[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৩

কখনো চিঠি লিখি না..



আমি রূপাকে কখনো চিঠি লিখি না ।একবার 
হঠাৎ একটি চিঠি লিখতে ইচ্ছা হলো।লিখতে 
বসে দেখি কী লিখব ভেবে পাচ্ছি না।
অনেকবার করে একটি লাইন লিখলামঃ
- রূপা তুমি কেমন আছ?
সমস্ত পাতা জুড়ে একটি মাত্র বাক্য।

সেই চিঠির উত্তরে রূপা খুব রাগ করে লিখলঃ
‘’তুমি এতো পাগল কেন ?এতদিন পর একটা চিঠি লিখলে, তারমধ্যেও পাগলামি।কেন এমন কর ?
তুমি কি ভাবো এইসব পাগলামি দেখে আমি
তোমাকে আরো বেশি ভালবাসব তোমার কাছে
আমি হাতজোড় করছি -স্বাভাবিক মানুষের মতো আচরণ কর। ঐদিন দেখলাম দুপুরের কড়া রোদে কেমন পাগলের মতো হাঁটছ। বিড়বিড় করে আবার কিসব যেন বলছ।দেখে আমার কান্না পেয়ে গেল।

তোমার কি সমস্যা তুমি আমাকে বলো।‘’
আমার সমস্যার কথা রূপাকে কি আমি বলতে পারি? আমি কি বলতে পারি - আমার বাবার স্বপ্ন সফল করার জন্য সারাদিন আমি পথে পথে ঘুরি।
মহাপুরুষ হবার সাধনা করি। যখন খুব ক্লান্তি
অনুভব করি তখন একটি নদীর স্বপ্ন দেখি। যে
নদীর জল ছুঁয়ে ছুঁয়ে একজন তরুণী ছুটে চলে যায়।
একবার সে থমকে দাঁড়িয়ে তাকায় আমার দিকে। তার চোখে গভীর মায়া ও গাঢ় বিষাদ।এই তরুণীটি আমার মা।আমার বাবা যাকে হত্যা করেছিলেন।

এইসব কথা রূপাকে বলার কোনো অর্থ হয় না।বরং কোনোদিন তরঙ্গিণী স্টোর থেকে তাকে টেলিফোন করে বলি-রূপা,তুমি এক্ষুনি নীল রঙের একটা শাড়ি পরে তোমাদের ছাদে উঠে কার্নিশ ধরে নিচের দিকে তাকাবে?তোমাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে।

একটুখানি দাঁড়াও।আমি তোমাদের বাসার
সামনের রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলে যাব।

আমি জানি রূপা আমার কথা বিশ্বাস করে না,
তবুও যত্ন করে শাড়ি পরে।চুল বাঁধে।চোখে
কাজলের ছোঁয়া লাগিয়ে ছাদের কার্নিশ ধরে দাঁড়ায়।
সে অপেক্ষা করে।আমি কখনো যাই না।

আমাকে তো আর দশটা সাধারণ ছেলের মত
হলে চলবে না।আমাকে হতে হবে অসাধারণ।
আমি সারাদিন হাঁটি। আমার পথ শেষ হয় না।
গন্তব্যহীন যে যাত্রা তার কোনো শেষ থাকার
তো কথাও নয়।

ময়ূরাক্ষী...

কোন মন্তব্য নেই: