[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১২

ফুলের কথন

ফুলের কথন


ফুল বলে- প্রিয়া, তুমি এসো প্রজাপতির
ডানা মেলে, আমার কাঁধে এই খানে
বসো; তোমায় আপ্যায়ন করবো সুমিষ্ট
সৌরভে, তোমার পাখার রূপালী রঙ্গে
রাঙ্গাবো আমার পাপড়ির কপোল।

হাওয়ায় মিশে তোমায় আমি নিয়ে যাবো
ঐ দিগন্তে; তুমি আর আমি উড়ে উড়ে
আকাশের নীলে ভালোবাসার রঙ ছড়াবো।

বিষন্ন নীলের মৌনতার গলায় কথার
মালা পড়াবো। বলবো, আর মন খারাপ
নয়, এই দেখ! আমি আছি না তোমার
পাশে! তোমার নীল শাড়ীতে জ্যোস্নার
রূপালী জরি দিয়ে সাজাবো। তোমায়
আমি গোধূলির সোনালী আভায় স্নান
করাবো, রাতের আকশের তারকা খচিত
উত্তরীয়ে ঘোমটা পড়াবো।

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

মরুর বুকে সবুজ অরণ্য


মরুর বুকে সবুজ অরণ্য
desert garden.1

কালো দু’টি চোখে সাগরের গভীরতা,
এক রাশ বিষন্ন কালো মেঘ উড়ছে তাতে;
দুখের মেঘেরা বারবার হানা দেয় মানস
আঙ্গিনায়। বুকের ক্ষতে দুখের এক নদী
বয়ে দিতে চায়; যার স্রোত মনের দু’কূল
ভেঙ্গে তলিয়ে দিয়ে যায়; কষ্টগুলো জলের
সাথে মিশিয়ে নিয়ে যেতে চায় মহাসমুদ্রে।

সে চোখ দু’টো কারও করুনা পেতে চায় না;
কখনও দ্রোহের অনলে সূর্যের খরতাপকেও
জ্ব্বালিয়ে দিতে চায়।
চৈত্রের ঝরা পাতার মতো একেকটা স্বপ্ন
দুঃস্বপ্নের হাত ধরে ঝড়ে যেতে চায়।


সেদিন যখন তুষার শুভ্র সাদা মেঘ হয়ে
নূপুরের ঝংকার বাজিয়ে আমার আঙ্গিনায়
এসে জড়ো হতে লাগলে, আর মনের গভীরে
আরবীয় অশ্ব চালিয়ে আমায় খুঁজে নিতে
ছুটলে, আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম,

আজ আর নিঃসঙ্গ নই। তুমি আমার হাত
ধরে আলো ঝলমলে একরাশ ভালোবাসার
মঞ্ছে নিয়ে আসলে। বুকের মরুতে এক রাশ
ভালোবাসার সবুজ অরণ্যে আমি হারিয়ে
যেতে থাকলাম। নিয়ে গেলে আমায় মধুময়
এক মহাসমুদ্রে; সুখের অবগাহনে আপ্লুত
করলে; সেই থেকে তোমার হাত ধরে অনন্ত
এক অমিয় সুখের স্রোতে ভাসতে থাকলাম।

– — –
অগাস্ট-২৪,২০১২

ছন্দে খেলা...



বুঝিনি এত টুকু তোমাকে
 হারিয়ে ছিলাম স্বপ্নের ঘোরে...
 কতটা পথ ঘুরে এসেছি
 তুমি বন্ধু আমার ছিলে পাশে...

 মেঘের পরে... আলোর ভীড়ে
 তুমিই প্রথম চেয়েছিলে
 বুঝিনি আমি তোমাকে দেখে
 রেখেছ যে কত মায়া তে.......

 বুঝতে দেও নি কেন আমাকে
 সাজিয়েছ যা হৃদয়ে...
 ছায়া হয়েছিলে পাশে
 বল কি করে যাব তোমায় রেখে...

 মেঘের পরে... আলোর ভীড়ে
 তুমিই প্রথম চেয়েছিলে
 বুঝিনি আমি তোমাকে দেখে
 রেখেছ যে কত মায়া তে! .......

জাত



(পুরনো লেখা )
 জাত

সাহেব ,কতোটা চকচকে জুতো চাই তোমার
 একদম নতুন করে দিতে পারি ছেঁড়া জুতো
 সেই ছেলেবেলা থেকে একটা কাজই তো আমার
 বাপ দাদা করেছেন ,টেনে নিচ্ছি আমিও
 তবে সাহেব ,ছেলেটাকে মুচি বানাবো না
 তোমার মতো সাহেব বানাবো !

 জাঁদরেল জমিদার বাবু'র মতো
 জুতো বাড়িয়ে দাঁড়াবে আমার খোকা
 ওর নতুন জুতো আরও নতুন হবে !
 বউকে সেদিন এ কথা বলতেই
 বউ হেসে খুন !
 আরে বাপ ! এতো হাসির কি হলো !

 তুমিই বলো সাহেব ,
 লেখাপড়া শিখলে কি ওর জুতো পালিশ হবে না
 টাকা দিয়ে মুছে ফেলা যাবে না 'জাত' নামের হিংস্র শব্দটা ?
 খুব ভয় আমার ওকে !

 সাহেব , আমি কিন্তু জুতোয় নিজের চেহারা দেখি ,
 ভাগ্যও দেখার চেষ্টা করি মাঝে মাঝে
 সাহেব , কতোটা চকচকে দেখা গেলে সাহেব হওয়া যায় ?
 জুতোয় নিজের চেহারা দেখি আর ভাবি
 আমার খোকা একদিন সাহেব হবে !
 ওর জুতো না হয় পালিশ দেবো নিজেই ।
 তবুও খোকা একদিন ঠিক তোমাদের মতো সাহেব হবে !

একা একা বিষন্ন


যখন নিজেকে খুব একা লাগবে ,
সন্ধার বাতাসে নিজেকে খুব হতাশ লাগবে ,
দুঃসহ সৃতিগুলো কষ্ট দিবে ,
একা একা বিষন্ন
মনের বেলকোনিতে বসে থাকবে ,
যখন কিছুই ভাল লাগবেনা
তখন আমায় ডেকো একটি বার ।
আমি সব কিছু ফেলে চলে আসবো
তোমার কাছে .....
তবে চিন্তা কোরোনা কোন কিছু চাইবোনা তোমার কাছে ।
শুধু নিস্বার্থ ভাবে ভালবেসে যাবো । ♥♥♥


বুধবার, ২২ আগস্ট, ২০১২

বধু



বধু

আকাশের বুকে মেঘের ভেলা
শ্রাবণের বুক বিষাদে ভার;
পৃথিবীর বুকে অশ্রু ফেলে
শ্রাবণ বানিয়ে দিলো জলাধার।

সকাল সন্ধ্যা কাঁদছে বধু
নৌকায় যাবে বাপের বাড়ি;
আড়িয়াল বিলে হাসছে শাপলা
কাটে না দিন আর মা’কে ছাড়ি।

শালুক তুলিতে জলকেলিতে
কত না মধুর ফেলে আসা দিনগুলো;
বকুনি সহেছি মা’র কত না নীরবে
মজিতাম খেলায় উড়িয়ে মাঠের ধুলো।

খুনসুটিতে ছোট ভাইকে কাঁদালে
মা এসে দিতো জোরে কান মলা;
নীরবে গিয়ে ভোরে বকুল তলায়
কুড়িয়ে বকুল গাঁথা হয় না মালা।

বই-খাতা নিয়ে সাঁঝের বেলা
টেবিলে বসা ছিল কতো না তিক্ত;
সেই সব মধুর হারানো দিনের ব্যথায়
হয়ে গেছি আজ কত না রিক্ত!

লাল শাড়িতে দূর ঐ অচেনা গাঁয়ে
কাটছে না দিন আর শ্বশুর বাড়ি;
চোখ-কোনে মা’য়ের চিকচিক করা শিশির
থাকতে দেয় না যে আর বাঁধন ছিঁড়ি।