[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ১৪ মে, ২০১২

জ্যামিতিক ভালোবাসা



জ্যামিতিক ভালোবাসা

মে ১৪, ২০১২



হাসান, সেইসব ছেলেদের মধ্যে একজন যাদের জীবন কখন ও থেমে থাকে না ।
যথেষ্ট মেধাবী, হ্যান্ডসাম এবং সদা হাস্যজ্জল একটা ছেলে সে । মোটামুটি সবার কাছেই জনপ্রিয় একটা মানুষ । আর মেয়ে মহলে ছিল তার অপ্রকাশিত আলাদা একটা স্থান । যদিও সে কখনো সে স্থান এর ধার কাছ দিয়েও মারায়নি । এটা নিয়ে তার মাথা বেথাও ছিল না । কিন্তু এ স্থান এর জন্য দু একবার যে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েনি সে তা না, কিন্তু তার জন্মসুত্রে পাওয়া বিবেক নামক বস্তুটা একটু বেশি ছিল বলেই রক্ষা ।
যাই হোক, সবার কাছে ভাল ছেলে হিসেবেই তার পরিচিতি ছিল ।
হাসান এর খুব অদ্ভুত একটা নেশা ছিল ঘুরে বেরানোর । নতুন জায়গাতে যাওয়ার প্রতি ছিল অদম্য আগ্রহ । এ জন্যই তার এমন কিছু বন্ধু হয়েছিল, যারা তার লাইফ এর সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে যায় । এদের একজন রাহাত ।
রাহাত, হাসানের খুব ই ক্লোজ ফ্রেন্ড । দুজনের মাঝখানেই খুব কম ই কিছু ছিল যা একজন আর একজনের টা জানতো না।
এবং তারা দুজন এর মধ্যে একটা জিনিস কমন ছিল আর তা হল দুজন ই ক্লাস এ মারাত্মক ইরেগুলার । কিন্তু হাসান এক্সাম এ পাস করে যেত এর আগের রাত্রে পড়ে । আর রাহাত এর পাশ?? ওকে জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিত, ” হাসান আছে না পাশে!!!”
এমনি একদিন এক্সাম শেষে বাইরে এসে দাড়িয়ে থাকে রাহাত।
সেই পুরান কাহিনি…
হাসান এখন ও এক্সাম গার্ড এর সাথে কথা বলছে। কারণটাও বেশি কিছু ছিল না, রাহাত ওর খাতা দেখে লিখছিল আর স্যার খাতা নিয়ে গেছে গেছেন হাসানের !!!
রাহাত কে খুব টেন্সড হয়ে দাড়াতে দেখল পুষ্পিতা । চশমাটা ঠিক করতে করতে রাহাত এর কাছে গেল ।
“কিরে, ঐ রকম বলদের মত দাড়িয়ে আছিস কেন?”, জিজ্ঞাসা করল সে ।
এতক্ষন ওকে খেয়াল করেনি, কণ্ঠ শুনে চমকে গেল।
“এইতো, হাসানের একটু ঝামেলা আর কি!!! স্যারের সাথে কথা বলছে।” আর দিকে তাকিয়ে ইতস্তত করে বলল রাহাত।
“ঝামেলা মানে!! আবার তোকে দেখাতে যেয়ে স্যারের কাছে ধরা খেয়েছে?” হেসে দিল পুষ্পিতা।
ওর হাসির দিকে তাকিয়ে রইল সে , এত সুন্দর করে হাসি আর কাউকে হাসতে দেখেনি সে। সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছে। সাঁরা জীবন দেখতেও চায় । কিন্তু হাসিতা হয়তো আর এক জনের জন্য, যে গাধাটা এই মুহূর্তে স্যারর সামনে কাঁচুমাচু করে হয়ে সরি চাচ্ছে ।
“ওয়াও!! আমি তো সেলেব্রিটি হয়ে গেলাম ! দুজন আমার আগমনের জন্য অপেক্ষারত …”, হাসতে হাসতে ওদের সামনে এসে দাঁড়াল ।
“স্যার কি বলল?”, আগ বারিয়ে বলে ফেলল পুষ্পিতা । বলেই বুঝল বেপারটা কেমন জানি হয়ে গেছে ।হাসান ওর দিকে একটা এলিয়েনের দৃষ্টি দিয়ে রাহাতের দিকে ফিরল।
“সেই পুরান গ্যাঁজ । এক্সাম হল এ দেখাদেখি করা যাবে যাবে না । অনৈতিক কাজ… ব্লা ব্লা…”
রাহাত খেয়াল করল পুষ্পিতার মুখ টএ কেমন স্তিমিত হয়ে গেল ।
“পুষ্পি, চল আজ কে তিনজন এ এক সাথে লাঞ্চ করি”, ওকে খুশি করার জন্য কথাটা বলল।
“আমি রাজি।”, হাসান ের মুখ থেকে বের হল কথাটা । ” কিন্তু বিল দিতে হবে ওকে”, আঙ্গুল তুলে ইশারা করল পুষ্পিতার দিকে… হেসে দিল পুষ্পিতা ।
অবাক হয়নি রাহাত । যে ছেলে একটু আগেই ওকে নেগ্লেক্ট করে মন খারাপ করল, এখন তার কথাতেই হাসছে!! কিন্তু অবাক হল পুষ্পিতা । নিজেকে পাগল মনে হল তার…
“আচ্ছা, আমি কি এখন চলে যাব!!!”, কাশি দিয়ে একটু মজা করতে চাইল রাহাত ।
ভুরূ কুচকে গেল রাহাতের । পুষ্পিতা লজ্জায় আর এক দিকে তাকাল।
“নাহ ভাই, ভয় পাইছি । গেলে তোর জিনিস টাকে নিয়ে যা, নাহলে আজকেও তাহলে একজন কাঁদতে কাঁদতে নিজের সব পরার বই ছিরে ফেলবে। আর তার মা আমাকে ফোন করে কিছু অসম্ভব রেকুয়েস্ট করবেন।” মুখে হাসি ধরে রেখেই বলল কথাটা হাসান।
কিন্তু ইফেক্ট হল অন্য রকম ।
“হাসান তুমি…” কথাটা কথাটা শেষ না করেই অন্য দিকে দৌড়ে ছুটে গেল পুষ্পিতা । রাহাত বুঝল আজ কে আসলেই অনেক কান্না করবে ওর পুষ্পি।
“দোস্ত, প্লিজ, মেয়েটা তোকে অনেক লাইক করে… এরকম করিস কেন?” হাসানের দিকে তাকাল রাহাত।
“দেখ, আমি তো ওকে আর লাইক করি না। আর তাছাড়া , তুই ওকে ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করিস। এইটা সে বুঝে না?”একটু বিরক্তই হল যেন হাসান,”তোকে ছাড়া ও চলতে পারবে না। এখন যা, গিয়ে কান্না থামা।”
বলেই গটগট করে ছলে গেল রাগ দেখিয়ে। রাহতা ও দ্রুত পুষ্পিতা কে খুজতে লাগলো।
“আর এ গাধি, যাদের কে বেশি ভালবাসবি, তারাই বেশী কষ্ট দিবে”, ফাকা ক্লাসে একা বসে থাকা পুষ্পিতার মাথায় হাত রেখে বলল সে, “এটাই পৃথিবীর নিয়ম”
“আমার সাথেই এমন কেন হয় বলতো?”, ফোপাতে ফোঁপাতে বলল সে, “জানিস, আমার এখন মরে যেতে ইচ্ছে করছে।”
“থাপ্পর মেরে দাত ফেলিয়ে দিব”, চিৎকার করে উঠল রাহাত,”এই ধরনের কথা আমার সামনে আর বলবি না”
“তা ই মার।”কমে আশা ফোঁপানিটা আবার বেরে গেল,”তুই যদি কাউকে ভালবাসতি, বুঝতি আমার অবস্থাটা কি!”
হেসে দিল রাহাত। মেয়েটা জানেই না যে সে তাকে কতটা ভালবাসে । কতটা ভালবাসলে একজন তার ভালবাসার মানুষটির সুখের জন্য তার বন্ধুর হাত এ তুলে দিতেও কুণ্ঠা বোধ করে না।
“ধুর গাধী, তুই কিছুই জানিস না।”, আবার হাসল রাহাত,”আমিও একটা মেয়েকে প্রচণ্ড ভালবাসি, এত বেশি ভালবাসি যে তার জন্য প্রতি রাত কাঁদি”
হটাত কান্না থেমে গেল পুষ্পিতার । জ্বলজ্বলে চোখ নিয়ে তাকিয়ে থাকলো রাহাত এর দিকে, যেন ভুত দেখছে!
“কি বললি? ত্র মাত ভুত এর সাথে কে প্রেম করবে???”চোখে পানি নিয়ে এক অদ্ভুত হাসি দিল সে।
“হিহি। কেন…দুনিয়াতে পেত্নির অভাব আছে?”, ভাব নাওয়া কন্থে বলল সে।
“আহেম আহেম। তা মেয়েকে দেখাবি না?” চশমাটা বেঞ্ছ থেকে তুলে পরতে পরতে বলল পুষ্পিতা।
“একদিন দেখাবোনে…অনেক সুন্দর রে মেয়েটা”, কণ্ঠটা কেমন জানি ধরে এল ওর।
“আমার থেকেও? হিহি…” ভেংচি কাটল পুষ্পিতা ।
“হ্যাঁ রে। তর মতই। অন্নেক সুইট একটা মেয়ে… জানিস, ওর হাসিটা ওর থেকেও অনেক বেশী সুন্দর…শুধু তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে…মনে হয় এই মেয়েটাকে ছাড়া আমি বাচতে পারব না… ওকে জীবনে না পেলে আমি নিঃস্ব হয়ে যাব…”, একটু থামল সে,”জানিস, জীবন এ একবার ই হাত ধরেছি ওর।… একবার পিছন থেকে এসে চোখ বন্ধ করে ধরছিল…বুঝতে পেরেছিলাম কে…তবু হাত টা ধরে না ছেনার অভিনয় করছিলাম…। বোকাটা বুঝতে পারেনি।”
ক্রিং ক্রিং…
পুষ্পিতার মোবাইল বাজছে।
“আম্মু কল দিছে রে… যাই, তোর গল্প কাল শুনব”, বলেই রাহাত এর হাত টা ধরল সে,”তুই অনেক লাকি রে। তোকে খুব হিংসা হচ্ছে”, কথাটা বলে চলে গেল সে।
অনেক কষ্টে আটকে রাখা চোখের পানি গুলোকে এবার বিশ্রাম দিল রাহাত…। একটু বেশি ই কি বলে ফেলছে!!! ক্লাস ৭ এর সেই হাত ধরার কথাটা বোধ হয় মনে নেই ওর… মনে জানি নাও আসে সেই প্রার্থনা করল…
ভার্সিটি গেট ক্রস করতেই শুনতে পেল রাহাত নাম এ কে জানি ডাকছে। পাশে তাকাতেই দেখল বরকত এর দকানে হাসান নাম এর মর্কট টা বসে আছে।
“তো মিস্তিরি লাভগুরু, আজ কে কিছু হল!!” চেচাল হাসান, হাসছে সে।
“কি আর হবে…চল হাটতে হাটতে কথা বলি”
“আমার প্লান সাক্সেস্ফুল??”, বিজয়ের হাসি দিল হাসান।
“মানে?…” যারপনাই অবাক হল রাহাত,”কি দরকার ছিল মেয়েটাকে কাঁদানোর?”
“ধুর বাদ দে…এখন কাহিনি ক…”
দুজন এ হাটতে শুরু করল…
কএকদিন পর বিকালবেলা।
“কফি হাট” এ বসে আছে রাহাত। হাসান ওর মা কে নিয়ে ডাক্তার এর কাছে গেছে। এখন হয়তো ইয়া লম্বা লাইন এ বসে আছে । তাই একা একা ড়আরকাজ নাই দেখে কফি খেতে চলে এসেছে সে। হাত এ মোবাইল। ফেসবুক এ গুতাগুতি করছে। হটাত এক জোড়া পরিচিত হাত এসে চোখ বন্ধ করে ফেলল ওর।
চিনতে পারল রাহাত ।
“কে? মৌ?”, মিথ্যাটা খুব নিখুত হল …
“তাহলে তোর জিএফ এর নাম মৌ!!”, হেসে দিল পুষ্পিতা ।
চোখ থেকে হাত টা সরিয়ে ওর দিকে ফিরল রাহাত।
“কত্ত খারাপ”, অবাক হওার ভান করল সে, “নাম টা বের করে নিলি? বাট প্লিজ আর কাউকে বলিস না”
“ওকে ওকে… বলব না…কিন্তু আমাকে দেখাবি না তোর বউকে?”
“আর এ, দেখাব তো…সবুরে মেওওা ফলে” বলল রাহাত, “আচ্ছা তোকে আজ কে এত খুশি লাগছে কেন বলতো!! সেজে গুজে এসেছিশ যে।”
“আই এম ইন এ রিলেশনশিপ ইয়ার।”, খুসিতে অনেকটা চেচাল পুষ্পিতা।
“মানে?” আহত দেখাল রাহাত, “হাসানের কি হবে?”
“আমার চোখ খুলে গেছে” বিদ্বানের মত বলল সে, “যে আমাকে ভালবাসে না, তাকে আমি কেন ভালবাসব। তাই…?”
হা হয়ে তাকিয়ে থাকে রাহাত ।
“দুরের ঐ আকাশের থেকে বাগানের প্রজাপতির রংটাই বোধ হয় অনেক বেশি সুন্দর…আগে বুঝতাম না”, একটানা বলে গেল সে,”আর এখানে আসছি কেন জানিস? আজ আমাদের ফার্স্ট ডেটিং… একটু পরেই ও চলে আসবে।”
হটাত কি জানি হল রাহাতের…ধাম করে উথে দারাল…”যাই রে” বলেই গটগট করে হেঁটে বের হয়ে গেল সে…
পুষ্পিতা যাতে দেখতে না পারে ওর চোখের পানিগুলো…
খুব কস্ট লাগছে রাহাত এর। চোখ থে নিঃশব্দ অশ্রুধারা ই তার প্রমাণ। আজ বোধ হয় র থাম্বেও না…
সে কল্পনা করতে পারেনি…এতদিন যখন সে হাসান কে ভালবাসত, এমন লাগেনি কখন ও… অথচ আজ আর কারো কথা শুনে অন্তর টা কেমন জানি আয়নার মত ভেঙে চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে গেল…
ফোন টা বেজে উঠল… পচকেত থেকে বের করতেই দেখে পুষ্পিতার…
“ঐ হাদারাম, চলে গেলি কেন? দেখলি না আমার বর কে!”, অপাশ থেকে রাগত কণ্ঠ শুনল রাহাত,” যাই হোক, তোর উইশ। … ইচ্ছা হলে এফবি তে আমার রিলেশন স্ট্যাটাস এ ওর নাম টা দেখে নিশ”, খট করে কেতে দিল ওপাশ থেকে।
আসলেই ত…কি করল রাহাত এতা… পুষ্পিতার বেস্ট ফ্রেন্ড ও…কিন্তু আজ কের দিনে ওকে এভাবে হার্ট করে চলে আসলো কি করে সে…!!!!
কি মনে করে ফেসবুক এ ঢুকল রাহাত…
নিউজ ফিড টা চেক করতেই দেখতে পেল, “সাদিয়া সুলতানা পুষ্পিতা ইন এ রিলেশনশিপ”…
কমেন্ট চেক করল, ওয়াল দেখল, নাহ কারো নাম তো খুজে পেল না…।
:O
“এটা কি হতে পারে!!” নিজে নিজেই ভাবল সে… তবু খুতখুতে মন টাকে সান্তনা দিতে রিলাশন ফোল্ডার া গেল সে…স্পস্ট দেখতে পেল …
“ইউ হ্যাঁভ এ রিলাশনশিপ রিকুয়েস্ট। সাদিয়া সুলতানা পুষ্পিতা ওয়ান্টস টুঁ বি উয়র গার্ল ফ্রেন্ড”……………………………………………………………………………
আবারো ফোন দিয়েছে পুষ্পিতা…প্রথম বার ধরল না রাহাত…। দ্বিতীয়বার যখন ধরল , ওপাশ থেকে চিৎকার ভেসে আসলো,
“আমাকে পেয়েছিস কি…এতক্ষন ওয়েট করে থাকতে পারবো না …জলদি জলদি প্রপোজ কর…। নাইলে আর জিন্দেগি তে সামনে আসবি না…।”ধরে আসা টানা কণ্ঠে বলে গেল রাহাতের পুস্পি।
আর নিজেকে আটকাতে পারল না রাহাত, “I LOVE YOU পুষ্পিতা, I LOVE YOU more than you can imagine”, অস্রুসিক্ত কণ্ঠ ভেসে আসলো…
“হুম। আর ইংলিশ বলতে হবে না…এখন ই দৌড় দিয়ে কফি হাট এ ”আসো” । … বিএফ এর ওয়েট করে থাকতে ভাল লাগছে না, রাখি।”
একটু পর ই একজন সুখী মানুষ কে দৌড়াতে দেখা গেল …খেয়াল করলে বুঝা যেত , ছেলেতার চোখ থেকে পানি পরছে…অথচ মুখে এক রাশ হাসি… বিশ্বজয়ের হাসি…
আর ওদিকে কফি হাট এ বসে থাকা মেয়েটা কেও সুখী লাগছিল…
কিন্তু কাকে যেন একটা মেসেজ টাইপ করে সেন্ড করল…
সেন্ট বক্স এ লেখা এল, “thank you Hasan”

রবিবার, ১৩ মে, ২০১২

I LOVE MOM


A mother’s work is never done
 She works from morning until dawn
 She spreads her love
 And keeps you warm
 But only once a year we say
 Mother we wish you 'Happy Mothers Day'