এলোমেলো চিঠি
মে ২৭, ২০১২ |
প্রিয় জয়ীতা,
এলোমেলো কেন বললাম?
আমার সব কিছুইতো এমনই। জোরকরে মেলানো যায়ন।
পশ্চিমের জানালা দিয়ে আলো এসে মসৃন মেঝেকে আরো উজ্বল করেছে। আর তার উপর কৃষ্ণচুড়ার দূর্বল ডাল গুলোর ছায়ার দুলুনীটা অদ্ভূত দেখাচ্ছে। প্রতিটা সকাল সত্যিই অনেক সুন্দর হয়ে আসে আমাদের জীবনে। যদিু অনেকে তা মানতে পারেনা। হয়তোবা মানতে চায়না। কিংবা এই না মানার বিপরীতে কোন অভিমান বা ভালোলাগা কাজ করতে পারে।
ধুর…… কি সব বক্ছি বলতো !! আমার মাথাটা না, একদম গেছে।
গতকাল রবিনদের বাড়ির পাশদিয়ে যাবার পথে তাদেও বাতাবিলেবু গাছে জোড়া-শালিক চোখে পড়ল। থমকে দাড়িয়ে মনোযোগ দিতেই, জোড়া উধাও।
ভাবলাম ঠিকইতো আছে। অন্যের বেলায় যাইহোক, অন্তত আমার জীবনে জোড়াশালিক দেখিয়ে সুখ আনাটা আম্ভবই বটে।
ছেলেমানুষি..?
হে…..মাঝেমাঝে করি। তবে লোকচক্ষুর আড়ালে। বিশেষ করে তোমার সেখানো গুলি। এইযে জোড়াশালিকের সুখ….!!!
আমার জানালায়…..দুটো কোউটোয় রাখা খাবার আর পানি, দিনের শেষে এখন একি রকম থেকে যায়। চড়ূই পাখি গুলো এখন আর আসেনা….!!! তবু প্রতিটি দিনের শুরুতে আমি নুতন করে কোউটো গুলো সাজিয়ে দেই। তাদের ফেরার আশাটাকে বাঁচিয়ে রাখি।
যাইহোক, এবার তোমার কথা বল।
পমি কি এখনো অপরিচিত কাউকে দেখলে তেড়ে আসে…?
কটা জমলো, নইল-পলিশের কোউটো…?
নিশঃপ্রাণ গন্ধরাজ ফুলের গাছটার কি হাল, প্রাণ সঞ্চার করতে পেরেছ…?
আর….টেবিল-ল্যাম্প এর সেই অলো-আধারীর খেলাটা…….কি, এখনো চলে…?
লিখবেনা জানি। তাই উত্তর গুলো বলছি, মিলিয়ে নিয়ো।
হ্যা, পমি এখনো অপরিচিত কাউকে দেখলে তেড়ে আসে।
নিয়মের খুবএকটা হেরফের না হলে, এখন পর্যন্ত নেইল-পলিশের কোউটোর সংখ্যা ১৩৩।
না, গন্ধরাজ ফুলের গাছটাতে এখনো প্রাণ ফেরেনি।
আর……টেবিল-ল্যাম্প এর সেই অলো-আধারীর খেলাটা, তুমি কখনোই ছাড়তে পারবেনা।
আজ এইটুকুই। এর চেয়ে বেশী তোমাকে আর বিরক্ত করতে ইচ্ছে করছে না।
ভালো থেকো, অনেক অনেক ভালো।
ইতি………..
পুনশ্চ : পাশের বাড়ির আংকেল এখনো অনেক রাত করে ঘরে ফিরে আন্টির সাথে ঝগড়া করে। দিপা নিয়ম করে এখেনো তার প্রিয় গোলাপের গাছটাকে দিনে দুবার চায়ের লিকার খাওয়ায়। সোহেল ভাই আর সায়মা আপুর সম্পর্কটা এখনো টিকে আছে। পদ্মপুকুর পারের বৃদ্ধ আমগাছটার গায়ে লিখা তোমার আর আমার নামটা মুছে যায়নি জানি। শুধু…আমাদের মাঝখানটার দূরত্ব আর কতখানি বাড়লো তা ঠিক বলতে পারছিনা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন