বসন্ত আসে
কাটার আঘাত সইলেই তবে গোলাপ তোলা যায়
বেদনার নীলকন্ঠ পিয়েই ভালবাসার স্বাদ নেওয়া হয় ।

নীল খামে নীল চিঠি...

নীল খামে নীল চিঠি

ভালবাসার চিঠি এল নীল খামে
যৌবনের শিশির ভেজা প্রত্যূষে
নীল চিঠি জানায় প্রেম নিবেদন আর
স্বপ্নের হাতছানিতে ডাকে ভালবাসার নীড়-
“দু’হাত আজ বাড়িয়ে দিলাম তোমার পানে

ধরো হাত, চলো গড়ি ভালবাসার নীড়
হৃদয়ের মধ্যখানে যে নিঝুম গহীন অরণ্য
কোন নারী আজও নূপুর পায়ে সেখানে
আসেনি, ফেলেনি কোন পদ-চিহ্ন
সেখানে ছোট্ট কুটিরে বাঁধব সুখের বাসা
আলো-বাতাস যেমন জীবনের প্রধান সহায়ক
তোমার-আমার প্রেম আর ভালবাসা
তেমনি যোগাবে দু’টি প্রাণের খোরাক ।”

প্রেম কেীতূহলী প্রেমিকা চিঠি পড়ে
বসন্তের মাতাল সমীরণে উড়িয়ে দেয় তা’
হৃদয় তার নেচে উঠে, বলে কথা-
“হাতে রেখে হাত চরণ ফেলব তোমার হৃদয়ারণ্যে
প্রেমের উষ্ণ-আলোয়ানে জড়িয়ে নিও আমাকে
তোমার ভালবাসার ঘরে লাল শাড়ী পরে
যাব আলতা রাঙা পায়ে নূপুর নিক্কণ করে ।

তাজমহলে ঘুমিয়ে আছে মমতাজ প্রাণহীন দেহে
আমরা গড়ব মহাবিশ্ময়, এক মহার্নিদশণ ।
দু’টি প্রাণের ভালবাসায় আমাদের ছোট নীড়
হবে বিশ্বের সপ্তার্চাাসযের এক নম্বর আর্শ্চায।
যৌবনের ঊষা লগ্নে তুমি দেখালে আমায়
রোদেলা এক দিনের স্বপ্ন ।দু’টি দেহে
একটি প্রাণ-রবি উঠেছে যেমন পূবাকাশে
দিনের শেষে পশ্চিমাকাশে অস্ত যায় যেন এক সাথে ।”
এই ভাবে কত স্বপ্নের বীজ বুনতে থাকে প্রেয়সী তার
হৃদয়-কাননে, কত রঙিন ফুলে ফুলে সাজায় অবুঝ মন্তর
কত স্বপ্ন দোলায় দোলে সবুজ বনানী
কত স্বপ্নের রোদ উঠে হৃদয়াকাশে, কত রঙের
পাল তুলে মেঘ ভেসে বেড়ায়, কখনও প্রেমিকের
প্রতীক্ষায় দু’চোখ হতে বৃষ্টি ঝরে পড়ে । এক একটি
চিঠি কত শত প্রেমের মালিকায় গাঁথামালা, কত স্বপ্ন
আর প্রতিশ্রুতির সাক্ষর হয়ে করে হৃদয়ের লেন-দেন ।
কবে ফাগুন আসবে, সাজবে ধরা নতুন সাজে
মেহেদী রাঙা হাতে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে
আলতা-চরণ ফেলবে ভালবাসা ঘেরা বাসর ঘরে ।

ফাগুন আসে, বনে বনে বসন্তের সাজে বৃক্ষরাজি;
কিন্তু তার প্রিয়ের দেখা নাই, প্রাণ আনচান করে
প্রতীক্ষার র্দীঘপথ হামাগড়ি দিয়ে পাড়ি দেয় এক একটি দিন ।

ফাগুনের কোন এক দুপুরে রানার আসে শত কথার
ঝুলি কাঁধে নিয়ে । নীল খাম ছিঁড়ে বের করে নীল চিঠি
আনন্দে নেচে উঠে সাথী, বুকে চেপে ধরে আর সবুজের দেওয়া
প্রথম চিঠির কথা মনে করে হারিয়ে যায় কল্পলোকে ।
সম্বিত ফিরে তাকায় চিঠির দিকে । না, এতো
চিঠি নয়! একটা র্কাড! বিয়ের নিম্নত্রণ-পত্র!
চোখ বেয়ে অশ্রু নামে, গড়ে নদী
বুকে উত্তাল ঢেউ । ঘৃণা আর কষ্টে
উচ্চারিত হয় একটা শব্দ-‘বিশ্বাসঘাতক!’

মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১১

তবু স্বপ্ন বুনি

তবু স্বপ্ন বুনি সেপ্টেম্বর ১১, ২০১0

অমাবস্যার রাতে চাঁদকে
 খোঁজা বোকামী ছাড়া কিছু নয়
 যে কষ্ট দিয়ে চলে যায়
 তাকে মনে রাখার মতোই।
স্বপ্ন হারিয়ে যায়,
 তবু আমরা বুনি নতুন স্বপ্নের বীজ
 সেই স্বপ্ন হয়ত একদিন ভেঙ্গে যাবে
 আর আমরা নির্বোধেরা
 আবার স্বপ্নের বীজ বপন করি
 স্বপ্নের মাঝে বাঁচতে চাই বলে।
মরণ তো জীবনে একবারই হয়
 বিশ্বাসঘাতকতার আঘাতে বার বার
 আমরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করি,
 তার পরেও আমরা বেঁচে থাকি
 নতুন বিশ্বাসের ভরসায়,
 নতুন জনমের আশায়।
একটা হৃদয়কে কতোবার আর খন্ডিত করা যায়
 যতোবারই খন্ডিত হোক না কেন
 এই হৃদয় একটাই থাকে,
 ভালবাসা হয়ত বহুবার সেই হৃদয়ে কড়া নাড়ে
 শুধু সময়ের কাছে হেরে যায় ভালবাসার সত্যিকার অর্থ।

ক্লান্ত দুপুর

ক্লান্ত দুপুর
______________



রোদ ঝিলিমিলি আকাশে সাদা মেঘ ভাসে পাল তুলে
 অলি গুঞ্জন করে ফুলে ফুলে, প্রজাপতি উড়ে ডালে ডালে
 উদাস এ দুপুরে রাখালী সুরের র্মূছনায়
 চলো হারাই দু’জন দূর কোন অজনায় ।


শাপলা, কলমী ভাসে দীঘির জলে
 হংস-হংসী ক্লান্ত আঁখিতে ঘুমায় এক পা তুলে
 দক্ষিণা পবনের শীতল আবেশে মন উছলায়
 নিঝুম দুপুরে ভাসি চলো প্রেমের খেয়ায় ।

তোমায় খুজি












তোমায় খুজি 
ডিসেম্বর ০৪, ২০১১ 




হিমহিম শীতের সকালে তোমায় খুজি
 একটু উষ্ণতা পাওয়ার জন্যে,
 তুমি চাদর হয়ে জড়িয়ে রবে
 আমার অঙ্গ জুড়ে।

খালি পায়ে শিশির ছুঁয়ে তোমায় খুজি,
 শিহরন বয়ে যায় আমার স্বত্তায়,
 শিশিরের বিন্দু কণায় তোমাকে দেখতে চাই
 ঠান্ডা একটু পরশ যদি তুমি দিয়ে যাও আমায়।

ঝরে পড়া শিউলি ফুলের মাঝে তোমায় খুজি
 গেথে মালা পথ চেয়ে রই,
 তুমি আসবে কাছে পড়বে মালা
 কাছে টেনে নিবে আমায়।

যতোই তুষার ঝরে পড়ুক
 ঢেকে যাক সব কিছু শুভ্রতায়,
 শিউলি শুকিয়ে পড়ে থাক ধূলিতে,
 শিশির বিন্দুগুলো গলে মিশে যাক মাটিতে,
 তবু, তোমাকে আমি খুজি ফিরি তাদের মাঝে
 শুধু পেতে স্বগীর্য় ভালোবাসা তোমার কাছে
 জানিনা, সেই তুমি আজ হারালে কোথায়।

বিচিত্র মন ...

বিচিত্র মন
 ডিসেম্বর ০৬, ২০১১


প্রতিটি ভোরের আলোর সাথে,
 আঁধার মনের লড়াই বাধে।
 প্রতিটি সাঝের আঁধার ঘিরে,
 আশাবাদী মন সাধনা সাধে।

প্রতিটি শিশির ফোটার সাথে,
 পাপী মনের পাপ ক্ষুয়ে যায়।
 
প্রতিটি ফুলের কলির সাথে,
 ভ্রমর মনের প্রেম ছুয়ে যায়।
প্রতিটি মেঘের দলের সাথে,
 উদাসী এ মন যায় উড়ে যায়।
 প্রতিটি স্রোতের তালে তালে,
 উতলা এ মন যায় ভেসে যায়।


প্রতিটি জলের কণার সাথে,
 বিরহী মনের দুঃখ ঝরে।
 প্রতিটি পাথর নুড়ির সাথে,
 শোকাহত মন সখ্য গড়ে।

প্রতিটি দিনের সাথে সাথে,
 নতুন কিছু স্বপ্ন জাগে।

 প্রতিটি রাতের সাথে সাথে,
 স্বপ্নগুলো অচিন লাগে।

তবুও প্রতিটি প্রহর জুড়ে,
 বিচিত্র এ মন স্বপ্ন দেখে।
 মনের এহেন চিত্র নিয়ে,
 ভাবুক এ মন পদ্য লেখে।

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১১

পিছু ফিরে চেয়ো না ....


পিছু ফিরে চেয়ো না

অক্টোবর ২৭, ২০১১

(উৎসর্গঃ- “রুকসানা রুকু”,যাকে ভালোবেসেছিলাম।কিন্তু কখনো বলা হয়নি।অথচ সে বলেছিল,তবে কখনো ভালোবাসেনি)
 আবার কখনো যদি,
 পিছু ফিরে চাও।
 পাড়ি দেয়া পথ মাঝে,
 স্মৃতি খুঁজে পাও।
দেখবে নিঃস্ব আমায়,
 ব্যাকুল উদাস বেশে।
 নিয়তির স্মৃতি বাহী,
 রুক্ষ এলো কেশে।
হয়ত জাগবে দয়া,
 জাগবে অতীত কথা।
 হৃদয়ের কোনো কোনে,
 জাগবে পুরনো ব্যাথা।
হাজার স্মৃতির পাতা,
 ঝরবে জঁবা হয়ে।
 মাতাল বোশেখী ঝড়,
 আচমকা যাবে বয়ে।
ভিজবে গাল দু’টো,
 নোনা জল বহতায়।
 ডুবে যাবে প্রেম আর-
 বিরহের মোহনায়।
তার চেয়ে এই ভাল,
 পিছু ফিরে চেয়ো না।
 আমার ধ্বসে যাওয়া,
 স্মৃতি টুকু নিয়ো না।
আমিও চাইনা তোমায়,
 জীবনের এই পথে।
 চলে যাও নিভৃতে,
 আগামীর দূর রথে।
আমার আমাকে তুমি,
 ছেড়ে দাও শুণ্যে।
 আমি থাকি পাপে আর-
 তুমি বাঁচো পুণ্যে।
যত ভুল অপরাধ।
 দায় সব আমারি।
 তুমি সদা নিষ্পাপ,
 আধ ফোটা পাপড়ি।
অযথা ভুলে তাই,
 পিছু ফিরে চেও না।
 আমার বিষাদ পথে,
 স্মৃতি খুঁজে নিও না।

কে তুমি ....

কে তুমি
 অক্টোবর ১২, ২০১১

১।
 কে তুমি বিলাসী নিখাদ?
 কিসের আশায় মেঘলাকাশে,
 খুঁজে ফির ওই চাঁদ।

আধারে কিসের ভয়?
 আলোতে অহমিকা বিম্ব ফেলে,
 কোথা খুঁজো আশ্রয়?

ফুল না কবিতা তুমি?
 কোনটি তোমার শেকড় কানন,
 কোথায় স্বপ্নভূমি?
 ২।
 কে তুমি আড়ালে বসে?
 নেড়ে নেড়ে এ মনের দুয়ার,
 আমায় রেখেছ বশে।

কি সুখ তোমার মনে?
 আমায় অমন উদাস করে,
 আধাঁরী এ নির্জনে।

ভীতু না সাহসী তুমি?
 জাগরণে নয় স্বপ্নে কেন,
 নিত্যই যাও চুমি?
 ৩।
 কে তুমি সাহসী নীরব?
 নীরবাচলে নিত্য কেন,
 ঢেকে দাও কলরব?

কিসের হেয়ালী নেশায়,
 আমায় নিয়ে মেতেছ অমন,
 আলো-আধাঁরী হেলায়?

প্রেম না বিরহ তুমি?
 ফুল না কাঁটা কোনটি হাতে,
 কোনটি নেব আমি?
 ৪।
 কে তুমি গোধুলী প্রভা?
 কিসের ভ্রমে মেখেছ গায়ে,
 উদয় কিরণ আভা?

কেনই আড়াল থেকে?
 আমায় ডাকো শব্দ-সুরে,
 চিত্র একেঁ একেঁ।

সুখ না তুমি দুখ?
 বিবর্তনের কোন আয়নায়,
 দেখব তোমার মুখ।
 ৫।
 কে তুমি মন্ত্র মায়া?
 অস্তাচলের ক্ষীনালোকে,
 কোথায় তোমার ছায়া?

কোথায় তোমার বাস?
 কোথায় তোমার শেকড় বাধা,
 কোথায় সর্বনাশ?

ধ্বংস নাকি সৃজন?
 গোলক ধাঁধার কোন ফ্রেম এ,
 চলছে তোমার জীবন?
 ৬।
 কে তুমি আলো-ছায়া?
 সাঝের আলোক বসনে তোমার,
 ছড়িয়েছে কোন মায়া?

কিসের মায়াবী জালে?
 নিত্য আমায় বাধনে বাধো,
 নিপুণ ছকের চালে।

লাভ নাকি লোকসান?
 কোনটা পাব বেলা শেষে,
 থামবে যখন গান?

শনিবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১১

Saathiya - Singham (2011) full song HD


Bheegi Bheegi - Gangster (HD) 2


Bheegi Bheegi - Gangster (HD)


Zeher - Woh Lamhe (HD)


Zeher - Woh Lamhe


Agar Tum Mill Jao (HD)


DJ RIDWAN


Aa Dil Se Dil Mila Le (Naqaab) | Full Song


ek din tari


dj ridwan


এত দিন কোথায় ছিলে



এত দিন কোথায় ছিলে

তুমি ফিরে তাকালে



তুমি ফিরে তাকালে 

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১১

মাধবীলতার পতিতা জীবন

মাধবীলতার পতিতা জীবন
অক্টোবর ১৯, ২০১০

মাধবী লতার এখন ব্যস্ত সময়,
 সস্তা মেকাপ আর আটোঁ পোশাকে রুপান্তরের পালা।
 সন্ধ্যাক্ষনটা যে কেনো এতো ছোট হয়…
 ঈশ্বরের প্রতি মাধবীর বিড়বিড়ে অসন্তোষ।

সূর্যাস্ত মুহুর্তের আজান বা উলুঁ ধ্বনি,
 কোনোটাই তার মাঝে আবেদন আনতে পারেনা।
 একটু পরই পথে নামবে মাধবী লতা।
 আরো অনেকেই নামবে,নামে বা বেনামে।
 আপাত ভদ্র নগরীর একটি অভিজাত কোন,
 তখন থেকে সারারাত তার আভিজাত্য হারাতে থাকবে।

ঈশ্বর সৃষ্ট আদিম জৈব তাড়না,
 তাঁরই বিরুদ্ধ পাপের ভাগাড় পূর্ণ করবে।
 মাধবী লতারা শুধূ পাথেয় হবে তাতে।

প্রশাসক,প্রকাশক আর প্রশিক্ষক থেকে শুরু করে,
 ছাত্র হুজুর বা নেহায়েত দিন মজুর,
 কেউ বাদ যাবেনা এই রিপু নাস্তি যাত্রা হতে।
 পাপের অভিযাত্রায় ধর্ম-বর্ণের অভূত সাম্য,
 আগামীর মহাত্মাদের পাপী হতে উৎসাহ জোগাবে।

মাধবী লতার অকাল পতিত যৌবন কিংবা,
 সস্তা সাজে সিনড্রেলা হবার ব্যর্থ প্রয়াস,
 কোনোটাই লোলুপ দৃষ্টিগুলোকে কাছে টানার যোগ্য নয়।
 তবু তারা আসে,তাদের আসতেই হয়।
 ঘরে সুন্দরী বউ রেখে,
 মাধবী লতার বয়সী কন্যা বোন বা,
 কেউ কেউ নাতনীর সাথে দু’দন্ড কথা বলে আসে।

শুরু হয় দর কষাকষি।
 মাছ বাজারের মতই ভীড় জমতে শুরু করে।
 শুধূ থাকে না হল্লা আর মাছির ভন ভন।
 অঙ্গ সৌষ্ঠব,কন্ঠের তারল্য ও-
 দালালের ধূর্ততা আর অপ্রাসঙ্গিক তাড়ায়,
 অপাত্রে উত্তাপ দমনে পাগল হয়ে উঠে পঙ্গপালের দল।

মাধবী লতারা যেনো এক একটি অগ্নি গোলক।
 নির্বিকার চিত্তে মোহিত কীট গুলোকে পুড়িয়ে মারে।
 নৃত্য ক্লান্ত নর্তকের অবসাদ শুরু হবার আগেই,
 নর্তকী তার প্রসাদ আদায় করে নেয়।
 খুলে ফেলা মুখোশটা ঠিক ঠাক করে নিয়ে,
 ঠিকানা মুখী হয় বানচোঁত বীর্যহারার দল।

মাধবী লতারা শুধূ দু’ দন্ড জিরিয়ে নেয়।
 এক খন্ড নেকড়া আর দু’ মিনিট সময়,
 সদ্য সিক্ত স্মৃতি মুছে ফেলতে তার এই যথেষ্ট।

কারন,তাকে আরো খদ্দের ধরতে হবে।
 রাত পোহাবার আগেই আগামীকালের স্বপ্ন বাচাঁতে হবে।
 রুটি রুজি আর মাথা গোজার ঠাঁইয়ের জন্য,
 আরো বেশ ক’বার পতিত হবে তার দেহের ভারটুকু।
 বহুগামীদের গমনে গমনে ক্রমে,
 আগামীকাল নিশ্চিত হবে মাধবী লতার।

কে আছে জেগে


 কে আছে জেগে
নভেম্বর ১৮, ২০১১

কে আছে জেগে নিশুতি রাতে,
 দেখছে আকাশ উদাস মনে।
 মেঘের ফাকে চাঁদের আলো,
 রূপ ছড়ায় দূর কাশবনে।


দখিন দুয়ারে জ্বলছে পিদিম,
 নিভু নিভু করে হাওয়ার তোড়ে।
 ঘুমন্ত নগরীর স্বপ্নগুলো,
 মেঘের ভেলায় যাচ্ছে উড়ে।


কে আছে জেগে মধ্য রাতে,
 খোলা জানালায় নিঃস্ব হয়ে।
 বৃক্ষলতায় নীরবতা ছাওয়া,
 কলকল স্রোত যাচ্ছে বয়ে।

মিটিমিটি হাসে তারকারাজি,
 জোনাক জ্বলে স্নিগ্ধ প্রভায়।
 

থেমে থেম বাঁশীঁর আর্তনাদে,
 কে হানে আঘাত নীরবতায়।

কে আছে জেগে নিঝুম রাতে,
 স্মৃতির পাতা হাতড়ে বেড়ায়।
 স্বপ্নহারা অশ্রু নিয়ে,
 কে আছে জেগে আলো বা ছায়ায়।


কে আছে জেগে শূন্য শিয়রে,
 প্রতীক্ষারই নীল লগনে।
 আশার ঘরে প্রতিমা গড়ে,
 কে আছে জেগে নিজ ভূবনে।


এই কবিতার প্রতিউত্তর ”আমি জেগে ছিলাম” পোষ্ট দিব।

আমি জেগে ছিলাম ...


আমি জেগে ছিলাম নভেম্বর ১৯, ২০১০

রাত্রি যখন তৃতীয় প্রহর,
 হারিয়ে আলো আঁধার মেঘে।
 আলোর পিছু ছুটছে আঁধার,
 তখনো আমি ছিলাম জেগে।

তেতুঁল বনের আঁধার ছায়ায়,
 মিলিয়ে যখন শেষ নিশাচর।
 তখনো আমি জেগেই ছিলাম,
 চাঁদের যখন মুক্ত প্রহর।

জোনাক জ্বলা সন্ধ্যা যখন,
 গড়িয়ে নিঝুম রাত্রি গভীর।
 ঠিক তখনো জেগেই আমি,
 চাঁদ বিলাসীর জন্য অধীর।

চাঁদের ছায়ায় বিলের জলে,
 লাল পদ্মের রুপ রুপান্তর।
 জেগে ছিলাম বিলের ই পাড়ে,
 যুগ হতে যেনো যুগ যুগান্তর।

লালিমা ছোয়া শেষ রজনীর,
 বিষাদে যখন দিগন্ত লাল।
 তখনো আমি জেগে ই ছিলাম,
 উড়িয়ে হাওয়ায় স্বপ্ন পাল।

তোমারি মত আমিও রাতে,
 জেগে ই ছিলাম একলা ঘরে।
 যোজন দূরের জীবন পথে ও,
 রাত্রি মোদের মিলিত করে।

প্রয়োজন্ -৩

প্রয়োজন্ -৩
      ডিসেম্বর ০১, ২০১১
সময় থমকে গেছে,কিংবা যাচ্ছে বা যাবে।
 আমরাও ইতিমধ্যে নিজেদের বিকলাঙ্গ ভাবতে শুরু করেছি,
 অথবা অচিরেই ভাবতে পছন্দ করব।
 আমাদের বৃদ্ধরা আটকে গেছে,
 নিদারুন হতাশার নীল জালে।
 বৃদ্ধারা অতীত রোমন্থন আর অন্ধ আনুগত্যে।
 পুরুষেরা বন্দি হয়ে আছে,
 লোভ্,লিপ্সা,রিপু,আর তাড়নার নোংরা খাঁচায়্।
 নারীরা শয্যাদান্,গৃহ সজ্জা আর কুৎসায়্।
 যুবকেরা বিদ্যা,প্রেম্,নেশা আর উত্তর আধুনিকতার বেড়াজালে।
 যুবতীরা ভ্রমর বিলাস আর মুঠোফোন বৃত্তে।
 কিশোরেরা গাছাড়া মিথ্যে অহমিকায়্ ডুবে।
 কিশোরীরা ছান্দসিক নিতম্ব আর উন্নত বক্ষ ভাবনায়্।
 বালকেরা কল্পনার স্পাইডার ম্যান বন্দনায়্।
 বালিকারা বিদেশী সুর আর নৃত্য ধারায়্।
 শিশুরা পড়ে আছে অবাক বিড়ম্বনায়্।
 
 শুধু বেঁচে ও জেগে আছে,
 কবি নামীয় কিছু অশুদ্ধ প্রাণ্।
 যারা কিনা বিকলাঙ্গ সত্বাটাকে,
 খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে ত্যাক্ত করে।
 অযথাই জাগিয়ে তোলার ব্যার্থ চেষ্টা করে।
 কাগজ্,কলম আর বেকার সময় ক্ষেপনের সমন্বয়ে,
 নিজেদের অশুদ্ধ সত্বাটা তুলে ধরে।
 
 তাই বলি সময় থমকে গেছে এখন এখানে।
 যেমন থমকে আছে নষ্ট ঘড়ির কাটা।
 তারো আগে থমকে গেছি আমি-আমরা বা তুমি-তোমরা।
 অথবা থমকে গেছে ষোলো কোটি বিবেক্।
 একাত্তর থেকে এগারো,চল্লিশ বছরে,
 বেড়েছে কেবল আমাদের হাত্,পা বয়স আর প্রজনন ক্ষমতা।
 বাদ বাকী থমকে আছে আত্বা বা বিবেক্।
 
 অশুদ্ধজন কবিদের মতে তাই,
 আরো একটি যুদ্ধ বা সংগ্রাম প্রয়োজন্।
 প্রয়োজন আরো একটি সাতচল্লিশ্,বায়ান্ন বা একাত্তর্।
 প্রয়োজন একটি একুশ্,ছাব্বিশ বা ষোলো।
 
 সেই সাথে প্রয়োজন আরো একটি বিপ্লব বা জাগরন্।
 কিংবা সহজ ভাষায় একটি বিস্ফোরন।
 
 থমকে থাকা সময় বা বিকলাঙ্গ সত্বা।
 বাধার দ্বি-মুখী বিন্ধ্যাচল ভাঙতে,
 আরো কিছু বাধ ভাঙা কবিতার প্রয়োজন্।
 
 লিখনকাল রাত ১২:১২, ০৪/০৭/২০১১

আরেকটি ডিসেম্বরের প্রথম প্রভাতে

আরেকটি ডিসেম্বরের প্রথম প্রভাতে
ডিসেম্বর ০১, ২০১১ 


একটি রক্তজবা হাতে নিয়ে মা বললেন, আজ বৃষ্টি হবে। ভিজে যাবে
সবটুকু সবুজ জমিন। ঘেরুয়া নদীর জল থেকে রক্তবাষ্প উড়ে দেবে
জানান, এই মাটিতে আততায়ী রাত নেমেছিল। হায়েনা পিশাচদের
উল্লাস কাঁপিয়েছিল এই আকাশ। সূর্যের পরিণত ঘর। মানুষের বিত্ত
বিবর। আর লুকিয়ে থাকার সাঁকো খুঁজে শরণার্থী তরুণ-তরুণী
গিয়েছিল উত্তরের বাঁকে। অগ্রজ পূর্বসূরীর হাতের লাঠি গর্জে উঠেছিল
‘থামো ঝড়, থামো বজ্র’ এমন আওয়াজে।

সেই প্রভাতে আমি ছিলাম মায়ের বাম হাত ধরা অবুঝ বালক। বালিকা
বোনটি কেঁদেছিল,’বাবা ,বাবা ‘-বলে।

বাবা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। একটি গ্রেনেড চার্জ করতে গিয়ে উড়ে গিয়েছিল
তার ডান হাত। তাই নিজ ডানহাতটিকে ভয়ে লুকিয়ে রাখতেন
আমার মা। আর বলতেন, দেখিস- আমার হাতটা যেন কেউ না দেখে।

তার ভয় ছিল খুব। বাবার হারানো ডানহাতটিকে তিনি মনে করতেন
নিজের হাত। বাবার চোখগুলোকে মনে করতেন নিজের চোখ।

সেই প্রভাতে আমার মায়ের নিজস্ব কোনো দৃষ্টি ছিল না। বৃষ্টি আসবে বলে
সকল মুক্তিযোদ্ধার দৃষ্টি দিয়ে তিনি তাকিয়েছিলেন আকাশের দিকে।

আর বলেছিলেন, বৃষ্টি আসুক। তবু মুছে যাবে না এই বাংলা থেকে
থোকা থোকা রক্তগোলাপের দাগ।