দুই/চার লাইন....
.................
বহুত্ব
ইচ্ছা হয় গর্ত ছেড়ে বের হয়ে আসি
ইচ্ছা হয় গর্তের ভিতর কাটিয়ে দিই সারাটা জীবন
জীবনের বহুত্ব খোঁচাচ্ছে আমারে এখন।
সকালবেলা
ডিম হয়ে ভেঙ্গে পড়ি
গরম কড়াইয়ের তেলে
বলি মন উঠো, সকাল হয়েছে!
গানের পাখি
শচিন-কর্তা গাইলেন,
মুগ্ধ হয়া শুনলেন যিনি, তিনি পাখি
পাখি কখন জানি উড়ে যায়!
দৈনিক পত্রিকা
দিন শেষ তাই
দিনের পত্রিকা তুলে রাখি
দেয়ালের পাশে স্তুপ জমে যাচ্ছে ক্রমশঃ
গান
কে আর তবে আসবে কাছে, কে আর তবে গাইবে গান?
গান তো তবু ছুটছেই; মহা গ্যাঞ্জাম!
শরীর
এই শরীর আমি চিনি না, এই গন্ধ ...
এই শরীরকেই আমি ভুলে যেতে চাই,
এইটা আসলে নাই-ই!
অর্ধস্ফুট
শিখছি চুপ করে থাকা, কি করে কথা না বলে থাকা যায়;
তারপরও কথা বের হয়, যদিও আটকে আসে...
আমি ভাবি, এইরম করে আর কদ্দিন!
চিম্বুক পাহাড়ে
একটা পাহাড় ডাকছে, ‘ও ভাই, যাও কন্ডে?’
আরেকটা পাহাড় বলে, ‘মেঘ ধরতে দাঁড়ায়া আছি’
মেঘগুলি উড়ে উড়ে ... পাহাড় থেকে পাহাড়ে ...
টাইম-আউট
সময়ের বাইরে এসে বসছি
প্লাস্টিকের টেবিল চেয়ারে বসে ভাবছি, এইটাই তো অবসর
এক টুকরা খোলা আকাশের নিচে ছোট ছোট খুপচি আড্ডা
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন