[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১৭ মার্চ, ২০১৩

chaatat -blood money




Main toh bas teri chaahat mein chahoon rehna sada
Main toh bas teri kurbat mein chahoon rehna sada
Saaya bhi tera main, hone na doon juda
Maine tay kar liya
Tere ishq pe, tere waqt pe
Bas haqq hai ik mera
Teri rooh pe, tere jism pe
Bas haqq hai ik mera... (3)
Main toh bas teri chaahat mein chahoon rehna sada
Main toh bas teri kurbat mein chahoon rehna sada

Yaadon mein tujhko rakhun
Baatein bhi teri karoon
Itna deewana hoon tera
Hoo raaton mein jaaga karoon
Din bhar batakta rahoon
Main toh yahaan se bas wahaan
Tere ishq pe, tere waqt pe
Bas haqq hai ik mera
Teri rooh pe, tere jism pe
Bas haqq hai ik mera... (3)
Main toh bas teri chaahat mein chahoon rehna sada
Main toh bas teri kurbat mein chahoon rehna sada

Baahon mein tujhko rakhun
Dhadkan mein teri sunoon
Aa itna nazdeek aa zara
Hoo jisme duaayein rahe
Har dum wafaayein rahe
Doon tujhko aisa ik jahan
Tere ishq pe, tere waqt pe
Bas haqq hai ik mera
Teri rooh pe, tere jism pe
Bas haqq hai ik mera... (3)
Main toh bas teri chaahat mein chahoon rehna sada
Main toh bas teri kurbat mein chahoon rehna sada
Saaya bhi tera main, hone na doon juda
Maine tay kar liya

বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ, ২০১৩

এসো তুমি আমার কবিতা হয়ে


এসো তুমি আমার কবিতা হয়ে

রাত নিঃঝুম, চোখে নেই ঘুম,সময় যায় যে বয়ে,এসো তুমি এসো, গান হয়ে এসো,
...
এসো আমার কবিতা হয়ে

শন শন শন হাওয়া বয়ে যায়,বয়ে যায় পথ পরে,এসো তুমি এসো, স্মৃতি হয়ে এসো,এসো আমার প্রাণের পরে
গুন গুন গুন অলি গেয়ে যায়,গেয়ে যায় ফুলবনে,এসো তুমি এসো, সুখ হয়ে এসো,এসো আমার অধরা মনে
সুর হয়ে এসো, বানী হয়ে এসো,এসো মনমন্দির মাঝে,এসো তুমি এসো, শ্যাম হয়ে এসো,এসো ফুলপল্লবিত সাজে।।

টিপ হয়েছে বাঁকা


টিপ দিলেই বলিস তুই টিপ হয়েছে বাঁকা.....!ঠিক করার অজুহাতে শুধু আমায় ছুঁয়ে থাকা.....!জ্বর এসেছে শুনলে জানি কপাল ছুঁয়ে দিবি.....!ভালোবাসি বলতে গাধা আর কত সময় নিবি.....?

এবার থেকে দরোজাটা থাকুক অবরুদ্ধ




কেউ বোলো না ‘পাজি’ আমায়
কেউ বোলো না ‘দুষ্ট’
শপথ করে বলছি এবার
হবই শান্ত শিষ্ট।

 
ঝড়ের বাঁধন, ঝড়ের কাঁদন
ঝড়ের বেদন ভুলে
মনের বাক্সে বন্দী করে
রেখো আমায় তুলে।

ভেতর কাপুক, ভেতর পুড়ুক
ভেতর কাদুক যতো
আজকে থেকে চলবো দেখো
সবার মনের মতো।

পথের মাঝে কুড়িয়ে পেলাম
এই যে এতো রত্ন
এই তো আমার অমুল্য দান
একেই করি যত্ন।

ভুল শুদ্ধ হিসাব করার
নাই তো অবসর
জীবন জোড়া এই দীনতার
নাই কোন অক্ষর।

সীমার মাঝে অসীম হয়ে
থাকবো তোমার কোলে
দুঃখ সুখে খুঁজবো তোমায়
প্রহর পলে পলে।

অনেক হোল বিরম্বনা
অনেক হোল যুদ্ধ
এবার থেকে দরোজাটা
থাকুক অবরুদ্ধ।

ভালো থেকো বন্ধু স্বজন
ভালো থেকো বাবু
পুতুল করে রেখো বুকে
আমায় তুমি তবু!

tu hi rab tu hai dua


tu hi rab tu hai dua

বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

নিশিকন্যা



নিশিকন্যা





কদিন ধরে কাজে যেতে পারছে না সুমি ।
এমন শীত। উফ ! বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না সন্ধ্যার পর। কদিন এমন শীত থাক কে জানে। তার উপর শরীর খারাপ করেছে। মাসের এ কয়েকটা দিন খুব খারাপ কাটে সুমি’র। একটা অসস্তি ঘিরে রাখে। শীত আর শরীর খারাপ কোনোটার উপর তার নিজের কোন হাত না থাকলেও এখন সে দুইটার উপর বিরক্ত। বেশ বিরক্ত বলা চলে। নিজের শরীর আর মরার শীতের উপরে রাগে ফুসে উঠছে সে । গরীবের সুখ নেই। মনে মনে গজগজ করতে থাকে সুমি। ঘরে চাল নেই। মুদি দোকানে বাকি জমে গেছে। সেও আর বাকী দেবে বলে মনে হয়না। বস্তিতে ধার পাওয়া যায় না। সুদে টাকা ছাড়া এক টাকা ও কেউ কাউকে দেয়না। কে দেবে? সবার এক অবস্থা। খেয় না খেয়ে পরে আছে। বাচ্চা দুইটা কই কই ঘুরছে কে জানে । সকালেও কিছু খায়নি। দুপুরেও খাবার নেই । রাতে না খেলে ঘুম আসেনা। পেটে ক্ষুধা নিয়ে ঘুম হয়? নাহ ! আজ বের হতেই হবে। দেখাযাক কপালে কি আছে। যদি ভাগ্য ভাল থাকে তাহলে কিছু জুটে যেতেও পারে।

সাতপাচ ভেবে সুমি ঘর থেকে বের হয়। কদম ভাইয়ের খোজ করতে হবে। সুমি বাইরে গেলে সাধারনতঃ কদম ভাইকে নিয়ে যায়। কদম ভাই লোকটা ভালো । পুলিশের সঙ্গে ভালো খাতির। আর সুমির সঙ্গে খারাপ কিছু করে না। বিপদে ভরসা রাখা যায় । এমন এক কাজ করে সে যে পারে সেই সুযোগ নিতে চায়। গায়ে হাত দিতে চায়। যেন জগতে সে এসেছে শুধু অন্যের জন্য মজা আর আনন্দ বিলাতে। কপাল আরে কাকে বলে। দুইটা বাচ্চার কথা ভাবে সে। নাহলে কবে রেলের নীচে ঝাপ দিতো । জীবন জুড়াতো, পাপ কম হত, শান্তিও পেত। তা আর হল কই? নষ্ট জীবন বয়ে বেড়াতে হচ্ছে । সামনের গ্যারেজে কদম ভাইকে পেয়ে বলে এলো । সন্ধ্যায় বের হবে। কদম রাজী হতে চায়নি। এই দিনে নাকি খদ্দের পাওয়া যাবে না। সুমি জোর করে বলেছে। ঘরের অবস্থা শুনে কদম ভাই বলেছে, চল । যদি পাস তাহলেতো ভালোই।

সংসদ ভবনের রাস্তায় রিকশা নিয়ে এপাশ ওপাশ করছে। লোকজন তেমন নেই। একটু আগে হাইকোর্টের মাজার থেকে এসেছে। সেখানে সুন সান নীরবতা। এই শীতের সন্ধ্যায় কে আর কাজ ছাড়া বের হয়। পেটে ক্ষুধা, বাচ্চা দুইটাকে দোকান থেকে ৫ টাকার মুড়ি কিনে দিয়ে এসেছে। বলে সেছে কিছুক্ষন পর এসে ভাত রেধে খাওয়াবে। খুশীতে চকচক চোখ মুখ নিয়ে দুজন মুড়ি খেতে বসেছে। আহারে! মায়ায় আদ্র মন নিয়ে পাপের উদেশ্যে ঘর ছেড়েছে সুমি। অনেক ক্ষন হয়ে গেলো । কোন খদ্দের মিলেনি। কি করে রাতের খাওয়া জুটবে, কদম ভাইয়ের আধ বেলার টাকা দেবে এসব ভাবতে ভাবতে মনে মনে অস্থির সুমি।

হঠাত করে কদম ভাইয়ের কথায় সম্বিত ফেরে।
: কিরে আর কতক্ষন ঘুরবি?
: কি করুম কদম ভাই, ঘরে এক দানা চাল নাই। মুদি দোকানে বাকী। আর চাওন যায়না। পোলা দুইটা না খাইয়া আছে। আসনের সময় কইয়া আইছি, আইসা ভাত রান্ধুম। এহন কেমনে যাই। তুমার টেহা দিমু কেমনে? কিচ্ছু বুজতাসি না কদম ভাই।
: আমার টেহার কথা বাদ দে। নিজের কথা ভাব। নিস্পৃহ ভাবে বললো কদম ভাই।
: কদম ভাই, চল চন্দ্রিমা উদ্যানে যাই। ঐহানে পাওয়া যাইতে পারে।
: চল। বলে কদম রিকশা ঘুরালো চন্দ্রিমা উদ্যানের দিকে ।

খামার বাড়ীর মোড়ে সুমির রিকশার সামনে থামলো দামী একটি গাড়ি। সুমির চোখ চক চক করে উঠলো । আস্তে করে কদম ভাইকে থামতে বললো।
: দেখ-তো কদম ভাই। ওদের লাগবো নাকি? মনে লয় আল্লাহ কাম একটা দিসে । সুমির গলায় খুশীর সুর।
: তুই বয় রিকশায়। আমি দেহি। বলে কদম নেমে এগিয়ে গেলো গাড়ীর কাছে ।

সুমি রিকশায় বসে দেখলো কদম ভাই মুখ বাড়িয়ে কথা বলছে। গাড়ীতে কে আছে বোঝা যাচ্ছে না। অনেক্ষন পর ফিরে এলো কদম ভাই।
: যাইবি সুমি? সারা রাত থাকতে হইবো । ৫০০ দিবো। রাজী থাকলে ক?
: আচ্ছা যাইমু, তুমি কিছু টেহা লইয়া যাওগা। হাসুনির মারে কইডা চাইল দিয়া ভাত রাইন্ধা দিতে কইবা? পুলা দুইটা খাইয়া ঘুমাইতে পারবো।
আমি বিয়ান বেলা আমুনে।
: আইচ্ছা । কমুনে।
একটু থেমে কদম ভাই বললো, হুন সুমি, যাইবি, তুই? পুলা দুইটা ছোড ছোড, কার পুলা কে জানে, বাসায় কেউ নাই মনে হয়, এই আকাম করতে বাইর হইসে।
: ইতা চিন্তা কইরা লাভ নাই কদম ভাই, আমরার পেটে ভাত নাই।

কদম আর কথা বাড়ালো না। গাড়ীর কাছে ফিরে গিয়ে টাকা নিল । সুমিরে তারাতারি গাড়ীতে তুলে দিয়ে রিক্সা ঘুরালো বস্তির দিকে ।

সুমি গাড়ীতে বসেই, টের পেলো । কদম ভাই এর কথা ঠিক । কত আর বয়স হবে পুলা দুইটার । হের নিজের পুলার থেইকা কয়েক বছরের বড় । মনটা কেমন করে উঠলো । পাপ করলেও মনের অন্দরে পাপীও কিছু বিশ্বাস লালন করে। সেই মন থেকে একটা নিষেধ টের পেল।

কিচ্ছুক্ষনের মধ্যেই সুমি অবাক হয়ে লক্ষ্য করলো তার বুকে চাপ বাড়ছে, তাকে অষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে বুক খামচে ধরেছে তারই সন্তানের বয়সী আজকের খদ্দের।