[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১২

ঘেঁটু কাহিনি


ঘেঁটু কাহিনি
..............


এই ঘেঁটুর ভিতরে আমি ঢুকে যেতে চাই!
হয়ে উঠতে চাই এর অংশ
কি করে যে মৃদুমন্দ সফিশটিকেশন ভিতর এটা নিজেদের রা করে
শুনলেই আমোদ লাগে, কাদাজলে ছোটাছুটি করা
শাদা শুকরছানার মতো লাগে

হা হা হি হি করে করে কেটে যাবে কত যে সময়
সময়ের পাঙ্খা আর নাই সময়ের ভিতর!

অনেকদিন আগে, কতদিন যে আগে
বসেছিলাম সেই বারান্দায়
টুং টাং গ্লাসের শব্দে উঠেছিল আমার ঢেঁকুর

পড়িমড়ি করে করে ছুটে ছুটে
আমি আবার চলে যেতে চাই যে সেই ঘেঁটুর ভিতর

পুরাতন সমাজ থেকে
ব্য-সম্প্রদায় ডাকে
ওরাও তো হতে চায় ঘেঁটুর বাছুর!

মাদী-ঘোড়া আসে
আরও আসে যার নাই কোন পাছা

আসে আর যায় যারা
তাদের গমনাগমণে
উৎসুক হয় মন আরো, নানান জিজ্ঞাসা...

ওই যে বক্তব্য-প্রধান
ছিঁড়ে যাচ্ছে নিজের চুল, ক্রমাগত

ওই যে ভন ভন মাছি

ওই লাজুক মোরগ, প্যাঁকপ্যাঁক হাঁস, বিগলিত হাসি

এঁরাও তো বিনীত অংশীদার
ঘেঁটু শিষ্টাচার গড়ে তুলছে
ছোট ছোট বাঁশের বেড়ায়

গরুর উলান থেকে জাগিয়ে তুলছে ক্ষিরি কাবাবের অগ্রিম গন্ধ

সেই গন্ধেই মন উচাটন,
অমরত্ব-লোভী পোকা-মাকড়গুলি
দিয়ে যাচ্ছে জৈবিক সারের যোগান

ঘেঁটু’র মহত্বে আমিও অভিভূত
রাত বারোটায় লাইনে দাঁড়ানো বাংলাদেশীর মতো
হীনমন্ম্য, অস্বস্তিকর (দুই সপ্তাহের জন্যে হলেও) একটা এন্ট্রি চাই, ইন্ডিয়ার
দেখে আসতে চাই
কেমন যে ওই শাদা, বরফ-পাহাড়!

যারা নাই তারা আসলে কেমন?
কেমন এই ঘেঁটুর আদল?

দুই/চার লাইন


দুই/চার লাইন....
.................


বহুত্ব

ইচ্ছা হয় গর্ত ছেড়ে বের হয়ে আসি
ইচ্ছা হয় গর্তের ভিতর কাটিয়ে দিই সারাটা জীবন

জীবনের বহুত্ব খোঁচাচ্ছে আমারে এখন।


সকালবেলা


ডিম হয়ে ভেঙ্গে পড়ি
গরম কড়াইয়ের তেলে

বলি মন উঠো, সকাল হয়েছে!


গানের পাখি


শচিন-কর্তা গাইলেন,
মুগ্ধ হয়া শুনলেন যিনি, তিনি পাখি

পাখি কখন জানি উড়ে যায়!


দৈনিক পত্রিকা


দিন শেষ তাই
দিনের পত্রিকা তুলে রাখি

দেয়ালের পাশে স্তুপ জমে যাচ্ছে ক্রমশঃ

গান

  দূর থেকে শোনা গান, দূরত্ব মহান!
কে আর তবে আসবে কাছে, কে আর তবে গাইবে গান?
গান তো তবু ছুটছেই; মহা গ্যাঞ্জাম!

শরীর


এই শরীর আমি চিনি না, এই গন্ধ ...
এই শরীরকেই আমি ভুলে যেতে চাই,
এইটা আসলে নাই-ই!

অর্ধস্ফুট

শিখছি চুপ করে থাকা, কি করে কথা না বলে থাকা যায়;
তারপরও কথা বের হয়, যদিও আটকে আসে...

আমি ভাবি, এইরম করে আর কদ্দিন!

চিম্বুক পাহাড়ে


একটা পাহাড় ডাকছে, ‘ও ভাই, যাও কন্ডে?’
আরেকটা পাহাড় বলে, ‘মেঘ ধরতে দাঁড়ায়া আছি’

মেঘগুলি উড়ে উড়ে ... পাহাড় থেকে পাহাড়ে ...


টাইম-আউট


সময়ের বাইরে এসে বসছি
প্লাস্টিকের টেবিল চেয়ারে বসে ভাবছি, এইটাই তো অবসর

এক টুকরা খোলা আকাশের নিচে ছোট ছোট খুপচি আড্ডা

শুধু চোখে চোখে কথা হোক




শুধু চোখে চোখে কথা হোক

সব কথা থেমে যাক
শুধু চোখে চোখে কথা হোক
তোমাকে দেখতে দেখতে
এই চোখ দুটি ব্যথা হোক//

 

বৃহস্পতিবার, ৯ আগস্ট, ২০১২

ভালোবাসা ছড়িয়ে দিলাম তোমার চলার পথে

 

 

ভালোবাসা ছড়িয়ে দিলাম তোমার চলার পথে


হয়তো তোমাকে পাবো না
কিছুতেই কোন মতে
তবু ভালোবাসা ছড়িয়ে দিলাম
তোমার চলার পথে
ভালোবাসা পায়ে দলে চলে যাও যদি
এই বুকে বইবে তবে কষ্টের নদী//
 

তোমার মুখের পানে চেয়ে


তোমার মুখের পানে চেয়ে...............................

যদি লিখতাম একটা কবিতা
তোমার মুখের পানে চেয়ে;
তোমার মুখ থেকে যেই হাসি ঝরে গেছে
তার স্মৃতি মনে করে...

যদি এই রাতটাই আটকে যেত
সময়ের গলি-ঘুপচিতে ঢুকে
বসে থাকতাম, নিরুপায়
যেন কিছুই করার নাই
দুঃখ-র্দুদশা নাই
চুপ করে থাকা,
হাত-পা বাঁধা দিনগুলির মতোন

কি আর করি তখন!

তোমার মুখের পানে চেয়ে
তোমার মুখ থেকে যেই হাসি ঝরে গেছে
তার স্মৃতি মনে করে
লিখি আমি একটা কবিতা-ই, নাহয়।

বাতাসে উড়ছে তোমার চুল


বাতাসে উড়ছে তোমার চুল
...............................


 
বাতাস এসে লুকালো তোমার চুলে
সারি সারি গাছেদের কাছ থেকে তারা
নিয়ে এসেছিলো অজস্র কথা

তাদের অব্যক্ততার ভার ঘুর্ণায়নমান প্রপেলার হয়ে
উড়াউড়ি করে অরণ্যের গোলকধাঁধার মতো তোমার চুলে
একে অন্যের গায়ে লেপ্টালেপ্টি করে, আবার বিশ্লিষ্ট হয়ে
তারা ভুলে যাচ্ছে সে গোপন বার্তা

খেই হারালো, দিগভ্রান্ত; ক্রমশ একলা
স্তম্ভিত, হতবিহ্বল; কী কথা, ওগো চুল, কী কথা?