[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ২৯ মে, ২০১২

এলোমেলো চিঠি



এলোমেলো চিঠি


মে ২৭, ২০১২ |

প্রিয় জয়ীতা,

আজ খুব ভোরে ঘুম ভেঙে গেল। বিছানায় উঠে বসতেই প্রচন্ড ঘামছিলাম। স্বপ্নে এলোমেলো কিছু একটা দেখেছি বেশ বুঝতে পারলেও, কি দেখেছি তা ঠিক মনে করতে পারছি না। তবে তাতে তোমার উপস্থিতিটা ঠিক টের পাচ্ছি।
এলোমেলো কেন বললাম?
আমার সব কিছুইতো এমনই। জোরকরে মেলানো যায়ন।

পশ্চিমের জানালা দিয়ে আলো এসে মসৃন মেঝেকে আরো উজ্বল করেছে। আর তার উপর কৃষ্ণচুড়ার দূর্বল ডাল গুলোর ছায়ার দুলুনীটা অদ্ভূত দেখাচ্ছে। প্রতিটা সকাল সত্যিই অনেক সুন্দর হয়ে আসে আমাদের জীবনে। যদিু অনেকে তা মানতে পারেনা। হয়তোবা মানতে চায়না। কিংবা এই না মানার বিপরীতে কোন অভিমান বা ভালোলাগা কাজ করতে পারে।
ধুর…… কি সব বক্ছি বলতো !! আমার মাথাটা না, একদম গেছে।
গতকাল রবিনদের বাড়ির পাশদিয়ে যাবার পথে তাদেও বাতাবিলেবু গাছে জোড়া-শালিক চোখে পড়ল। থমকে দাড়িয়ে মনোযোগ দিতেই, জোড়া উধাও।
ভাবলাম ঠিকইতো আছে। অন্যের বেলায় যাইহোক, অন্তত আমার জীবনে জোড়াশালিক দেখিয়ে সুখ আনাটা আম্ভবই বটে।
ছেলেমানুষি..?
হে…..মাঝেমাঝে করি। তবে লোকচক্ষুর আড়ালে। বিশেষ করে তোমার সেখানো গুলি। এইযে জোড়াশালিকের সুখ….!!!

আমার জানালায়…..দুটো কোউটোয় রাখা খাবার আর পানি, দিনের শেষে এখন একি রকম থেকে যায়। চড়ূই পাখি গুলো এখন আর আসেনা….!!! তবু প্রতিটি দিনের শুরুতে আমি নুতন করে কোউটো গুলো সাজিয়ে দেই। তাদের ফেরার আশাটাকে বাঁচিয়ে রাখি।
যাইহোক, এবার তোমার কথা বল।
পমি কি এখনো অপরিচিত কাউকে দেখলে তেড়ে আসে…?
কটা জমলো, নইল-পলিশের কোউটো…?
নিশঃপ্রাণ গন্ধরাজ ফুলের গাছটার কি হাল, প্রাণ সঞ্চার করতে পেরেছ…?
আর….টেবিল-ল্যাম্প এর সেই অলো-আধারীর খেলাটা…….কি, এখনো চলে…?

লিখবেনা জানি। তাই উত্তর গুলো বলছি, মিলিয়ে নিয়ো।
হ্যা, পমি এখনো অপরিচিত কাউকে দেখলে তেড়ে আসে।
নিয়মের খুবএকটা হেরফের না হলে, এখন পর্যন্ত নেইল-পলিশের কোউটোর সংখ্যা ১৩৩।
না, গন্ধরাজ ফুলের গাছটাতে এখনো প্রাণ ফেরেনি।
আর……টেবিল-ল্যাম্প এর সেই অলো-আধারীর খেলাটা, তুমি কখনোই ছাড়তে পারবেনা।

আজ এইটুকুই। এর চেয়ে বেশী তোমাকে আর বিরক্ত করতে ইচ্ছে করছে না।
ভালো থেকো, অনেক অনেক ভালো।


ইতি………..

পুনশ্চ : পাশের বাড়ির আংকেল এখনো অনেক রাত করে ঘরে ফিরে আন্টির সাথে ঝগড়া করে। দিপা নিয়ম করে এখেনো তার প্রিয় গোলাপের গাছটাকে দিনে দুবার চায়ের লিকার খাওয়ায়। সোহেল ভাই আর সায়মা আপুর সম্পর্কটা এখনো টিকে আছে। পদ্মপুকুর পারের বৃদ্ধ আমগাছটার গায়ে লিখা তোমার আর আমার নামটা মুছে যায়নি জানি। শুধু…আমাদের মাঝখানটার দূরত্ব আর কতখানি বাড়লো তা ঠিক বলতে পারছিনা।

নীলিমা তোমার চোখে জল



নীলিমা তোমার চোখে জল

মে ২৭, ২০১২ |

             নীলিমা তোমার চোখে জল!
       আমার শিরায় শিরায়
মিশে আছো তুমি চিরন্তন।

                  নীলিমা তোমার চোখে জল!
            রাতের আকাশ মেঘে ভরে যায়
      ওঠে না কোন জোছনা
   তোমার জন্য করতে পারি
নতুন দিনের সূচনা।

       আধাঁর রাতে চলতে পারি
         ঝড়ের বেগে উরতে পারি
           হতে পারি একমুঠো জোছনা।


      নীলিমা তোমার চোখে জল!
       কে আগুন ধরিয়ে দিলো
         শীতল কোমল মনে?
            অগ্নিগিরি ঝলসে ওঠে
                 তোমার চোখের জলে।

পাহাড় সরিয়ে করবো সমুদ্র
    সমুদ্র সরিয়ে ঘন বন-জঙ্গল
       কে করবে তোমার অমঙ্গল!
         নীলিমা তোমার চোখে জল!
           অগ্নিগিরি হয়ে ওঠেছে
             তোমার কিছু ব্যথা
               অ্যান্টাক`টিকা হতে পারি
            বলছো না কেন কথা?
        নীলিমা তোমার চোখে জল!
     অন্ধকারের গভীরতা হবে আর কত
   তোমার জন্য ছিনিয়ে আনতে পারি
রক্তিম লাল সূয`।

                 নীলিমা তোমার চোখে জল!
            আলোর বেগে চলতে পারি
         আমার গতি পথ
     কি এমন ঝড়ে তোমার
 পড়ছে চোখের জল?
     

       নীলিমা তোমার চোখে জল!
    নীলিমা তোমার চোখে জল!
 নীলিমা তোমার চোখে জল!



______________________________________________________________________________________

রিমঝিম ( RIMZHEM )



রিমঝিম
রিমঝিম রিমঝিম বৃষ্টি এলো,
আকাশ জুড়ে মেঘের মাতন,
পাতায় পাতায় জলের নাচন,
চমকে হাসে চমক আলো।


আহা মজা, কি যে মজা
স্কুল নেই,নেই যে বাড়ীর কাজ,
আনন্দেরই ধুম লেগেছে,
সারা পাড়া গায়ঁ,
আজকে দিনে,কেবল মনে মনে,
মেঘে মেঘে ভেসে ভেসে চলা।


বৃষ্টি এলো,ঘাসে ঘাসে, ঘাসের ডগায়,
পুকুর জলে বৃষ্টি পড়ে
টুপুর,টাপুর,গানের সুরে
জলের নুপুর বাজায় পায়েল পায়।


ব্যাঙ গুলো ঐ ডাকছে জলে,
ঘ্যাগর, ঘ্যাগর , ঘ্যাগর ঘ্যাংঙ
হাসের ছানা উঠুন জুড়ে,
কাদাঁজলে করছে খেলা,
ডাকছে কেবল প্যাক প্যাক,
পিছলে পড়ে ভাঙলো বুঝি তার ঠ্যাংঙ,
বিড়াল ছানা ঘুমায় দেখ আরাম করে,
উনুন তাপে মুখটি গুজে।


জল জঙ্গলে জল,
থৈ থৈ একাকার,
সাধ্য কার আজ যায় যে ঘরের বার,
ছেলেমেয়ে দাওয়ায় এসে
খেলছে মিলে এক্কা দোক্কা চার।।


Woh Ladki Bahut Yaad Aati Hai





সোমবার, ২৮ মে, ২০১২

সে কথা- না বলা থাক.....




সে কথা- না বলা থাক

দেখছি
কুমিরছানা গুলোকে ধূর্ত শিয়াল
একে একে উদরে নিচ্ছে;
আর একটাকে জিইয়ে রেখে
সেটাকেই বারবার দেখাচ্ছে বোকা কুমিরকে।

বাহ! কি সুন্দর!

দেখছি
কাকেরা দিব্যি চোখ বুঁজে
তাদের ধন সম্পদ লুকিয়ে রাখছে;
অথবা এদিক সেদিক পারাপার করছে
আর ভাবছে কেউ তা দেখছেনা।

বাহ! কি চমৎকার!

দেখছি
সব ডানা ভাঙ্গা পাখিরা এখন
বসে বসে কোকিলের ডিমে তা দিচ্ছে;
আর কোকিলেরা দিব্যি উড়াউড়ি করছে
মুক্ত গনতন্ত্রের মুক্ত আকাশে।

বাহ! কি আনন্দ!

দেখছি আদম সন্তানদের কুমিরছানার মত অবস্থা;
দেখছি বোকা কাকের সর্বত্র আধিপত্য বিচরণ;
দেখছি ডানা ভাঙা পাখিদের অসহায়ত্ব;
ভাবছি কবে হবে আমাদের …………………
না থাক; সে কথা না-বলা থাক।


এমনকি রাতে ঘুমানোর সময়েও...!



এমনকি রাতে ঘুমানোর সময়েও...!

 মে ২৩, ২০১২ 


সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যখন অফিসে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকি, ঠিক তখনই চলে যাবে বিদ্যুৎ!
প্রচণ্ড গরমে বাসে উঠে গাদাগাদি ঠাসাঠাসি ভিড়ে জ্যামে বসে যখন ভাবতে থাকি অফিসে পৌঁছে বিদ্যুৎ পাবতো? হয়তোবা পাই, কিন্তু গায়ের ঘাম শুকাতে না শুকাতেই সেটা চলে যায়! এভাবে সারদিন আসা – যাওয়া আর যাওয়া – আসা খেলা চলতে থাকে।
এরপর একইভাবে অফিস থেকে বাসায় ফেরার সময় ঘর্মাক্ত শরীর নিয়ে যখন ভাবতে থাকি বাসায় গিয়ে পাবতো? কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালি। ঘাম শুকানো দূরে থাকুক, তা আরও বাড়তে থাকে…!
তারপর চিন্তিত হয়ে রাতের খাবার খেতে বসি। বিদ্যুতের আলোয় খেতে পারবতো?
আর সবশেষে যখন সারাদিনের ক্লান্ত শরীরকে একটু আরাম দেওয়ার জন্য বিছানায় গা এলিয়ে দেই, ঠিক তখনি আবার চলে যাবে বিদ্যুৎ…!
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে বলেছিলেন গাছ লাগিয়েছি, ফল পাবেন। সাড়ে তিন বছর অতিবাহিত হওয়ার পর আমার প্রশ্ন সেই গাছ কই আর সেই গাছের ফল কই? নাকি ডেস্টিনির গাছ বাগান প্রতারণার মত প্রধানমন্ত্রীর গাছ আর ফলের কথা গুলোও আমাদের সাথে প্রতারণা…?

অবশেষে গতকাল কিনেই ফেললাম একটা। এখন একমাত্র ভরসা আই পি এস। সেটা থাকাতেই রক্ষা।