[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

জাত



(পুরনো লেখা )
 জাত

সাহেব ,কতোটা চকচকে জুতো চাই তোমার
 একদম নতুন করে দিতে পারি ছেঁড়া জুতো
 সেই ছেলেবেলা থেকে একটা কাজই তো আমার
 বাপ দাদা করেছেন ,টেনে নিচ্ছি আমিও
 তবে সাহেব ,ছেলেটাকে মুচি বানাবো না
 তোমার মতো সাহেব বানাবো !

 জাঁদরেল জমিদার বাবু'র মতো
 জুতো বাড়িয়ে দাঁড়াবে আমার খোকা
 ওর নতুন জুতো আরও নতুন হবে !
 বউকে সেদিন এ কথা বলতেই
 বউ হেসে খুন !
 আরে বাপ ! এতো হাসির কি হলো !

 তুমিই বলো সাহেব ,
 লেখাপড়া শিখলে কি ওর জুতো পালিশ হবে না
 টাকা দিয়ে মুছে ফেলা যাবে না 'জাত' নামের হিংস্র শব্দটা ?
 খুব ভয় আমার ওকে !

 সাহেব , আমি কিন্তু জুতোয় নিজের চেহারা দেখি ,
 ভাগ্যও দেখার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে
 সাহেব , কতোটা চকচকে দেখা গেলে সাহেব হওয়া যায় ?
 জুতোয় নিজের চেহারা দেখি আর ভাবি
 আমার খোকা একদিন সাহেব হবে !
 ওর জুতো না হয় পালিশ দেবো নিজেই ।
 তবুও খোকা একদিন ঠিক তোমাদের মতো সাহেব হবে !

একা একা বিষন্ন


যখন নিজেকে খুব একা লাগবে ,
সন্ধার বাতাসে নিজেকে খুব হতাশ লাগবে ,
দুঃসহ সৃতিগুলো কষ্ট দিবে ,
একা একা বিষন্ন
মনের বেলকোনিতে বসে থাকবে ,
যখন কিছুই ভাল লাগবেনা
তখন আমায় ডেকো একটি বার ।
আমি সব কিছু ফেলে চলে আসবো
তোমার কাছে .....
তবে চিন্তা কোরোনা কোন কিছু চাইবোনা তোমার কাছে ।
শুধু নিস্বার্থ ভাবে ভালবেসে যাবো । ♥♥♥


বুধবার, ২২ আগস্ট, ২০১২

বধু



বধু

আকাশের বুকে মেঘের ভেলা
শ্রাবণের বুক বিষাদে ভার;
পৃথিবীর বুকে অশ্রু ফেলে
শ্রাবণ বানিয়ে দিলো জলাধার।

সকাল সন্ধ্যা কাঁদছে বধু
নৌকায় যাবে বাপের বাড়ি;
আড়িয়াল বিলে হাসছে শাপলা
কাটে না দিন আর মা’কে ছাড়ি।

শালুক তুলিতে জলকেলিতে
কত না মধুর ফেলে আসা দিনগুলো;
বকুনি সহেছি মা’র কত না নীরবে
মজিতাম খেলায় উড়িয়ে মাঠের ধুলো।

খুনসুটিতে ছোট ভাইকে কাঁদালে
মা এসে দিতো জোরে কান মলা;
নীরবে গিয়ে ভোরে বকুল তলায়
কুড়িয়ে বকুল গাঁথা হয় না মালা।

বই-খাতা নিয়ে সাঁঝের বেলা
টেবিলে বসা ছিল কতো না তিক্ত;
সেই সব মধুর হারানো দিনের ব্যথায়
হয়ে গেছি আজ কত না রিক্ত!

লাল শাড়িতে দূর ঐ অচেনা গাঁয়ে
কাটছে না দিন আর শ্বশুর বাড়ি;
চোখ-কোনে মা’য়ের চিকচিক করা শিশির
থাকতে দেয় না যে আর বাঁধন ছিঁড়ি।

মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১২

কাগজের ফুল


কাগজের ফুল (ঈদের কবিতা)
flower paper3 

ঈদ এলো ঈদ এলো সুখের ছোঁয়া নিয়ে;
ঈদের ছোঁয়া লাগলো গিয়ে পথ শিশুটির গায়ে।
অভাবের তোড়ে মলিন কাপড়ে তার মুখেও হাসি;
জীবন যুদ্ধে যাচ্ছে সময়, সাথি শূণ্যরাশি।


নতুন কাপড়ে ফুল শিশুরা, প্রাণবন্ত চারি ধারি;
সুখ নামক অচেনা পাখি ছেড়ে গেলো শুধু তারি!

জানা নেই তার ঈদের দিনে এতটুকু খাবার কী জুটবে?
তবু সেদিন তার ছোট্ট বুকে একটি কাগজের ফুল ফুটবে!

এক মুঠো ঈদ শুভেচ্ছা


এক মুঠো ঈদ শুভেচ্ছা

*********************

স্বপ্ন বুনি আমরা সবাই
স্বপ্ন সত্য ওদের;
ক্ষুধার দৈত্য জ্বালিয়ে দেয়
নিত্য স্বপ্ন তাদের।

আছে যাদের নানান খাবার
দামি পোশাক গয়না;
জোটে না যাদের এক মুঠো খাবার
তাদের খবর নেয় না।

নিত্যদিনের জঠর জ্বালা
জীর্ণ বস্ত্রে ধুলো;
পারি না কী সবাই মিলে
জ্বালাতে ওদের চুলো!

রঙ্গিন স্বপ্ন রঙ্গিন আশা
জ্বালিয়ে দিচ্ছে ক্ষুধা;
আভিজাত্যের মোড়কে কেন
ওদের থেকে জুদা!

একটু যদি চেষ্টা করি
মানবতার চাদরে;
ঢাকতে পারি দুঃখ ওদের
ঈদ-খুশির আদরে!

চলো না এবার ঈদটা করি
গরিব-দুখীদের নিয়ে;
বলি ওদের-”ভালো থেকো”
হাতে খাবার দিয়ে।

বলবো ওদের-”ঈদ মোবারক”
ঈদের জামা দিয়ে;
ঢাকবো ওদের জীর্ণ দেহ
বুকে টেনে নিয়ে।

যেখানেই থাকো সুখে থেকো
এই শুভেচ্ছা তোমাদের তরে;
ভালোবাসার বাহনে ঈদের আনন্দ
বয়ে আনুক এক মুঠো সুখ সবার নীড়ে।


————-
আগস্ট-২০, ২০১২
মদিনা, সৌদি আরব

অনন্য রুমা-ANNAONNA RUMA


কত দিন হাঁটা গ্রামের সরু পথ ধরে.......