[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ৪ জুন, ২০১২

সম্পর্ক (রঙ্গিন কাগজে মোড়া সাদাকালো ভালোবাসা)

সম্পর্ক(রঙ্গিন কাগজে মোড়া সাদাকালো ভালোবাসা)

ভালোবাসা কোনো সিদ্ধান্ত নয়,ভালোবাসা হলো বিশ্বাস আর মায়ার বন্ধনে জড়ানো এক পবিত্র দায়িত্ব। যুক্তির উপর যেখানে আবেগের আদিপত্য সেখানেই ভালোবাসা। যেখানে রঙ্গিন কাগজে মোড়া বাস্তবতা প্রায়ই ভেঙ্গে দিতে চায় সম্পর্কের ভিত্তি। সেখানেই বাস্তবতা কখনো কখনো হেরে যায় এক শরীরে গেঁথে থাকা দুটি আত্মারপবিত্র বন্ধনের কাছে। যখন কলুষিত পারিপার্শ্বিকতা তাদের এনে দাঁড় করায় হাজারটি ভাঙ্গনের কারনের সামনে, তখন তারা একটি কারন খুঁজে ফিরে সম্পর্ককে বাঁচাবার। হাজারো ভুলের মাঝে, কষ্টের মাঝে, সন্দেহের মাঝে কাউকে ভালবাসার জন্য একটি কারনই যথেষ্ট-সেই কারনটি হচ্ছে “ভালোবাসা”। সম্পর্কের শুরুটা ঠিক এমনই।


সময়ের আবর্তে এমন সম্পর্কেও ফাটল ধরে নিছক হেয়ালিপনায়। বেড়ে যায় চাওয়া পাওয়ার অসম ব্যাবধান।অগাধ বিশ্বাস নুয়ে পরে সামান্য সন্দেহের কাছে। সীমাহীন মায়া ম্লান হয়ে যায় মোহের কাছে। সম্পর্কের গুরুত্তের চেয়ে বেশি প্রাধান্য পায় ব্যক্তিগত গুরুত্ব। চির ধরে অনুভুতিতে, বিশ্বাসে, ভালবাসায়।
সময়ের খেলায় ভাঁটা পরে আবেগে, বাস্তবতার মুখ বাকা হাঁসিতে বিবর্ণ হতে থাকে টিকে থাকা অনুভূতিরা। অধিকারেরা রূপান্তরিত হয় অনধিকার চর্চায়, আবেগ হয়ে যায় আদিক্ষেতা, বিশ্বাস হয়ে যায় সন্দেহ আর ভালোবাসা হয়ে যায় ডানা ভাঙা আহত পাখি, যে বেঁচে থাকার প্রয়োজনে নিশ্বাস তো নেয় কিন্তু তার উড়ার ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। ঠিক তখনি বিশ্বাস আর মায়ার বন্ধনে জড়ানো দায়িত্ব হার মানে ব্যাক্তিগত সিদ্ধান্তের কাছে। অতঃপর ভেঙ্গে যায় সম্পর্ক, দুজনের ভুলে কিংবা একজনের। থেকে যায় শুধু প্রশ্ন প্রশ্ন এবং প্রশ্ন।
প্রশ্নেরা যখন ভীষণ পোড়ায়, ভালোবাসা যখন ভীষণ কাদায় তখন শুরু হয় ভালোবাসা কে আঁকড়ে ধরার কিংবা একেবারে নিঃশেষ করে দেয়ার তুমুল যুদ্ধ। কিন্তু ফেলে আসা আবেগ, অনুভুতি, মায়া, বিশ্বাসের স্থানে জায়গা করে নেয় অসংখ্য যুক্তি, যার কাছে হেরে যায় ভালোবাসাকে আবার গড়ে তোলার জন্য দুজনের কিংবা একজনের সব প্রচেষ্টা। তবুও দুজনের মাঝে পৃথক ভাবে আবেগ অনুভুতি মায়া বিশ্বাস সব থাকে কম বেশি, কখনো কখনো ভালোবাসাও, শুধু মাঝখান থেকে শেষ হয়ে যায় সম্পর্ক।
কেউ সয়ে যায়, কেউ হেরে যায় আর কেউ বেঁচে থাকে অভ্যস্ততায়। কেও জলে ভাসে, কেও বা রক্তে, কেউ বেঁচে থাকে অনুশোচনায়। এভাবেই মরে যায় ভালোবাসা, নিঃশেষ হয়ে যায় সম্পর্ক। কেউ শুন্য হাতে শুন্যে মিলিয়ে যায়, কেউ শুন্যের মাঝে শুন্যই রয়ে যায়।

Shahrukh Khan Live in Bangladesh part 1_12-ahridwan



Shahrukh Khan Live in Bangladesh part 1_12



বৃহস্পতিবার, ৩১ মে, ২০১২

ভালোবাসা.........





ভালোবাসা.........


ভালোবাসা.........
            সে কি তোমার হাতটি ধরে কথায় কথায় ঝগড়া করা,গোলাপ ফুলের বৃষ্টি ঝরা নাকি নীলছে খামের চিঠি পড়া।

ভালোবাসা.........
           সে কি অভিমানের মিষ্টি ভুল,খোপায় গোজা তারার ফুল স্নানে ভেজা ঐ তোমার চুল নাকি তোমার কানের ঝুমকো দুল।

ভালোবাসা..........
                  তোমার চোখে আমার স্বপন,বুকের ভেতর ব্যাথা গোপন,একজনা সে অতি আপন ফুলের ঘরে রাত্রি যাপন.......................।

ঠিকানাবিহীন চিঠি.......।



ঠিকানাবিহীন চিঠি.......।
মা.....
তুমি কেমন আছ?এ কদিন তোমার জন্য খুব খারাপ লাগছে।খুব ইচ্ছে করছে তোমার সাথে মন খুলে কথা বলি।জানি তা আর কখনই সম্ভব না তাই মনের না বলা কথাগুলোকে এলোমেলো সাজিয়ে এই চিঠি লিখতে বসা।আমি চিঠি লিখতে জানিনা কখনো লিখিনি তো তাই।কিন্তু তবুও আজ আমি তোমার জন্য লিখতে বসেছি।
মা তুমি ভালো আছ তো??ওখানে তোমার কোন কষ্ট হ্য়না তো?জানো মা কাল রাতে আমি খুব কেঁদেছি।মাগো আমি যে খুব একা হয়ে পরেছি।খুব খুব..... ইচ্ছে করে মা আমি তোমার কাছে ছুটে যাই।তোমার কোলে একটু মাথা রাখি।অনেক কথা জমা হয়ে আছে যে মা।কিন্তু আবার পিছু হাটি কারন আমার দায়িত্ব যে এখনো শেষ হয়নি যা তুমি আমায় দিয়ে গেছো।যেদিন তুমি চিরতরে চলে গিয়েছিলে সেদিন তুমি মুখে কিছু বলতে পারোনি।জানি অনেক কিছুই তোমার বলার ছিল সেদিন।কিন্তু বিধাতা হয়তো সেদিন একটু কঠোর হয়ে গিয়েছিলেন তাই তিনি তোমার কথা বলার শক্তি কেরে নিয়েছিলেন।তাই তুমি অঝরে কেঁদেছিলে।তোমার সেই কান্না জুরে ছিল অনেক কষ্ট ,তোমার আদরের ধনদের চিরতরে ছেড়ে যাওয়ার কষ্ট আর সেই সাথে আমাকে দিয়ে যাওয়া কিছু কর্তব্য।যা তুমি তোমার অশ্রু দিয়ে আমাকে বুজিয়েছিলে।জানো মা সবাই বলে মা বাবাকে চোখের সামনে মারা যেতে দেখাটাও নাকি অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।কিন্তু আমি তা মানিনা।কারন নিজের সব চেয়ে প্রিয় মানুষটার এভাবে চলে যাওয়া কে দেখতে পারে বল।অন্তত আমি এতটা শক্ত মনের মানুষ নই আর তাই এখনো তোমার সেই চলে যাওয়ার দৃশ্য আমাকে রোজ রাতে তাড়া করে ফেরে।তাই মাঝে মাঝে মনে হয় সেদিন ওখানে আমার না থাকাটাই বুঝি ভালো হত।

জানো মা সবাই এখন তোমার জায়গায় অন্য কাউকে আনতে চায়।মা তুমি বল আমি কি করে তা হতে দেই।যে ঘরের প্রতিটি কোনায় আমার মায়ের স্পর্শ সেখানে কিভাবে আমি অন্য কাউকে সহ্য করবো।বল না মা তুমি চুপ করে থেকোনা।সে শাড়িতে যে সাজে তোমাকে আমি দেখেছি সেই সাজে কি করে অন্য কাউকে দেখবো মা।যে অধিকার গুলো শুধুই আমার মায়ের তা আমি কি করে অন্য কাউকে দিব মা।এই একটি মাত্র জায়গায় আমি যে স্বার্থপর বড়ই স্বার্থপর মা।যখনই এসব নিয়ে ভাবি মা তখনই বড় এলোমেলো হয়ে পরি।কেন মা এমন হলো আমাদের? সুখ দুঃখ নিয়ে ছোট্ট একটা সুখের সংসার ছিল আমাদের।ভালই তো ছিলাম আমরা।তবে কেনো একটি ঝড়ে আমাদের সব সুখ নিয়ে চলে গেল,এভাবে আমাদের নিঃস্ব করে দিল মা।কেন মা আমরা আমাদের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসটাকে হারিয়ে ফেলেছি।যা আর কোনভাবেই ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়।এখন ও যখন আমার ছোট ভাই আর বোনটা আমার দিকে তাকিয়ে তোমাকে খুঁজে বেড়ায়,তুমি কোথায় এসব জিজ্ঞেস করে তখন বড় অসহায় লাগে নিজেকে।তখন বেঁচে থাকার সব ইচ্ছে আমি হারিয়ে ফেলি।আমি যে সত্যিই আর পারছিনা মা।
মাগো তোমার সেই অবুঝ মেয়েটি এখন অনেক বড় হয়ে গেছে এখন আর বাচ্চাদের মতো বায়না ধরে না সে।নিজের কান্নাগুলোকে আড়াল করে রাখে সবার কাছ থেকে।নিজের কষ্টগুলোকে চেপে রাখে সবার কাছ থেকে।আর রাত হলেই দূর আকাশের তারা দেখে অঝড়ে কাঁদে সে।আর যে পারি না মাগো।এখন বড় ক্লান্ত লাগে মা।আমায় একটু ঘুম পাড়িয়ে দিবে মা অন্তত ঘুমের ঘোরে হলেও আমি তোমার কাছে যেতে চাই।দিবে মা বল।

মা তুমি ভালো থেকো যেখানেই থাক ভালো থেকো।আর আমার জন্য অপেক্ষা করো আর তো মাত্র কটা দিন আমার দায়িত্ব গুলো শেষ হলেই আমি তোমার কাছে চলে যাব।এখানে আমার একদম ভালো লাগে না।মা তুমি আমার পথ চেয়ে থেকো।এই জগৎ সংসার থেকে ছুটি হলেই আমি আমার মায়ের কাছে ফিরে যাব।ভালো থেকো মা।তোমায় সত্যিই অনেক ভলোবাসি।



তোমার
সেই আদরের অবুঝ মেয়ে......।

সফেদ বেনসনে মোড়া ভালোবাসা



সফেদ বেনসনে মোড়া ভালোবাসা



 

অশান্ত এ মন,
লাগে গায়ে শীতের পবন,
তবু আমি ঘামি দরদর,
এ হৃদয়ে বাজে শুধু মর্মর।


সেই চেনা পথে হাঁটি,
এই সেই চেনা মাটি,
শুধু তোমায়ই পায় শ্বাস,
নেই কোন মেটো বাস!


চারিদিকে চাই, দেখি তুমি নাই,
বাতাসে ওড়ে সফেদ বেনসনের ছাই।
একটা-দু'টা-তিনটা ফুড়োয়,
বাতাসটা তার ছাই উড়োয়।


 

হেঁটে চলি, পৌঁছি সেই পুকুর পাড়ে,
তোমায় নিয়ে সময় কাটে যেই ধারে।
আঁধার নামে ঐ আকাশে,
আর আযানের শব্দ ভাসে।



 

বেনসনের ধোঁয়ায় খোকার মশারা থাকে দূরে,
আর একটু একটু করে বুক যায় ভেঙ্গেচুড়ে।
ধোঁয়ায় ধূমায়িত তুমি আসো,
জড়িয়ে ধরে আমায় ভালোবাসো...


 

ভালোবাসা! সফেদ বেনসনে মোড়া!
ছ'নম্বরটা হাতে, মনে দেয় নাড়াঃ
"আমি ভাবি তুমি আর তুমি ভাবো রবি,
এই মন কবে ছোঁবে ঐ মনের ছবি??..."


"আমি ভাবি তুমি আর তুমি ভাবো রবি,
এই মন কবে ছোঁবে ঐ মনের ছবি??...
তবু আমি আশায় থাকি পাবো আমি তোমায়
আশা নিয়েই আছি বেঁচে, দিন চলে যায়..."


ভালোবাসা! সফেদ বেনসনে মোড়া!
আমার ভালোবাসায় দিবে কবে সাড়া??