সোনালী রৌদ্রের কিরণ আসা যাওয়া করে নিত্য আমার চৌকাঠে । নির্লিপ্ত নয়নে তাকিয়ে শুধু দেখি করতে পারিনা তাকে বরণ, করতে পারিনা তাতে অবগাহন ।
অতৃপ্ত আত্মা বিহ্বল হয়ে অস্থির থাকে, ভেজা হৃদয় সদা শ্যাতশ্যাতে থাকে, ভাবনারা সদা কর্দমাক্ত থাকে, আমার এই ক্ষুদ্র অচলায়তনে ।
অপারগতার আর্তনাদ আমি কুলকুচা করে গিলে ফেলি যাতে পাশের কেউ বুঝতে না পারে, ইচ্ছে গুলিকে আমি ক্ষত বিক্ষত করে ধ্বংস করি যাতে পাশের কেউ দেখতে না পায়, আমাকে আমি নিয়ে যাই নরকের দুয়ারে যাতে পাশের কেউ কষ্ট না পায় ।
আমি তো আমি নই কঠিন দাসখত দেয়া এক ক্রীতদাস নিজেকে বিকিয়ে দেয়া জোকারের লেবাসে এক পরাজিত সৈনিক । আমার সব অর্জন তো আমার নয় অধিকারীর হুকুমের তাবেদার হয়ে কৃত কর্মের কারণে এক বিশ্বস্ত গোলামের স্বীকৃতি ।
একটা স্টেশনবিহীন রেললাইন, দু’পাশে অনন্তর বিস্তীর্ন গাছের সারি, একটা সীমান্ত এক্সপ্রেস। . দুরন্ত গতিতে পিছনে চলে যাচ্ছে গাছগুলো একটা গাছ জানালার কাছে আসছে, যেন একটা দানব, নিমেষে ভেঙে চুরমার করে দেবে সবকিছু । হঠাৎ ভয়াল কালো দানবটা ট্রেন এর জানালা ছুতে ছুতে মুহুর্তের মধ্যে চলে যাচ্ছে অজানায়, ফেলে আসা অনন্তর পথে । . যেতে না যেতেই আরো একটা দানব, আবারো সেই ছোবলের হাত, আবারো হারিয়ে যাওয়া অনন্তরে, তারপর আবারো তারপর আবার….. চলছে……..চলছে……. চলছি…..চলছি……………………..