[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

তুই


তুই


তুই হয়তো প্রথম কবিতা ছিলিনা আমার
তোকে শেষের কবিতা বানাতে চাই..
তুই হয়তো প্রথম ভাবনা ছিলিনা আমার
তোকে ভেবে ভেবে হাসতে চাই..
তুই হয়তো প্রথম কিছুই ছিলিনা আমার
তোকে যে চিরস্থায়ী করতে চাই...

                                   

মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৪

বিবাহ বার্ষিকী

বিবাহ বার্ষিকী



অচেনা দুটি পথ
অজানা দুদেহ-মন।
মিলনের বারি সিঞ্চনে
বেছে নিল শুভক্ষন।
হল পরিচয়,হল পরিণয়
শুরু হল পথচলা পাশাপাশী।
শুরু হল ভাগাভাগি,জীবনের অনুভূতি
সুখ-দুখ,কান্না-হাসী।
জল গড়িয়ে কেটে গেল দিন
স্বপ্নের আগামীর ঠায় হল অতীতে।
সুখনের দিনগুলো আজ
ঠায় পেল রুপোলী স্মৃতি ফিতেতে।
আজকের ভোর খুলে দিল দোর
খুলে গেল স্বপ্নীল স্মৃতির ফিতে।
আজ দিন তবে হোক রঙিন
পাশাপাশী বসে হাতে হাত রেখে।
কামনার জানালা রুপোলী কিরনে ভরা
দৃষ্টির সীমানায় স্বর্গীয় রেখা।
আজকের কামনা,বিনীত প্রার্থনা
আজীবন সুখে-দুখে পাশাপাশী থাকা।
জীবনের পথ হোক সুখময়
ধুয়ে যাক হতাশার শেষ ক্লান্তি টি।
উদয়ের আলোক উপচে পড়ুক
শুভ হোক সতেরতম বিবাহ বার্ষিকী।

বুধবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৪

চাকরিটা হবে


চাকরিটা হবে


ঘরে অসুস্থ মা, ওষুধের অপেক্ষায় কাতর,
এই তো ছেলের চাকরি হয় বলে,
ভালো রেজাল্ট, ভালো ইন্টারভিউ
আত্মবিশ্বাসের মাত্রাটা দেয় বাড়িয়ে।
একদিন এল খবর, সোনার হরিণ দেয় ডাক,
চাকরির টেবিলটা হাতছানি দেয়,
টেবিলে বসার অপেক্ষায় প্রহরগোনা,
বসতে যাবে

হঠাৎ! হাসি মুখে বসে পড়ে একজন
ঘুষের টাকায় কেনা বলে!

হঠাৎ

হঠাৎ



ক্ষুধার্থ শিশু, বুভুক্ষু চোখে মা, অনাহার অনিদ্রা,
সামনে পচা ডাস্টবিন, মরা কিছু মাছি
অভুক্ত নেড়ি কুকুরের দল।
অপেক্ষায় কাটে দিন, গড়িয়ে যায় সন্ধ্যা
কেউ একজন আসবে বলে,
উচ্ছিষ্ট দেবতালয়ে, ভক্ষণের প্রত্যাশায়।
অবশেষে আসে মিউনিসিটিপ্যালের গলিত লাভা,
একে একে ছুড়ে ফেলে ডাস্টবিনের পাশে,
প্রত্যাশায় চেয়ে রয় অনাহারী শিশু,
অতঃপর একটি উচ্ছিষ্ট দেবতার প্রাপ্তি
হাতে নেয় গন্ধ শুঁকে!
হঠাৎ... ছোঁ মেরে কেড়ে নেয় অনাহারী পশু!

শেষের পরে


শেষের পরে



হতে পারে, সব কথা শেষ হয়ে গেছে
সব ভাষা চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে তুসোর জাদুঘরে
যতিচিহ্ন মুছে গেছে সব,
রাস্তায় কোনো বিশ্রাম-বিরতি নেই
গন্তব্যপুরের গ্রাম আর চোখেই পড়ে না
তাহলে, এর পরের অবস্থা কী?
কী রেখে যাচ্ছি তবে পুরোনো নদীর কাছে,
যে নদীতে একদিন
ভেসে গেছে বেহুলাবান্ধব ঢেউ, সহস্র কবিতা!
কী এঁকে রাখছি তবে চিরকালের মহাদিগন্ত-ফলকে?
কথা যদি শেষ হয়ে যায়,
ভাষা যদি লিখে দেয় সমাপ্ত
কী দিয়ে যাচ্ছি তবে তরুণ কবির হাতে? কী? কী?

তারই-বা কী হবে, কেবলই নতুন বাক্যে ডুব দিয়ে সারা রাত নির্ঘুম
যে মেয়েটি একটি নতুন কবিতা পড়েই পোড়ে ধিকিধিকি!

সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪

ইতস্তত রাত


ইতস্তত রাত

দিন তো দিনের মতো চলে যাচ্ছে,
চলে যাচ্ছে, রেখে যাচ্ছে ক্ষত।
দিন শেষে রাত আসে হয়ে ইতস্তত।
ছোট ছোট শিশির পড়ে।
চরে চরে। গরুগুলি নাচে।
এই দেশে কৃষকেরা হওয়া খেয়ে বাঁচে।
আমি ঘরে বসে থাকি।
কৃষকের মুখ আঁকি।
কালি দিয়ে কালো।
সন্ধ্যায় বলে দিই দিন গেল ভালো।
এই ভাবে যাচ্ছে। কোথায় কে নাচছে।
চারিদিকে ভাঁড়।
দিন শেষে সকলেই চারপদ ষাঁড়।
এই ভাবে চলে যাই রেখে যাই ক্ষত।
দিন শেষে রাত আসে হয়ে ইতস্তত।