আমার ব্যথাগুলো আরো ব্যথা নিয়ে মেঘ হয়ে চেপে গেছে চোখে আমি ভালো নেই.....
[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]
শনিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৩
কাঁক জীবন
কাঁক জীবন
....................................
ঐ দূর সন্ধার আকাশে
পাখিরা সব উড়া –উড়ি বন্ধ করে
করছে কিচির মিচির
ফিরবে বুঝি নীড়ে ।।
বেচারা কাক!নিজের ঘর নেই বলে
বৃক্ষের মগডালে ক্লান্ত বিলাপে কা কা করে
বোঝার মত পড়ে থাকে ।।
দিনের আলোয় যার দর্পিত গর্জন
রাতের আঁধারে হয়ে যায়
অতি ক্ষুদ্র পতঙ্গের অস্ফুস্টো গুঞ্জন ।।
আর এইভাবে
তিলে-
তিলে,
ধীরে-
ধীরে ,
নিস্বপ্ন ,
বিনা আকাঙ্ক্ষায়
বিকারে , বিভ্রমে
বিস্মরণে –
হয় তদ্রায় বিবশ ।।
যখন রবি উদয় হয়নি –
ঠিক তার আগে
না আরও আগে
কল কল ,ছল ছল রবে
কা কা করে জানান দেয় তার
নিজস্বতা ।।
সে আকাশের
মৃত্তিকার গর্ভজাত
সন্তান ।।
রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১২
তুচ্ছ কেন তুমি ?
তুচ্ছ কেন তুমি ?
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
হয়ে শামুক নিজেকে গুটিয়ে নিলে যে বড়
শত্রুর ছায়া নিয়তই দীর্ঘ্য
বৃষ্টিতে ভিজে অনাহারী কাক
এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়!
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
ভিজে পোষাক হরদম না নেমেই জলে
করবে জরীপ সমুদ্র গভীরতা!
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
নেই কি তোমার গল্পগুচ্ছ. গীতিসন্ধ্যা নৃত্যমুখর উৎসব
বিক্রী করছো কবিতা সস্তা কাগজ দরে
ভুলো কি করে কবিতা তোমার অবয়ব!
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
হয়ে সঙ্গী বুনো ইঁদুর বিশ্রী বেঁচে থাকা
কত আর হবে তুচ্ছ !
চুপসে তরবারী ঘাতকের ঘাম শুকে ।
এত তুচ্ছ কেন তুমি?
শুনে প্রেম আব্দার পাগলপারা
চুপসে তুমি চাপাতি রুটি !
গিয়ে দর্জির দোকান মাপো শরীর
ফেল বিম্ব জীবন আয়নায়
তুচ্ছ নও, তুচ্ছ নও তুমি
এখনো সংগোপন প্রেম যাচে তোমায়।
চিঠি পরিযায়ী
পরিযায়ী চিঠি এদিকে ওদিকে সবদিকে ছোটে বেগে
সে চিঠি এখন আকাশে বাতাসে সে চিঠিই মেঘে মেঘে
পেরিয়ে সে চিঠি সাগর পাহাড় মরুপ্রান্তর বন
পৌঁছেই গেছে দিল্লি বেজিং ন্যুইয়র্ক লন্ডন।
সে চিঠি এখন সকাল দুপুর সন্ধ্যা কিংবা রাতে
কিছুটা হলেও কবিতার মত এর ওর তার হাতে
পড়েছে সে চিঠি অন্তত কিছু রাত্রির নির্জন
পড়েছে হয়তো তোমার মতনই কোনো বিদুষীর মন।
যে পড়েছে সে তো আর যেই হোক তুমি নও তুমি নও
কি করে বা পড়ো তুমি কি আমার আপন দুঃখ হও!
আমিও ফিরে যাব প্রিয়
আমিও ফিরে যাব প্রিয়
অনুরাগের অদৃশ্য গৃবাজ
যখন বুকের ভেতরে সিঁধ কাটে,
প্রণয়ের পানশালায় যখন দুলে উঠে ঝাড়বাতি
তোমায় ছুঁয়ে দিতে খুব ইচ্ছে করে ;
তোমার মুখের কান্তি
ভরে দিতে চেয়ে স্পর্শের হলুদে
যেই আমি রাঙিয়েছি দেহ দেবলোকের আলোয,
দ্বিধার প্রাচীর তুলে ঠেলে দিয়েছ আমায়
অস্পৃশ্য বোধের সেই তাম্রযুগে ।
তোমাকে ছুঁয়ে দিলে যদি
অসময়ে বর্ষা নামে,
নীলিমার নীলে নামে বিষন্ন আঁধার
তবে ছোঁবনা,
তোমাকে ভেবে ভেবে এখানে সন্ধ্যা নামুক
পরাজিত গোধুলির লজ্জায়
রক্তরাগ ক্ষীনদেহ হোক
জোনাকীরা ফিরে যাক
আমিও ফিরে যাব প্রিয়
কিছু না পাওয়ার বেদনার তিমিরে ।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)